এই শহুরে বাংলায় তোমার চেহারা দেখতে পেলে
আমি বর্তে যাই
যেমন বর্তায় চ-ীদাস রজকীনীর দেখায়।
তুমি নিম হও বট হও বা
অশ^ত্থ পাকুড় কি কুল গাছ হও
তুমি বৃক্ষ আমার পাশে দাঁড়ালে
আর অপরিসীম দ্যুতি ছড়ালে
যেন কোনো দেবদূত স্বর্গ-তোরণ পেরিয়ে
শহর নামের এই আস্তাকুড়ে এলে!
তোমায় দেখা দুষ্কর আজ
মহানগরের গলিতে ফ্লাটে,
অফিস আদালত আর মহিমাময় মানুষের
পদচারনায় মুখর মন্ত্রণালয় সচিব-পল্লীতে!
এই জনাকীর্ণ বাংলায় তোমায় দেখতে না পেয়ে
সত্যি আমি বন্ধুবিহীন বিপর্যস্ত অসহায়;
যদিও তোমার লাশ ও শরীর বিকচ্ছে খুব সস্তা
সারা শহরময়! তোমাকে নগ্ন নাঙ্গা করে বেচতে
ব্যস্ত সবাই, তোমার চারা কি বংশ
রক্ষা করাটাই বুঝি দায়!
যে মানুষ একদা মগ্ন ছিলো তোমার পূজায়
আজ সে ব্যস্ত তোমায় খ-িত দ-িত ও
শিকড় সমেত করতে নাশ
কেবল তুমি নিরীহ, শান্তি ও স্বস্তি প্রদায়ী বৃক্ষ তাই
আজ পলে পলে ঘটে তোমার বিনাশ!
মানব-সভ্যতার লুটপাটের মৎসবে
তুমি নেহাত অসহায়,
আজ যে কেউ তোমার গায়ে ছুরি চাকু কি
শাখের করাত চালায় নিতান্ত খেয়াল খুশীতে।
আজ তুমি আবরন ছাড়া আভরণহীন
বস্তু এক,
তোমার নাম ধ্বনিত হতে শুনি শুধু
পুঁজি ও মুনাফায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭