একটি ভিন্ন-চিন্তা ঘুরে বেড়াচ্ছিল
এঁদো ডোবা আর পুকুরের গায়,
আমি তাকে দেখতে পেয়ে তৎক্ষনাৎ
গিলে খাই যেন সে কোনক্রমে অতিক্রম করে
মানব মলাশয় নিমেষে আবর্জনায় মিশে যায়।
ভিন্ন চিন্তার একটি সুগঠিত দল মেতেছে তখন
খোশ গল্পে - জোনাকী সহ চৌরাস্তার মাথায়।
তারা চিন্তাটাকে গিলে ফেলতে দেখে
আফসোস করে উঠল বলে, ভিন্ন চিন্তাটা
খুঁজছিলো আশ্রয় কোনো এক মানুষের মাথায়।
বলল তারা অনেক ক্ষেদে, মানব মনের ¯্রােতে
ভেসে আমরা ভিন্ন-চিন্তারা বাঁচি ও বংশ বাড়ায় -
অন্য কোথাও পারি না বাঁচতে আমরা
যেমন জলেই স্থিতি মাছের, বাঁচে না সে ধরায়।
ভিন্ন চিন্তারা সব এখন বেড়াচ্ছে ঘুরে বেওয়ারিশ
আশ্রয়হীন নর্দমা নালায়। পোকায়-কাটা
শস্যক্ষেতেও আমি দেখেছি তাদের। ঘুরে বেড়াচ্ছে
তারা নিতান্ত অপ্রস্তুত এই পৃথিবীর পরতে পরতে
পরিত্যক্ত বিহ্বল ঘর গৃহ আশ্রয়হারা।
আমরা মানুষ অস্থির, ভয়ে জড়সড়;
কখন কোন ভিন্ন চিন্তার জোয়ারে বা ফেঁসে যাই!
কে জানে কোন চিন্তাটা না-জায়েজ আবার
কোন বংশ গোত্র বা গোষ্ঠীর কাছে!
অদৃশ্য বাতাসের কোমল তরঙ্গেও ভয়ের কঙ্কাল
তার সর্বগ্রাসী ছায়া ফেলে। আজ তাই
বড় বেশী সাবধান সতর্ক মানুষের জাত,
কি জানি কোন ভিন্ন-চিন্তার খপ্পরে
প্রাণটাই বলি যায় সক্রেটিস গ্যালিলিও
বা নাম-না-জানা কোনো চিন্তকের মতো
ঘরে বাইরে গোরস্তান বা শ্মশানের মাথায়!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২