somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেশি কচলাইলে তিতা হবে এটাই স্বাভাবিক-লেখাটা বঙ্গবন্ধু এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে

১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বেশি কচলাইলে তিতা হবে এটাই স্বাভাবিক।



১) আচ্ছা যারা নূন্যতম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়েছে তারা কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অস্বীকার করার মত। কিন্তু কেন এখন বাংলাদেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সহ্য করতে পারে না বা তাকে ব্যাঙ্গ করে? এমন তো হবার কথা ছিলো না, তাই না ? এখন অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নাম বলার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি সম্মানের সাথে ব্যবহার করে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নাম বলার সময় সেই সম্মানের ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না। এটা কি আসলেই হবার কথা ?

-আমার উত্তর হচ্ছে ,না এটা হবার কথা না।

-তাহলে কেন হলো ?

উত্তর : ঐযে আগেই বলেছি একটা বিশাল জনগোষ্ঠী সহ্য করতে পারে না ,তার মানে বাকি যে আর একটা বিশাল জনগোষ্ঠী আছে তারা উনাকে মাথায় তুলে রাখে ,এবং শুধু মাথায় তুলেই রাখে না উনার নাম ভাঙিয়ে বহুত অপকর্ম করে। সমস্যাটা হয়েছে এখানে। দ্বিতীয় বিশাল জনগোষ্ঠীটা বঙ্গবন্ধুকে এই বঙ্গের সবার "বন্ধু" হতে না দিয়ে শুধু ঐ জনগোষ্ঠীরই "বন্ধু" করে রাখলেন। এবং এটার জন্য একমাত্র দায়ী ঐ দ্বিতীয় জনগোষ্ঠীটাই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন নোংরা রাজনীতি করেছে যে, এখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে সম্মান পর্যন্ত দেখাতে চান না। এর জন্য বঙ্গবন্ধুর আশেপাশের মানুষজনও সমান ভাবেই দায়ী , তারা বঙ্গবন্ধুকে একটা পরিবারে বা একটা দলে আটকে রেখেছেন।
আপনি যখন দেখছেন এই রাজনীতির মাঠে কাদা ছোড়াছুড়ি হয়, তাহলে কেন সেই কাদার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসলেন ,কেন উনাকে সাইনবোর্ড বানিয়ে রাজনীতি করতে গেলেন ? স্বাভাবিক ভাবেই আপনার রাজনৈতিক দর্শনের সাথে যাদের দর্শন মিলবে না তারা আপনার সব কিছুই খারাপ প্রমান করার চেষ্টা করবে ,এবং সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুও বাদ যায় নি ,কারণ আপনারা জনগণকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন আপনারাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন,কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অনেক অমিল বা অপকর্ম পরিলক্ষিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে যদি রাজনীতির বাইরে রাখতেন ,তাহলে আজ হয়তো ১৫ আগস্ট বা ১৭ মার্চ শুধু ঐ জনগোষ্ঠীই ফুল নিয়ে যেত না ,অন্য জনগোষ্ঠীটাও যেত, আজ হয়তো বিশাল জনগোষ্ঠী নামাজের শেষে দোয়ায় বসে জেতেন ,জোর করে কাউকে শিখিয়ে দেওয়া লাগতো না ,নামাজের শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া কইরেন একটু।


২) ঠিক একই ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে ঘৃণার পাত্র বানিয়ে ফেলছেন মুক্তিযোদ্ধার রিলেটিভ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত ধারক-বাহকরাই। ভোটব্যাংকের জন্য উপমহাদেশের রাজনীতিতে সবই সম্ভব, তাই বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়েও?

এদেশের সাধারণ জনগণ কখনোই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অসম্মান করে নাই, কিন্তু এই সুবিধাবাদী কিছু মানুষের কারণে আজকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা হাস্যকর পাত্রে পরিণত হচ্ছে।

যারা ৭১ এ যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন আমার মনে হয় তারা যোদ্ধাদের সাথে কোনো চুক্তি করে নাই , তোমরা এই সুবিধা পাবা বা ঐটা পাবা। এর পরেও বীর যোদ্ধাদের সম্মানার্থে অনেক কিছুই দিয়েছে এদেশের সরকার। তবে এটা কখনোই প্রতিদান হতে পারে না।, কারণ তাদের ঋণ শোধ হবার নয়।

কিন্তু এই সুবিধাবাদী কিছু মানুষ এটার প্রতিদান চাইছেন। শুধু তাই না , এই সুবিধাবাদীগুলো মুক্তিযুদ্ধের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ইভেন এমনও হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ঝাল মিটিয়েছে থানা-অফিস-আদালতে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে। এর পরেও সবাই মুখ বুজে সেটা সহ্য করেছে।

সবচেয়ে বড় কথা, যে কোটা নিয়ে এত আলোচনা সেই কোটা টেম্পোরারিভাবে তাদেরকে দিয়েছিলো ৭২ এ , সেটাই এখন নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে নিতে চাচ্ছে।

একটা সময়ে হয়তো "বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবার" শুনলে অনেকেই নেগেটিভ চোখে দেখবে। এটার জন্য দায়ী হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার রিলেটিভ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত ধারক-বাহকরাই। তারা এত কচলান কচলাইতাছে এক সময় হয়তো তিতা হয়ে যাইতে পারে, যেমন বঙ্গবন্ধুকে এরা বিশাল একটা জনগোষ্ঠীর কাছে তিতা বানিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×