পৌত্তলিকতার গায়ে তথাকথিত অসাম্প্রদায়িকতার রঙ মাখিয়ে পহেলা বৈশাখের উৎসবে পেনিট্রেট করিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে “বাঙালি সংস্কৃতি”।প্রায় এভাবেই একের পর এক পৌত্তলিক সংস্কৃতিকে বাঙালিত্ব নামে চালিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে জড়বস্তুর উপাসনা সার্বজনীন করা হচ্ছে, যা বস্তুত অামাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে কলুষিত করে।
এটাই অামাদের অাধুনিক দুনিয়ার সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ।এই সহজ তত্ত্বটি বুঝার জন্যে আইনস্টাইনের “থিওরি অব রিলেটিভিটি” বুঝার মতো জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে না।একমাত্র সাইকোলজিকাল ডিজঅর্ডারে অাক্রান্ত ব্যক্তিরা ছাড়া সব শ্রেণীর মানুষই বুঝবে যে এটি সেক্যুলারদের একটি সুপরিকল্পিত ইনট্রিগ।
বাংলা নববর্ষের উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে অপসংস্কৃতির বীজ বুনে সরলমনা বাঙালি তরুণ সম্প্রদায়ের আইডিওলোজিতে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” নামক স্লো পয়জন মিশিয়ে তাঁদের নৈতিক পদস্খলন করা হচ্ছে।অার এর ধর্মীয় দিকটা না হয় ঊহ্য রাখলাম।প্রায় এভাবেই ভারতীয় জীবজন্তু অর্চনা, অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কার অামদানীর মাধ্যমে বাঙালির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে গঙ্গাজলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পহেলা বৈশাখে এসব অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চা বন্ধ হউক।মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভাত কিংবা ইলিশ দিয়ে নয়, দীনে প্রেমের মধ্য দিয়েই শুরু হউক অামাদের নতুন বছর।এটাই শতভাগ বাঙালিয়ানা।এই নববর্ষে বাঙালির ভাগ্যাকাশ থেকে সকল জরাজীর্ণতা, কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতির কালিমাময় কালো মেঘের গম্বুজ ভেঙে শোধনের বৃষ্টি ঝরে পড়বে -এটাই ঋজু মনের একমাত্র অভিলাষ।সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।