সম্প্রতি অনলাইনের কিছু পেজে আলোচনা হচ্ছে মুসলমানদের আজান যেটা আরবীতে দেওয়া হয় , সেটার অর্থ যদি অমুসলিমরা বুঝতো তাহোলে প্রবোল আপত্তি জানাতো, কারন আজানের বাণীতে এমন কিছু কথা আছে যেটা অমুসলিমদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে । তাদের এই আপত্তির বিষয়ে নীচে আলোকপাত করছি --
৪ বার* الله اكبر আল্লাহু আকবার আল্লাহ সর্বশক্তিমান (সুন্নী এবং শিয়া)
২ বার اشهد ان لا اله الا الله আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ বা উপাস্য নেই (সুন্নী এবং শিয়া)
২ বার اشهد ان محمد الرسول الله আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত দূত (সুন্নী এবং শিয়া)
২ বার حي على الصلاة হাইয়া আলাস সালাহ নামাজের জন্য এসো (সুন্নী এবং শিয়া)
২ বার حي على الفلاح হাইয়া আলাল ফালাহ সাফল্যের জন্য এসো (সুন্নী এবং শিয়া)
২ বার الصلاة خير من النوم আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম ঘুম হতে নামাজ উত্তম** (Fajr prayer only)
(সুন্নি)
২ বার حي على خير العمل Hayya 'alā khayril-'amal Make haste towards the best deed
(শিয়া)
২ বার الله اكبر আল্লাহু আকবার আল্লাহ্ মহান (সুন্নী এবং শিয়া)
১ বার** لا اله الا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই (সুন্নী এবং শিয়া)
==========================================================
আমুসলিমরা বলতে চাচ্ছে , ঐ যে আজান এখানে শুধু এক জায়গায় বলা হচ্ছে নামাযের জন্য এসো আর বাকি সব লাইনে ইসলাম ধর্মের এডভেটাইজ করা হয়ে এবং ঐ সমস্ত বাণীতে এমন কথা বলা হয়েছে যা অমুসলিমদের আঘাত করে । খৃষ্ঠানরা যখন প্রার্থণা করতে ডাকে তখন ঘন্টা বাজায় অন্য কোন ধর্মানুভুতিকে আঘাত করে না , হিন্দুরা পুজার সময়ে উলু ধবনি দেয় অন্য কোন ধর্মের অনুভুতির বিপক্ষে কিছুই বলে না ।
উদাহরন ।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ বা উপাস্য নেই
এই কথাটি সরাসরি হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে এবং এই বাণীর মাধ্যমে তাদের দেব দেবীদের অপমান করা হয়েছে। তাদের ভগবানের অনেক উপাস্য আছে
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত দূত
এই বক্তব্য ইহুদি খৃষ্ঠান হিন্দু সবার অনুভুতিকে আঘাত করছে । খৃষ্টানরা জিসুকে সৃষ্ঠি কর্তার দূত মানে , ইহুদিরা মুসাকে সৃষ্ঠি কর্তার দূত মানে আর হিন্দুদের ৩৩ কোটি ভগবানের অবতার বা দূত আছে ।
ঐ সমস্ত ব্লগে বলা হচ্ছে , হে মুসলামানরা তোমরা কি বিশ্বাষ করো বা মানো সেটা শুধু নিজেদের ভিতর সীমাবদ্ধ রাখো , সেই বিশ্বাষের কথা আমাদের শুনতে হবে কেন ? কেন আমাদের এমন কথা শুনতে হবে যেটা আমাদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে । এই আজানে যা বলা হচ্ছে তার মুল অর্থ হোল ইসলাম ছাড়া সব ধর্ম বাতিল ( আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই ) , সেটা কেন আমাদের শুনতে হবে । গোটা আজানে নামাজের আহবান করা হয়েছে মাত্র একবার আর বাকিটা ইসলাম ধর্মের এডভেটাইজমেন্ট যা আমাদের বিশ্বাষকে আঘাত করে কিন্তু তাদের ধর্মের প্রার্থণার আহবানতো কারো বিশ্বাষকে আঘাত করছে না ।
এই বিষয়ে আমি সকল ব্লগারবৃন্দের মতামত আশা করছি । এই আজানের অর্থ যদি অমুসলিমরা জানতো তাহোলে তাহোলে তাদের দেশে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া বন্ধ করে দিত , বিশেষ করে ভারতে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৯