নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী: আমরা জাতীর পিতার "বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই" চেতনা বুকে ধারণ করি।
প্রধানমন্ত্রী: এইবার জাতীর পিতার মেয়ের দেওয়া ছরড়া গুলি বুক ও পিঠে ধারণ কর চিরজীবনের জন্য
সরকারি চাকুরীতে কোটা প্রথার সংস্কার এর দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচারে গুলি কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এক কালে বেশি-বেশি হিন্দি সিনেমা দেখার ফল? সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী যে সবচেয়ে বড় হিন্দি সিনেমা প্রেমিকও সেটা দেশের মানুষ আজকে জানতে পারলো।
"উস্তাদ ম্যায়নে আপকা নিমাক খায়া হ্যায়; আব গোলি খা"
অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র অভিনীত ব্লকবাস্টার হিন্দি সিনেমা শোলে এর ডাকু গব্বর সিংয়ের ডায়ালগ "আব গোলি খা" মনে আছে? মনে না থাকলে মনে করিয়ে দিচ্ছি।
ডাকাত সর্দার গব্বর সিং: কিতনে আদমি থে?
ডাকাত দলের সদস্য: উস্তাদ দো থে
গব্বর সিং: আউর তুম তিন থে!!!!!! হা হা হা ........ফির ভি ওয়াপাস আ গায়ে? উয়ো ভি খালি হাত!!!! ইছ পিস্তল মে তিন জিন্দেগি আউর তিন মউত বান্দ হ্যায়। আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া? -
ডাকাত দলের সদস্য: উস্তাদ ম্যায়নে আপকা নিমাক খায়া হ্যায়
ডাকাত সর্দার গব্বর সিং: হা হা হা আব গোলি খা .......
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লীতে স্বেচ্ছা নির্বাসনের সময় বেশি-বেশি হিন্দি সিনেমা দেখে ডাকাত সর্দার গব্বর সিং এর নির্যাতনের উপায় গুলো খুব ভাল ভাবেই আত্নঃস্হ্য করেছিলেন ও চাকুরীতে কোটা প্রথার সংস্কার এর দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে সময় মতো তা প্রয়োগ করলেন। দিল্লীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হয়ত প্রধানমন্ত্রী শোলে সিনেমার শেষ পর্যন্ত দেখতে পারেন নি; দেখে থাকলে তার জানা থাকত ডাকাত সর্দার গব্বর সিং এর শেষ পরিণতি কি হয়েছিল। ডাকাত সর্দার গব্বর সিং এর শেষ পরিণতি মনে থাকলে আজকে কোটা প্রথা সংস্কার এর দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলন দমানোর মতো সিদ্ধান্ত নিতো না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছরড়া গুলির কিছু অংশ কখনই অপসারণ করা সম্ভব হয় না; বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার ম্যাচের এক বড় ভাই গত ২৫ বছর ধরে এই গুলি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে গতকালকে যে আন্দোলনকারীরা ছরড়া গুলি খেয়েছে তা তাদের অবশিষ্ট জীবন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।
(উপরের ছবিগুলো বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত)
গত কিছু দিন ধরে সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও সরকারি আমলারা পরিসংখ্যান দিচ্ছেন যে গত কয়েকটি বিসিএস এ এমনিতেই গড়ে ৭০ থেকে ৮০ % মেধায় নিয়োগ হয়ে আসছে। যদি এই পরিসংখ্যানই সঠিক হয়ে থাকে তবে প্রচলিত কোটা আইন সংশোধনের মধ্যমে এই বিষয়টাকে আইনের মধ্যমে ঢুকালে সমস্যাটা কোথায়? যে জিনিস ইতিমধ্যেই চালু আছে সেই জিনিস বাস্তবায়নে সরকারের আপত্তি থাকার তো কোন যুক্তি দেখতে পাচ্ছি না আমি।
সবিনয়ে জানতে চাই, জাফর ইকবাল-হুমায়ুন আহমেদের বাবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এই হিসাবে বঙ্গবন্ধু তার মাকে ঢাকা শহরে বাড়ি দিয়েছেন (বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশাতেই জনৈক আওয়ামীলীগ নেতা সেই বাড়ি থেকে তার মাকে বেড় করে দিয়ে সেই বাড়ি দখল করে নিয়েছিলেন হুমায়ুন আহমেদের বই থেকেই সেই তথ্য জানা যায়)। যাই হউক, জাফর ইকবালের মা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রাপ্ত বাসায় থেকে স্বামীর পেনশনের টাকা দিয়ে ছেলেদের ভালো স্কুলে পড়িয়েছেন; সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত। জাফর ইকবালের ছেলে-মেয়েদের ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলে মাসিক হাজার-হাজার টাকা খরচ করে পড়িয়েছেন। এর পরে জাফর ইকবালের ছেলে-মেয়েরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়েছে।
আমাকে দয়া করে বুঝবেন কি কেন জাফর ইকবালের ছেলে-মেয়েরা নাতি-পুতি কোটায় কোন নৈতিকতায় সরকারি চাকুরী পাওয়ার অধিকার রাখে বা সরকার নিজেও কোন নৈতিকতায় তাদের জন্য নাতি-পুতি কোটায় চাকুরী নিশ্চয়তা দেয়?
যে ছেলে-মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা সম্পন্ন করেছেন সেই ছেলে-মেয়েদের কেন বিশেষ সুবিধা দিতে হবে? কোন নৈতিকতায়?
ধরে নিলাম জাফর ইকবাল-হুমায়ুন আহমেদের ছেলে-মেয়েরা দাদার মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধা নিলো না নৈতিক-সামাজিক-আর্থিক কারণে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি পেয়ে ইতিমধ্যে যে সরকারের শীর্ষস্হানীয় আমলা হয়েছেন তার ছেলে-মেয়েরা কোন যুক্তিতে চাকুরিতে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে?
কোন মুক্তিযোদ্ধা যদি অসচ্ছল হয়ে থাকেন; তার ছেলে-মেয়েরা যদি কোন রকম কোটা সুবিধা নিয়ে না থাকেন তবে তার নাতি-নাতনিদের মধ্যে একজনকে কোটা সুবিধা দেওয়া যেতে পারে; তবে শর্ত যুক্ত যে চাকুরী প্রাপ্ত নাতি-নাতনি তার দাদা-নানাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করিতে বাধ্য থাকিবে। প্রশ্ন হলও নানা-দাদা কোটায় চাকুরী প্রাপ্তরা তাদের সাহায্য করতেছে কি না সেটা কে মনিটর করবে? যদি তারা অসচ্ছল দাদা-নানাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য না করতে মুচলেকা দিতে না চায় তবে সেই সকল নাতি-নাতনিকে কেন বিশেষ সুবিধা দিতে হবে? কোটা সুবিধা কেন সকলের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে দয়া করে বলবেন কি?
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
ভুল বানান বলেছেন: নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ সরকার এর সব থেকে বড় পলিটিকাল মিসটেক।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
বিপরীত বাক বলেছেন: অতিমাত্রায় উশৃঙ্খলতার প্রতিফল
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দুঃখজনক!
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিন্নমত সহ্যই করতে পারছে!
দমন, পীড়ন আর স্বৈরাচারতিায় নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙ্গলেন প্রধানমন্ত্রী!
ক্ষমতা আসলেই মানুষকে অন্ধ করে দেয়! নইলে কি করে সম্ভব! এরকম পাকি কায়দায় নিরিহ ছাত্রদের উপর আক্রমন!!!!
ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক!
কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল হোক।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: ভুল বানান বলেছেন: নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগ সরকার এর সব থেকে বড় পলিটিকাল মিসটেক
নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করতেই গুলি ।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
মামুন্ বলেছেন: ভাই আন্দোলনে ভিসির উপর হামলা কেন বুঝলাম না, গাড়িতে আগুন দেয়া হলো কেন বুঝলামনা, কোটা সংস্কার কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করবে? তাও বুঝলামনা।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড দুঃখজনক।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: বড়ই কষ্টকর স্কিনগুলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: আন্দোলন মানেই গুলি বর্স ন