নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় FANI এর সর্বশেষ আপডেট (শুক্রবার দুপুর ৩ টা)
ঘূর্ণিঝড় FANI এর প্রভাবে দেশের কোন এলাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হবে? কখন সর্বোচ্চ বৃষ্টি হবে? বাতাসের গতিবেগ কেমন হবে?
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর বানানো আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল (The European Centre for Medium-Range Weather Forecasts) অনুসারে রংপুরে সর্বোচ্চ পরিমান বৃষ্টি হবে ও তা হবে শনিবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। এছাড়া নওগা সকাল ৮-১১ টা; বগুড়া সকাল ৯-১২টায় সর্বোচ্চ পরিমান বৃষ্টি হবে।
আমেরিকার তৈরি একটি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল (The Global Forecast System (GFS) অনুসারে রংপুর, বগুড়া ও নওগায় সর্বোচ্চ পরিমান বৃষ্টি হবে ও তা হবে শনিবার সকাল ৮ টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত।
এই দুইটি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল অনুসারে ঐ সকল জেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় FANI এর সর্বশেষ আপডেট (শুক্রবার দুপুর ১২ টা)
জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হতে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড় ফণী এর কেন্দ্র ইতিমধ্যে ভারতের পুরি শহরের স্থলে ভাগ অতিক্রম করে স্থল ভাগে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ফণী এর ল্যান্জা স্থাল ভাগ অতিক্রম করছে। আগামী ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরো ঘূর্ণিঝড়টি স্থল ভাগে প্রবেশ করবে।
মোটরসাইকেল চালাতে গেলে যেমন পেট্রল দরকার তেমনি ঘূর্ণিঝড় উৎপত্তি স্থল থেকে সামনে এগোতে দরকার মেঘ। বঙ্গোপসাগরে পানি বাষ্পীভবনের ফলে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে সেই সময় মেঘের মধ্যে এক প্রকার তাপ ত্যাগ করে যে তাপকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সুপ্ত তাপ বা Latent Heat। সহজ ভাষায় বলা যায় যত বেশি পরিমাণ মেঘ সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়টি তত বেশি পরিমাণ শক্তিশালী হতে থাকে। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়টির বেশিভাগ অংশ ইতিমধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ও অবশিষ্ট অংশ আগামী ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থল ভাগে প্রবেশ করবে তাই পানির বাষ্পীভবনের ফলে মেঘের সৃষ্টি হবে না ফলে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হতে শুর করবে ও ইতিমধ্যেই শরু করেছে। অর্থাৎ, ঘূর্ণিঝড় এর বায়ুর গতিবেগ কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টির বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার এর কিছু বেশি যা আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে আরও কমে যাবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সম্ভব্য গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার।
সর্বশেষ পূর্বাভাষেও ৩ টি মডেলই নির্দেশ করতেছে যে ঘূর্ণিঝড় "ফণী" এর কেন্দ্র ঠিক রাজশাহী বিভাগের জেলা গুলোর মাঝা-মাঝি এলাকার উপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সুতরাং HIGH CONFIDENCE নিয়ে বলা যাচ্ছে নির্দেশিত পথে ঘূর্ণিঝড় স্থল ভাগ অতিক্রম করবে।বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় FANI এর প্রভাব ভালো করে পরতে শুরু করবে বিকেলের পর থেকে যখন ঘূর্ণিঝড় FANI এর বৃত্তাকার পথের শুরু অংশটা বাংলাদেশের বর্ডার অতিক্রম করা শুরু করবে; ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড় FANI এর কেন্দ্র বাংলাদেশের বর্ডারে পৌছবে ।
পূর্বে ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভব্য যে গতিপথ নির্দেশ করেছিলাম এখনও তা অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ,
*************** সম্ভব্য গতিপথ: *****************
কোলকাতা > খুলান বিভাগ ও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলা গুলো > ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর > ভারতের আসাম রাজ্য।
=========================================
বিভিন্ন কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় ফণী এর বর্তমান (৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা পূর্বের) অবস্হান ও সক্রীয়তার ছবি যোগ করা হলো। পূর্বের আপডেটে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ইনফ্রারেড চিত্রের ব্যাখ্যা দিয়েছি আবারও দিলাম পাঠকদের চিত্রগুলো বুঝবার সুবিধার্থে।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত প্রায় প্রতিটি ছবির নিচে লিখা আছে এটি কোন ধরণের (ইনফ্রারেড নাকি ভিজিবল) ছবি। নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোর বেশিভাগই Infrared (IR) satellite imagery (which depicts the temperature of the clouds)।
==========================================================
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় FANI এর সর্বশেষ আপডেট (বৃঃপতিবার রাত ১২ টা)
==========================================================
পূর্বের আপডেটে লিখেছিলাম যে ঘূর্ণিঝড় FANI আবারও ক্যাটেগরি ৪ এর ঘূর্ণিঝড় এ পরিণত হয়েছে। দুঃসংবাদ হলও এই যে এই ক্যাটেগরিতেই ভারতের পুরি সমুদ্র সৈকতের উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ শরু করেছে ঝড়টি। বর্তমানে এই ঝড়ের বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার এর বেশি। ফলে প্রচণ্ড জান ও মালের ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে ভারতের উপকূলীয় এলাকায়। পূর্বের পূর্বাভাষে দেখা যাচ্ছিল যে আগামী কাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড় FANI একটি সাধারণ ঝড় হিসাবে প্রবেশ করার কথা ছিলও যা এখন ক্যাটাগরি ১ ঘূর্ণিঝড় হিসাবে প্রবেশ করার সম্ভাবনা খুবই বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ক্যাটাগরির ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ফলে বাংলাদেশে বোরো ধানের অনেক ক্ষতি আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চলন-বিল এলাকার ধানের অনেক ক্ষতি হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হওয়া শুর হবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল নির্দেশ করতেছে। ঘূর্ণিঝড় ফানি/ফনি এর কেন্দ্র বাংলাদেশের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করবে। ফলে পুরো বাংলাদেশেই বৃষ্টিপাত হবে। পূর্বের নির্দেশিত পথ প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ, ঝড়টি গতিপথ নিম্নরূপ:
সম্ভব্য পথ: কোলকাতা > খুলান বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের জেলা গুলো > ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাই, ময়মনসিংহ, জামালপুর > ভারতের আসাম রাজ্য।
৩ টি ভিন্ন দেশের তৈরি ৩ টি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর প্রায় একই সম্ভব্য পথ নির্দেশ করতেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল গুলো নির্দেশিত ঘূর্ণিঝড়ের পথ এর মধ্যে পার্থক্য অনেক কমে এসেছে। প্রায় ৩ টি মডেলই নির্দেশ করতেছে যে ঘূর্ণিঝড় "ফণী" এর কেন্দ্র ঠিক রাজশাহী বিভাগের জেলা গুলোর মাঝা-মাঝি এলাকার উপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সুতরাং HIGH CONFIDENCE নিয়ে বলা যাচ্ছে নির্দেশিত পথে ঘূর্ণিঝড় স্থল ভাগ অতিক্রম করবে। এখনও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি; যেহেতু ঘূর্ণিঝড় এর বর্তমান অবস্থান করা স্থানের পানির গভীরতা কম তাই ঐ স্থানের পানির তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি। বঙ্গোপসাগর এলাকার একটি সাধারণ মানচিত্র ৪ টি লাইন দেখা যাচ্ছে যা নির্দেশ করতেছে ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভব্য পথ (প্রথম চিত্র)। এই ৪টি পথ কিভাবে পাওয়া গেল তা ব্যাখ্যা নিচে যোগ কর হলো।
১) আমেরিকার তৈরি একটি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল (The Global Forecast System (GFS) ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর সম্ভব্য যে পথ পাওয়া গেছে তা লাল রঙ্গের লাইনটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়েছে।
২) ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর বানানো আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল (The European Centre for Medium-Range Weather Forecasts) ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর সম্ভব্য যে পথ পাওয়া গেছে তা সুবজ রঙ্গের লাইনটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়েছে।
৩) কানাডার তৈরি একটি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল (The Global Environmental Multiscale Model (GEM)) ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর সম্ভব্য যে পথ পাওয়া গেছে তা নীল রঙ্গের লাইনটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়েছে।
উপরোক্ত ৩ টি আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল নির্দেশিত ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর সম্ভব্য পথ এর গড় করে যে পথ পাওয়া গেছে তা কমলা রঙ্গের লাইনটি দিয়ে নির্দেশ করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় FANI আবারও ক্যাটেগরি ৪ এর ঘুর্ণিঝড় এ পরিণত হয়েছে (আজ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত)। এই ক্যাটেগরির ঝড় এর বায়ুর গতিবেক ঘন্টায় ২১০ কিলোমিটার এর বেশি থাকে।
চিত্র: visible satellite imagery
ভাত রান্না করার সময় তাপের কারণে পাতিল হতে যেমন করে পানি বাষ্পায়িত হয়ে উড়ে যায় একই ভাবে বঙ্গোপসাগরের পানি বাষ্পায়িত হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের পানির তাপমাত্রার যে স্থানে সবচেয়ে বেশি সে স্থানের পানি বাষ্পায়িত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। মোটরসাইকেল চালাতে গেলে যেমন পেট্রল দরকার তেমনি ঘূর্ণিঝড় উৎপত্তি স্থল থেকে সামনে এগোতে দরকার মেঘ। বঙ্গোপসাগরে পানি বাষ্পীভবনের ফলে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে সেই সময় মেঘের মধ্যে এক প্রকার তাপ ত্যাগ করে যে তাপকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সুপ্ত তাপ বা Latent Heat। সহজ ভাষায় বলা যায় যত বেশি পরিমাণ মেঘ সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়টি তত বেশি পরিমাণ শক্তিশালী হবে।
এবারে ৩ নম্বর ছবিটিতে দেখুন আকাশে মেঘের অবস্থান কোন স্থানে কেমন? ৩ নম্বর চিত্রটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত visible satellite imagery (a snapshot of what the satellite sees, সোজা বাংলায় বলতে হয় মেক-আপ ছাড়া নাটক-সিনেমার নায়ক-নায়িকারা দেখতে যেমন হয়)।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র ও আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল অনুসারে ঘূর্ণিঝড় "ফণি" খুলনা ও বরিশাল জেলার উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বায়ুর গতিবেগ এখনও (মে ২, বিকেল ৩ টা পর্যন্ত) ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার এর মতো।
স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ভারতের যে উপকূলে প্রথম আঘাত করবে সেই সকল স্হানে ৩০ ফুর এর বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে Joint Typhoon Warning Center (JTWC) এর আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল নির্দেশ করতেছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ফানি/ফনি ভারতের বন্দর নগরি ভিশাখাপত্তন থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিন-পূর্বে সমুদ্রের উপর অবস্হান করছে। ঘূর্ণিঝড় ফানি/ফনি বর্তমানে ঘন্টায় প্রায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর -পুর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ও আজ রাত থেকে ভারতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পুরি সমুদ্র সৈকতের উপর দিয়ে স্হল ভাগে প্রবেশ করতে পারে বর্তমান গতিপথ অব্যহত রাখলে। শুক্রুবার সকাল থেকেই খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হওয়া শুর হবে বলে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল নির্দেশ করতেছে। ঘূর্ণিঝড় ফানি/ফনি এর কেন্দ্র বাংলাদেশের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করবে। ফলে পুরো বাংলাদেশেই বৃষ্টিপাত হবে। কেন্দ্র যদি কিছুটা উত্তর দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বেশি বৃষ্টিপাত হবে; পক্ষেন্তরে কিছুটা দক্ষিন দিক দিয়ে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ দিয়ে প্রবেশ করলে ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রাম বিভাগে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।
ঘুর্নিঝড় ওড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী এলাকা (পুরি সমুদ্র সৈকত) দিয়ে আজ বৃঃহপতিবার সন্ধার পর থেকে স্হল ভাগে প্রবেশ করতে পারে। স্হল ভাগে প্রবেশ করার পরে দূর্বল নিম্নচাপে পরিনত হয়ে আগামী শুক্র ও শনিবার ভারতের পশ্চিম বঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ও নিম্নচাপ কেন্দ্র পুরোটাই বাংলাদেশের উপর দিয়ে অতিক্রম করেবে। সাম্ভব্য পথ: কোলকাতা > খুলান বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের জেলা গুলো > ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাই, ময়মনসিং, জামালপুর > ভারতের আসাম রাজ্য। ঘুর্নিঝড় এর প্রভাবে শুক্রুবার রাত থেকে শুরু করে শনিবার পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হবে বলে আমেরিকান আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল "জিএফএস" নির্দেশ করতেছে।
ঘূর্ণিঝড় "ফণি" আকারে ঠিক কি পরিমাণ বড়?
আপনি অবাক হয়ে যাবেন যে ঘূর্ণিঝড়টির দৈর্ঘ্য ১১০০ কিলোমিটার ও প্রস্থও ১১০০ কিলোমিটার। কক্সবাজার থেকে তেতুলিয়ার দূরত্ব সম্ভবত ৯০০ কিলোমিটার। তাও আবার সরল রৈখিক দূরত্ব না। এইবার ভেবে দেখেন এই ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশের কোন এলাকা প্রভাব মুক্ত হবে কি না? নিচে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ইইউমেটস্যাট ও জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হিমাওয়ারি-৮ হতে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় ফনি এর দুইটি ছবি দেওয়া হলো ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি বোঝানোর জন্য। আপনি নিজেই মিলিয়ে দেখুন ঘূর্ণিঝড়টির আকার। এখানে উল্লেখ্য যে একটি বক্স এর দৈর্ঘ্য ১০ ডিগ্রী ও প্রস্থও ১০ ডিগ্রী। ১ ডিগ্রী = ১১১ কিলোমিটার (প্রায়)।
কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় "ফণি" এর চিত্র ও সহজ ভাষায় তার ব্যাখ্যা
উপরে সংযুক্ত ছবিটিকে বলা হয় Infrared (IR) satellite imagery (which depicts the temperature of the clouds) যা মেঘের তাপমাত্রা ও মেঘের উচ্চতা নির্দেশ করে। মানুষের জ্বর হলে যেমন শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয় থার্মোমিটারের সাহায্যে তেমনি ভাবে মেঘের মাথার তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহে স্থাপিত সেন্সর (এক প্রকার থার্মোমিটার) এর সাহায্যে। ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অবজেক্টকে বুঝার সুবিধার্থে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত visible satellite imagery কে False color দেওয়া হয় বাংলা সিনেমার নায়ক সাকিব খান যেমন লাল লিপিষ্টিক লাগায় ঠোট লাল দেখানোর জন্য (হে হে হে)। মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর উপরে যত বেশি হবে তা যেমন শারীরীক অবস্থার তত অবনতি নির্দেশ করে। বিপরীত-ক্রমে মেঘের চাঁদির তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক হবে সেই মেঘ তত বেশি শক্তিশালী বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। মেঘের চাঁদির তাপমাত্রা দেখে মেঘের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়ে থাকে। বেশি ঋনাত্নক তাপমাত্রা উঁচু মেঘের নির্দেশ করে ও সেই মেঘ থেকে তত বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ডান দিকের স্কেল থেকে মেঘের তাপমাত্রা দেখে নিতে পারেন।
সংযুক্ত চিত্রের কোন রঙ্গ কোন ধরণের মেঘ নির্দেশ করছে তা নিম্নোরুপ: Strong convection is yellow, and overshooting tops are orange and red. Tropical Mid-level Clouds are green. High clouds in mid-latitudes are also green. Warmest clouds are typically purple and dark blue.
আজকে বাংলাদেশের উপকূলে গভীর মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে যা ঘুর্নিঝড় এলাকার সম্পূর্ন বাহিরে অবস্হান করছে। ঘুর্নিঝড় সামনে এগিয়ে এই মেঘের সাথে একত্রিত হলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পরিমান অনেক বেড়ে যেতে পারে।
=====================================================================
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হতে প্রাপ্ত Infrared (IR) satellite চিত্রের ব্যাখ্যা দিলাম উপরে। অনুগ্রপূর্বক মনে রাখার চেষ্টা করবেন যাতে করে এর পর থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত কোন ছবি দিলে বুঝতে কোন সমস্যা না হয়।
=====================================================================
উপরোক্ত ছবিটি বায়ুর গতিবেগ নির্দেশ করতেছে। এই চিত্র থেকে দেখে নিতে পারেন উপকূলীয় কোন এলাকার কত নটিকাল মাইল বেগে আঘাত করতে পারে ( ১ নট = ১ দশমিক ৮৫২ কিলোমিটার বা 1 knot/nautical mile = 1.852 km)।
এই চিত্র থেকে দেখে নিতে পারেন উপকূলীয় কোন এলাকার কত মাইল বেগে আঘাত করতে পারে
উপরের ছবিতে যে বৃত্ত দেখিতেছেন ঐ বৃত্ত গুলোর কেন্দ্র হলো ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্র। ঐ বৃত্ত গুলোর পাশে কাটা-কাটা দাগের মধ্যে যে এলাকা পড়েছে ঐ সকল এলাকার উপর দিয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। প্রতিটি আবহাওয়া মানচিত্রে তারিখ ও সময়ের সাথে ইংরেজি বর্ণ Z অথবা শব্দ GMT/UTC লেখা থাকলে সেই সময়ের সাথে অতিরিক্ত ৬ ঘন্টা যোগ করে নিবে। কারণ Greenwich Mean Time (GMT) অপেক্ষা বাংলাদেশ সময় ৬ ঘন্টা এগিয়ে। অর্থাৎ, যদি আবহাওয়া মানচিত্রে লেখা থাকে 03/12z তবে সেই সময় হবে বাংলাদেশ সময় মে মাসের বিকেল ৬ টা ও 03/00Z লেখা থাকে তবে সেই সময় হবে বাংলাদেশ সময় মে মাসের সকাল ৬ টা । ঐ সময়গুলো ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্রের অবস্থান নির্দেশ করে।
খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসনকে বলুন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে।
গত ৩০০ বছরে ইতিহাসে পৃথিবীতে যে ১০ ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে তার মধ্যে ৮ টি সংগঠিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এই ৮ টির মধ্যে ২টি সংগঠিত হয়েছে গত ৩০ বছরে।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়টির কথা (এপ্রিল ২৯) নিশ্চয় বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় নি এখনও । যে ঘূর্ণিঝড়টির কারণে প্রায় ২ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এছাড়াও ২০০৮ সালে মায়ানমারে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড়র নার্গিস আঘাত করেছে মে মাসের ৫ তারিখে যার কারণে প্রায় দের লাখ মানুষ মারা যায়।
কৃতজ্ঞতা:
১) আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান Joint Typhoon Warning Center (JTWC))
২) Cooperative Institute for Meteorological Satellite Studies, Space Science and Engineering Center, University of Wisconsin-Madison)
============
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
============
সারা বিশ্বের কয়েক ডজন কৃত্রিম উপগ্রহ (লোয়ার ওরবিটিং স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২০০ -২০০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত ও জিয়োস্টেশনারি স্যাটেলাইট: ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬,০০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত) এর কল্যাণে রিয়েল টাইম নির্ণয় করা যায় সারা বিশ্বের কোন সাগর বা মাহা সগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে কি না; সেই নিম্নচাপ কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছে তার চিত্র পাওয়া যায় প্রতি ১৫ মিনিট পর-পর। এই সকল উপগ্রহ চিত্র পুরোটাই বিনে পয়সায় পাওয়া যায়। শুধুমাত্র কম্পিউটারের মনিটরে চোখ রাখতে হয় ঐ ওয়েবসাইট খুলে। বাংলাদেশের নিজেরও একাধিক আবহাওয়া রাডার আছে যেগুলো থেকে রিয়েল টাইম চিত্র পাওয়া যায় কোন এলাকায় কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে; আকাশে মেঘের পরিমাণ কতটুকু।
============================================================================
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে পরিচিত হউন ২ ডজন ওয়েবসাইট এর সাথে
============================================================================
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে পরিচিত হউন ২ ডজন ওয়েবসাইট এর সাথে
আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল হতে প্রাপ্ত তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ঘূর্ণিঝড় এর রিয়েল টাইম চিত্র বুঝা যায় না ঐ তথ্য থেকে। কারণ আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল গুলো ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা পর-পর রান করা হয় নতুন-নতুন বাউন্ডারি কন্ডিশন দিয়ে। পূর্ব-নির্দেশিত পূর্বাভাষের ত্রুটি সংশোধন করে করা হয় পরবর্তী পূর্বাভাষের পূর্বে। ফলে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেলগুলোর পূর্বাভাষে কিছুটা ত্রুটি থাকে সব-সময়ই যা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে থাকে না বলেই চলে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের রিয়েল টাইম চিত্র বুঝার জন্য আবহাওয়া পদার্থবিদরা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ হতে প্রাপ্ত চিত্র এর উপর নির্ভর করে আর অনেক পূর্ব থেকে ঘূর্ণিঝড় সম্বন্ধে সতর্ক করার জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল ব্যবহার করে থাকে।
০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভালো কাজ করে
২| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: থ্যাংস
৩| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধন্যবাদ.... পড়লাম। পুরোটা। অনেক কিছু বুঝিনি, আবার অনেক কিছুই বুঝেছি।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।
৪| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কম হোক, প্রাণহানি না হোক এটাই প্রার্থনা।
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তথ্যের সহজলভ্যতা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যহার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছে সারা পৃথিবীতে। বাংলাদেশও ব্যাতিক্রম না। ফলে প্রানহানী কম হয়েছে; যা ক্ষতি তার হয়েছে কৃষকের ফসলহানী।
৫| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫
বাংলার মেলা বলেছেন: তথ্যগত ভুল ধরিয়ে না দিলেই নয়। নাম ধারণ করার পরে যতগুলো ঘুর্ণিঝড় এসেছে, সেগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে নার্গিস ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ - প্রচন্ডতা এবং ক্ষয়ক্ষতি উভয় দিক থেকেই। কিন্তু সে ক্ষতি বাংলাদেশে খুব একটা হয়নি। বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এরকম ঘুর্ণিঝড়ের র্যাঙ্কিং করলে আসবে
১। স্বাধীনতা ১৯৭০ - মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ।
২। গণতন্ত্র ১৯৯১ - মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ।
৩। আইলা ২০০৯ - মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার
৪। সিডর ২০০৭ - মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।
তবে আশার কথা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে এদেশ বড়সড় যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকে। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭১-১৯৭৫ - ৫ বছর, ১৯৯৬-২০০১ - ৫ বছর এবং ২০০৯ থেকে ২০১৯ঃ এখন পর্যন্ত আমরা কোন বড় ঝড় বা বন্যার কথা শুনিনি। ১৯৭৮, ১৯৮৮, ১৯৯৮ এবং ২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালে দেশে প্রয়ংকারী বন্যা হবার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে তাও হয়নি।
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
শেয়ার বাজারের কারণে লাখ-লাখ পরিবার চিরতেরে পথে বসে যাওয়া; রানা প্লাজার কারণে ১৩০০ মৃত্যু ও কেয়েক হাজার চিরতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া কৃতিত্বতার কথা মনে হয় ভুলে গেছেন তাই মনে করে দিলাম।
৬| ০২ রা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্ট স্টিকি করায় ধন্যবাদ জাদিদ ভাইকেও।
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানের জন্য নৌমন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সচিবালয়স্থ নৌমন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম নম্বর হলো ৮০১/ক এবং এর টেলিফোন নম্বর ০২-৯৫৪৬০৭২।
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ মাফ করুক।
প্রকিতির খেলা খুবই ভয়াবহ।
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি https://windy.com এই সাইট থেকে আবহাওয়ার খবর নিচ্ছি। এখানে সব লাইভ দেখাচ্ছে।
০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১:০১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
অনেক ভালো সাইট। আমিও অনেক সময় ব্যবহার করি দৈনন্দিন আবহাওয়া দেখার জন্য।
১০| ০৩ রা মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক এবং সময়োপযোগী পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে | ক্ষয়ক্ষতি কম হোক এটাই প্রার্থনা।
কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে এদেশ বড়সড় যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকে এধরণের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন্তব্যও দেখতে পাচ্ছি ব্লগে!!!
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ গ্রেট পোষ্ট !
অনেক অনেক ধন্যবাদ
১২| ০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:১০
রাফা বলেছেন: ফানি বা ফনি কোনটাই না "ফণী" বাংলাদেশে আঘাত হানবে শুক্রবার রাতের দিকে।এবং ততক্ষনে এটা দুর্বল হয়ে পড়বে।বাংলাদেশে এটার প্রভাব পরবেইনা বলা যায়।বরং আইলা এর চাইতে ভয়ংকর ছিলো বাংলাদেশের জন্য।
০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমি জানিনা আপনার বাবার পেশা কি? তবে কৃষক বাবার সন্তান হিসাবে আমি আমার কৃষক বাবার মুখটা কল্পনা করতে পারি যখন আর ১-২ সপ্তাহ পরেই ক্ষেতের পাকা বোরো ধান ঘরে তুলার অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমান পূর্বাভাষ অনুসারে ঘর্নিঝড় ঘন্টায় সর্বনিম্ন ৮০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে সাথে ভারি বৃষ্টি। ঘর্নিঝড়ের কেন্দ্রে ঠিক চলনবিল এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। চলনবিল এলাকার মানুষদের প্রধান ফসল হলো বরো ধান যা বর্তমানে কাটার অপেক্ষায় রয়েছে। বোরো ধানের জমিতে সবসময় পানি থাকে যেহেতু এই ধানটা কৃত্রিম সেচ নির্ভর। ফলে ঘর্নিঝড়ের বাতাসের ফলে যদি ধানগাছ মাটিতে পড়ে যায় তবে ঐ ধানের উৎপাদন প্রায় ২০-৫০% কমে যাবে।
ঘর্নিঝড় ফণী এর ফলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতিই হবে না এই মন্তব্য পড়ে একটু বিতর্কীত উদাহারণ দিতে হলো যার জন্য পূর্বেরই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
কোন-কোন মানুষ পুরুষ কর্তৃক ধর্ষন হওয়া নারীকে ধর্ষিতা মনে করে না তাদের কাছের ধর্ষন মানে হলো এক জনের অধিক নরপশু কর্তৃক ধর্ষিত হওয়া। একই ভাবে আপনাদের মতো কিছু মানুষের কাছে ক্ষতি বলতে বুঝায় হাজার মানুষের প্রাণহানী। কৃষকের পাকা ধানের ক্ষতিকে ক্ষতি মনে করেন না।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটি নজরদারীতে রইল।
১৪| ০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
মেমননীয় বলেছেন: আল্লাহ মাফ করুক,
আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুক।
জ্বনাব, আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোন ছবি পাঠায়নি?
০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ব্লগার রাফার কাছে পাঠাইতে পারে; অনুগ্রহপূর্বক উনাকে জিজ্ঞসা করুন।
১৫| ০৩ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: এই ঘুর্ণিঝড় আম ও ইরি ধানের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে আমাদের উত্তরবঙ্গে মনে হচ্ছে। এমনিতেই গতবছর আম ও আমন ধানের দাম পায় নি। এবার যদি ইরিতেও এই অবস্থা হয়.........। আবার শুনতেছি ইরি ধানের দামও নাকি অসম্ভব কম। কৃষকের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা!!!!
০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
৫৩ হাজার একর জমিতে ফসলহানি ঘটিয়েছে ফণী , সুত্র: দৈনিক ডেইলিস্টার পত্রিকা, ৫ই মে, ২০১৯
১৬| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৫০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।
১৭| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১১:২২
রাফা বলেছেন: মানুষের জিবনের মূল্য যেহেতু আমাদের কাছে অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ তার ধার কাছেও মনে করিনা আমরা অন্য ক্ষতিকে।চরিত্র হরণ হইলে যেমন চরিত্র ফিরে আসেনা জিবনও ঠিক তেমনি। জমিদারদের কাছে যেমন জমিদারি চলে গেলে মনে হয় সব কিছু চলে গেল।কিছু মানুষের কাছে আর্থিক ক্ষতিটাই তাদের কাছে জিবন চলে যাওয়ার মত আরকি।
যে যেমন মানসিকতার মানুষ তার মনে সেটাই উদিত হয়।এতে এখন আর আশ্চার্যান্বিত হইনা।
আপনাদের জন্য স্বরণ করিয়ে দেওয়াটাখুব জরুরী বটমলেস বাস্কেট থেকে আজকের অবস্থায় এনেছি আমরাই বাংলাদেশকে।আপনাদের মানসিকতা থাকলে এখনও ভিক্ষুকের জাতি হিসেবেই পরিচয়টা থাক‘তো আমাদের।
বাধ্য করলেন অপ্রাসাঙ্গীক মন্তব্য করতে । একবার মনে করেছিলাম কুকুর কামড় দিবে সেটা ওর স্বভাব তাই উত্তর না দেই।
কিন্তু পরে মনে হলো যথযথ মুগুরের বিকল্প নেই কারো কারো বেলায়।
ধন্যবাদ ,স্বরুপ প্রকাশে।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই সমৃদ্ধ পোষ্ট।
সচেতনতামূলক।পরামর্শ এবং গাইডলাইন সমেত।
+++++++
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Windy app কি আসলেই কাজ করে?