
ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের মাগুরা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আলিয়ার রহমান জানান, সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের পশু চিকিৎসক আবদুল কুদ্দুস বিশ্বাসের মেয়ে মাহফুজা আজম পিএসডি অর্জন করায় তার সংবর্ধনা উপলক্ষে ১৩ জানুয়ারি শ্রীপুরের হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশাল মেগা সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়েছে। যে কারণে শহরের সুন্দরতম জায়গা হিসেবে প্রচারের জন্য স্বাধীনতা স্তম্ভের বেদিটি তারা নির্বাচন করেছেন। তিনি আরো জানান, মাফুজা আজম মাগুরা দুধ মল্লিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। বৈবাহিক কারণে আর পড়াশোনা করা হয়নি। আর পিএসডি প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি নয়। ডেসটিনির নিয়ম অনুযায়ী ৪০ সাইকেল কোয়ালিফাই করলে একজন পিএসডি বা প্রোফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। আর এটি অর্জন করতে সক্ষম হওয়ায় তাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও এখানে সংবর্ধনা দেয়া হবে ডেসটিনির ডায়ম- খ্যাতি অর্জনকারী আনিসুজ্জামান বিপ্লবকে।
এ বিষয়ে ডেসটিনির প্রচার বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার কর্তাব্যক্তি হেদায়েত হোসেন বলেন, একটি প্যাকেজের আওতায় এটির ভাড়া নেয়া হয়েছে। আর যেহেতু এই সেলিব্রেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাঃ সিরাজুল আকবর এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক থাকবেন। যে কারণে স্থানটি ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার মোল্যা নবুয়ত আলি। তিনি বলেন, ২০০৩ সালে স্বাধীনতা স্তম্ভটি নির্মাণের পর থেকেই এরটির যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। যথাযথ তদারকির অভাবে বিগত ১০ বছরে বেদির স্টিলের বেস্টনি শিকল থেকে মূল্যবান লাইট এবং হোল্ডার সবই চুরি হয়ে গেছে। এখন ডেসটিনির মতো একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব প্রচারণার জন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঢেকে দিয়েছে। অথচ এটি দেখভালের দায়িত্ব যাদের তারাই বা কিভাবে অনুমতি দেয় সেটি এক বিস্ময়কর ব্যাপার।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার সাহা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।