নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
নিজের ভাষা বলে আগে কখনো বুঝতে পারেনি।
বাংলা ভাষা আসলে আমরা যত সহজ মনে করি এটা তত সহজ নয়। যারা দেশের বাইরে প্রবাস জীবন যাপন করেন তারাই বুঝতে পারেন সন্তানদের কে বাংলা শিখানো কত কঠিন কাজ।
প্রথমতঃ এক সাথে এতগুলো বর্ণ দেখে তারা ভড়কে যায়। তার উপর যদিও হাতে-পায়ে ধরে বর্ণগুলো শেখানো শুরু করা যায় তখন প্রশ্ন আসে এইটা দুইটা কেন, ওইটা তিনটা কেন ইত্যাদি।
আমার মনে আছে আমি যখন ছোটবেলায় প্রাইমারি স্কুলে প্রথম গিয়েছি তখন আমার একটি মাত্র বই ছিল। সেই বইটির নাম আদর্শলিপি ।
সেই বইয়ে আমিও এই জাতীয় সমস্যায় পড়েছিলাম। আমাদের সময় একটা অক্ষর ছিল। ওটা বর্তমানে সংখ্যায় নয় (৯) লিখলে যেটা হয় সেইটা । ওটাকে বলা হত লি। আবার পরপর দুইটা ৯ ছিল প্যাচ দিয়ে। ওটাকে বলা হত (৯৯) ডাবলি।
আদর্শলিপি বইতে আমি ব পেয়েছিলাম দুইটা। এ ছাড়া কতগুলি অক্ষর আছে তা সবাই জানেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমি হঠাৎ করে দেখতে পেলাম বর্ণমালা তে ব একটা বাদ দেওয়া হয়েছে।
যাই হোক অনেক কষ্টে বর্ণমালাগুলো যদিও বা শেখানো যায় । তারপরে আরেক ঝামেলা হল কার সমস্যা নিয়ে। আ কার, ই কার ইত্যাদি। তারপর আবার কিছু অক্ষর আছে যেগুলো বর্ণমালার তালিকাতে নেই যেমন ক্ষ।
বর্ণমালা শেখানোর পরে আসে সংখ্যা শিখানো। সংখ্যা শেখানোর আসলেই মে জটিল সেটাও বুঝতে পারছিলাম না।
বেশির ভাগ ভাষায়ই 1 থেকে 9 পর্যন্ত শেখার পরে বাকিগুলো মোটামুটি কৌশলে শিখে ফেলার উপায় আছে। বাংলা ভাষায় দেখি এই কৌশলটা বের করতে পারলাম না।
যেমন ইংরেজিতে 1 থেকে 10 পর্যন্ত শেখার পরে শিখতে হবে টিন নাম্বার গুলো। ইংরেজি টিন নম্বর গুলোর মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা আছে। যেমন এক থেকে দশ পর্যন্ত মুখস্ত করার পরে নতুন একটা শব্দ মুখস্থ করতে হবে ইলেভেন। এর পরের গুলো মুখস্থ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। যেমন টুয়েলভ, থার্টিন , ফোরটিন, ফিফটিন ইত্যাদি। এরপর 20, 30, 40 ইত্যাদি শিখে নিতে পারলে বাকিগুলি অনেকটা একাই পারা সম্ভব।
বাংলা সংখ্যা শেখার ক্ষেত্রে এরকম কোনো সুযোগ রাখা পেলাম না। অবশ্য বাংলা ভাষার এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে আগে কখনো ভাবি নি কেননা নিজের ভাষা বলে কথা। আগে কখনো এই সমস্ত প্রশ্ন মনেও আসেনি। কিন্তু আজ কাল সন্তানদের শেখাতে গিয়ে এই সমস্ত ঝামেলায় পড়েছি।
তার পরেও আমার কাছে মনে হয়, ভালো মন্দ সব মিলিয়ে বাংলা ভাষাই সেরা।
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসলেই তাই। তবে বডড বিপাকে পড়েছি।
২| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলা আমার মা মাটির ভাষা
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সেটা তো অবশ্যই। তারপরেও একেবারে কম কঠিন না।
৩| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভাষা শেখার জন্য এত উতলা হলেন কেন??
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কারণ আছে। আপনাকে বলব।
৪| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
শেখ সাকিবুল ইসলাম বলেছেন: যত শিখাবেন ততই নিজে শিখতে পারবেন।
২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সুন্দর বলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৫| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:০১
নতুন বলেছেন: বাংলা কিন্তু বিদেশীরা অনেকেই শেখে। বিদেশির জন্য বাংলা বলা শেখা তেমন কঠিন মনে হয় না।
চাইনিজ, ফ্রেন্স বেশ কঠিন।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে বিদেশীদের জন্য বাংলা শেখাটা খুবই কঠিন। মূলতঃ এর বর্ণমালা ও অসংখ্য অক্ষর এর জন্য ।এছাড়া এর সংখ্যাগুলো কোন সঠিক নিয়ম মেনে হয় না। আমার নিজের ছেলে মেয়েদেরকে বাংলা শিখাতে গিয়ে আমার এই উপলব্ধি হয়েছে। এই বিষয়টি আগে আমি কখনই বুঝতে পারিনি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সব সময়।
৬| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলা ভাষা শেখানো কঠিন, তা প্রবাসে নয়, বাংলাদেশে ইংলিশ ভার্সন/মিডিয়ামের সন্তানদের পড়াইতে গেলেই বোঝা যায়। এটা কঠিন হওয়ায় বাচ্চারা বাংলা পড়তে চায় না। ফলে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করার পরও এই দুর্বলতা কাটে না।
বাংলা লিখতে গেলেও কষ্ট এবং সময়ও লাগে বেশি। খেয়াল করে দেখবেন, ইংলিশ লেখায় শুধু ডানদিকে কলম চলে, 'আই' এবং 'জে'র মাথায় ফোটা ছাড়া কলম উঠানোর দরকার পড়ে না। বাংলায় ডানে-বামে কলম ঘোরাতে হয়, বারবার কলম উঠাতে হয়, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের মতো আকার-ও-কারের যৌগ-উচ্চারণও আছে, ফলে সময় লেগে যায় বেশি।
বাংলায় সংখ্যাগুলো বলা চলে একেকটা ইউনিক নাম নিয়ে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত গেছে। শুধু ৮০ আর ৯০ এর জন্য একটা ফর্মুলা ইউজ করা যায়, যেমন, একা-আশি/নব্বই, বিরা-আশি/নব্বই, ইত্যাদি। ভালোই, বাচ্চারা/আমরা বেশি শব্দ শিখলাম এই আর কী।
আমরা আদর্শ লিপি পড়ি নি। সবুজ সাথী প্রথম ভাগ দিয়ে শুরু। সেখানে লি/ডাবলি, পেট-কাটা-ব ইত্যাদি ছিল না, যা ছিল আজো তাই বহাল আছে। আদর্শ লিপিতে যে বর্ণমালা ছিল, তা আগে ব্যবহৃত হতো। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সংস্কার করে দীর্ঘ-ঋ, দীর্ঘ-লি বা ডাবলি বাদ দিলেও আদর্শলিপিতে ওগুলো রয়ে গিয়েছিল।
বাংলা ভাষা শেখার উপর আপনার পর্যবেক্ষণগুলো খুবই চমৎকার, যার উপর দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই উপকৃত হলাম । আমার শিক্ষার পরিধি আরও বৃদ্ধি পেল । আসলেই পারস্পরিক আলোচনা ছাড়া আমাদের জানার গভীরতা বৃদ্ধি পায় না ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সব সময়। জীবন হোক আনন্দময়।
৭| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলা ভাষা নিয়ে আরো গবেষাণার আবশ্যকতা আছে।
আরও সহজ ও সরলীকরণ করা গেলে এই ভাষা শিক্ষা
করা আরো সহজ হবে।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। আরো সহজতর করতে হবে।
৮| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে পোষ্ট পড়লেই বুঝা যায় যে, বাংলা ভাষা শিখতে হলে, পড়তে হয়। ব্লগে প্রশ্নফাঁসদের সাহিত্য পড়লে মনে হয় কোন বিহারী বাংলা ভাষায় পোষ্ট লিখেছে।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রশ্ন ফাঁস করার লোক আছে। প্রশ্ন সরবরাহ করার লোক আছে। প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার লোকজনও আছে প্রচুর।
এই সব কর্মকান্ড কোনটাই ভালো নয় । এই সব কর্মকাণ্ডগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হতে হবে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার প্রাণকেন্দ্র । আমাদের কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক ক্যান্টিনের চা- সিঙ্গারাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গৌরব করার মতো উপাদান বলে উল্লেখ করেছিলেন।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় গর্ব করবে তাঁর গ্রাজুয়েটদের নিয়ে। তার গবেষকদের নিয়ে। তার কয় জন প্রাক্তন ছাত্র নোবেল পুরস্কার পেল সেটা নিয়ে। চা- সমুচা- সিঙ্গারা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব করার মত কোন জিনিস হতে পারে না। অথচ তারা সেটা নিয়েই গর্ব বোধ করেছেন। আফসোস।
৯| ২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে পোষ্ট পড়লেই বুঝা যায় যে, বাংলা ভাষা শিখতে হলে, পড়তে হয়। ব্লগে প্রশ্নফাঁসদের সাহিত্য পড়লে মনে হয় কোন বিহারী বাংলা ভাষায় পোষ্ট লিখেছে।
আপনার যত চুলকানী সব কি প্রশ্নফাঁস হওয়া জেনারেশন এর বিরুদ্ধে???
যেসব কুলাঙ্গারদের কারনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তাদরে কিছু বলুন।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পরীক্ষা দেয়া ও প্রশ্ন ফাঁস করা বিরাট অপরাধ।
১০| ২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আপনি দেখি ভাষার প্রেমে পড়েছেন।
জাতি মনে হয় আরেকটা ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পেতে যাচ্ছে।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জাতির সেই আশার গুড়ে বালি!
আমার এই বয়সে ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮ টি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছিলেন অলরেডি। আর আমি এখনো ভাবনার পর্যায়ে আছি।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সব সময়।
১১| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রশ্ন পত্র ফাঁস বিষয় টি খুব ন্যাক্কারজনক। এতে মেধার প্রকৃত যাচাই হয় না। যোগ্যতা সম্পন্ন লোক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলা ভাষা নিয়ে ওভাবে ভাবিনি তবে ণত্ব বিধান সত্ব বিধান র ড় ঢ় ইত্যাদি অনেক কনফিউশন সৃষ্টি করে। জটিলতা আছে বৈকি।
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। আপনার মন্তব্য খুবই সুন্দর । ভালো লাগলো । ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান আবারো পড়তে হবে। ভুলে যেতে বসেছি প্রায়।
মাতৃভাষা বাংলা বলে এটাকে নিয়ে যে ভাবে চর্চা করতে পারি অন্য কোন ভাষাকে নিয়ে সেই ভাবে চর্চা করার সুযোগ ও নেই , ক্ষমতাও নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। কৃতজ্ঞতা জানাই। ভালো থাকবেন সব সময়। জীবন হোক অনেক অনেক আনন্দময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মায়ে রভাষা অবশ্যই সহজ। এটা শিখতে কোনো বেগ পেতে হয় না। কিন্তু অন্যদেশের লোকজনের জন্য এই ভাষা অবশ্যই কঠিন।