নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে।
দুই দফা জানাজা শেষে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়।
তবে দাফনের আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কোনো আয়োজন ছিল না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তাঁর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।
রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিত মতিয়া চৌধুরী মারা যান।
মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ হাসপাতাল থেকে রমনায় তাঁর বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলে ভক্ত, অনুসারী ও স্বজনেরা ভিড় করেন। এখানে প্রথম জানাজা শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দাফন করা হয়।
মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীর কবরের জন্য জায়গা চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে আবেদন করা হয় গতকাল বেলা ১১টার দিকে। তারা আমাদের কথা শুনে জানাল, কবরস্থানে জায়গা দেওয়ার বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেখভাল করা হয়। তাঁরা সেখানে অনুমতির জন্য বলবেন। অনুমতি পাওয়া গেলে তাঁরাই আমাদের জানাবেন। কিন্তু আমরা সিটি করপোরেশনের কাছে থেকে কোনো সাড়া পাইনি। জায়গা না পাওয়ায় তাঁর স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরে তাঁকে দাফন করা হয়।’
ঢাকা উত্তর সিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মতিয়া চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছিল। তা ছাড়া এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি।
মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি মতিয়া চৌধুরীকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।
তবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম বেলায় তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মতিয়া চৌধুরীর ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর পরিচয় সবাই জানে। কিন্তু তাঁকে কোনো গার্ড অব অনার জানানো হয়নি। কবরস্থানে দেখলাম কিছু পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। হয়তো এত লোকজন দেখেই তারা এসেছিল। কিন্তু তাঁকে গার্ড অব অনার দিতে কেউ আসেনি।’
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে, ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তাঁর বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: মতিয়া চৌধুরী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগি। দেশে গত ১৫ বছরে যে সব গুম, খুন, লুন্ঠন, অর্থপাচার ও মানুষ নির্যাতন হয়েছে, গত ১৫ বছরে যে জাহেলী অন্ধকার যুগের শাসন চলেছে তার দায় মতিয়া চৌধুরীকেও নিতে হবে।
সাদেক হোসেন খোকাও ছিলেন রনাংগনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার লাশ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার, তখন কি আপনারা প্রতিবাদ করে ছিলেন?
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: দাত এর বদলে দাত এটা ঠিক হচ্ছে না ।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
২ বছরের ভেতর উনাকে গার্ড অব অনার দিয়ে, মৃ্ত্যুর পর সন্মান জানানো হবে। উনাকে সন্মান করার জন্য দেশের ৬০ ভাগ মানুষ রেডী থাকবে।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সম্মান যে দিতে জানে না
উনি সম্মান ও পাবেন না ।
.............................................................................
তাহলে উনারা জাতির জন্য কোন সম্মান বয়ে আনবেন ???
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আওয়ামী লীগের যে-কজন নেতা, মন্ত্রীকে খুব পছন্দ করতাম, এবং দেশের জন্য যারা ডাই-হার্ড ছিল বলে মনে হতো, তাদের মধ্যে মতিয়া চৌধুরী প্রথম সারির একজন। তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এটা খুবই দুঃখজনক যে, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সম্মান/গার্ড অব অনার পেলেন না।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখক বলেছেন: দাত এর বদলে দাত এটা ঠিক হচ্ছে না ।
জিয়ার 'বীর উত্তম' খেতাব কেড়ে নেয়া, সাদেক হোসেনকে যোগ্য সম্মান না দেয়াসহ অসংখ্য ঘৃণ্য কাজ করেছিল শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। দাঁতের বদলে যদি দাঁতও দেয়া, আওয়ামী লীগে অত দাঁত পাওয়া যাবে না।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: সাদেক হোসেন খোকাও ছিলেন রনাংগনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। পতিত সরকার তার লাশ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি। তারাই সম্মান পায়, যারা অন্যকে সম্মান দেয়। আর ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। আওয়ামিলীগ নামের ফ্যাসিবাদী দল, তাদের দোসর এবং সমর্থকরা প্রতিপক্ষের প্রতি কখনো সৌজন্য বা সন্মান প্রদর্শন করে না। সভ্যতা-নম্রতা এদের অভিধানে নেই। কিন্তু বিপাকে পড়লে এরাই আবার অন্যদের কাছে সভ্যতা-সৌজন্যতা আশা করে। কি বিচিত্র এই আওয়ামী জাতি !
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:০৫
আহরণ বলেছেন: যে দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি কে হত্যা করা। যে দেশে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ রিসেট বাটন এ পুশ করে ইরেইজ করা হয়। সেই দেশে মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম সম্মান!! পাগল নাকি??
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:০৬
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহেস্তবাসী করুন।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:১৬
এম এ কাশেম বলেছেন: শেষ ভাল যার সব ভাল তার, শেষ খারাপ যার সব খারাপ তার ;
এক জন মুক্তি যোদ্ধা হয়েও যখন মন্ত্রীত্ব পাওয়ার জন্য স্বৈরচারীর
সহযোগী হয় তখন তার আর সন্মান পাওয়ার কোন অধিকার থাকে না।
একজন মুক্তিযোদ্ধা যদি চুরি ডাকাতি , খুন খারাবী, দূর্নীতি করে
তবুও কি তাকে সন্মান করতে হবে???
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩০
নতুন বলেছেন: মতিয়া চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্মান না করা বিরাট ভুল করলো সরকার।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সবাইকে তার প্রাপ্য সন্মান দিতে হবে।
মানুষ হিসেবে উনি খারাপ ছিলেন না। মতের পার্থক্য হলেই সবাইকে অসন্মান করতে হবে সেটা ঠিক না।
আর আয়ামীলীগের অন্যায় কাজগুলি যদি বর্তমানের সরকারও অনুসরন করে তবে ভালো মন্দের পার্থক্য কিভাবে হবে?
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: এটা ঠিক হয়নি।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তার কোন অন্যায় হয়ে থাকলে মামলা কিংবা তার বিচার হতে পারতো! তিনি যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, প্রয়াণের পর অবশ্যই তাকে গার্ড অব অনার টা দেয়া উচিত ছিলো প্রটোকল অনুযায়ী। বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ধিক উপদেষ্টাদের । আগে মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখুন ।