নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
কোন স্থানে ভূমিকম্প হয় কিংবা ভবিষ্যতে ভূমিকম্প হবে সেই সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকরা খুব ভালো ভাবে জানেন। কোন স্থানে কত বড় মানের ভূমিকম্প হতে পারে কোন স্থানে সেই বিষয়েও বৈজ্ঞানিকরা অনেক ভালো করে জানেন। তবে ঠিক কোন সময়ে ভূমিকম্পটি হবে সেই সম্বন্ধে পূর্বাভাস করার কোন প্রযুক্তি পৃথিবীতে এখনও আবিষ্কার হয় নি। ফলে ভূমিকম্পের সম্ভব্য স্থান ও মান এবং জান ও সম্পদের উপর ভূমিকম্পের ঝুঁকি সম্বন্ধে দেশের মানুষকে যত বেশি সচেতন করা যাবে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়-ক্ষতি তত বেশি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ফল্টে প্রতিবছর ছোট-ছোট ভূমিকম্প হয়ে ঘড়ির কাটার মতো টিক-টিক শব্দ করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলছে; আমরা প্রস্তুত হচ্ছি কি?
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে কক্সবাজারে জেলার টেকনাফ উপজেলার নাফ নাদীর মায়ানমার অংশে ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। মিয়ানমারে ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশের পর্যটন শহর কক্সবাজার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্হল ছিলো কক্সবাজার জেলা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে; ও টেকনাফ উপজেলা সরদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিলও ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। উপরোক্ত ২ টি কারণে কক্সবাজার জেলা থেকে খুব ভালো ভাবে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট কম্পনের।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে কক্সবাজারে জেলার টেকনাফ উপজেলার নাফ নাদীর মায়ানমার অংশে ৪ দশমিক ১ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছে সেই ফল্টে গত ৭০ বছরে ৪ মাত্রার একাধিক ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে যা নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
গতকাল যে স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে সেই স্থানটি উচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকি-সম্পন্ন স্থান। ঐ স্থানে নিয়মিত ভাবে ভূমিকম্প হয়। গতকালের ভূমিকম্প হওয়া স্থানে ১৯৫৬ সালে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল যা গতকালের ভূমিকম্পটি অপেক্ষা প্রায় ১২৫ গুন বড় ভূমিকম্প ছিল (ভূমিকম্পের মান লগ স্কেল অনুসরণ করে)। গতকালের ভূমিকম্পটি থেকে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়েছে তা অপেক্ষা ৬৭ বছর পূর্বের ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি থেকে ১৪০০ গুন বেশি শক্তি নির্গত হয়েছিল।
বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে আমি গত ১৩ বছর ধরে নিয়মিত ভাবে সামহোয়ারইন ব্লগে লিখে আসছি। আমার পূর্বের ব্লগ-পোষ্ট গুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো সকলকে
হিমালয় পর্বত অঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদের পূর্বাভাস ও বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের করনীয়
ভূমিকম্প গবেষকরা কেন বলেন ঢাকা ও সিলেট শহরের অনেক বাড়ি-ঘর প্রচণ্ড ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে?
একটি বড় মাপের ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার কতটুকু প্রস্তুত?
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মোস্তফা কামাল পলাশ। অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ে দেখার আগ্রহ পাচ্ছি।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সতর্কতামূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পোস্টে যোগ করা লিংকগুলোও ঘুরে আসার ইচ্ছা রইল।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ইউ এস জি এস বা ইউনাইটেড স্টেট জিওগ্রাফিক সোসাইটি সারা বিশ্বে যত ফলট আছে তার মুভমেন্ট লক্ষ্য করে এবং সেই দেশকে জানিয়ে দেয় । নেপাল ভুমিকম্পের ২৫ দিন আগেই তারা সতর্ক করেছিল নেপালের নিচের ফলটে মুভমেন্ট হচ্ছে । ইউ এস জি এস বিভিন্ন দেশে ভুমির নিচে ক্ষুদ্র লাইট সহ ক্যামেরা ও সেন্সিং চিপ্স বসিয়ে রাখে । এটা ভুমি ও স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত ।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন বিজ্ঞান এত এত উন্নত হবে যে ভূমিকম্প চুটকি মেরে থামিয়ে দেবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: বাঁচতেও চাইনা, জানতেও চাইনা।