ভীতিকর সন্ধ্যা ও রাত্রির শেষে
কতিপয় সূর্য-তরঙ্গ ভাসে,
সব ভুলে আলোকিত হই আমিও
অসীম সাহসে।
বেদনাময় ঊষর সময় পেরিয়ে
বিনিদ্র রাত্রির ভাজে
যখন আমি ঘুমিয়ে পড়ি
ঢুকে পড়ি এক চিলতে শান্তির চাদরে।
বিভীষিকাময় রাতগুলো হাত-পা গুটিয়ে
গুটিসুটি লুকিয়ে পড়ে
ঘরের কার্ণিশে।
নিজেদেরকে নিয়ে গুটিয়ে নিরাপদে
রাখে তারা যেন
আবার নামলে রাত্রি
হামলে পড়তে পারে তারা একযোগে
নিরীহ মানুষ আর অসহায়
শবের পরে।
ছাড়বে না তারা কোনো ভীতু
অসহায় সৃষ্টিকে। সমাধিশালা পেরিয়ে
তাই চুপি চুপি কুহকিত স্বরে
ডেকে যায় তারা, ’ছাড়ব না! ছাড়ব না!
ছাড়ব না কিছুতে কমজোর যারা
শক্তিহীন মনে বা মাংসপেশীতে!’
তাদের দুর্দান্ত ভ- প্রতাপ আমি দেখেছি বড়,
তাদের কুহক স্বরে তাই
ভয় পাই না আর কোনো;
করে উঠি হুঙ্কার তাদের ফিসফিসানি কথার উত্তরে।
আমার দারুন দাপুটে উত্তরে অকস্মাৎ
থমকে যায় তারা,
করতে পারে না আর একটাও প্রতি-উত্তর।
আচমকা আমি দেখি চেয়ে
আমার আপন আত্মার গহীনে
অজস্র আলোক রশ্মি ভাসে -
ভীতির সব শব তারা দাহ করে
ভাসিয়ে দিচ্ছে ভস্মসহ
নিটোল নিখুত জল প্রপাতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯