আসবাবপত্রের দোকানের কর্মী মো. মুরাদকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম মৃত বানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা তাকে বানালো ছাত্রসমাজের নন্দিত নেতা এবং মেধাবী ছাত্রনেতা!! এই হলো বদিউজ্জামান সোহাগ ও নাজমুল আলমদের বিদ্যার দৌড়!! এছাড়া ছাত্রলীগ যে ইদানিং আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করে তা তো জানতাম না। নতুন একটি প্রতিভা খুজে পেলাম বাহ বাহ্ ।
বেচারা ছাত্রলীগ !!! ওদের আর দোষ কি? নেত্রী বলে দিয়েছেন একটার বদলে দশ টা লাশ চাই.... চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নেতাকে হত্যা করেও নিজেদের লোক বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
বাবা মুরাদ, তুমি সরকারের মহাসমাবেশে বোমা হামলায় মারা গেলে ভালো হত। তাহলে সরকার সমব্যথী হয়ে তোমার পরিবারকে হয়তো আর্থিক সহায়তা দিতো্ ! তুমি মহাসমাবেশ থেকে ফিরতি পথে ট্রেন থেকে পড়ে আহত হও বা মরে যাও কোন মূল্য নেই তোমার, তুমিতো আর মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ নও ।
সবার শেষ কথা, ক্ষমতার সংগ্রামে জীবিত মানুষের চেয়ে লাশের দাম বেশি।
ঘটনাঃ গতকাল বুধবার ১৪ দলের মহাসমাবেশ থেকে ট্রেনের ছাদে চড়ে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে আহত হন আসবাবপত্রের দোকানের কর্মী মো. মুরাদ (২০)। রাতে আসে ছাত্রলীগের শোকবার্তা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত ওই শোকবার্তায় বলা হয়, ‘১৪ দলের মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মো. মুরাদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘নেতৃদ্বয় শোকবার্তায় বলেন, উন্নয়নের বাংলাদেশে যখন ছাত্রসমাজ সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গঠনের প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তখন ছাত্রসমাজের নন্দিত নেতা, মেধাবী ছাত্রনেতা মো. মুরাদ ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। তাঁরা বিবৃতিতে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।’
(সুত্র- প্রথম আলো অনলাইন )