মানুষহত্যাকারীদের রাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে হবে।
আচার্যবাঙ্গালী
মানুষহত্যাকারীরা পশুর চেয়েও অধম। আর এই অধমপশুদের কোনো ধর্ম নাই। আর এই অধমপশুদের ঠিকানা কোনো লোকালয় হতে পারে না। এদের চিরস্থায়ীভাবে আফ্রিকার কোনো জঙ্গলে নির্বাসনে পাঠাতে হবে। আধুনিকরাষ্ট্র কিছুতেই এই শয়তানদের প্রতিপালন করতে পারে না। আর একটি স্বাধীন-সার্বভৌম-রাষ্ট্রে ধর্মের নামে মানুষহত্যাকারীরা বসবাস করতে পারে না। এবার এই পশুদের নির্মূল করতে হবে।
এই সমাজে-রাষ্ট্রে যারা স্বেচ্ছায় ধর্মের নেতা সাজতে চায় তারা শয়তানের বংশধর। এদের সঙ্গে ইসলামের কোনোকালে সম্পর্ক ছিল না, আর এখনও নাই। এরা আমাদের সমাজে-রাষ্ট্রে ও ইসলামের ভিতরে শুধুই একেকজন ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’। এবার এই মোড়লদের প্রকাশ্যে জুতাপেটা করে এদের রাষ্ট্রছাড়া করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আদর্শের এক শক্তিশালী যুদ্ধ-ঘোষণা করতে হবে।
কে নাস্তিক আর কে আস্তিক—তা বিচার করার তুই কে? কে তোকে এই অধিকার দিয়েছে? ভিক্ষাবৃত্তি করে যাদের জীবন কাটছে, তারাই এখন সমাজে-রাষ্ট্রে ইসলামীচিন্তাবিদ সাজতে চায়! সমাজটা আর কত রসাতলে যাবে? এই মানুষহত্যাকারী-পশুদের কিছু না বলার কারণে এদের স্পর্ধা দিনের-পর-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এবার এদের রুখবার ব্যবস্থা করতে হবে। সমাজের কিছুসংখ্যক মানুষকে এই হত্যাকারীশয়তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। এদের নির্মূল করার কথা আমাদেরই ভাবতে হবে। আর কারও দিকে চেয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। কোনোদিক থেকে কোনো সাহায্য কখনও আসে না—আর তা কখনও আসবেও না। তাই, যা করার এখন নিজেদেরই করতে হবে। আর চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে হবে মানুষহত্যাকারীশয়তানদের। ১৯৭১ সালে, পশ্চিমা-পাকিস্তানীহায়েনাগোষ্ঠীকে শায়েস্তা করেছিলো বীর-বাঙালি-জাতি। আর সেই জাতি তো এভাবে বসে-বসে শুধু মার খেতে পারে না। দেশের ভিতরে এখন যারা নাস্তিকতার অপবাদ দিয়ে মানুষহত্যা শুরু করেছে তারা নিশ্চিতভাবে আজাজিলশয়তানের অনুসারী। তারা পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা। বীর-বাঙালির এদের এতো ভয় পাওয়ার কী আছে?
বসে-বসে মার খাওয়াটাও একধরনের কাপুরুষতা। এর মধ্যে কোনো আদর্শ নাই। শয়তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হলে একটুখানি অস্ত্রশস্ত্র তো লাগবেই। আর শয়তানকে কখনও সদুপদেশ দিয়ে লাভ নাই। কুকুরকে মুগুর দিয়ে না পেটালে কুকুর শায়েস্তা হয় না। কামারের দোকানে গিয়ে কুরআন-কিতাব পড়লে লাভ হবে না—লোহা সোজা কিংবা বাঁকা হবে না। এর জন্য চাই একটা শক্তিশালী হাতুড়ি। যেখানে যা লাগবে, আমাদের এখন তা-ই করতে হবে।
১৯১৭ সালের মহান রুশ-বিপ্লবের নায়ক একজন লেনিন। তাঁর মতো সাহসীমানুষ এই পৃথিবীতে খুব কমই আছে। তিনি ছিলেন মানবতার এক অতন্দ্রপ্রহরী। মানুষের অধিকারআদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তাঁকে দেশ থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তবুও তিনি থমকে যাননি। দেশের বাইরে থেকেও তিনি বলশেভিক-বিপ্লব সংঘটিত করেছিলেন। একেই বলে নেতৃত্ব।
ধর্মের সকল আগাছা-পরগাছার বিরুদ্ধে আজ এমনই একজন মহানায়কের উত্থান প্রয়োজন। আর যিনি একটানে মানুষহত্যাকারী-জানোয়ারদের শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে পারবেন।
বিনয়াবনত
আচার্যবাঙ্গালী
ঢাকা।