নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। অন্য দেশে চলে যাচ্ছে গার্মেন্টসের অর্ডার

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০




এবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অর্ডারের একটি অংশ প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য দেশের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত গভীর সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন তারা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারায় নব্বই শতাংশ অর্ডার ভারতে চলে গেছে। এদিকে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেতা এবং বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ‘নো এক্সিট’ এর পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির বলেন, পরিস্থিতি ভালো হলে ক্রেতারা আবার ফিরতে পারেন। আমার অনেকগুলো অর্ডার ইন্ডিয়াতে প্লেস হয়ে গেছে। যে কাস্টমার আমার এখানেই কাজ করতো তার অর্ডারগুলো সে ইন্ডিয়াতে প্লেস করেছে শিপমেন্ট ও ডেলিভারি ইস্যুর কারণে। আমরা যদি পরিস্থিতি উন্নয়ন করতে পারি ক্রেতারা আবার ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ১২ থেকে ১৫ দিন প্রচুর ফ্যাক্টরি বন্ধ থেকেছে। একেবারে বন্ধ। কেউ কেউ আবার দুপুর পর্যন্ত চালাতে পেরেছে, এরপর পারেননি। এগুলো পুরাটাই ক্ষতি। আর এর চাইতে বড় ক্ষতি যেটা হচ্ছে সেটা হলো আমাদের যারা ক্রেতা তারা সরে যাচ্ছেন। তারা বলছেন যে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, বাংলাদেশকে লাগবে, সবই বলছেন, কিন্তু আমরাতো এটার বাস্তবতাটা জানি। বাস্তবতাটা হল অন্তত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ অর্ডার ডিসেম্বরের মধ্যে সরে যাবে। এছাড়া অর্ডার বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে, ক্যাম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তানে যাচ্ছে, এমনকি মিয়ানমারেও চলে যাচ্ছে।

রুবানা হক বলেন, যখন আপনি সাহস করে কোনো একটি সত্যি কথা বলতে যাবেন, নানা দিক থেকে নানাভাবে আপনার উপরে সবাই চড়াও হবে এবং বলবে যে এটা না বললেই পারতেন। কিন্তু এটা না বললেও কিন্তু ক্রেতারা জানেন যে ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হচ্ছে। কাজেই সহজভাবে স্বচ্ছভাবে আমাদের সমস্যাগুলো যদি আমরা তুলে ধরতে পারি এবং বোঝাতে পারি যে এর পেছনে আরও অনেক কিছু কাজ করছে তাহলে সবাই মিলে কিন্তু সমবেতভাবে একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যায়।আশুলিয়া এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আগের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের ফ্যাক্টরিতে যেমন সমস্যা হয়েছে, তেমনি পাঁচই আগস্টের পর সুযোগ পেয়ে শ্রমিকরাও নানা দাবি নিয়ে মাঠে নামে। এ আন্দোলনটা শুরু হয় নারী-পুরুষ সমহারে চাকরির দাবিতে। আপনারা জানেন যে ত্রিশটার উপরে দাবি আসছে। একেক কারখানার একেক দাবি।

এদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার মনে করেন শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির নেপথ্যে বহিরাগত একটা প্রভাব কাজ করেছে। তিনি বলেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ে একটা সমস্যা- আগে যারা ছিল তাদের জায়গায় নতুন লোকজন এই ব্যবসা নিতে চায়। এছাড়া কিছু বহিরাগত সমস্যা ছিল। আর আন্তর্জাতিক কিছুটা চাপ থাকেই। যারা চায় আমাদের দেশ থেকে এই শিল্পটা আরেক দেশে যেন চলে যায়।

বাংলাদেশের বড় বড় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে আশুলিয়া, সাভার এবং গাজীপুর এলাকায়। যেখানে সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। শ্রমিক অসন্তোষ এবং উত্তেজনার এক পর্যায়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ক্রমাগত পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলা হলেও সেটি যে পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় সেটি স্পষ্ট।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:

- শাহ সাহেবের ডায়রি সামুর জন্য কপি-পেস্ট নিউজ পোর্টাল হিসেবে কাজ করছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালতো , কিছু একটা তো করছি বাবা । অন্যের গর্তে আঙ্গুল দিচ্ছিনা তো । এতেই জ্বালা পোড়া উঠে গেল ।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- হা হা হা। কিছু একটা করছেন এটি সত্যি। অন্যের গর্তে আঙ্গুল দিচ্ছেন না সেটিও সত্যি। কপি-পেস্টের জন্য সামুতে অনেককেই নানা পরিস্থির সামনে পরতে হয়েছে সেটিও সত্যি। এখন আর সেই দিন নাই সেটি আরো বড় সত্যি।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি ইতবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরেন, এটা ভাল লাগে। আরো ভাল লাগবে আপনি যদি কপি-পেস্ট গৎবাঁধা থেকে মুক্ত হতে পারেন। আপনার সম্পূর্ণ নিজস্ব অভিব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। ব্লগে আগে ১ লাইনের কবিতার কবিও ছিল! তাকে অনেক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল। তবুও সে ১ লাইনেই পোস্ট দিত। তিনি নাই কিন্তু আমার স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে। ভদ্রলোক কবিতাকে আদর করে কোবতে বলত।

মূল বিষয়:
কাপড়ের শিল্প থেকে বের হতে হবে অথবা একে প্রাধান্য না দিয়ে আরো সহযোগী শিল্পকে ত্বরান্বিত করতে হবে। বাংলাদেশ কোটা থেকে বের হলে রপ্তানি নিয়ে ভালই প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত পজিটিভ দিক তুলে ধরার জন্য ।


কাপড়ের শিল্পের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর শত্রু । অনেকেই ভাল করছেন কাপড় শিল্পে । যারা রাজনৈতিক সুবিধা পাননি তারা এর পিছনে লেগে আছেন । কাপড় শিল্পর জন্য আলাদা আইন কানুন তৈরি করতে হবে । কারখানা চালাতে না পারলে হস্তান্তর করতে হবে অন্য কামিয়াব পার্টির হাতে । বাম নেতাদের লাত্থি মেরে এলাকায় অবাঞ্চিত করতে হবে ।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস হলে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

শাহ আজিজ বলেছেন: ১ কোটি লোক এর উপর নির্ভরশীল ।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংশের পিছনের ভারতে ইন্ধন আছে বহুকাল থেকে এখন আম্লিগকে কাজে লাগাচ্ছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ভারত অনেক কিছুর জন্য দায়ী তারপরও ভারত পরম বন্ধু ।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



গার্মেন্টস'এর লোকেরা এই সমস্যা সমাধানে র জন্য সবাই মিলে রকম কনফারেন্স করেছে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: ওদের টিফিন টাইমে বাইরে দাড়িয়ে বিড়ি ফুঁকে আর বাম বদ দের সাথে আলাপ সালাপ যা হয় তাইই কনফারেন্স ।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২২

কামাল১৮ বলেছেন: এই সমস্যা কেউ ঠেকাতে পারবেনা।এর জন্য আমরাই দায়ী।পুড়িয়ে দিয়েছি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরী।দৌড়ের উপর রেখেছি মালিকদের।দক্ষ পরিচালকদের তাড়িয়ে দিয়েছি।রেমন্ড গ্রুপ চলে গেছে।তাদের কাপড় খুবই ইন্নাত মানের ছিলো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: বাম নেতাদের হটাতে হবে কারখানা এলাকা থেকে ।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: দেশ’কে আবার ভিক্ষুকের জাতিতে পরিনত করার পথে নিয়ে যাচ্ছে ! গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের দারপ্রান্তে এসে গেছে প্রায়! বর্তমান সরকার টিকে আছে এক সাথে কিছু রেমিটেন্স এসেছে বলে। যা শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছিলো । সেই রেমিটেন্সগুলোই পেয়েছে সরকার। ধিরে হোলেও রেমিটেন্স প্রবাহ আবার বন্ধ হবে নিশ্চিত।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৪৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের হাতছাড়া হবে তা আমি আমার বড় ভাইকে-ও বলেছিলাম বেশ ক'বছর আগেই। এটা কেবলই সময়ের ব্যাপার। এটার উপর একক নির্ভরতা কমাতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উৎসগুলোকে ডাইভারসিফাই করা উচিত সেটাও বলে আসছি প্রায় ২০০৮/২০১০ সাল থেকেই।

এই সুতা-কাপড় বিক্রি করে ধনী হওয়া যায় না, হয়তো পেটে ভাতে বেঁচে থাকতে পারে কিছু মানুষ তবে তার চেয়ে তেমন বেশী কিছু নয়। মুষ্টিমেয় কিছু লোক টাকা-পয়সা করলেও সেটা দীর্ঘ-মেয়াদে সম্ভব হবে না। প্রযুক্তিখাতে আউটসোর্সিং কম-বেশী হলেও সেটা এখনো নগণ্য পর্যায়ে রয়ে গেছে। এখানে অনেক কিছু করা সম্ভব তবে দেশে দক্ষ জনবল নেই। সবাই মোবাইল-মাস্টার, কিন্তু কম্পিউটার দেখলে এরা শিশুর মত হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.