নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থহীন বিতর্ক চাই না, কথার মৌলিকতা চাই

শরিফুল ইসলাম সীমান

শরিফুল ইসলাম সীমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোক সংবাদ : ট্রাইব্যুনালে শুনানীর সময় সাঈদীর ছেলের হার্ট অ্যাটাক,বারডেমে মৃত্যু, + কিছুদিনপূর্বে প্রদত্ত সাক্ষাৎকার

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।

বুধবার দুপুরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত তার পিতা মাওলানা সাঈদীর শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে রাফীক বিন সাঈদী উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দ্রুত তাকে বারডেমে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। পৌনে তিনটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী বলেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার আমিও চাই। যুদ্ধাপরাধের বিচার সর্বাগ্রে চাই। কিন্তু যেভাবে সম্পূর্ণ নীরিহ নিরাপরাধ আলেমে দীনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য আমার পিতাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে তা কোন সচেতন বিবেকমান মানুষের কাম্য হতে পারে না।’ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে এসে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এবং আত্মদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন এখন সময়’র প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হেসেন সাঈদীর বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদী। তিনি নিউ ইয়র্কে একটি সিরাত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করতে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। গত রোববার এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন এখন সময় প্রতিনিধি :



তন্ময় মাহমুদ



রাফীক বিন সাঈদীর সাক্ষাৎকারটি হুবহু এখানে প্রকাশ করা হল:



প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের আাইনজীবি ও সরকারের অভিযোগ থেকে দেখা যাচ্ছে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সব চেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী- ছেলে হিসেবে আপনার মতামত কি?



উত্তর: আপাত দৃষ্ঠিতে মনে হচ্ছে যেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীই শ্রেষ্ঠ যুদ্ধাপরাধী, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমার আব্বার সামান্যতম ভূমিকাও ছিল না। তখন তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীতো দূরের কথা সমর্থকও ছিলেন না। পিরোজপুরে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর নামই শুনি নাই’। যে মানুষটি স্বাধিনতা যুদ্ধের সময় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না, যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিজ এলাকাতেও ছিলেন না। নেতা কর্মী হওয়া তো দুরের কথা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মীও ছিলেন না। সেই মানুষটি কি করে যুদ্ধাপরাধী হতে পারেন? এটা আমারও প্রশ্ন।



প্রশ্ন: সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে তো অসংখ্য অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে এর সব গুলোই কি মিথ্যা বানোয়াট?



উত্তর : অবশ্যই সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার আব্বার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যে মামলার পাহাড় রচনা করা হয়েছে এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবৈব মিথ্যা। আমাদের আইনজীবীরা অত্যন্ত বলিষ্ঠতার সাথে বলেছেন সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো শতাব্দীর শ্রেষ্টতম মিথ্যাচার। আপনারা জানেন যে স্বাধিনতা যুদ্ধের চল্লিশ বছর পার হয়ে গেল এর ভিতরে ৮০’র দশকে জামায়াতে ইসলামে যোগদানের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ এই অভিযোগ তুলেনি এবং সারা বাংলাদেশে আমার আব্বার বিরুদ্ধে একটা জিডি পর্যন্ত করেনি। বরং স্বাধীনতার পরে পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি তাফসির মাহফিল করেছেন, ঈদ ও জুমার নামাজে ইমামতি করেছেন। এছাড়া পিরোজপুর থেকে ২বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যেখানে দ্বিতীয় বারে তিনি ২৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। প্লেস অব অকারেন্স হিসেবে যে পাড়ের হাটের কথা বলা হচ্ছে সে কেন্দ্রে আব্বা সর্বাধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন। যদি তিনি স্বাধিনতা বিরোধি হতেন তাহলে কি এ অভিযোগ গুলো আগে উঠতনা? স্বাধীনতার এত বছর পর এই অভিযোগগুলো এখন নিয়ে আসা হচ্ছে কেন।



প্রশ্ন: তাহলে অভিযোগগুলো কেন তোলা হচ্ছে, আপনার মতামত কি?



উত্তর: যারা এ কাজটি করছে তারা আসলে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের উদ্দেশ্যে করছে না। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের উদ্দেশ্যে যদি হত তাহলে তারা প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীর বিচার করত। আমরা বুঝতে পারছি যারা তাদের রাজনৈতিক বিরোধি তাদেরকে যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ করে আমার আব্বার কথা বলব- স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে এসব কথা বলা হল না, বলা হল কখন- যখন তিনি জামায়াতে ইসলামিতে যোগ দান করলেন। ট্রাইব্যুনাল আমার আব্বার বিরুদ্ধে বিশটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। কিন্তু প্রসিকিউশন একটি অভিযোগও আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেননি। আসলে তারা মহামান্য আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।



প্রশ্ন: এই অপপ্রচারের কারণ আপনি কি মনে করেন ?



উত্তর: আসলে এই অপপ্রচারের কারণ জনপ্রিয়তা। আমার আব্বা যে কোরআনের তাফসীর করেন তাতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হন। বিশেষ করে যুব সমাজ ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। ইসলাম বিরোধি মতবাদের অসারতা বুঝতে পেরে মানুষ ইসলামের দিকে অগ্রসর হয়। অমুসলিমরা তাদের পূর্বপুরুষের ধর্ম ছেড়ে ইসলামে দীক্ষিত হয়। মোট কথা ইসলামের প্রবক্তা হিসেবে আমার আব্বার যে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা এটাই হল তাকে যুদ্ধাপরাধী বলার প্রধান কারণ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যারা মামলা করেছে, যরা মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়েছে, যারা পরিচালনা করছে এবং যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে তারা খুব ভালভাবেই জানেন যে আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী মহান মুক্তি যুদ্ধ বিরোধী কোন কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন না। তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। আপনি নিশ্চয় জানেন য়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পিরোজপুরের অবদান অনস্বীকার্য। আমার আব্বা যদি স্বাধীনতা বিরোধী হতেন তাহলে ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধারা নিজ খরচে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়ে আসতেন, তাদেরকে ডাকা লাগত না। কিন্তু বিশ্ববাসী কি দেখতে পাচ্ছে? ট্রাইব্যুনালে ৬৪জন সাক্ষির নাম দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে তারা এক বছরে বিশ জনকে হাজির করতে পেরেছে। আর এরা হল- চোর, লুটেরা, প্রতারক, যৌতুক মামলার আসামী, স্ত্রী নির্যাতনকারী ও বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তারা কোন মুক্তিযোদ্ধা নয়। সমাজের এ জাতীয় নিকৃষ্ট মানুষকে তারা টাকা পয়সার বিনিময়ে, মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে জোর করে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে আব্বার বিরুদ্ধে মিথ্যা জবানবন্দী দিতে বাধ্য করেছে। মজার বিষয় হচ্ছে- আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবিরা যখন এসব তথাকথিত স্বাক্ষিদের জেরা করা শুরু করেছেন তখন তারা উল্টা পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করে। যারা বলেছিল আমরা মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে জেরা করায় তারা সদুত্তর দিতে অপারগ হয়ে করজোরে বলেছে ‘স্যার আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি নাই। সাক্ষি দিতে আসার আগে স্থানীয় এমপি আমাদেরকে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন।’ এধরনের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে এসে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এবং আত্মদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।



প্রশ্ন: ৬৪জন সাক্ষির মধ্যে ২০জনকে হাজীর করা হয়েছে বাকীরা কবে আসবে বা তাদের কী অবস্থা?



উত্তর: যখন আদালতে বাকী সাক্ষিদের হাজীর করতে বলা হল তারা কালক্ষেপন করতে লাগল। তারা বলল বাকীদের খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা তারা জীবীত না মৃত তাও বলতে পারছি না। অনেকে পলাতক অবস্থায় আছে এবং বাদী পক্ষদের হুমকি দিচ্ছে টাকা পয়সার প্রলোভন দিচ্ছে যার কারণে তাদেরকে আনা যাচ্ছে না। তাছাড়া এদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ্য তাদেরকে ব্যয় সাপেক্ষে নিয়ে আসা যাচ্ছেনা। তারা আদালতকে বলছে তাদের উপস্থিত নাকরে তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করুন। সাক্ষিরা যে জবানবন্দী দিয়েছে তার কোন প্রমান নাই, তাতে সাক্ষির কোন সাক্ষরও নাই। তাহলে এখানে বোঝা যাচ্ছে এটা তদন্ত টীমের বানানো সাক্ষ্য। এর পর অপরাধ আইনের ১৯(২) ধারা মোতাবেক ট্রাইব্যুনাল ১৫জন স্বাক্ষির জবানবন্দী স্বাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করলেন। মাননীয় বিচারপতিদের অর্ডার নিয়ে আমি কোন কমেন্ট করবনা। তবে এটা বলব ১৯ (২) ধারার আইনটি আমার আব্বার ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। আমার কথা হচ্ছে সাক্ষিদের নিয়ে আসা ব্যয় বহুল, সাক্ষিরারা কি আমেরিকাতে আছে না অন্য কোন দেশে আছে, না কি মঙ্গলগ্রহে। যেখানে সরকার বলছে এ বিচারের জন্য সরকার যেকোন কিছু করতে প্রস্তুত টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে যে কোন ক্ষেত্রে। তারা বলছে সাক্ষিরা বাদীপক্ষকে ভয় পাচ্ছে। যেখানে আসামী পক্ষ সাক্ষিদেরকে ভয় পাওয়ার কথা। এখানে স্পষ্ট হয় যে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সাক্ষিদের হাজীর করছে না।



প্রশ্ন: সাক্ষিদের যে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে নিয়ে আসছে না- এর স্বপক্ষে আপনার যুক্তি কি?



উত্তর: সাক্ষিদের উপস্থিতির বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সরেজমিন তদন্ত করে তারা অধিকাংশ সাক্ষির সাথে কথা বলেছে। সাক্ষিরা বলেছে আমরা হারিয়েও যাইনি পলায়নও করিনি। সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষি দিতে রাজি হইনি বলেই আমাদেরকে পলাতক বলা হয়েছে। ৪৬জন সাক্ষির মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকজন অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তাদের মধ্যে শাহরিয়ার কবীর, ড. জাফর ইকবাল, জুয়েল আইচ, সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দীন, শর্শিনা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. শরাফত আলী অন্যতম। এদেরকেও আদালতে পলাতক তালিকায় দেখানো হয়েছে। শাহরীয়ার কবীর সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার এক সাক্ষাতকার প্রদান কালে তাকে জিজ্ঞআসা করা হয়েছিল আপনি যুদ্ধাপরাধের বিচারে এত সোচ্চার অথচ আপনি কেন সাক্ষি দিতে যাচ্ছেন না? তিনি জবাবে বলেছেন, ‘জবানবন্দীতে যা লেখা হয়েছে তা আমার নিজস্ব বক্তব্য না। আমি সাঈদীর মামলার কোন স্বাক্ষিও নই।’ শাহরীয়ার’র মত একজন লোকের নামে যদি মিথ্যা জবানবন্দী লেখা হয়ে থাকে তাহলে সাধারণ সাক্ষিদের ক্ষেত্রে কতটা মিথ্যাচার করা হয়েছে তা সহজে অনুমেয়।



এই বিষয়টির দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে আমার আব্বা কোন স্বাধিনতা বিরোধি ছিলেননা। বরং রাজনৈতিক কারণে তাকে যুদ্ধাপরাধী বানানো হয়েছে। আমার দাবী তারাহুরো না করে সাক্ষীদের যেকোন ভাবে আদালতে হাজীর করা হোক এবং তাদেরকে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি প্রদানের সুযোগ দেয়া হোক।







প্রশ্ন: আপনার আব্বার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তার কি পরিনতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?



উত্তর: যেটা মনে হয় তারা কুরআনের খাদেম ইসলামের অকুতভয় বীর সেনানির বজ্র কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করার মানসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস সারা দুনিয়ার মানুষ আমার আব্বার জন্য যে ভাবে শিশু, কিশোর, নারী পুরুষ দলমত নির্বিশেষে দোয়া করছেন তাতে মহান আল্লাহ এই কোরআনের খাদেমকে আবার কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দিবেন। সব মিথ্যা বানের পানির মত ভেসে যাবে এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।



প্রশ্ন: আপনার আব্বার রাজনৈতিক বা ব্যাক্তিগত প্রভাবের কারণেই কি মুক্তিযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছে?



উত্তর: দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কারাগারের চার দেয়ালে বন্দি একজন মানুষ কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রভাবিত করতে পারে! তিনি দুই বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কখনও কারো দ্বারা প্রভাবিত বা ভয়ে ভীত হতে পারে না। আসলে মুক্তিযোদ্ধারা সত্যের অপলাপ করতে রাজি হচ্ছেন না। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহা সচিব শামসুল আলম তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুজ্জমান বাবরসহ পিরোজপুরের ৫২জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অমার আব্বাকে নির্দোষ দাবী করে তাঁর নি:শর্ত মুক্তি চেয়ে স্বরকলিপি প্রদান করেছেন।



পিরোজপুরের বর্তমান এমপি জনসভায়, টকশোতে, সংসদে আব্বার বিরুদ্ধে কথা বললেও ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়ে বিচারপতিদের সম্মুখে তিনি বলেছেন ‘সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কথা লোকমুখে শুনেছি, আমি তার যুদ্ধবিরোধি কোন কর্মকান্ড নিজ চোখে দেখিনি।’ পিরোজপুরের আপামর গণমানুষ আল্লামা সাঈদীর মুক্তি চায়। আপনারা নিশ্চয় টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন পিরোজপুরে আমার দাদীর জানাজায় কী পরিমান মানুষের ঢল নেমেছিল। আমার আব্বা যদি যুদ্ধাপরাধী হতেন তাহলে আমার দাদীর জানাযায় এত বিপুল মানুষের সমাগম হত না। লোকেরা বলেছেন এর আগে এত বড় জানাজা দেখিনি।



তাছাড়া আমি গত পহেলা এপ্রিল পিরোজপুরে আল্লামা সাঈদী ফাইন্ডেশনে যেটি পিরোজপুরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ময়দান সেখানে একটি সিরাত মাহফিল করেছিলাম যেখানে সর্বস্তরের মানুষের বাধ ভাঙা জোয়ার নেমেছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাও সেই মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখান থেকে গণ মানুষ আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবীতে গগনবিদারী শ্লোগান দিয়েছিল। এখনও অনেকে তার মুক্তির জন্য রোজা রাখছেন। হিন্দুরা পর্যন্ত তার মুক্তির জন্য তাদের মন্দিরে পাঠা বলি দিয়েছে।



প্রশ্ন : জেলের ভিতরে আপনার আব্বার শারিরীক ও মানসিক অবস্থা কি রকম?



উত্তর: আব্বার বয়স এখন ৭২বছর। তিনি ৩৭ বছরের ডায়াবেটিক রোগি। তিনি হৃদ রোগ, আর্থারাইটিসসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত। এত কিছুর পরও তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতে দেখিনি। একজন বিপদগ্রস্ত মুমিন মুসলমানের যে গুনাবলী থাকার কথা কোরআন-হাদিসে জেনেছি তার সকল গুনাবলী তার মধ্যে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান। তিনি বিন্দু মাত্র হতাশ নয়। তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ তাকে সকল মিথ্যাচার থেকে মুক্তিদান করবেন। তিনি বলেন ‘শাহাদতের মৃত্যু আমার সারা জীবনের কামনা এবং প্রতিটি মোনাজাতে আমি বলে আসছি হত্যা, লুন্ঠন এসব মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমি মরতে চাইনা।’ তিনি গভীর ভাবে বিশ্বাস করেন সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আল্লাহ তালা তাকে কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দিবেন।



প্রশ্ন : শোনা যায় আপনার আব্বার নাম দেলোয়ার শিকদার ছিল, কয়েক বছর আগে তিনি দেলাওয়ার হেসেন নাম ধারণ করেছেন তা সঠিক কিনা?



উত্তর: তার বিরুদ্ধে মামলা সাজাতে তাদের তেমন কোন কষ্ট করতে হয়নি। তারা যে কাজটি করেছে- পিরোজপুরে পাকহানাদার বাহীনি ও তাদের দোসররা যত ঘৃন্য অপরাধ করেছে তারা সেটির বিবরণ লিখেছে এবং সেখানে সুকৌশলে তারা আমার আব্বার নামটি বসিয়ে দিয়েছে। তারা যেক’টি সাক্ষি নিয়ে এসেছে সবাই তাকে দেলোয়ার শিকদার হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং তাদের দিয়ে বলানো হয়েছে ‘তিনি ছিলেন যুদ্ধের সময় দেলোয়ার শিকদার। যে ছিল এক মূর্তিমান আতঙ্ক। স্বাধিনতা যুদ্ধের ২০ বছর পর তিনি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নামে আবির্ভুত হন।’ আমার দাদী এ সংবাদ শোনার পর সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘আমার ছেলের নাম দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, জন্মের পর থেকে এই নাম রাখা হয়েছে। তার কোন উপনাম নেই বা ছিল না।’ যে দেলোয়ার শিকদারের নাম তারা বলছে অনেক সাক্ষি একথা বলেছে যে দেলোয়ার শিকদার নামে একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল। স্বাধিনতা যুদ্ধের পরে তাকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে। এমনকি এই মামলার তদন্তকর্মকর্তা আদালতে প্রমান সহকারে উল্লেখ করেছেন যে, দেলোয়ার শিকদার এবং দেলাওয়ার হেসেন সাঈদী দু’জন ভিন্ন মানুষ। তিনি স্বাধিনতার ২০ বছর পর নয়, জন্মের পর থেকেই দেলাওয়া হেসেন সাঈদী নামে পরিচিত। তার নাম কখনও দেলোয়ার শিকদার ছিলননা। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আমার আব্বার ১৯৫৭ সালের শিক্ষাগত সনদপত্র দাখিল করেছেন। সেখানে সুস্পষ্টভাবে আব্বার নাম দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী এবং তার পিতার নাম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী উল্লেখ করা আছে।



সুতরাং একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, আমার আব্বকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত: মানবতা বিরোধী কাঠগড়ায় দ্বার করানো হয়েছে। আমি আমার নিরাপরাধ আব্বার নি:শর্ত মুক্তি চাই এবং সকলের কাছে আমার আব্বার জন্য দোয়া কামনা করি।



এখন সময়: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!



উত্তর: আপনাকে, এখন সময় পরিবারের সকল সদস্য এবং সম্মানিত পাঠকবর্গকে আমার সালাম ও আন্তরিক ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

ক্লাউনবয়৮৭ বলেছেন: ধর্মব্যবসায়ী ছাগু আর চুশীল...দের উপাধি

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: কিছুই বলার নাই, কইরা যান হম্বি তম্বি।

২| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭

সি পি জি বলেছেন: রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার , এইটা আবার প্রমানিত হইলো। থু।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: থু যেখানে সেখানে মারতে নাই। আকাশের দিকে মাইরা দেখ ওই থু তোর মুখেই পরবো।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এমন মন্তব্য কোন মানুষ করতে পারে না। আপনার জৈব বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

বেঈমান আমি বলেছেন: রাজাকার এবং তাদের দোশরদের জন্যে কোনো মায়া দরদ নাই।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: মূলতঃ অন্যায়কারীদের জন্য কোন মায়া নাই। মূল অন্যায় কে বা কারা করছে তা সময়ই প্রমান করবে।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

মদন বলেছেন: সাক্ষীদের অবস্থা দেখি মাজুল...

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: তাদের ভরসাস্থল মাকড়সার বাসার চেয়েও নাযুক যদি তারা জানতো।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

মৃত মানব বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

৬| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

অন্য হাওয়া বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

৭| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

এস এইচ খান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজেউন।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

৮| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মাইক্রোসফট বলেছেন: "ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলায়হি রা'জিওন"

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

৯| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

কামরুজ্জামান খান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজেউন।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

১০| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফাহিম আহমদ বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হে রাজিয়ুন

১১| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: প্রশ্ন: আপনার আব্বার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তার কি পরিনতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: যেটা মনে হয় তারা কুরআনের খাদেম ইসলামের অকুতভয় বীর সেনানির বজ্র কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করার মানসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস সারা দুনিয়ার মানুষ আমার আব্বার জন্য যে ভাবে শিশু, কিশোর, নারী পুরুষ দলমত নির্বিশেষে দোয়া করছেন তাতে মহান আল্লাহ এই কোরআনের খাদেমকে আবার কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দিবেন। সব মিথ্যা বানের পানির মত ভেসে যাবে এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।

মহান আল্লাহ তাঁর এই আশাবাদ সত্যে পরিণত করুন। আল্লাহ রাফীক বিন সাঈদী কে জান্নাত পুরষ্কার দিন। আমিন।

১২| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোঃ আল জাহান বলেছেন: শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: প্রশ্ন: আপনার আব্বার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তার কি পরিনতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: যেটা মনে হয় তারা কুরআনের খাদেম ইসলামের অকুতভয় বীর সেনানির বজ্র কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করার মানসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস সারা দুনিয়ার মানুষ আমার আব্বার জন্য যে ভাবে শিশু, কিশোর, নারী পুরুষ দলমত নির্বিশেষে দোয়া করছেন তাতে মহান আল্লাহ এই কোরআনের খাদেমকে আবার কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দিবেন। সব মিথ্যা বানের পানির মত ভেসে যাবে এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।

মহান আল্লাহ তাঁর এই আশাবাদ সত্যে পরিণত করুন। আল্লাহ রাফীক বিন সাঈদী কে জান্নাত পুরষ্কার দিন। আমিন।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: আমিন

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০

ইট্টুস কথা বলেছেন: শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: প্রশ্ন: আপনার আব্বার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তার কি পরিনতি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: যেটা মনে হয় তারা কুরআনের খাদেম ইসলামের অকুতভয় বীর সেনানির বজ্র কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করার মানসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস সারা দুনিয়ার মানুষ আমার আব্বার জন্য যে ভাবে শিশু, কিশোর, নারী পুরুষ দলমত নির্বিশেষে দোয়া করছেন তাতে মহান আল্লাহ এই কোরআনের খাদেমকে আবার কোরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দিবেন। সব মিথ্যা বানের পানির মত ভেসে যাবে এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।

মহান আল্লাহ তাঁর এই আশাবাদ সত্যে পরিণত করুন। আল্লাহ রাফীক বিন সাঈদী কে জান্নাত পুরষ্কার দিন। আমিন।

১৩ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: আমিন

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:০২

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: এ লেখাটি তাঁর নিজের লিখা : আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত

ধৈর্যের স্রোত আর কতদিন আছড়ে পড়বে কারাপ্রাচীর -রাফীক বিন সাঈদী


লেখাটি হয়ত অনেকেই পড়েছেন, ________
আমার প্রিয়তম ব্যক্তিত্ব, পরম শ্রদ্ধেয় আব্বাকে ছাড়াই আমাদের পরিবার থেকে মহাকালের স্রোত দুইটি ঈদ ও কয়েকটি স্মরণীয় দিনের আনন্দঘন সৌন্দর্য বিষাদ সাগরে ডুবিয়ে অতীতের গর্ভে বিলীন হয়েছে। কালের বিবরে হারিয়ে যাওয়া ওই দিনগুলো আর কখনোই আমাদের পরিবারে ফিরে আসবে না। সামনে আবার ঈদুল ফিতর! বিশ্বের সব মুসলিমের ঘরে ঘরে আনন্দের প্লাবন প্রবাহিত হবে। আকাশে বাতাসে গুঞ্জরিত হবে আনন্দের বার্তা।

কিন্তু আমাদের পরিবারে? আমার আব্বা বিনা অপরাধে কারাবন্দি। পারিবারিক গণ্ডীতে তিনি নেই। দৃষ্টির সম্মুখে পরিদৃশ্যমান সমগ্র পৃথিবীটাই আমাদের কাছে শূন্য হয়ে গিয়েছে, অভিভাবকহীন আমাদের বাড়িটা এখন যেন মৃতপুরী। আমাদের পরিবারের সদস্যদের এই বোবা কান্না শোনার মতো কান কি এ জাতির কারও নেই! বলতে পারেন আমাদের ঈদ কোথায়? ঈদভিত্তিক আমাদের সবকিছুই তো পাষাণ পাথরে ঘেরা কারাপ্রাচীরের অন্তরালে বন্দি।

আমাদের পরিবারে গত দুটি ঈদের মতোই এবারের ঈদও আনন্দের কোনো চিহ্ন এঁকে দিতে পারেনি। ঈদ আনন্দের চিহ্ন যিনি পরিবারের সব সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের চেহারায় গভীর মমতায় এঁকে দেন, তিনি এখন পারিবারিক পরিমণ্ডলে নেই। নেই জনতার গণ্ডীতেও। মিথ্যা, কল্পিত অভিযোগ ও অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি কারাগারের চার দেয়ালে বন্দি। আমাদের ছেলেরা মাহ্দী, মুনাওয়ার, রুম্মান, মাহীর ও নাযিল গত দুটি ঈদের মতোই এবারও ঈদগাহে গিয়ে আনন্দের পরিবর্তে তাদের অতি প্রিয় ‘দাদাজী’র শূন্যতায় বেদনার অশ্রু ঝরাবে।

মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুসিক্ত ফরিয়াদ জানিয়ে চোখ মুছতে মুছতে আমরা বাসায় ফিরে দেখব আমাদের মেয়ে তামান্না, নাবীলা আর মাহরীনের অশ্রুভেজা চোখ। আমাদের স্ত্রীদের দেখব আমাদের গর্ভধারিণী মমতাময়ী মা’কে ঘিরে উদাস দৃষ্টি মেলে বসে রয়েছে। আর আমার দাদী! তাঁর সকরুণ আর্তনাদ—মর্মভেদী যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস মহান মালিক আল্লাহর আরশ স্পর্শ করছে।

জাতির বিবেকের কাছে আমার আবেদন, কান পেতে একটু শুনবেন কি, আমাদের পরিবারবর্গের করুণ আর্তনাদ! একটু উঁকি দিয়ে দেখবেন কি, আমার বৃদ্ধা চলত্শক্তিহীন দাদী মৃত্যুশয্যা থেকে কীভাবে বার বার দরজাপথে একবুক আশা নিয়ে করুণ দৃষ্টি মেলে দিচ্ছে, একটিবার তাঁর পরম স্নেহের জ্যেষ্ঠ সন্তান তাঁকে দেখার জন্য গভীর মমতায় ‘মা’ বলে ডেকে এগিয়ে আসছে কিনা!

দেশের ষোল কোটি জনতার মধ্যে কান পেতে শোনার এমন কি কেউ নেই, আমার প্রায় অচেতন দাদীর শুষ্ক ঠোঁটদুটি অস্ফুটে কার নাম ধরে ডাকছে! শুনতে পাচ্ছেন কি? ওই শুনুন তিনি অস্ফুটে করুণ কণ্ঠে মিনতি করছেন, মৃত্যুর পূর্বে আমার কলিজার টুকরা ‘দেলাওয়ার’-এর ওই চাঁদমুখটা মাত্র একটিবার তোমরা আমাকে দেখাবে কি?

মিথ্যা ও কল্পিত অভিযোগে আব্বাকে গ্রেফতার করার পর থেকে আমার দাদী একটু একটু করে না ফেরার দেশে এগিয়ে যাচ্ছেন। গভীর অচেতনতার মাঝে ক্ষণিকের জন্য সচেতন হওয়ামাত্র আমার আব্বার নাম ধরে তাঁকে শেষবারের মতো দেখার মিনতি করছেন। কিন্তু কীভাবে আমরা দাদীর জীবনের শেষ আশা পূরণ করব? ২০১০ সালের ২৯ জুন, দিনের তৃতীয় প্রহরে আমাদের পরিবারের সব সদস্যের মুখাবয়বজুড়ে বিষাদের যে কালোছায়া অবগুণ্ঠন টেনে দিয়েছে, তা কবে কখন অপসারিত হয়ে আনন্দের নবারুণ কিরণচ্ছটা বিকিরণ করবে আমরা কেউই জানি না। একবুক যন্ত্রণা আর মর্মান্তিক হাহাকার নিয়েই হয়তো আমার দাদী এমন এক জগতের দিকে যাত্রা করবেন, যেখান থেকে কখনোই কেউই ফিরে আসে না।

এবারের রামাদানের প্রথম সপ্তাহে আল্লাহতা’য়ালা আমাকে ওমরাহ পালনার্থে তাঁর ঘর পবিত্র কা’বা শরীফে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থানকালে যতবার কা’বা শরীফে গিয়েছি, ততবারই এক করুণ দৃশ্য আমার চোখের অশ্রুধারা বাড়িয়ে দিয়েছে। ওমরাহ্ পালন করতে আসা বাংলাদেশী ও প্রবাসীরা কা’বাঘর পরিবেষ্টন করে আছেন। কা’বাঘরের গেলাফ ধরে আব্বার নাম উচ্চারণ করে তাঁর নিরাপত্তা ও মুক্তি কামনায় কান্নাভেজা কণ্ঠে মহান আল্লাহর কাছে আবেদন করছেন। আবার একই দৃশ্য দেখেছি মদীনা মুনাওয়ারায় নবী করীমের (সা.) রওজা মুবারকের পাশে ‘রিয়াদুল জান্নাতে’ অসংখ্য মানুষ দু’হাত মহান মালিকের দরবারে তুলে ধরে আমার আব্বার কল্যাণ ও মুক্তি কামনায় করুণভাবে কাঁদছে।

আমার আব্বার জন্য কোরআন প্রেমিক অগণিত জনতার কেন এই নীরব কান্না? কেনইবা আমাদের পরিবারে আনন্দের সামান্যতম রেশ নেই? কেন আমার আব্বার মতো আল-কোরআনের বিশ্বনন্দিত মুফাসসীরকে গ্রেফতার করে এক বছর দুই মাস ধরে তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে? গত রামাদানেও আব্বা আদালতে আবেদন করেছিলেন, অন্তত পবিত্র রামাদান মাসে যেন কারাগারে নির্বিঘ্নে কোরআন তিলাওয়াত ও নামাজ আদায় করতে দেয়া হয়। কিন্তু সব আবেদন নিবেদন উপেক্ষা করে আব্বাকে পবিত্র লাইলাতুল কস্ফদরেও রিমান্ডে রাখা হয়েছে। আব্বা প্রায় ২৪ বছর ধরে প্রতি রামাদানে বাইতুল্লাহ শরীফে ই’তিকাফ করেছেন। এ বছর রামাদান মাসে আমার আব্বা কারাগার মসজিদে শেষ দশদিন ই’তিকাফ করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন; কিন্তু সেই সুযোগ না দিয়ে রোজা অবস্থায় তাকে আদালতে বার বার আনা-নেয়া করা হচ্ছে। কিন্তু কেন, কোন অপরাধে আমার শ্রদ্ধেয় আব্বার সঙ্গে এমন অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ? কী অপরাধ করেছেন আমার আব্বা? যুদ্ধাপরাধ? মানবতাবিরোধী অপরাধ? এখন তো সবার কাছেই স্পষ্ট, এসব বাহানা মাত্র। আমার আব্বার আসল অপরাধ হলো তিনি মানুষকে কোরআনের পথে কেন ডাকেন।

তর্কের খাতিরে ক্ষণিকের জন্য যদি মেনেও নেই যে, আমার আব্বা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। তাহলে অনেক অনেক প্রসঙ্গ আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসের একদিন আগে অর্থাত্ ১৫ ডিসেম্বর পিরোজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে পিরোজপুর মুক্ত করেন। পিরোজপুর জেলার কোন কোন ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, কারা রাজাকার, আল বদর ও শান্তি কমিটির লোক ছিল এবং পাকবাহিনীর সহযোগী হয়ে কে কোন অপরাধ করেছিল তা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানতেন। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থাও করেছিলেন। পিরোজপুরের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাই বর্তমানে জীবিত আছেন। আমার প্রশ্ন, সে সময় কীভাবে আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক দৃষ্টির আড়ালে রয়ে গেলেন?

বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আব্বাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের এক বিরাট অংশ দিনরাত নিঃস্বার্থ পরিশ্রম করেছেন এবং এর সাক্ষী পিরোজপুরের জনগণ। নির্বাচনী জনসভাগুলোয় পিরোজপুরের নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মঞ্চে উপস্থিত থেকে আব্বার পক্ষে বক্তৃতা দিয়ে জনগণের কাছে ভোট চেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আব্বার ভূমিকা সম্পর্কে না জেনেই কি বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন? তাহলে আধুনিক পিরোজপুর গড়ার কাজে আব্বাকে যেসব মুক্তিযোদ্ধা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন, তারাও কি স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী? এসব প্রশ্নের জবাব কি কেউ দেবেন?

ঢাকা থেকে যে তদন্ত সংস্থা পিরোজপুরে গিয়ে তদন্ত(!) করে আমার আব্বার নানা অপরাধ আবিষ্কার করলেন, তাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গে কিছু প্রশ্ন রাখছি—

এক. স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার সারাদেশের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করেছিল এবং তদন্তের আওতায় ছিল পাকবাহিনী এবং তাদের সহযোগী বাহিনীগুলো। তদন্তের মাধ্যমে ১৯৫ জন পাক সামরিক অফিসারকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে ১৯৭৩ সালের ১৭ এপ্রিল সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বিচারের কথা জানানো হয়। কিন্তু বর্তমান তদন্ত দলের তদন্তে আমার আব্বাকে প্রকারান্তরে দেশের শ্রেষ্ঠতম যুদ্ধাপরাধী বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম তদন্ত দলের অনুসন্ধানী তালিকায় আমার আব্বা আল্লামা সাঈদীর নাম নেই কেন?

দুই. পাকবাহিনীর সহযোগীদের অপরাধমূলক কাজের শাস্তি বিধানের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি দালাল আইন জারি করা হয় এবং এ আইনের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ লোককে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৩৭,৪৭১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় এবং ২,৮৪৮ জনকে বিচারের আওতায় আনা হয়। ৭৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং ২,০৯৬ জন বেকসুর খালাস পায়। এসবের কোনো একটি তালিকাতেও আমার আব্বার নাম নেই কেন?

তিন. আমার আব্বা যদি মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজপুরে কোনো রকম যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকতেন, তাহলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে অর্থাত্ বিজয় দিবসের মাত্র ২ মাস ৭ দিন পরে পিরোজপুর শহরে তাফসির মাহফিলের আয়োজন করে এলাকার লোকজন কীভাবে আব্বাকে প্রধান অতিথি হিসেবে বরণ করেছিল? স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে কীভাবে লোকজন আব্বার কথিত অত্যাচারের কথা ভুলে গিয়ে তাঁর মুখ থেকে পবিত্র কোরআন হাদিসের বাণী শুনেছিল?

চার. ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আব্বার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ও পার্লামেন্টারিয়ান প্রয়াত বাবু সুধাংশু শেখর হাওলাদার। তিনি তার নির্বাচনী জনসভার একটিতেও কেন আব্বাকে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, রাজাকার বলে অভিযুক্ত করেননি বরং আমি স্বচক্ষে দেখেছি তিনি আব্বাকে দেখামাত্র শ্রদ্ধাভরে গভীরভাবে আলিঙ্গন করতেন।

উল্লিখিত এমন ধরনের অগণিত প্রশ্ন শুধু আমার নয়, দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অগণিত বাংলাদেশীর। কিন্তু কে দেবে এসব প্রশ্নের জবাব? এসব প্রশ্ন তোলারও কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বরং প্রতিবাদী সবাইকে রাখা হয়েছে গ্রেফতার আতঙ্কে। আমি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে এসব প্রশ্ন উত্থাপন করলাম। হয়তো এ অপরাধে(!) কোনো না কোনো অজুহাতে আমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হতে পারে জেনেও আমার আব্বার সর্বোপরি পবিত্র কোরআনের একনিষ্ঠ ও নির্ভীক একজন মুফাস্সীরের পক্ষে আল্লাহর কাছে বিনিময়ের আশায় আমি এসব প্রশ্ন উত্থাপন করলাম।

পরিশেষে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ার উদ্দেশে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করছি, দয়া করে প্রকৃত সত্য না জেনে বা মিথ্যাচারে প্রভাবিত হয়ে আমার আব্বার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রকাশ করবেন না। সাংবাদিক হিসেবে প্রকৃত সত্য জানা এবং তা বিশ্ববাসীর সম্মুখে তুলে ধরা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব—এ অনুভূতি আপনাদের জীবন্ত রয়েছে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ‘সত্য ব্যতীত মিথ্যা প্রকাশ করব না’ এ শপথ নিয়ে যারা সংবাদ জগতে প্রবেশ করেছেন, তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, আমার আব্বা সম্পর্কে প্রকৃত সত্য তুলে ধরুন।

যুদ্ধাপরাধ নয়, জনপ্রিয়তাই আমার আব্বার মূল অপরাধ। সচেতন বিবেকবান মানুষের পক্ষ থেকে আমি সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করছি, আর হয়রানি ও বিচারের নামে প্রহসন না করে অনতিবিলম্বে আমার আব্বা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দিয়ে আমাদের পরিবারসহ কোরআনপ্রেমিক অগণন মানুষের হারানো আনন্দ ফিরিয়ে দিন। আল্লাহতা’য়ালা সবাইকে সত্য অনুধাবন ও তা অনুসরণের তওফিক দান করুন।

সূত্র: Click This Link

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:২২

লিফো বলেছেন:
আসল সত্য এক দিন প্রকাশ পাবেই, সে দিন আর কেউই রেহাই পাবে না।
মিথ্যা দিয়ে বেশী দিন টেকা যায় না।

২২ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৭

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ঠিক বলেছেণ।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৫

কস্ট বলেছেন: আসল সত্য এক দিন প্রকাশ পাবেই, সে দিন আর কেউই রেহাই পাবে না।
মিথ্যা দিয়ে বেশী দিন টেকা যায় না।

২২ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: হুম।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:০৮

ডজ বলেছেন: সত্য প্রকাশ হওয়া উচিৎ। তা যতই কঠিন, নির্মম হোক না কেন। উনি যদি দোষী হোন, শাস্তি প্রাপ্য।

আর, যদি, উনার প্রতি যদি অন্যায় করা হয়ে থাকে, আল্লাহ সর্বশ্রোতা।

২২ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: মু'মিনদের জন্য দুনিয়া কারাগার স্বরূপ। আল্লাহ সর্বশ্রোতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.