যোদ্ধা
সোনালী যুগের সন্ধানে চলিছে যে যোদ্ধা
কালের ঘড়ি অবনত মস্তকে জানায় তাঁরে শ্রদ্ধা।
ওপাড়ের খেয়া মাঝি যোদ্ধায় ডাকি বলে-
“সোনালী সে যুগ হারায়ে গিয়াছে আঁধারের অতল তলে।”
ভয়াল রাত্রি ডাকি বলে, “দেখ আলোক কাঁপিছে শঙ্কায়।”
গম্ভির ভেরী সেও বাঁজিছে এমন যেন যোদ্ধায় ধমকায়।
--“বন্ধুর পথে যাত্রা আমার, যুদ্ধ করি যে জয় ;
সমরের মেহেফিলে কভু যোদ্ধা করে কি ভয় ?”
দৃঢ় কন্ঠে ধ্বনিত এ বাণী বৈরীতে আঘাত হানে
ভয়াল রাত্রি আর গম্ভির ভেরী ভেসে যায় বাণে।
হঠাৎ পথে পাহাড় দাড়ায় উচু করে তার বুক
হুঙ্কার দিয়ে বলে, “কে আনিবে সে সোনালী যুগ ?”
অকুতোভয়া সে যোদ্ধা বলে, উচু করে তাঁর শির
“আমি থামিবোনা--পারো যদি বুকে বিঁধাও বিষের তীর।”
ভীত গিরি রুখবে যোদ্ধায়-নাই তার হিম্মত
অনিমেষে যোদ্ধা পাড়ি দেয় বন্ধুর সে পথ।
সহসা “সোনালী যুগ” হাসে যোদ্ধার পানে চেয়ে
গম্ভীর সে ভেরী উচ্ছ্বাসে জয়ধ্বনি আনে বয়ে।
শ্যামল-সবুজ অটবী যোদ্ধায় জানায় অভিনন্দন
সহসা শ্রুতিতে ভাসিয়া আসে ওপারের মাঝির ক্রন্দন ;
বলে সে মাঝি ডাকিয়া যোদ্ধায়,“ওহে রণবীর-
তোমাতে যে পড়িয়াছে ডাক অবিনশ্বর বিশ্ব-পতির।”
কালের ঘড়ি ডাকিয়া বলিল,“ও নির্বোধ জয়ে হল কি লাভ !
তুমি কি এখন করিছো না তোমার ভুলের অনুতাপ?”
যোদ্ধা কহিল উচ্চ স্বরে,“মরিয়া চির অমর মোরা ;
মরিয়াও ধন্য, মরিতেও পাই সুখ
নব-প্রজম্মকে মোরা দিতে পারিয়াছি যে--
শম’র সোনালী যুগ।”
তাঁরা শূর, অবিনশ্বর, যারা তেয়াগী স্বহিত --
মরিবার ক্ষণেও দৃঢ় হস্তে করে পর-প্রীত।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
ই-মেইল: [email protected]
মোবাইল: ০১৭১৬৪৯৯১২২
বি-৪৪/২,বিনোদবাইদ, সবুজবাগ, সাভার, ঢাকা-১৩৪০।