যারা পর্তুগাল-আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি দেখেননি তারা মিস করলেন।গতি,পাওয়ার আর স্কিলের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে পর্তুগাল ম্যাচটি জিতল ৫-১ গোলে।পর্তুগালের জন্য আশার দিক হল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ফিরে আসল এ ম্যাচের মধ্যে দিয়ে।তার চেয়েও বড় কথা ৫ টি গোল করেছেন ৪ জন খেলোয়াড় যার মধ্যে রোনালদো নেই।রোনালদোকে বাদে যে পর্তুগাল আয়ারল্যান্ডের মতো টিমকে ৫ গোল দিতে পারে,সে পর্তুগাল রোনালদোর গোল পেলে কোথায় গিয়ে থামে তা দেখার বিষয়। বাম প্রান্ত দিয়ে নানি ও কোয়েন্ত্রাও একের পর এক যেভাবে আক্রমণ করছিলেন তা ছিল দেখার মতো।বিশেষ করে ফাবিও কোয়েন্ত্রাও ৮৩ মিনিতে ব্যাক হিলে যেভাবে গোলটি করলেন,তা এক কোথায় অতুলনীয়।দীর্ঘদেহী হুগো আলমেদ্যা করলেন দুইটি দৃষ্টিনন্দন গোল। পর্তুগালকে যারা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন তাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ ম্যাচের পরে।
আসুন দেখে নেই পর্তুগালের সেরা চার ফুটবলারকে।
১)ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোঃতার সম্পর্কে কিছু বলার নেই।নিজের দিনে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব বানাতে পারেন এ ফুটবলার,সর্বশেষ সুইডেনের সাথে বাছাই পর্বের ম্যাচে হ্যাট্রিক করে যার প্রমাণ রেখেছেন।৮৬ এর বিশ্বকাপের মারাদোনার মতো দলকে একায় বিশ্বকাপ জেতালে অবাক হবেন না।
২)ফাবিও কয়েন্ত্রাওঃ রিয়াল মাদ্রিদের এ পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান ফুটবলার বিশ্বকাপে চমকে দিতে পারেন সবাইকে।লেফট উইং এ তার গতি প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্ন।বিশেষ করে লেফট উইং থেকে তার দেওয়া পাস গুলি রোনালদোর জন্য বেশ লোভনীয়।একই ক্লাবে খেলার জন্য তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে টেলিপাথিক সম্পর্ক।
৩)নানিঃ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ দ্রুতগতির অভিজ্ঞ উইঙ্গার পর্তুগালের অন্যতম সেরা অস্ত্র।শটের পাওয়ার,নিখুত পাস আর ড্রিবলিং দিয়ে খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন খুব সহজেই।বিশ্বকাপে নানি জ্বলে উঠলে পর্তুগালের অজেয় হওয়া খুব কঠিন হবে না।
৪)হুগো আলমেদ্যাঃ আয়ারল্যান্ডের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে যা করলেন তা সহজ ভাষায় দৃষ্টি সুখকর।উচ্চতা ও গতি দুয়ে মিলিয়ে ভয়ঙ্কর এক ফুটবলার।রোনালদোর জন্য কম মারকিং এ থাকবেন,কাজেই বলের জোগান পাবেন বেশ।কাজে লাগাতে পারলে প্রথমবারের মতো পর্তুগালের বিশ্বজয় অসাধ্য হবে না।