নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও মহিমাকে কোনো অজুহাতে খর্ব না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।
রব বলেন, স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার ‘বীজমন্ত্র’ এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। ১১০০ বছরের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক মহৎ অধ্যায় হচ্ছে ৭ মার্চ। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-চূড়ান্ত লড়াইয়ের এই নির্দেশনায় অকুতোভয় বাঙালি এবং সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তির সংগ্রামে।
তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখার ইতিহাসকে ধারণ করে, এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠীর মনের গভীরে স্বাধীনতা অর্জনের সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে গণমানুষের অভিপ্রায়ের চরম অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে। যা সমগ্র জনগোষ্ঠীকে তার মর্মমূলসমেত গভীরভাবে আবেগ কম্পিত, উদ্দীপ্ত এবং জাগ্রত করে তুলেছিল। এই ভাষণের সঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল আলম খানসহ অন্যান্যরা সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনের একটি অবিস্মরণীয় দিন বলে উল্লেখ করে রব বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপসহীন নেতা।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘৭১-এর ২ মার্চ ‘স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন’, ৩ মার্চ ‘ ইশতেহার পাঠ’ ৭ মার্চ-এর ভাষণ এবং সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন ‘স্বাধীনতা’-একই সূত্রে গাঁথা। সুতরাং স্বাধীনতার পরবর্তীতে গণ আকাঙ্ক্ষা বিরোধী শাসনক্ষমতা বা অপকর্মের দায়-দায়িত্বের নিরিখে স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং অসামান্য বীরত্বকে অস্বীকার করা হবে-সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের অন্তর্নিহিত সত্যকে আড়াল করা।
৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিক ভূমিকাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী, মনে করেন রব। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অদূরদর্শী ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম সংগ্রামী জনগণ মেনে নেবে না। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে, সরকার নতুন-নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শক্তির মাঝে বিভেদ তৈরি হবে।
আ স ম রব বলেন, আশা করব, জুলাই গণহত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পূর্ব প্রজন্মের অসম সাহসী বীরদের মহৎ কীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েই নতুন প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করা হবে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ডঃ ইউনুসের মিসহ্যান্ডলিং দেখে বেশ অবাক । উনি জামাতকে বেশ স্পেস দিচ্ছেন দেখে অবাক ।
আমি পিছু হটেছি ---------------------------------------
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
জ্যাকেল বলেছেন: আ স ম রব একটা পেইড এজেন্ট। ভারতের স্বার্থ ও জনবিরোধী হিসাবে ইহার ব্যাপক সুনাম আছে। এর দ্বারা বাংলাদেশের অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ৭৩-৭৪ সালে রব ভাইয়ের পিছনে ছুটেছি । দাদা ভাইয়ের পিছনেও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বাতি জালাতে লাগাতার ছুটেছি । খুব শিঘ্রিই এসব পাগলামি সরিয়ে স্বাধীন মানুষের লাইনে , এখনো আছি ।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১২
পমুহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেছেন: সহমত "আ স ম রব একটা পেইড এজেন্ট। ভারতের স্বার্থ ও জনবিরোধী হিসাবে ইহার ব্যাপক সুনাম আছে। এর দ্বারা বাংলাদেশের অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে।"
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: জানলাম ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব নিয়ে যারা বিতর্ক সৃষ্টি করে এরা পরাজিত শক্তি। যারা পরাজিত হয় তারা সেটা ভুলতে পারে না। যেখানে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে সেখানে পুরাতন মীমাংসিত বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করা পরাজিত শক্তির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।