নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছেলে আজকে আত্মহত্যা করেছে যে ছেলেটি গত ৫ দিন ধরে অনবরত আত্মহত্যা নিয়ে একাধিক পোষ্ট দিয়েছে ফেসবুকে। একই সাথে দেখতে পেলাম তার পরিচিত অনেক ছেলে-মেয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে আত্নহত্যাকারি ছেলেটির পরিবারের সদস্যদের খোজ চেয়ে। আমার কিছু প্রশ্ন? যে পারিচত মানুষরে ফেসবুকে আত্নহত্যাকারি ছেলেটির পরিবারের সদস্যদের খোজ চেয়ে পোষ্ট দিয়েছেন কিংবা ঐ ছেলেটির বিশ্ববিদ্যালয় পৌয়া বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর, কিংবা ঐ ছেলের বিভাগের কোন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ঐ ছেলের ফেসবুকে আত্মহত্যা নিয়ে সরিজ পোষ্ট সম্বন্ধে জানিয়েছিলেন? না জানালে কেন জানালেন না? এখন তো বাংলাদেশে ৯৯৯ নামক জরুরি সেবা চালু হয়েছে সেই নাম্বারে ফোন করে কি কেউ জানিয়েছিলেন যে একটি ছেলে স্পষ্টত ভাবে আত্মহত্যা করতে চেয়ে ফেসবুকে একটার পর একটা পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে? এই ছেলেটি আমার বন্ধু লিস্টে থাকলে আত্মহত্যা নিয়ে ফেসবুকে প্রথম পোষ্ট দেওয়ার পরে তাৎক্ষনিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর ও পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানাতাম।
কানাডার সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম যে কাজটি করতে হয় তা হলো মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০ ঘন্টার একটি বাধ্যতামূলক ট্রেনিং করতে হয় ছাত্র সংসদের সকল নির্বাচিত নেতাকে; সবাইকে যেহেতু সবসময়ই ছাত্র নেতাদের কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা আসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। ছাত্র নেতাদের প্রথম কাজই হলও সমস্যা নিয়ে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যথা সম্ভব নিশ্চিত হওয়া। আমার গ্রাজুয়েট ছাত্র সংসদ থেকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ২৪ ঘণ্টার একটি সার্ভিস সুবিধা রয়েছে যে সার্ভিসে ছাত্র-ছাত্রীরা ২৪ ঘণ্টা ফোন দিয়ে সেবা নিতে পারে। আমার পূর্বের প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব হস্তান্তর করার সময় আমাকে বলেছিল আমার কমিটি ঐ সার্ভিস ক্যান্সেল করে দিতে পারি। কারণ ঐ সেবার জন্য আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হয় বীমার প্রিমিয়াম হিসাবে। ১০ % এর ও কম ছাত্র-ছাত্রী সেই সেবা ব্যবহার করে। আমি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া পরে পূর্বের প্রেসিডেন্টের পরামর্শ না মানার সিদ্ধান্ত নেই। আমি মনে করেছি যে পুরো ১ বছরে যদি ঐ সেবার কারণে ১ জন মাত্র ছাত্র-ছাত্রীর জীবন বেচে যায় সেটাকেই আমি সফলতা হিসাবে গণ্য করবো। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য বীমা পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজারের সাথে মিটিং ছিলও আগামী বছরের বীমার প্রিমিয়াম নিয়ে আলোচনার জন্য। তার দেওয়া তথ্য দেখে আমার চক্ষু কপালে উঠার উপক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত-ছাত্রীরা গত ১ বছরে যত ঐষধ খেয়েছে তার ১০% হলও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত। আমার বন্ধু লিস্টে থাকা সকলকে অনুরোধ করবো আপনার চার-পাশের মানুষগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে লক্ষ রাখুন। কেউ আত্মহত্যা নিয়ে কথা বললে কিংবা সামাজিক গণমাধ্যমে ঘন-ঘন পোষ্ট করলে সাথে-সাথে সেই মানুষটির সাথে কথা বলুন। তার সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করুন। নিজের সীমাবদ্ধতা থাকলে অন্য মানুষের সাহায্য নিয়ে পরিচিত মানুষটিকে কাউন্সেলিং করুন।
আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আত্মহত্যা করতে পারে এমন মানুষ চিহ্নিত করতে মাত্র ৬ টি প্রশ্নের একটি পরীক্ষা আবিষ্কার করেছেন যা পুরো বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা হিসাবে গন্য করা হয়। আমি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালের সেই পরীক্ষার ৬ টি প্রশ্ন নিচে যোগ করে দিলাম। আপনাদের আশ-পাশের কোন মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা দেখলে নিচের ৬ টি প্রশ্ন করে নিশ্চিত হতে পারেন সেই মানুষটির আত্নহত্যার ঝুঁকি সম্বন্ধে।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: যাষ্ট গতকাল আমার অফিসের পাশের অফিসে কাজ করে। যোহরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে একসাথে বের হলাম। ওর চেহারায় কিছুটা বিষন্নতার ছাপ। আলাদা করে নিয়ে খবর নিলাম সে ভালো আছে কিনা। অফিসের কাজ নিয়ে কি এক ঝামেলা চলছে টেনশনে মন অস্থির। টুকটাক পরামর্শ দিলাম আর বললাম যে কোন সমস্যায় আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে। অস্থির না হযে মেধা দিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করবে। আর আল্লাহর রহমত থেকে কখনো নিরাশ হবে না, যাষ্ট নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে সমাধানের। ব্যাস। কথা গুলো শুনতে শুনতেই ওর মন যে কিছুটা চাঙা হইছে তা বুঝতে পারছিলাম।
পোষ্টে প্লাস। গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। মানুষ শরীরের বাহিরের অংশের ক্ষত সহজে দেখতে পারে কিন্তু মনের ক্ষত কেউ দেখেনা।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মোবাইল থেকে দেখা যায় না, ৬টি প্রশ্ন পোস্টে লিখে দিলে ভাল হত।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
মওদুদ মান্নান বলেছেন: প্রশ্নগুলা যেন কী কী?
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যাই আসলে হত্যা।
কোনো মানুষই শখ করে আত্মহত্যা করে না।