নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ারিশান সার্টিফিকেট/সনদ কেন দরকার? ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নেওয়ার নিয়ম

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

সাধারণত মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীগণের মাঝে অর্থ ও অস্থাবর সম্পত্তির দেনা – পাওনা ইত্যাদির সুষ্ঠ হিসাব পাওয়া জন্য ও যাতে করে ভবিষ্যতে কোন ধরনের ঝামেলা না হয় সে জন্য দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে ওয়ারিশ সনদ নেওয়া হয়। ওয়ারিশান সনদটি উত্তরাধিকারগণকে তাদের নামে কোন সম্পত্তি হস্তান্তরিত আছে কিনা, বা উত্তরাধিকার যোগ্য কতটুকু সম্পদ আছে তা সত্যায়ন করে থাকে। উত্তরাধিকারী/ সুবিধাভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সনদটি ইস্যু করা হয়। ওয়ারিশ সনদের নিয়ম-কানুন উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ (The Succession Act, 1925) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

যেমন, আপনার বাবা কিছুদিন আগে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ব্যাংকে কিছু টাকা জমিয়েছেন। তবে কাউকে নমিনি করে যাননি। সেই টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করা হলে, জানানো হয়েছে ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট নিতে হবে।


ওয়ারিশান (উত্তরাধিকার) সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য জেলা জজ আদালতে আবেদন করতে হয়। যেমন ঢাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে এ সনদ-সংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।

আর কোর্টে দরখাস্ত দায়েরের সাথেঃ
১। আপনাকে চেয়ারম্যান বা কমিশনার কর্তৃক ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট এবং আপনার বাবার মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে তাদের প্যাডে এবং তা আবেদনের সাথে আদালতে দাখিল করতে হবে। উক্ত সনদের ফরমেট সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বা কমিশনার কার্যালয়ে থাকে।
২। যে ব্যাংকে টাকা রেখে গিয়েছেন সে ব্যাংক থেকে একটি সনদ (ব্যালান্স কনফারমেশন লেটার) নিতে এবং আদালতে জমা দিতে হবে। বা কোন ঋণপত্র থাকলে (তিনি ঋণ দিয়েছেন/বা কারো কাছ থেকে টাকা পাওয়ার ডকুমেন্ট যা দেনাদার স্বীকার করে) তা জমা দিলেও হবে।

**এ আবেদন করার পর আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদের আবেদন মঞ্জুর করলে কোর্ট ফি দাখিল করতে হবে।

**নিয়ম অনুযায়ী দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে কোনো কোর্ট ফি দিতে হয় না।

**কিন্তু ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত এক শতাংশ কোর্ট ফি দিতে হয়।
**আবার এক লাখ এক টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থের ওপর দুই শতাংশ কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। এভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় এগোলে উত্তরাধিকার সনদ পাওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকে রক্ষিত টাকা সহজেই তোলা যাবে।

- এডভোকেট এম টি উল্যাহ
[email protected]
+8801733 594 270

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০২

অন্তরা রহমান বলেছেন: আর অন্যান্য সম্পত্তির ক্ষেত্রে, ব্যাংকে রাখা টাকা ব্যতীত যেমন স্থাবর কিছু?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অন্য সকল ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট কাজে আসবে। সবক্ষেত্রে করা যাবে, ব্যাংক দিয়ে বুঝার স্বার্থেই উদাহরণ দেওয়া হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.