নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
ওয়ান ইলেভেন এর সময়ে আলোচিত মামলা সমূহের মধ্যে একটি হলো গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা। বর্তমান সময়েও দেশের আলোচিত মামলা র একটি এটি। কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা এই মামলার আসামী। মামলাটি বর্তমানে চার্জ গঠন পর্যায়ে রয়েছে বিধায় বার বার আলোচনায় আসতেছে। তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।
আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা কিঃ
গ্যাটকো হলো মূলত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। যার পূর্ণ রূপ GLOBAL AGRO TRADE (PVT.) COMPANY LTD.
মামলাটা হলো ২০০৪ সালে ঢাকা আইসিডি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় আইসিডি ইয়ার্ডে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর টেন্ডার সংক্রান্তে। মূলত তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল GLOBAL AGRO TRADE (PVT.) COMPANY LTD. (গ্যাটকো ) নামীয় কোম্পানীকে কাজ দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি করেছেন মর্মে অভিযোগটি আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী সভার সদস্যরা উক্ত কাজ (৭৮ কোটি টাকার টেন্ডার) গ্যাটকো কে দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
এজাহারের অভিযোগটি এমন,
সরকার একক ঠিকাদারের মাধ্যমে ঢাকা আইসিডি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় আইসিডি ইয়ার্ডে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। তৎপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) ০১/০৩/২০০৩ ইং তারিখে দরপত্র আহব্বান করে। উক্ত দরপত্রের প্রধান শর্ত ছিল শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ইকুইপমেন্ট ওনার্স, ইকুইপমেন্ট সাপ্লাইয়ার্স, ইকুইপমেন্ট ইউজারস, ইকুইপমেন্ট হ্যান্ডেলিং ফার্মস এবং কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বন্দর ব্যবহারকারীগণই দু’খাম পদ্ধতির সিল্ড টেন্ডার এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। টেন্ডার নোটিশের ৮.২.২ (৩)শর্তানুযায়ী, টেকনিক্যাল বিডের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানী এবং এর পরিচালকদের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার দলিল অবশ্যই থাকতে হবে এবং অভিজ্ঞতা সম্বলিত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে মোট ২৫ টি দরপত্র বিক্রয় হয়। এর মধ্যে ৬ টি দরপত্র দাখিল হয় তদমধ্যে দপত্র বাচাই কমিটি ৩ টি দরপত্র কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় নন-রেসপনসিভ এবং ৩ টিতে রেসপনসিভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে চবক কর্তৃপক্ষ দরপত্র খোলার পর গ্যাটকো ক সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা হিসাবে পাওয়ার পর তাহা গ্রহণের জন্য ২৩/০৭/২০০৩ ইং তারিখের (চবক) বোর্ড সভায় পেশ করা হয়। যাহা সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রীসভায় ০৬/১২/২০০৩ ইং তারিখে চুড়ান্ত অনুমােদন হয়। পরবর্তীতে চবক ও গ্যাটকো, (চুক্তি সম্পাদিত হয়)। উক্ত কাজের মাধ্যমে আসামীগণ অপরাধমূলক অসাদাচারণ ও পরস্পর যোগসাজসে মাধ্যমে দরপত্র শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ মেসার্স গ্লোবাল এগ্রোট্রেড (প্রা.) কোম্পানী লিমিটেড (গ্যাটকো)-কে দরপত্রের কাজটি পাইয়ে দিয়ে নিজে এবং অপরকে লাভবান করার এবং সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছে”
মামলার আসামী কারা
মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৮জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
এই মামলাটি কেন আলোচনায়ঃ
মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা এই মামলার আসামী। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বিচারাধীন রয়েছে এবং চার্জ গঠনের জন্য রয়েছে। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ৪ দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
- -মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৯
এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই প্রশ্ন!
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গ্যাটকো তাহলে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান?
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৮
এম টি উল্লাহ বলেছেন: হুম। নাইকো বাহিরের প্রতিষ্ঠান, গ্যাটকো দেশীয়
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২০
খাঁজা বাবা বলেছেন: সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে গ্যাটকো কাজ পেলে দুর্নীতি হল কিভাবে?