নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ২ টি মৌসুম রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল প্রথম সময়টি হলও বর্ষা মৌসুমের পূর্বে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত। দ্বিতীয় অনুকূল সময়টি হলও বর্ষা মৌসুমের শেষে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালি কোন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না; কারণ বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পরে ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালি হওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ থাকে না।
ঘূর্ণিঝড় মৌসুম শুরু পূর্বে ঘূর্ণিঝড় সম্বন্ধে আপনারা কতটুকু জানেন তার একটা পরীক্ষা নেওয়া যাক। নিচে ২ টি ঘূর্ণিঝড়ের ছবি (কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত) যোগ করা হলও।
১) আপনাদের বলতে হবে ঘূর্ণিঝড়ের এই দুইটি ছবির মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি না?
২) যদি কোন পার্থক্য চোখে পরে তবে বলতে হবে কি এই পার্থক্য?
৩) ঘূর্ণিঝড় ২ টির মধ্য কোনটি উত্তর গোলার্ধে ও কোনটি দক্ষিণ গোলার্ধের কোন সমুদ্রে সংগঠিত হয়েছে?
ছবি: ঘুর্নিঝড় ১
ছবি: ঘুর্নিঝড় ২
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। ঘড়ির কাটার দিকে মেঘ ঘুড়তেছে যে ঘুর্নিঝড়ে তা দক্ষিন গোলার্ধে ও ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুতেছে তা উত্তর গোলার্ধে সংগঠিত হয়েছে।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: দুটা ছবি এক রকম।
কোনো প্রার্থক্য নাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
নুর ভাই, দ্রুত চোখের ডাক্তার দেখান
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২
Sumiya Barkatullah বলেছেন: হ্যাঁ, পার্থক্য আছে।
প্রথমটা ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরছে, তাহলে এটা দক্ষিণ গোলার্ধে হচ্ছে আর দ্বিতীয়টা ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরছে, তাহলে এটা উত্তর গোলার্ধে হচ্ছে। চোখেরও পার্থক্য আছে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারছি না। শুধু এটুকু জানি, ঘূর্ণিঝড়ের চোখ যত উষ্ণ থাকে, ঝড় তত বেশি শক্তিশালী হয়। সে হিসেবে এক নাম্বারটা বেশি শক্তিশালী ঝড় হতে পারে।
কোনটা কোন জায়গায় হয়েছে, সেটাও বলতে পারছি না। তবে বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আপনার উত্তর আংশিক সঠিক হয়েছে। ঘড়ির কাটার দিকে মেঘ ঘুড়তেছে যে ঘুর্নিঝড় (২য় ছবি) তা দক্ষিন গোলার্ধে ও ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুতেছে (প্রথম ছবি) তা উত্তর গোলার্ধে সংগঠিত হয়েছে।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
উত্তরের জন্যে ধন্যবাদ।
আর, কোন সাগরে হচ্ছে তা বুঝা যাবে কিভাবে?
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনি ব্লগে আছেন জানতাম না। আশা করি নিয়মিত দেখা হবে।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
নাজনীন১ বলেছেন: এই যে ভৌগলিক মোস্তফা ভাই। বলা হচ্ছে ফেনীতে বন্যা হবার কারণ ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ হঠাত খুলে গেছে। সেটা গোমতী নদীর সাথে ন্যাচারালি কানেক্টেড, ফেনীর সাথে ডাইরেক্ট কানেকশান নাই। আমার প্রশ্ন হলো ফেনীতে হঠাত এতো পানি কোন দিন থেকে? আগরতলায়ও এতো পানি আসলো কোথা থেকে? হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজারেও তো বন্যা। আপনার স্যাটেলাইট ইমেজ কি বলে? এখানে কি চীনের বাঁধ ওপেন হবার ঘটনা আছে? নাকি পুরাই প্রাকৃতিক অতিবৃষ্টি!
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
নাজনীন১ বলেছেন: এই যে ভৌগলিক মোস্তফা ভাই। বলা হচ্ছে ফেনীতে বন্যা হবার কারণ ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ হঠাত খুলে গেছে। সেটা গোমতী নদীর সাথে ন্যাচারালি কানেক্টেড, ফেনীর সাথে ডাইরেক্ট কানেকশান নাই। আমার প্রশ্ন হলো ফেনীতে হঠাত এতো পানি কোন দিন থেকে? আগরতলায়ও এতো পানি আসলো কোথা থেকে? হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজারেও তো বন্যা। আপনার স্যাটেলাইট ইমেজ কি বলে? এখানে কি চীনের বাঁধ ওপেন হবার ঘটনা আছে? নাকি পুরাই প্রাকৃতিক অতিবৃষ্টি!
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫
নাজনীন১ বলেছেন: ভাইডি, এই উত্তরটার সাথে আপনি কি একমত/ সহমত ধারণ করেন?
Courtesy: Sayedur R Chowdhury
”কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়” - এটিই বিজ্ঞানের বা ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সেই বিশেষ উপশাখার বিষয়বস্তু, যাকে আমরা Surface Water Hydrology বলি। পানির ধর্ম উপর দিক থেকে নিচের দিকে গড়িয়ে নামা। পৃথিবী পৃষ্ঠে যে কোথাও বৃষ্টি হলে তার অল্প অংশ মাটির ভেতর ঢুকে যায় ভূগর্ভস্থ রিজার্ভে, আর বাকি অংশ গড়িয়ে নামে উঁচু জায়গা থেকে নিচু জায়গায়, সেখান থেকে আরো নিচু জায়গার দিকে ছুটে যায় - যতক্ষণ না শেষমেষ সাগরে গিয়ে পড়ে। এভাবেই হাজার হাজার লাখ লাখ বছরে পৃথিবীর বুকে ছোট বড় বিভিন্ন নদনদীর সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি নদী ঠিক কোন কোন এলাকার পানি সংগ্রহ করে সাগরের দিকে নিয়ে যাবে তা নির্ভর করে সেই নদীর আশপাশের ভূপ্রকৃতির উপর। যেই এলাকার পানি একটি নদী সংগ্রহ করে সেই এলাকাকে অই নদীর ওয়াটারশেড, বা ক্যাচমেন্ট, বা বেসিন বলে। এক বেসিনের পানি অন্য নদীতে বা অন্য বেসিনে যেতে পারে না কারণ দুই বেসিনের সীমানা অঞ্চল বেসিনের চেয়ে উঁচু হয় - সাধারনত পাহাড়ী।
ভৌগোলিক ও ভুপ্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় চলমান বন্যায় সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে একটি কথা - গোমতি নদীর ডাম্বুর বাঁধ ছেড়ে দেয়ায় ফেণী জেলা ডুবে গেছে। এই দাবীটি সত্য হতে পারে কিনা দেখা যাক। গোমতি একটি নদী, তার একটি বেসিন আছে, সেই বেসিনে বৃষ্টি হলে গোমতী নদী দিয়েই পানি নিচে নামতে হবে। নদীতে বাঁধ দেয়া হলে সেই বেসিনেই হ্রদ তৈরী হবে (ডাম্বুর হ্রদ), আবার বাঁধের রেগুলেটর খুলে দিলে সেই পানিও গোমতি দিয়েই নামতে চেষ্টা করবে, নদীর ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে গোমতীরই দুইপাশ (ফ্লাডপ্লেইন) প্লাবিত করবে। প্রশ্ন হলো, কোনভাবে কি ডাম্বুরের ছেড়ে দেয়া পানি মুহুরী-সিলোনিয়া-ফেণী নদীর বেসিনে চলে আসতে পারে? পারে, যদি সেই পানি গাঁজা খেয়ে দুই বেসিনের মাঝখানের পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে, এবং ওপাশ থেকে পাহাড় ডিঙ্গিয়ে এপাশে চলে আসতে পারে। যদি পানির পক্ষে পাহাড় ডিঙ্গানো অসম্ভব হয়, তাহলে ডাম্বুর লেকের এক ফোঁটা পানিও মুহুরী বেসিনে আসা অসম্ভব। ফেণীর উত্তরাংশে যে বন্যা, সেটা মুহুরী সিলোনিয়া এবং ফেণী নদীরই বেসিন থেকে আসা পানি।
তাহলে ডাম্বুরের পানি কই গেলো? ডাম্বুরের সবচেয়ে কাছের বাংলাদেশী অংশটা খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গি নদীর বেসিন। সেখানেও তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ মাঝখানে উচু পাহাড়। তাহলে সেই পানি কোথায় যাচ্ছে? ডাম্বুর বাঁধের বাইরে (ডাউনস্ট্রিমে) ভারতেরই বেশ কয়েকটি জনপদ আছে (নতুন বাজার, তাবিদা পাড়া, চেলাগাং, ডালাক বাজার, অমরপুর, রাঙ্গামাটি, বীরগঞ্জ, বাম্পার, মহারাণী, উদয়পুর জেলা সদর, ইন্দিরা নগর, সবশেষে সোনামুরা), এরপর গোমতি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কাজেই এই পানি ভারতের অইসব জনপদকে প্লাবিত করে বাংলাদেশের কুমিল্লা অঞ্চলকে প্লাবিত করবে। কুমিল্লার চেয়ে নিচু এলাকা পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী। কাজেই গোমতির পানি কুমিল্লাসহ এই চারটি জেলার উপর বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় ভূমিকা থাকবে, কিন্তু ফেণীর নয় (বড়জোর ফেণীর সোনাগাজী ও দাগনভূঁইয়ায় গোমতির পানির কিছুটা প্রভাব থাকলেও থাকতে পারে, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া এবং ফেণী সদরের বন্যা প্রধানত ফেনী, মুহুরী ও সিলোনিয়া বেসিনের পানি, গোমতির নয়।
আমার এই সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা শুধুমাত্র যারা ওপেন মাইন্ড নিয়ে লজিক্যাল চিন্তা করতে সক্ষম তাদের জন্য। ভারত কেন আমাদের নদীতে বাঁধ দিলো, কেন না জানিয়ে পানি ছেড়ে দিলো সেসব বিতর্ক এখানে না আনতে অনুরোধ করছি। শুধু অনুরোধ করবো ’চিলে কান নিয়েছে’ শুনেই চিলের পিছে ছুটবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
১) পার্থক্য আছে।
২) একটির তার কেন্দ্র বা চোখ থেকে ডান থেকে বামে কুন্ডলী পাকাচ্ছে, আরেকটি ঠিক উল্টো।
৩) ৩য় প্রশ্নটির উত্তর আমার সীমিত নলেজে দেওয়া সম্ভব না।