নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রংপুর, সিলেট, ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী ২ সপ্তাহে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩


ঈদের পূর্বের দিন রোনালদোর হ্যাট্রিক ধামাকা > ঈদের দিন মেসির প্যনালটি মিস ধামাকা > ঈদের পরের দিন নেইমারের চুল ধামাকা (আর্জেন্টিনা সমর্থকরা বলে ব্যাটায় নাকি কেকাপার ডেকো নুড়ুসের আচারের রেসিপি দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া ঐ স্টাইলে চুল কাটিয়াছেন) > তার পরের দিন মহাফুজুর রহমানের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা ধামাকা > এর পরের দিন মোস্তফা কামাল পলাশের আগামী ২ সপ্তাহের অতি-বৃষ্টি পূর্বাভাষ ধামাকা উপভোগ করেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ভাই-ব্রাদাররা।



১) জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ও ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে (বিশেষ করে শিলং এ) ভারি বৃষ্টি শুরু হবে। জুনের ২৪ ও ২৫ তারিখ খুবই ভারি বৃষ্টি হবে পাহাড়ি অঞ্চলে ফলে সিলেট বিভাগে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে ও পানি হাওড় অঞ্চলে চলে আসলেই।

২) ২৩ ও ২৪ শে জুন রংপুর বিভাগের জেলা গুলোতে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩) ২৪ ও ২৫ শে জুন বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রক্ষমপুত্র অববাহিকায় ভারতীয় অংশে জুনে মাসের ২৩ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে দয়ার সাগর দাদা বাবুরা তিস্তার উজানে অবস্থিত গজল-ডোবা বাঁধের দরজা গুলা খুলিয়া দিতে বাধ্য হইবে বলিয়া সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে যার ফলে তিস্তা ও যমুনার চর অঞ্চলে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে।

৪) এর পর শুনাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষদের জন্য কি ধামাকা অপেক্ষা করতেছে?

ঈদের পূর্বের দিন যেমন রোনালদোর হ্যাট্রিক ধামাকা দেখেছেন তেমনি জুন মাসের ২৫,২৬ ও ২৭ এবং জুলাই এর ৩,৪, ও ৫ তারিখে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষরা ভারি বৃষ্টির হ্যাট্রিক ধামাকা দেখিবেন বলিয়া আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল মহাশয় ভবিষ্যৎবানী করিতেছেন। কক্সবাজার জেলার মানুষরা ডাবল-হ্যাট্রিকও দেখিতে পাইবে বলিয়া নির্দেশ করিতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল।

৫) দেশের অন্য এলাকার ইলিশ-খিচুরি প্রিয় মানুষদের মন খারাপ করিবার কোন কারণ নাই। জুন মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখ সারা দেশ ব্যাপী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলিতেছে আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল মহাশয়।



পুরো বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও তাপমাত্রার বিচ্যুতির মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে যে সবচেয়ে গরম পানির অবস্থান চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মায়ানমারের উপকূল অঞ্চলে। যে কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ধামাকা হইলো যে এই বর্ষা মৌসুমের পুরো সময়ে একাধিকবার ভারি বৃষ্টির সম্মুখীন হইবেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল নির্দেশ করতেছে। ফলে চট্টগ্রাম শহরের অধিবাসীরা যারা এখনও নৌকার উপর ভরসা করিতে পারিতেছেন না তারা এইবার নাকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়া নৌকার উপর ভরসা করিতে পারেন।



আশা করছি রংপুর, সিলেট, ও চট্টগ্রাম বিভাগের মানুষরা আগামী ২ সপ্তাহ রোনালদো-মেসি-নেইমারের বিশ্বকাপ ধামাকার সাথে ফ্রিতে বৃষ্টি ধামাকাও উপভোগ করিবেন মহাফুজুর রহমানের একক সংগীত সন্ধ্যার মতো।

পোষ্টে ৪ টা মানচিত্র যোগ করা হলও: প্রথমটি জুনের ২৬ তারিখ পর্যন্ত সরাদেশ ব্যাপী সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ; দ্বিতীয়টি জুলাই মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত সরাদেশ ব্যাপী সম্ভব্য মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও তৃতীয়টি বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও চতুর্থটি বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতির মানচিত্র। মানচিত্রের সাথে সংযুক্ত স্কেল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির তাপমাত্রা নির্দেশ করতেছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ পোষ্টের ছবিগুলো ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করলে তথ্যসূত্র উল্লেখ করিয়েন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এতা দেখি ভয়াবহ অবস্থা। এমন বৈরি আবহাওয় আসিতেছে সামনে। ব্রজিলের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড ট্রাপের মতই কঠিন। গতকালরাতে প্রচন্ড গরমে গা ভিজে গেছে ঘামে।

সুন্দর পোস্ট ।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
সরকার আগে থেকে সব ব্যস্থা নিয়ে রেখেছে।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আল্লাহ রহম করুন কারো কোন যেনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকার অবস্থা কি হবে?

৫| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পাহাড়ি এলাকায় বূমি ধ্বসের আশংকা অনেক বেড়ে গেল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.