নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
১ নম্বর ছবি
আবহাওয়া পূর্বাভাষে দখতে পাচ্ছি আগামী ১৪ ই জুন দুপুর পর্যন্ত পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে ও প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে এই সময়ের মধ্যে (প্রথম ছবি (১ নম্বর ছবির ডান দিকের স্কেল বার নির্দেশ করতেছে কোন এালাকায় কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে))। উপরের ১ নম্বর ছবিতে স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে কক্সবাজার জেলায় খুবই ভারি বৃষ্টি হবে। নিচের ২ নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে গত ৭ দিনে দেশের কোন এলাকায় কি পরিমান বৃষ্টি হয়েছে।
২ নম্বর ছবি
সংযুক্ত ২ নম্বর ছবিতে (বাম দিক থেকে) দেখা যাচ্ছে মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রায় উলম্ব ভাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার দিকে প্রবাহিত হচ্ছে যা বঙ্গোপসাগর থেকে জ্বলিয় বাষ্প বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঐ জ্বলিয় বাষ্প পাহাড়ে বাধা পেয়ে আকাশের দিকে উঠে ঘন মেঘ তৈরি করতেছে। ৩ নম্বর ছবিটি বর্তমানে পৃথিবী পৃষ্ঠের বৃষ্টিপাত পরিমাপের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা এর জিপিএম নামক ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত গত ৭ দিনের বৃষ্টিপাতের মানচিত্র।
৩ নম্বর ছবি
আমরা সকলেই জানি অতিবৃষ্টি ভূমিধ্বসের অন্যতম প্রধান কারণ। সংযুক্ত ৪ নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভূমিধ্বসের জন্য কোন এলাকা কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তার মানচিত্র। ৪ নম্বর চিত্রে গোলাকার বৃত্ত চিহ্নিত এলাকা গুলো ভূমিধ্বস ঝুঁকিপূর্ণ। বৃত্তের ভিতরে লাল রঙের গাড়ত্ব নির্দেশ করতেছে কোন এলাকা কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ। যত বেশি লাল তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ঐ এলাকা ভূমিধ্বসের জন্য। পূর্বাভাষ করা হচ্ছে আগামী ৩ দিনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় আরও অনেক ভূমিধ্বস হতে পারে ও তার ফলে অনেক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
৪ নম্বর ছবি
ঘুম থেকে উঠে দেখি ভারি বর্ষণের কারণে কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধ্বসের কারণে ১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও অন্য এলাকায় ১০ জন মারা গেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।
বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট এমনকি হাসপাতালেও পানি ঢুকে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
কয়েক মাস পূর্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় কেটে যেভাবে ঘর বানানো হয়েছে তার নিম্নোক্ত ছবিটি দিয়ে মন্তব্য করেছিলাম যে "আগামী বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই সকল ঘরের টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে। ভূমি ধ্বসের কারণে অনেক মৃত্যু হবে।"
৫ নম্বর ছবি
নিম্নে কমেন্ট বক্সে ২ টা ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হলও যে সাইট হতে চলমান বৃষ্টিপাত, বন্যায় আক্রান্ত এলাকা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বস এর সম্ভাবনা আছে এমন এলাকার মানচিত্র পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইট গুলো আমেরিকার National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) কর্তৃক পরিচালিত। ২ নম্বর নম্বর লিংকে দেওয়া ওয়েবসাইট হতে প্রায় রিয়েল টাইম ভূমিধ্বস পূর্বাভাষ পাওয়া যায়।
১)The Tropical Rainfall Measuring Mission (TRMM) এর Current Heavy Rain, Flood and Landslide Estimates
৬ নম্বর ছবি
২) রিয়েল টাইম ভূমিধ্বস পূর্বাভাষ: Near Real Time Landslide Potential in Google Earth
৭ নম্বর ছবি
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ রাজীব ভাই। দূর্যোগ থেকে দূর্গত মানুষরা নিরাপদ থাকুক আমিও সেই প্রার্থনাই করি।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৬
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ম্যালথাসের তত্ত্ব অনুসারে, কোনো স্থানের জনসংখ্যা খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে বেশি হলে প্রকৃতি নানা ভাবে জনসংখ্যার অতিরিক্ত অংশকে নির্মূল করে। ম্যালথাসের এই তত্ত্বের প্রয়োগ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে কোথাও কোথাও এর কার্যকারিত দেখা যায়। হতে পারে সেটা কাকতালীয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতও সেরকম একটা কাকতালীয় ব্যাপার হতে পারে। তবে মানুষের স্থান সবার উর্ধ্বে। আমরা দোয়া করি রোহিঙ্গা মুসলমানরা যেন ভালোয় ভালোয় এই দুর্যোগ থেকে উত্তরণ পেতে পারে।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ম্যালথাসের তত্ত্ব অনেকাংশেই সত্য হিসাবে পরিগনিত হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর জনসংখ্যা সকল স্হানে একই ভাবে বাড়তেছে না; কোন কোন দেশে কমতেছে ও ভবিষ্যতে অনেক দেশেই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায়। যদিও ২০৫০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশের জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসতেছে প্রায় প্রত্যেক দেশেই। যেমন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার গত ৩০ বছর ধরে কেমন করে কমে গেল। আশা করছি পৃথিবীর মানুষ আরও সচেতন হবে প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে।
আপনাকে ধন্যবাদ চিন্তিত মতামতের জন্য।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম । কক্সবাজারে পাহাড় কাটার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলনা । এখন পুরো এলাকা দূর্যোগপ্রবণ এলাকা হয়ে ওঠলো। দেশের মানুষের ঝুকি বেড়ে গেল ।এবার বোধ হয় বেশি বৃষ্টি হবে ।ভয় আরও বেড়ে গেলো ।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্য সঠিক সেলিম ভাই। কক্সবাজারে পাহাড় কেটে রোহিঙ্গা পুর্নবাসন খুবই ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু পাহাড় না কেটে কোথায় জায়গা দিবেন ৮ লাখ মানুষকে? আবার একবার সে পাহাড় কাটা হলো তা আর কোন দিনও পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না। যাই হউক, আপনার এই মন্তব্যও সঠিক যে ২০১৮ সালে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। আমি এই বিষয়ে একটা বিশেষজ্ঞ লেখা লিখে একটা পত্রিকা অফিসে পাঠিয়েছি। অপেক্ষায় আছি প্রকাশের জন্য। লেখা প্রকাশ হলে আপনাকে জানাবো।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৪০
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: এটা তো আরো বড় দুর্যোগ।
প্রশাসনকে সতর্কতার সাথে এগুতে হবে খুবই দ্রুত গতীতে।
ধন্যবাদ পলাশ ভাই।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে একমত যে সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এখনই সবাধান মূকল ব্যবস্হা নেওয়া উচিত যাতে করে ব্যাপক প্রানহানী রোধ করা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আজ এই বিশেষ রাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। দুর্যোগ কেটে যাক।