নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনার সাথে দুজন ছাত্রলীগ নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
কিন্তু এতে সকল পক্ষের দায় মোচন হয়ে যায় না। এরা যদি ছাত্রলীগ নেতাই হয় তবে তারা বিচারের আগে হলে পুনর্বাসিত হলো কি করে? ছাত্ররা এদেরকে মেনে নিল কেন? এইটা একটা প্রশ্ন।
আর এরা দুজন ছাত্রলীগ ঠিকাছে, কিন্তু বাকিরা তো আর ছাত্রলীগ না। তাহলে তারা কেন ছাত্রলীগের মত একই কায়দায় একই কাজ করল?
দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘটনা ঘটেছে তখন হলে এমন কেউই ছিল না যে এ ঘটনা বন্ধ করার জন্য কোন ধরনের একশন নিতে পারে? হল কর্তৃপক্ষকে কেউ জানাতে পারে নাই? একজন সাধারণ ছাত্রও না?
পুলিশকে খবর দেয়ার মত কেউ ছিল না। কিন্তু ছবি তোলার জন্য ছিল!
বিগত দশ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন লাশ পড়ে নি। স্বৈরাচার পতনের পরে মুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ পড়ল!
অনেকে আবরার ফাহাদের খুনের সাথে এই খুনের তুলনা করতেছেন।
আমি ঠিক এই ধরনের তুলনার পক্ষে না। আমি বরং এই ঘটনাকে আরো ন্যাক্কারজনক মনে করি।
আবরার ফাহাদের সময় ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের উদ্ধত বন্দুক সবার ঘাড়ের উপর তাক করা ছিল। একটা নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক খুন-জখম, হত্যা-গুম এইসব করেই টিকে থাকে।
তারা আবরার ফাহাদ কে শত্রু মনে করেছিল। আবরার ফাহাদরা জেগে গেলে তাদের জন্য মহাবিপদ। তার চেয়ে বড় কথা আবরার তাদের খোদার বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। নিজের বিরুদ্ধে যদিবা কথা বলা সহ্য হয়, কিন্তু খোদার বিরুদ্ধে কথা কিভাবে সইবে? সুতরাং খোদার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নির্দেশে তার আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে।
সেই খুন তারা করেছিল, সবার অলক্ষ্যে, হলের ছেলেরা জানত না সেই রাতে তাদের একজন বন্ধুর জীবনে কি ঘটে যাচ্ছে। ছবি তোলে নাই, ভিডিও করে নাই। খুনের পরে জানাজানি হবার পরও ছবি-টবি পারতপক্ষে তুলতে দেয় নাই। সাংবাদিক পুলিশ এদেরকে কন্ট্রোল করে রাখতে চেয়েছিল। পেরেও যেত কিন্তু আবারের বন্ধুরা অনেক দুঃসাহসী হয়ে উঠেছিল।
এমনকি পোস্টমর্টেমও হয়ত পালটে ফেলত যদি, আবরারের একজন বন্ধু ঢাকা মেডিকেলে না পড়ত। সে ছবি তুলে রাখে এবং সাংবাদিকদের সরবরাহ করে ফলে, আজগুবি কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হয় নি।
আর তোফাজ্জলের ক্ষেত্রে, মুক্ত দেশে, মুক্তির সেনানী দাবীদার ছেলেরা এই কান্ড ঘটিয়েছে।
প্রকাশ্যে, যখন তাদের বিভিন্ন একটিভিটির ছবি তোলা হয়েছে, ভিডিও করা হয়েছে। আবার তারা তাদের শিকার ভাত পর্যন্ত খাইয়েছে। পিটিয়েছে। আবার খাইয়েছে তারপর আবার পিটিয়েছে। যেন ইঁদুরের সাথে বিড়ালের নিষ্ঠুর খেলা।
একটা মব তৈরি হলেও সেটার স্থায়িত্ব এতক্ষণ ধরে থাকে? এতক্ষণ ধরে কাজ করতে হলে ঠান্ডা মাথায় করতে হয়। সেই ঠান্ডা মাথায় একজন হতভাগ্য মানসিক ভারসামহীনকে তার খুন করে গেছে। কালেক্টিভ নিষ্ঠুরতার কী ভয়াবহ এক্সাম্পল।
এছেলেরা কি আসলেই কোন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিল? যারা বিবেকের তাড়নায় একরম একটা মহান মুভমেন্টে থাকে তারা কখনো এ নিষ্ঠুরতা সইতে পারার কথা না। যারা স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো যুবক এরা তারা নয়।
সকল ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আগে তো শেখ হাসিনা বা ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপানো যেত। এখন কিন্তু ইউনূস বা সমন্বয়কদের ওপর দায় চাপানো যাবে না। ছাত্রদের ওপর তো নাই-ই। তবে প্রশাসনের ওপর কিছুটা চাপানো যায়। যেহেতু তা স্বৈরাচারের দোসর ছিল।