ড্রাগ মানে হোলো, সেই কেমিক্যালস গুলা যা আমাদের শরীরবৃত্তিয় কাজকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা হ্রাস করতে পারে। তাহলে মেডিসিন কাকে বলে? মেডিসিন হোলো সেই ড্রাগ যা একটা নির্দিস্ট পরিমানে (ডোজ) কোন বিশেষ রোগের উপশমকারী হিসাবে দেয়া হয়। যাহোক, ড্রাগকে নারকোটিকস হতে ডিফার করার জন্য এত কথা।
যেটা বলছিলাম, লেবু বা লেবুর ফ্লেভার পছন্দ করে না এমন লোক মনে হয় পাওয়া যাবে না। একটা লেখা তৈরি করার সময় লেবুর একটা জাত চোখে পড়লো, নাম শুনলে অবাক হবেন, নাম রংপুর। এটা লাইম আর অরেন্জ এর ক্রস ব্রিড।
যা হোক লেবু নিয়ে কথা বলি, এরা হোলো সাইট্রাস গ্রুপের গাছ। ধরে নেয়া হয় লেবুর রস হাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যেটা মুলত ভিটামিন সি। ভিটামিন সি একটা জরুরি ভিটামিন, যা আমদের প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবারের সাথে নিতে হয়। কারণ, এটা পানিতে দ্রবণীয় আর প্রশ্রাবের সাথে বের হয়ে যায়, জমা থাকে না। দুঃখের বিষয়, বেশ কিছু বড় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভিটামিন সি ভালো কাজ দেখাতে ব্যার্থ হয়, বিশেষ করে হার্টের ডিজিজ প্রতিরোধ করতে। তাই বলে লেবুর কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
লেবুতে আরও পাওয়া যায় এক ঝাক পলিফেনোলিক কমপাউন্ড, Naringin, naringenin, nobelitin, narirutin, hesperidin । এর মধ্যে আমাদের আগ্রহের মলিকিউল হলো নারিনজিন। লেবু খেতে গেলে যে তিতা স্বাদ লাগে তার জন্য এই মলিকিউলটা দায়ী। এটা আবার আপনি পাবেন আংগুরের বিচিতে বা ত্বকে।
এর গুনাগুন শুনুন, এটা হাইপারটেনশন কমায়, ব্লাড গ্লুকোজ স্বাভাবিক রাখে, লিভারের ফ্যাট ডিপোজিশান কমায় আর হার্টকে রাখে সুস্থ্য সবল, রক্তের লিপিড জমাকে কমানোর ফলে রক্তনালীকে রাখে পরিষ্কার আর তাতে স্ট্রকের ঝুকিও কমে। এত এত কাজ শুধু এই অসাধারণ মলিকিউলটা করতে পারে। সমস্যা হলো এটা পিউর হলে পানিতে দ্রবণীয় হয় না।
তাই বলে থেমে যাবেন না, লেবুর খোশাটাকে ব্যবহার করুন, নির্দিধায়, সালাদে বা তরকারীতে বা শুকিয়ে, বা আচার বানিয়ে। ভালো থাকুন, আর মেদ ভূড়িকে না বলুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩২