somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাগজের ফেরিওয়ালা
যদি ভালো ইনসানই না হতে পারি, তবে এই রক্ত-মাংস-রূহ-মস্তিষ্কের মূল্য কী? আমি উড়ার স্বপ্ন দেখি না, উড়তে তো মাছিও পারে! আমি মাটির আদম, মাটিতেই মরতে চাই, আমার বুকে লাগিয়ে দিও কদম ফুলের গাছ।

মোস্তাকিমের পথে (পর্ব ১১)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পারিবারিকভাবেই ফরহাদ ও নুসরাতের এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেল। দুটো পরিবারেই এখন বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আলমগীর সুরাইয়া ও তার মেয়ে নুসরাতকে বিয়ের কার্ড দেখাচ্ছে।
আলমগীরঃ তাড়াতাড়ি চয়েজ করো যে কোন কার্ডের ডিজাইনটা বেশী ভালো লাগে। সবাইকে তো বিলি বন্টনও করতে হবে, নাকি?
সুরাইয়াঃ আমার যদি ক্ষমতা থাকত আমি পৃথিবীর সব মানুষকে ইনভাইট করতাম আমার মেয়ের বিয়েতে। মহা ধুমধামের সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দেব। সবাই যাতে তাক লেগে যায়।
সুরাইয়া তার মেয়ের কপালে চুমু দিল।
আলমগীরঃ তা তো বটেই।
নুসরাতঃ আম্মা, একটা কার্ডও আমার পছন্দ হচ্ছে না।
আলমগীরঃ তো এক কাজ করো। তোমার বিয়ের কার্ড তুমি নিজেই ডিজাইন করো।
নুসরাতঃ গুড আইডিয়া। আমিই ডিজাইন করব। থ্যাঙ্ক ইউ পাপা।
আলমগীর ও সুরাইয়া হেসে দিলেন।
*****
নুসরাত ও ফরহাদ কেএফসিতে এসেছে।
নুসরাতঃ তোমার বিয়ের কেনাকাটা সব শেষ হয়েছে?
ফরহাদঃ হ্যাঁ, তোমার?
নুসরাতঃ একদমই না। আরো অনেক কেনাকাটা বাকি আছে। শেষই হতে চায় না।
ফরহাদঃ ও তাই?
নুসরাতঃ হুম। জানো, আমাদের বিয়ের কার্ড আমি নিজেই ডিজাইন করেছি।
ফরহাদঃ তাই?
নুসরাতঃ হুম। আমার বাবা কী বলেছে জানো?
ফরহাদঃ কী বলেছে?
নুসরাতঃ বিয়ের পর বাবার কোম্পানি তোমার নামে করে দেবে। তুমিই সেই বিজনেস সামলাবে।
ফরহাদঃ মানে কী?
নুসরাতঃ মানে বাবার বিজনেসে তুমি হেল্প করবে। তিনি তোমার নামে করে দিচ্ছেন সেটা।
ফরহাদ এংগেজমেন্ট রিং খুলে ফেলল। তারপর তা টেবিলে রেখে বলল, আমি এ বিয়ে করব না।
ফরহাদ চলে যাচ্ছিল। নুসরাত তার পথ রোধ করে দাঁড়াল। নুসরাত বলল, বিয়ে করবে না মানে?
ফরহাদ বলল, বিয়ে করব না মানে করব না। তোমরা কী ভেবেছ, আমি তোমার বাবার বিজনেসের লোভে তোমায় বিয়ে করছি?
নুসরাত বলল, আমি কখন একথা বললাম? তুমি আমার কথা বুঝতে পারোনি। বাবা তো এটা তোমাকে গিফট হিসেবে দিচ্ছেন।
ফরহাদ বলল, ফর গড সেক, আমার এই গিফট চাইনা। তোমরা কেমন মানুষ সেটা আমার জানা হয়ে গেল।
নুসরাত বলল, প্লীজ এরকম করো না।
ফরহাদ বলল, আমাকে যেতে দাও। এ বিয়ে হচ্ছে না।
নুসরাত ফরহাদের পায়ে পড়ল আর বলল, প্লীজ, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আর কখনও এ ব্যপারে তোমাকে কিছু বলব না। প্লীজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।
ফরহাদ বলল, ঠিক আছে, ওঠো।
নুসরাত উঠল আর ফরহাদের হাতে রিং পড়িয়ে দিল।
*****
সকালবেলা আলমগীর নুসরাতের রুমে এলো।
আলমগীরঃ ফরহাদকে বলেছিস বিজনেসের ব্যপারে?
নুসরাতঃ তুমি চিন্তা করো না, ছয় মাস পর আমার ফাইনাল এক্সাম। তারপর আমিই তোমার বিজনেসে হেল্প করব। ফরহাদকে এ ব্যপারে জড়িও না।
আলমগীরঃ সে কিছু বলেছে তোকে?
নুসরাতঃ না, তেমন কিছু বলেনি।
*****
সুরাইয়া ও ফাতেমা বেগম কথা বলছেন।
সুরাইয়াঃ আম্মা, খুব ভালো ছেলে ফরহাদ। নুসরাতকে খুব সুখে রাখবে
ফাতেমা বেগমঃ মাশাল্লাহ।
সুরাইয়াঃ আমি তো নুসরাতের বিয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। ও যা জেদী মেয়ে। একবার যখন বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, হয়তো সত্যি সত্যিই কখনই বিয়ে করবে না। কিন্তু ও যে ফরহাদকে মন দিয়ে রেখেছে সেটা তো আমি জানতামই না।
ফাতেমা বেগমঃ সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখা উচিৎ। আল্লাহ তার পেয়ারা বান্দাদের কখনও নিরাশ করেন না। তিনি সর্বজান্তা, তিনি দয়াময়।
সুরাইয়াঃ জানেন আম্মা, ফরহাদের পিতামাতাও অনেক ভালো। আজকাল তো শ্বশুর শ্বাশুরীরা কত কিছু ডিমান্ড করে পাত্রীপক্ষের কাছে। অথচ তারা একটি সুতাও চায়নি আমাদের কাছে। উল্টো বিয়ের পর থাকার জন্য তাদের নামে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন।
ফাতেমা বেগমঃ আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তারা সবাই একসাথেই তো থাকতে পারতো!
সুরাইয়াঃ যাই হোক মা, আমার মেয়ে প্রথম থেকেই নিজের সংসার গুছিয়ে নিতে পারবে- এর চেয়ে আনন্দের খবর আর কী হতে পারে!
ফাতেমা বেগমঃ আল্লাহ মহান। তিনি সকলের মঙ্গল করুন। আমিন।
(চলবে...)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×