এটাকে বলতে পারেন দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মতন। সুন্দরবনে এডভেঞ্চার বলতে যা বুঝায় সেটা এখানে পাবেন না আগেই বলে দিচ্ছি। সেসবের জন্য ন্যূনতম ৩-৪ দিন সময় নিয়ে ফরেস্ট রেঞ্জারের অনুমতি নিয়ে হিরন পয়েন্ট, কটকা এসব জায়গায় যাওয়া দরকার।
প্রথমে খুলনা/বাগেরহাট থেকে আপনার যেতে হবে মংলা।(আপনি ঢাকা থেকে সরাসরি মংলাও যেতে পারন)
দু'জায়াগা থেকেই সরাসরি মংলার বাস পাবেন।(বাস ভাড়া ৪০-৫০টাকা) খুলনা থেকে ৪২-৪৩ কিমি দূরে মংলা। বাসগুলো মংলায় পশুর নদীর পাড়েই আপনাকে নামিয়ে দেবে(সর্বশেষ স্টপেজ)।
নদীর ওপারে মংলা শহর। যদি ঘোরার ইচ্ছা থকে তাহলে ওপারে যেতে পারেন। খাওয়া দাওয়া করতে চাইলেও ওপারে যাওয়াই ভালো। ওখানে বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্ট পাবেন নাস্তা করার জন্য।
এপারে/ওপারে যেখানেই থাকুন না কেন ফেরী ঘাটে দেখবেন বেশ কিছু ইঞ্জিনচালিত নৌকা দাঁড়িয়ে আছে। (এগুলোকে বলে জালি বোট)
একটা নৌকায় ১০-১২ জন স্বাছন্দে যেতে পারেন। নৌকার ছাদের উপর বসার আয়োজনটাও ভালই। রওনা হবার আগেই বোটম্যানের সাথে ভাড়ার ব্যাপারটা চুড়ান্ত করে নেবেন।
মংলা-করমজল-মংলা মোট ভাড়া ৬০০-৮০০ টাকা এরকম নিবে।করমজল পৌছাতে লাগবে ৫০ মিনিট।পশুর নদী দিয়ে যেতে যতে এমন দৃশ্য আপনার চোখ জুড়াবেই।
করমজলে নেমে ঘুরে দেখবেন স্থানীয় বন বিভাগের হরিণ ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র।
একটা টাওয়ার আছে তার উপরে উঠে পাখির চোখে দেখে নিতে পারেন সুন্দরবনকে।
বনের ভিতরে কঠের সাকোর উপর দিয়ে হেটে হেটে উপভোগ করতে পারবেন ম্যানগ্রোভ বন। দেখতে পবেন বনের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা বানর ও জোয়ারে ভেসে আসা লাল কাঁকড়া।
পুরো এলাকাটা ভালো ভাবে ঘুরতে ৩ ঘণ্টার মতন লাগবে।
ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে ক্ষণিক বিশ্রাম নিতে পারেন এমন ঘরে।
করম জলে বাঘ দেখতে না পেলেও এমন টাঘ!(বাঘের ফসিল) দেখতে পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১২