নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
************* সবাই মিলে পথে নেমে পড়ি; ঢাকা শহরকে মশার উৎপাত মুক্ত করি ********************
প্রত্যেক দেশে বা সমাজে কিছু-কিছু সমস্যা আছে যেগুলো পৃথিবীর কোন সরকার বা বাহিনীর পক্ষে একাই সমাধান করা সম্ভব হয় না। ঢাকা শহরের মশা সমস্যা তেমনি একটি।
"মশা সমস্যা সমাধানে ঢাকার সিটি মেয়রদ্বয়ের ব্যর্থতা ও দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি; সমস্যা সমাধানে সরকারের জন্য একটি প্রস্তাবনা " শিরোনামে একটি ব্লগ লিখেছিলাম ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। মশা নিধনের সে প্রস্তাবনাটি আবারও তুলে ধরলাম।
ঢাকা শহরে প্রতিবছর বর্ষার সময় যেভাবে ম্যালেরিয়া, ডেংগি ও এবছরের থেকে যোগ হওয়া চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে বা কষ্ট ভোগ করতেছে তাতে করে সময় এসেছে ১লা বৈশাখ বা একুশে ফেব্রুয়ারির মতো বছরের একটি দিনকে জাতীয় মশক নিধন দিবস ঘোষণা করার।
নির্দিষ্ট করে এই দুইটি দিবসের কথা বলার কারণ হলো এই দুইটি দিন দল-মত-বয়স ভেদে দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ পালন করে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় বাসা থেকে বের হয়ে অংশ গ্রহণ করে। মশক নিধন দিবসে একই ভাবে সবাই ঢাকা শহর পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করবে। বাবা-মায়ের নেতৃত্বে সন্তানরা, অফিসের বসের নেতৃত্বে কর্মীরা, স্কুল-কলজের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীরা, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে সৈনিকরা ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী-এমপিরা।
১লা বৈশাখের উৎসবটি যেমন করে সার্বজনীন হয়ে উঠেছে তেমনি করে মশক নিধন দিবসটিকে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করতে হবে। ডেঙ্গু রোগের পোষক মশা কামড়ানোর সময় কে রিকশাওয়ালা, কে পুলিশের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তার স্ত্রীর তা দেখে কামড়ায় না। তাই দল-মত, সরকারি কর্মকর্তার পদমর্যাদা ভুলে গিয়ে সকল মানুষকে মশক নিধন দিবসে মাঠে নামে নিজ হাতে মশক নিধনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। এই দিবসটি যেন সরকারি কর্মকর্তাদের র্যালির সামনে ব্যানার ধরে শো-অফ করা কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সম্মেলন কক্ষের তাওয়ালা দেওয়া চেয়ারে বসে আলোচনা সভায় সীমাবদ্ধ না থাকে যে কাজগুলো বাংলাদেশের বেশিভাগ আমলারাই করে থাকেন।
ছবি: উজবেকিস্তানের স্কুল ছাত্রীরা মাঠে তুলা আহরণ করছেন (ছবি সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস)
মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হলও তুলা যেমনটি ছিলও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পাট ১৯৭০-১৯৮০ দশকে। বিশ্বে অনেক দেশে প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণীদের সামরিক ট্রেনিং নেওয়া বা সামরিক বাহিনীতে নির্দিষ্ট সময় চাকুরী করা বাধ্যতামূলক। উজবেকিস্তানে তেমনি একটা আইন আছে তবে সেটা হলও তুলা আহরণে স্বেচ্ছা শ্রম দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর তুলা আহরণের সময় সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে (স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কেউই ঐ আইনের ব্যতিক্রম না) মাঠে গিয়ে তুলা আহরণ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কেউ তুলা আহরণের কাজ করতে না চাইলে ঐ সময়ের জন্য সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাইনে দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে, যারা তার পক্ষে তুলা আহরণ করবে।
In Uzbekistan, the Practice of Forced Labor Lives On During the Cotton Harvest
Every year the government of Uzbekistan forcibly mobilizes over a million citizens to grow and harvest cotton
ঢাকা শহরের মানুষকে মশা বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও এবছরের নতুন প্রাদুর্ভাব ডেংগি থেকে রক্ষা করতে চাইলে উজবেকিস্তানের তুলা আহরণের মতো বাধ্যতামূলক আইন করার জন্য সরকারকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
************* সবাই মিলে পথে নেমে পড়ি; ঢাকা শহরকে মশার উৎপাত মুক্ত করি ********************
০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনি দারুন একটি মন্তব্য করেছেন। আপনার প্রস্তাবনার সাথে পুরোপুরি একমত। এই রকম একটি বাধ্যবাধকতা থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা শৈশবেই দেশপ্রেম ও সামাজিক দয়িত্বকর্তব্যে সচেতন হবে বলে মনে করি। আপনাকে ধণ্যবাদ প্রস্তাবনাটির জন্য।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: পথে চলতে বহুদিন আমি কোন মানুষের মুখে হাসি দেখি না.....
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:২৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ঢাকার মেয়রের মাশি; কেঁড়ে নিয়েছে ঢাকাবাসির হাঁসি
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
ক্লে ডল বলেছেন: দারুণ আইডিয়া! ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ। এমন দারুণ একটি প্রস্তাব সামনে আনার জন্য।
ভাবুকলালও চমৎকার প্রস্তাব রেখেছেন। আমাদের স্কুল কলেজগুলোতেও স্বেচ্ছাশ্রম বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। কর্মমুখী এবং দায়িত্বশীল মানুষ গড়তে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:২৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সহ তের জন্য। ঢাকার মশা সমস্যা দুই মেয়র কিংবা সরকারের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব না।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উত্তম প্রস্তাবনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:২৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ সেলিম ভাই; আশাকরি এখনও ডেংগি, চিকনগুনিয়া কিংবা ম্যালেরিয়া মুক্ত রয়েছেন।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সার্বজনীনতার রাস্তা যে স্বৈরাচারিতা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে!!!
ফলে মানুষের আস্থার জায়গাটা হারিয়ে গেছে!
ঢাকলেও সহসা সাড়া দেবে সেই ভরসার জায়গাটা তৈরীর কোন চেষ্টাও নাই।
ফলে চাচা আপনা প্রাণ বাঁচা হালে স্ব-দেশ!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪৭
ভাবুকলাল বলেছেন: ধন্যবাদ একদম সময়োপযোগী লেখনী উপহার দেয়ার জন্য , প্রতিটি স্কুলে উন্নত দেশের মত আবশ্যিক ভলান্টারি আওয়ার এর বিধান রাখা যেতে পারে , যার মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী গণ বাধ্যতা মূলক ভাবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য কাজ করবে নির্দিষ্ট ধরুন ১০০ কর্ম ঘন্টা যা তাদের ক্রেডিট ও গ্রেডে সংযুক্ত হব।