নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
ছবিতে লাল তীর চিহ্ন মেঘালয় পর্বতের ৩ পাশ থেকে জলিয় বাষ্প প্রবাহের দিক নির্দেশ করতেছে।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি নামক স্হানে সরা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে কেন?
ভারতের মেঘালয় মালভূমি বা মেঘালয় প্লাটিউ বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক আশীর্বাদ বলা চলে। এই মালভূমিটি না থাকলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর বা ভাটি অন্বল থাকতো না। এই মালভূমির ঢাল বয়ে জলিয় বাষ্প উপরে উঠে যায় প্রায় ৩ দিক থেকে (দক্ষিণের হওর এলাকা থেকে, পশ্চিমের তিস্তা ও বক্ষমপুত্র থেকে ও উত্তরের বক্ষমপুত্র থেকে)। সকালে সূর্য উঠার পরে মালভূমির উপরের অংশের বাতাস গরম হয়ে হালকা হয়ে আকাশে উঠে যায় ফলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন স্থানে বায়ু শূন্যটা সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি যেহেতু শূন্য স্থান পছন্দ করে না তাই আশ-পাশের বায়ু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে মালভূমির ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন সেই বায়ু শূন্য স্থান দখল করে। এই প্রক্রিয়া সারাদিন চলতে থেকে ও মেঘালয় পর্বতের উপর মেঘের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যখন মেঘ জলিয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায় তখন তা বৃষ্টি আকারে ভূমিতে পতিত হয়। মেঘালয় পর্বতের উপর জলিয় বাষ্পের এই সরবরাহ প্রায় সারাবছর চালু থাকে যেহেতু সিলেটের হওয় এলাকায় বছরের প্রায় ৮-৯ মাসই পানিতে ঢবে থাকে ও তিস্তা ও বক্ষমপুত্র নদীতেও পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকে। ঠিক এই কারণে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে সরা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জুলভার্ন ভাই মন্তব্যের জন্য।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
জ্যাকেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। জানলাম।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একেবারেই অজানা ছিল চেরাপুঞ্জির অতিবৃষ্টির কারণটি। এমন চমৎকার একটি তথ্যের পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট! +