নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
ছবি বর্ণনা: আমেরিকার আবহাওয়া ও জলবায়ু পূর্বাভাস বিষয়ক সংস্থা নোয়া এর কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ (NASA/NOAA Suomi) থেকে প্রাপ্ত এরোসল পার্টিকেলের উপস্থিতির চিত্র।
আপনার ইতিমধ্যে জেনেছেন যে ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চেন্নাই বন্দের উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করে আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস যেহেতু বাংলাদেশ থেকে অনেক দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তাই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের কোন বৃষ্টিপাত হয় নি। তবে ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস এর কোন প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়েনি তা বলা যাবে না।
ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আমন ধান কাটার পরে সেই জমিতে গম কিংবা অন্য শীত কালীন সবজি চাষের জন্য তৈরি করার জন্য ধান কাটার পরে জমিতে থাকে ধান গাছের গোঁড়া (খড়) পুড়িয়ে ফেলা হয়। খড়ে আগুন লাগানো হলে খড়ের অধা-পোড়া ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র অংশ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে হিমালয় পর্বতের পাদদেশে জমা হয় যা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রেও দেখতে পাওয়া যায়। বাতাসে ভাসতে থাকে খুবই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অল্প পোড়া ধান গাছের অংশ, ধূলি কণা, বালু কণা, কিংবা সামুদ্রিক লবণের অংশগুলোকে সমন্বিত ভাবে আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় এরোসল পার্টিকেল বলা হয়ে থাকে। যেহেতু শীতকালে মধ্য ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো ও বাংলাদেশের উপর বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে তাই এরোসল পার্টিকেল দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে ভাসতে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস এর কারণে আকাশে মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল সেই মেঘে অবস্থিত জ্বলিয় বাষ্প দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত বাতাসের প্রভাবে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে গত ৭ দিন ধরে। ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস এর কারণে সৃষ্ট জ্বলিয় বাষ্প বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আকাশে ভাসতে থাকা এরোসল পার্টিকেলে ঘনীভূত হয়ে অধিক পরিমাণ কুয়াশার সৃষ্টি করছে গত ১ সপ্তাহ থেকে। ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস ৯ই ডিসেম্বর স্থল ভাগ অতিক্রম করলেও চলমান কুয়াশার অধিক আরও ৭ দিন অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড় ম্যানদৌস এর পরে আবারও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে আর একটি লঘু চাপ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সম্ভব্য এই লঘুচাপটি কিছুটা শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চেন্নাই বন্দের উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আশাকরি বুঝাতে পেরেছি কেন গত ১ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের উপর বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জেলার উপর কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পরিস্কার।
একদম পানির মতো সহজ করে লিখেছেন। বুঝতে কোনো বেগ পেতে হয়নি।