নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তিশালী মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আবারও প্রবেশ করা শুরু করেছে। এই মৌসুমি বায়ুর প্রবাহে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে গত ২/৩ দিন থেকে। আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেলগুলোর সর্বশেষ পূর্বাভাষ অনুসারে আজ সোমবার থেকে আগামী সোমবার দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশের রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলটে, ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার জেলায় ও আসাম ও মেঘালয় রাজ্য স্থান ভেদে ২০০ থেকে ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট জেলা ও শ্চিম বঙ্গের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার জেলায়। সম্ভব্য এই বৃষ্টির পানির পুরোটাই তিস্তা ও বক্ষমপুত্র নদীর মাধ্যমে যমুনা নদিতে প্রবাহিত হবে। ফলে এই ৩ টি নদীর উপকূল বর্তী জেলাগুলোতে ও সিলেট বিভাগের হাওর এলাকায় বন্যা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আগস্ট মাসের ১৬ তারিখের পর থেকে।
ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষের সাথে-সাথে ভারি বৃষ্টির জন্য দায়ী আবহাওয়া বিজ্ঞানের কারণটিও জেনে নেই এই সুযোগে : আমি পূর্বে আমার বাংলা ভাষার আবহাওয়া বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ক ৭ম পর্বে ব্যাখ্যা করেছি ভারতীয় উপমহাদেশের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সাথে Madden–Julian oscillation (MJO) বা সংক্ষেপে এমজেও চক্রটির সম্পর্ক থাকার কথা। আজ বা আগামী কালকের মধ্যে এমজেও চক্রটি ২ নম্বর দশায় পৌঁছাবে ও আগামী ৭ দিন প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হতে থাকবে ও আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত শক্তিশালী হবে। আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ থেকে এমজেও চক্রটি শক্তি হারাতে থাকলেও ও পরবর্তী ৭ দিনও একই দশায় অবস্থান করার কথা নির্দেশ করতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল।
সংযুক্ত ছবির ব্যাখ্যা:
প্রথম ২ টি ছবি হলও আমেরিকার ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মডেল অনুসারে আগামী ১৬ তারিখ বিকেল ৬ টা পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত চিত্র
। মানচিত্রে বিভিন্ন রং বিভিন্ন পরিমাণ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্দেশ করতেছে।
দ্বিতীয় ২ টি ছবির হলও মৌলিক বিজ্ঞান বিষয়ক মডেল ও পরিসংখ্যান ভিত্তিক মডেল অনুসারে আগামী ২ সপ্তাহ Madden–Julian oscillation (MJO) বা সংক্ষেপে এমজেও চক্রটির অবস্থান ও শক্তি নির্দেশ করতেছে।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০১
জুন বলেছেন: হোক বৃষ্টি আমি বৃষ্টি ভালোবাসি পলাশ বাট বন্যা না হলেই হলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অতীব দরকারি পোস্ট।
বিলম্বিত বন্যা বেশি ক্ষতি বা ধ্বংস সাধন করে। বিশেষ করে কৃষিতে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফসল রূপন করার সময় বন্যা হলে জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা থাকে। ফলে খাদশস্য উৎপাদন বিঘ্নিত হয় ব্যপক ভাবে। আর ধানোর রোয়া বপন করার পরে বন্যা হলে সব পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।