(রাজাকারমুক্ত চিন্তার দিগন্ত)
প্রশ্নটা প্রায় আসে, উনি কী আওয়ামী লীগার? উনি কী জামাতী? বিশেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশেষ চেহারার লোকজনকে দেখলে যে শিবির বলে প্রায়শঃ উওম-মধ্যম দেয়া হয়নি, তা আমি বলব না। বিশেষত: আমাদের কালে এরশাদের সামরিক জান্তা বিরোধী আন্দোলনের সাথে সাথে চট্রগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের উৎপাত ও নিযর্াতনের কারণে ঢাকাতে এধরণের ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে আইন নিজের হাতে নেওয়াটা আমি কখনো সমর্থন করি না। অন্ততঃ এধরণের অপকর্মের সাথে আমার বা আমার বন্ধুদের কোন সম্পর্ক ছিল না। কিন্ত মাথা গরম ছাএদের নিয়ন্ত্রন করবে কে? হাতে আইন না নিয়েও সামাজিক ভাবে যে হঠকারীদের প্রতিরোধ করা যায় এধরণের সহনশীল মুক্তবুদ্ধির চিন্তা, তার চর্চা ও বিকাশ এদেশে তেমনটা প্রত্যক্ষ করা যায় না।
অন্যদিকে, বৈষম্য, ক্ষমতায়ন, প্রান্তিকীকরণ, শ্রেণীবিভেদ- এধরণের সংবেদনশীল শব্দ উচ্চারণ বা লেখায় ব্যবহার করলে আমাদের সময় নাস্তিক কমিউনিস্ট বলে টাইটেল পাওয়া অতীব সহজ ছিল। ধন্যবাদ গরবাচেভকে। সমাজতন্ত্রের কবর দেওয়ার জন্য। রাশিয়ার পতনের পর এখন আপনি নিরাপদে এসব শব্দ ব্যবহার করবেন, কারও কোন আপওি নেই। সমাজে এধরণের সংবেদনশীল ব্যবহার স্বাধীন হলেও এই শব্দগুলো এখন আর কোন আবেদন সৃস্টি করে না। মনে হয়, দিন দিন আমরা এসব ব্যাপারে বেদনাদায়কভাকে নির্বিকার হয়ে পড়ছি। পাশাপাশি, মৌলবাদ, সংস্কৃতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, ধমর্ীয় উন্মাদনা ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করলে আজকাল আবার আওয়ামী লীগার, ভারতীয় দালাল বা বিদেশী শত্রুর চর হিসেবে নাম কুড়াতে পারবেন।
এদেশে কি বিচিএ ও অসুস্থ মন-মানসিকতা!!! এমনিতেই দেশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শক্তির খপ্পরে থাকে। এখন যেমন দেশ বিশ্ববেহায়ার কাছ থেকে বিশ্বশকুনদের খপ্পরে পড়ে আছে। আপনি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সমর্থক, সমস্যা নেই। ব্যক্তি নয়, দেশ হোক আপনার ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু। তাই বলি, চলুন মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটাই নিজস্ব সওাকে না বিকিয়ে। দলীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে ভাবুন দেশ কোনদিকে যাচ্ছে ? প্রতিহিংসা নয়, সুস্থ চিন্তা চাই, চাই মুক্ত বুদ্ধি।