নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে আমরা বুঝি স্বাধীনতা ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২৫ শে মার্চের গণহত্যা, ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা; ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা, ও ১৬ ডিসেম্বরে পাক হানাদার বাহিনীর আত্নসর্মপনের মাধ্যমে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ছাড়া আর কিছু খুজে পাওয়া যায় না। মধ্যবর্তী ৯ মাসে দেশের কোন সেক্টরে কেমন করে মুক্তিযুদ্ধ চলল? পুরো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কি-মোমেন্ট গুলো কি? পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে কোন সেক্টরে কেমন যুদ্ধ হয়েছে? ঐ যুদ্ধের পরিকল্পনা কে করেছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মাঠ পর্যায়ে কে নেতৃত্ব দিয়েছিল? ফলাফল কি হয়েছিল? কত গুলো শহীদের বিনিময়ে?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ১০০ বছর পূর্ণ হবে ২০১৮ সালের ১১ ই নভেম্বর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ যুদ্ধ ছিলও গালিপোলির যুদ্ধ BATTLE OF GALLIPOLI । গালিপোলি যুদ্ধক্ষেত্র তুরস্কের এজিয়ান সগর ও মারমারা সাগরকে সংযোগকারী পানি পথের উপকূলবর্তী একটা স্থান। ব্ল্যাক-সি বা কালো-সাগর এর এক দিকে ছিলও রাশিয়া অন্য পাশে তুরস্ক। মারমারা সাগর দিয়ে কালো সাগরে প্রবেশ করা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক ছিলও জার্মানি-হাঙ্গেরিয়া-জাপান এর পক্ষে। পক্ষান্তরে রাশিয়া ছিলও মিত্র বাহিনীর (ব্রিটেন-আমেরিকা) পক্ষে। তুরস্ক অক্ষ বাহিনীর পক্ষে রাশিয়ার ককেশীয় অঞ্চলের দখল নেওয়ার জন্য যুদ্ধ শুরু করলে রাশিয়ার ডিউক নিকোলাস মিত্র বাহিনীর সাহায্য চায় ঐ অঞ্চল রক্ষার জন্য। ফলে উইনস্টন চার্চিলের নেতৃত্বে ব্রিটিশ নৌ-বাহিনী গালিপোলির পানিপথের দখল নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে যাতে করে ব্রিটিশ ফোর্স মারমারা সাগর হয়ে কালো সাগরে পৌঁছে রাশিয়ান বাহিনীকে সাহায্য করতে পারে। এই স্থানটির প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ ছিলও তার বুঝা যায় এই স্থানের দখল নেওয়ার জন্য দুই পক্ষের প্রাণপণ চেষ্টা দেখে। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষ আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতা-তুর্কের নেতৃত্বে অটোম্যান সেনাবাহিনী।
গালিপোলির যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ সৈনিক প্রাণ হারান। ১১ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অটোমান বাহিনী প্রায় দুই লক্ষ ৫০ হাজার প্রাণের বিনিময়ে এই স্থানের দখল ধরে রাখে; পক্ষান্তরে ব্রিটিশ বাহিনী প্রায় দুই লক্ষ ৫০ হাজার প্রাণের বিনিময়ে গালিপোলির যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে ১৯১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ঐ স্থান ত্যাগ করেন। বিশ্বের আর কোন স্থানে এত অল্প জায়গায় এত গুলো শহীদের কবর নাই যা আছে গাপোলিতে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের গালিপোলিতে উপস্থিত হয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সরকার প্রধানরা ঐ যুদ্ধে নিহত শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৭ বছর পরেও আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঐ রকম কোন ইতিহাস জানি না। আমাদের দেশের ভাড়াটে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হলও কুমিরের শিয়ালের বাচ্চা দেখানোর মতো ঘুরে-ফিরে ঐ ২৫ শে মার্চের গণহত্যা, ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা; ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা, ও ১৬ ডিসেম্বরে পাক হানাদার বাহিনীর আত্নসর্মপনের মাধ্যমে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি।
আমাদের ভাড়াটে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের গবেষণা ও লেখায় ২৭ শে মার্চ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় নাই; কোন বেদনা দায়ক ঘটনা নাই। কেউ-কেউ তো আবার দাবি করে মুক্তিযুদ্ধ নাকি হয়েছিল মাত্র ১৩ দিন: ৩রা ডিসেম্বরের যেদিন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দেন সেই দিন থেকে যুদ্ধ শুরু আর ১৬ ডিসেম্বরে পাক হানাদার বাহিনীর আত্নসর্মপনের মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ। ঐ সকল ভাড়াটে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের দাবি মানিয়া নিলে বলিতে হয় যে ২৭ শে মার্চ থেকে ডিসেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে ডাংগুলি ও হা-ডু-ডু খেলে বেড়িয়েছে; কোন যুদ্ধ করে নাই; কোন যুদ্ধ হয় নাই; কোন শহীদ হয় নাই।
ছবি: মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম এ জি ওসমানি এর সাথে বিভিন্ন সেক্টর ও সাব-সেক্টরে কমান্ডারা
তুরস্কের গ্যালিপলির যুদ্ধ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের একটা ডিফাইনিং মোমেন্ট; যেমন ডিফাইনিং মোমেন্ট জার্মানদের শীতকালে রাশিয়া আক্রমণ করে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পার্ল হার্বার আক্রমণ একটা ডিফাইনিং মোমেন্ট। গত ফেব্রুয়ারী মাসে একটা আর্টিকেল (Operation Gunnerside: The Norwegian attack on heavy water that deprived the Nazis of the atomic bomb) পড়ে যানতে পারলাম যে জার্মানরা নরওয়ে এর একটা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে একটা রাসায়নিক কারখানায় পারমানবিক বোমা তৈরির অন্যতম উপাদান ভারি পানি তৈরি করতো। সেই কারখানায় মিত্রবাহিনীর একটা কমান্ড অপারেশনে ভারি পানি উৎপাদন ১ মাস পিছিয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে জার্মানরা সেই কারখানা চালু করে ভারি পানি উৎপাদন করে। ঐ ১ টা মাস ছিলও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডিফাইনিং মোমেন্ট। কারণ জার্মানির বৈজ্ঞানিকদের এক মাস পূর্বে আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা পারমানবিক বোমার সফল পরীক্ষা চালায় ও এর পরে হিরোশিমা ও নাগাসাকির বেসামরিক মানুষের উপর পারমানবিক বোমা ফলে। যে ঘটনার পরে জাপান আত্নসমর্পন করার জন্য রাজি হয়ে যায়। যদি আমেরিকার পূর্বে জার্মানির বৈজ্ঞানিকরা পারমানবিক বোমা বানাতে সক্ষম হতো (আমেরিকার পরীক্ষামূকল পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের মাত্র ৪৩ দিন পরে জার্মান বৈজ্ঞানিকরা সফল হয়) তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস অন্যরকম হলেও হতে পারত।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন ফ্রন্টে কোন-কোন যুদ্ধ গুলোকে আমরা ডিফাইনিং মোমেন্ট হিসাবে গণ্য করবো? পোষ্টে মূল বক্তব্য এটাই।
শুনেছি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং এর সময় যুদ্ধের স্ট্রাটেজি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের ইতিহাস আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদস্যদের ট্রেনিং এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস কতটুকু আলোচনা করা হয় তা জানার আগ্রহ আছে। যদি কেউ শেয়ার করেন আমার সাথে তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ছবি কৃতজ্ঞতা: পোষ্টে সংযুক্ট ছবিগুলো গুগল মামার সৌজন্যে প্রাপ্ত। কেউ সু-নির্দিষ্ট সুত্র জানালে পোষ্ট যোগ করে দিবো।
তথ্য সুত্র:
১) Inside the Daring Mission That Thwarted a Nazi Atomic Bomb
২) Operation Gunnerside: The Norwegian attack on heavy water that deprived the Nazis of the atomic bomb
৩) BATTLE OF GALLIPOLI
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, গ্রামের যুবক ও ছাত্রেরা; এরা কেহ লেখক ছিলেন না" কথা সত্য। আপনার মতো শিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তি যুদ্ধের পূর্নাঙ্গ ইতিহাস নিয়ে কয়টা বই লিখেছে? আপনি কয়টা লিখেছেন?
"যুদ্ধ নিয়ে প্রায় সেক্টর কামন্ডারেরা বই লিখেছেন; আপনি না পড়ে, এসব কি লিখছেন?"
সেক্টর কামন্ডারদের নিজেদের লেখা বইয়ে নিজ সেক্টরের যুদ্ধের ২/৪ টা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না। সেটা সম্ভবও না; কারণ তার সকল সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই; তাদের কাজ ছিলও যুদ্ধের সঠিক পরিকল্পনা করে নিম্ন-সারির অফিসার (ল্যাফটেন্যান্ট, ক্যাপ্টেন ইত্যাদি) এর উপর তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া।
দিন রাত তো ব্লগে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া রাজা উজির মারেন; ঘণ্টায়-ঘণ্টায় ব্লগ প্রসব করেন আলু, পটল থেকে শুরু করে পর্নঅভিনেত্রীর সাথে ট্রাম্পের সেক্স কোন কিছুই বাদ যায় না। অথচ, জানার পরেও মেজর জিয়া, ক্যা: অলি, মেজর রফিক, মেজর শওকত আলী যুদ্ধের উপর লেখা বই গুলো পড়েন নাই আপনি!!!! পড়ার সময় পান নাই গত ৪৭ বছরে?
"যদিও আমি পড়িনি, তবুওম্যাঁওপ্যাঁও করার আগে বড় কোন কাইব্রেরীতে গিয়ে জানার চেষ্টা করেন।"
আপনার সর্বশেষ মন্তব্যটা পড়ে মজা পাইছি; আপনার অবস্থাও দেখি স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা শহরিয়ার কবিরের মতো। কোন সেক্টরে, কার আন্ডারে যুদ্ধ করেছে সেটা জেনেন না কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৩১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আর একটা কথা লিখতে ভুলে গেছি। আপনার উল্লেখিত মানুষরা তো প্রায় সবাই জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছে; আপনার নেত্রী তো বলে যে জিয়া মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গুপ্তচর ছিলও; গুপ্তচর হিসাবেই যুদ্ধ করেছে। তাহলে জিয়া বা তার নেতৃত্বে যুদ্ধকরা মানুষদের লেখা বই পড়ে তো মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা যাবে না।
আচ্ছা আপনি কোন বই লিখেন নাই মুক্তিযুদ্ধে আপনার অংশগ্রহণ করা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে? কোন-কোন অপারেশনে গিয়েছিলেন? কয়টা পাক-হানাদার মেরেছিলেন? কয়জন সহকর্মী শহীদ হয়েছিল কোন যুদ্ধে?
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি যুদ্ধের উপর কিছুই লিখিনি; যুদ্ধের ভেতর কিছু লেখার মতো অবস্হা আমার ছিলো না, আমি ব্যস্ত ছিলাম। এমন কি আমার একটা কলমও ছিলো না এক সময়; একটা সুন্দর কলম ছিলো প্রথম দিকে, এক ভারতীয় মেজরকে গিফট করেছিলাম; তিনি আমাকে ২ ইন্চ মর্টার ট্রেনিং দিয়েছিলেন, নিজের মাথার ক্যাপটা আমাকে গিফট করেছিলেন।
তখন আমি লেখার কথা ভাবিনি।
মেজর জিয়া, ক্যাপ্টেন অলি, মেজর রফিক, মেজর শওকত আলীর বই রাগ করে পড়িনি; আসলে, যুদ্ধ নিয়ে কোনকিছু পড়ার আগ্রহ আমার কোন কালে ছিলো না।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধে কেউ নিশ্চয় ডাইরি লেখার জন্য যায় নাই। সেক্টর কমান্ডার বা সাব-সেক্টর কমান্ডাররা যে বই লিখেছে সেই বইও নিশ্চয় যুদ্ধের সময় লিখে নাই। হয়ত নিজের ডাইরিতে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার তারিখটা লিখে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে লিখেন নি কেন? গত ৪৭ বছরেও লিখার সময় পেলেন না? এই ধরনের উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না। যাই হউক; ডিফাইনিং মোমেন্ট গুলো মানুষ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ভুলে না; যদি না সিজোফ্রেনিয়া বা আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আপনি যেহেতু দিব্বি ব্লগগিং করে যাচ্ছেন সুতরাং ঐ দুইটা রোগে আক্রান্ত হনা নাই তা হলফ করেই বলা যায়। আজ থেকে লিখা শুরু করুন। ট্রাম কার সাথে প্রেম করেছে; আর কোন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে সেটা আমরা পত্রিকা পড়েই যানতে পারবো। আমরা জানতে চাই আপনার সম্মুখ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় একটা অংশের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পূর্বেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তারা কোন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই; কিন্তু নিজেদের ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেডফোর্সের ক্যাপ্টেন হামিদ, ক্যা: মাহফুজ সব সময় যুদ্ধ করেছেন; উনারা কিছু লিখেছেন কিনা দেখতে পারেন; কা: শামসু ডায়েরী লিখতেন; সেটা কি প্রকাশ হয়েছে কিনা দেখতে পারেন।
মেজর রফিক জুলাই মাস অবধি সারাক্ষণ যুদ্ধ করেছেন, উনার বইতে কমপক্ষে ৭টি বড় যুদ্ধের ঘটনা থাকা সম্ভব।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনি যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন যে এই লেখকের এই বইয়ে এই যুদ্ধের বর্ণনা আছে। আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও নিজেই জানেন না বা বলতে পারছেন না যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন ফ্রন্টে কোন কোন যুদ্ধ গুলোকে আমরা ডিফাইনিং মোমেন্ট হিসাবে গণ্য করবো। আমার পোষ্টে মূল বক্তব্য এটাই।
কেউ যদি আমার কাছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা বই পড়ার জন্য সাজেশন চায় আমি তাকে পূর্ব-পশ্চিম পড়ার কথা বলবো; কেন পড়তে বলবো সেটা আমি তাকে ব্যাখ্যা করতে পারবো; কেন পড়া উচিত সেটাও বলতে পারবো। ঠিক একই রকম ভাবে আপনি আমাকে নির্দিষ্ট করে বলুন কোন বইয়ে কোন ফ্রন্টের যুদ্ধের বর্ণনা পাওয়া যাবে; যেই যুদ্ধটা ছিলও ঐ ফ্রন্টের জন্য একটা ডিফাইনিং মোমেন্ট।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিয়া যদি পাকীদের সাথে যোগাযোগ করে থাকে, কেহ জানার কথা নয়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কথা সত্য; জিয়া পাকিস্তানের চর হিসবে নিশ্চয় যুদ্ধক্ষেত্রে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয় নাই যা পাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যায়; আর মেজর রফিক, কর্নেল অলি, মীর শওকত সবার কমান্ডিং অফিসারই তো ছিলও জিয়া; সেই ২৬ মার্চ রাত থেকেই জিয়ার নির্দেশ পাল করেছে। সবাই তো দেখি পাকি চর ছিলও? আচ্ছা আপনি ছাড়া আর কে কে মুক্তিযোদ্ধা ছিলও?
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমরা একটা দিক দিয়ে অবস্যই স্বাধীন , সেটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যার যা ইচ্ছা রুপকথা লেখার স্বাধীনতা।সভ্য দেশে আর সব স্বাধীনতা থাকলেও এই একটা ব্যপারে স্বাধীনতা নাই। কারন ইতিহাস বিকৃত করার অধিকার কোন নাগরিকের থাকা উচিৎ নয়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৬
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি যে পোস্ট দেন! সবই ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। আপনাকে তা কষ্ট করে পড়তে হবে।
তুরষ্কের গ্যালিপলি যুদ্ধ এখানে কেন এল বুঝতে পারলাম না। তুলনা হয় না কারন সে যুদ্ধ ছিল সৈনিকদের মধ্যে। সাধারন মানুষ এই যুদ্ধে সরাসরি ভিকটিম ছিল না। এই গ্যালিপলি যুদ্ধ ছিল তুরষ্কের বাচা মরার লড়াই। আমি আজও ভাবি গ্যালিপলিতে হেরে গেলে তুরষ্ক নামের কোন দেশ কি মানচিত্রে থাকত!
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
উপরে ৩ নম্বরে @চাঁদগাজি ভাইকে করা মন্তব্যটা আপনাকেও করলাম।
আপনি যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন যে এই লেখকের এই বইয়ে এই যুদ্ধের বর্ণনা আছে।
কেউ যদি আমার কাছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা বই পড়ার জন্য সাজেশন চায় আমি তাকে পূর্ব-পশ্চিম পড়ার কথা বলবো; কেন পড়তে বলবো সেটা আমি তাকে ব্যাখ্যা করতে পারবো; কেন পড়া উচিত সেটাও বলতে পারবো। ঠিক একই রকম ভাবে আপনি আমাকে নির্দিষ্ট করে বলুন কোন বইয়ে কোন ফ্রন্টের যুদ্ধের বর্ণনা পাওয়া যাবে; যেই যুদ্ধটা ছিলও ঐ ফ্রন্টের জন্য একটা ডিফাইনিং মোমেন্ট।
তুরস্কের গ্যালিপলির যুদ্ধ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের একটা ডিফাইনিং মোমেন্ট; যেমন ডিফাইনিং মোমেন্ট জার্মানদের শীতকালে রাশিয়া আক্রমণ করে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
"তুরস্কের গ্যালিপলি যুদ্ধ এখানে কেন এল বুঝতে পারলাম না। তুলনা হয় না কারণ সে যুদ্ধ ছিল সৈনিকদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধে সরাসরি ভিকটিম ছিল না।"
পৃথবীর কোন যুদ্ধই শুধু সৈনিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। থাকলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা হিরোশিমা ও নাগাসাকির বেসামরিক মানুষের উপর পারমানবিক বোমা ফেলতো না। তাহের, খালেদ মোশারফ, শফিউল্লা, জিয়া, এ কে খন্দকার কি বেসামরিক লোক ছিলও? তারা কি বেসামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে? আপনার মন্তব্যের দ্বারা কি বুঝাতে চাইলেন বুঝতে পারলাম না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন ফ্রন্টে কোন কোন যুদ্ধ গুলোকে আমরা ডিফাইনিং মোমেন্ট হিসাবে গণ্য করবো? আমার পোষ্টে মূল বক্তব্য এটাই।
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধরা যাবেনা ছোয়া যাবেনা, বলা যাবেনা কথা...
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
গ্রাম বাংলায় এক প্রকার ডাক্তার পাওয়া যায় যারা মাথার ব্যথার জন্যও ঔষধ হিসাবে দেয় প্যারাসিটামল, ক্যান্সারের রোগীকেও দেয় প্যারাসিটামল; হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকেও দেয় প্যারাসিটামল। ঐ সকল ডাক্তারকে অবশ্য দোষ দিয়ে লাভ নাই; কারণ গ্রাম বাংলার প্রচলিত সেই প্রবাদ; প্রেমিক-প্রেমিকার দৌড় নাকি কাজী অফিস পর্যন্ত।
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভ্রান্ত মনে হচ্ছে....স্বাধীনতার ইতিহাস চাদের আলোর মতই স্বচ্ছ..যারা বিভ্রান্ত তাদের কাছেই ইতিহাস টা প্রশ্নবিদ্ধ.. আপনি প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা নুরুন নবী সাহেবের বই টা পড়তে পারেন। এটা একটা প্রামান্য দলিলের মত। আমাজন ডট কম লিখছে
"Bullets of '71: A Freedom Fighter's Story details Dr. Nuran Nabi's experience growing up in rural Bangladesh and living through the tumultuous episodes of the Bangladesh liberation movement and the liberation war. This is the true story of how a frail young man developed into a politically conscious student activist before transforming into a heroic freedom fighter in the Bangladesh Liberation War."
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমি দুঃখিত আপনার মন্তব্যটি মডারেশনে থাকায় দেখতে পাইনি যথা সময়ে। আপনি মনে হয় পোষ্টের টাইটেল দেখেই মন্তব্য করেছেন। পোষ্টের ভিতরের কন্টেন্ট পড়েন নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কোন বিষয়গুলোর কথা লিখেছি তা লেখার একদম প্রথম প্যারাগ্রাফেই নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। একই ভাবে শেষ প্যারাগ্রাফাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরেও যদি আপনি আলোচনা ভিন্ন পথে নিতে চান তবে আমি দুঃখিত আপনার সাথে অপ্রাসংগিক আলোচনায় অংশগ্রহনে পারতেছি না এই মুহুর্তে সময়ের অভাবে। পোষ্ট প্রাসংগিক আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। পোষ্টের কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা-সমালোচানায়ও স্বাগতম। আহমেদ জী এস ভাই এর সাথে যেভাবে আলোচনা চলছে সেই ভাবে যুক্তি-তর্ক দিয়ে আলোচনার জন্য আমার ব্লগ সবসময়ই খোলা সকলের জন্য।
আপনার দেওয়া বইটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। দেখলাম যে আ্যামাজনে পাওয়া যাচ্ছে। আজকেই অর্ডার দিয়ে দেবো। বই হাতে পেলে পড়ে রিভিউ লেখার ইচ্ছে থাকল।
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,
লেখাটি আংশিক সত্য । বাকী সত্যগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন সময়ের লেখায় গত ৪৫ বছর ধরে ।
মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধ ( ভারতের সাথে মৈত্রী হবার আগ পর্যন্ত ) কোনও কনভেনশনাল যুদ্ধ নয় । এটা অসহায় এক জনগোষ্ঠীর গেরিলা কায়দার যুদ্ধ যার সাথে তুলনা করে আপনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি কনভেনশনাল ফ্রন্ট গ্যালিপোলির উদাহরন একদম অপ্রাসঙ্গিক ভাবে টেনে এনেছেন । যুদ্ধ মানেই কিন্তু দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা বন্দুক - কামান নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা নয় । গেরিলা কায়দার যুদ্ধে তেমন সুযোগ নেই । তাই শ্রেনীবদ্ধ করে তারিখ দিয়ে সাজিয়ে কারো পক্ষেই কোনও একক বই লেখা সম্ভব নয় । তাই যারা যারা লিখেছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ বা ধারেকাছের মানুষদের কথাই লিখেছেন । নাকি আপনি জানেনই না, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ কি ধরনের ছিলো ?
আর প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তাবৎ কাহিনী একত্র করে মনে হয় আজ পর্যন্ত কোনও যুদ্ধকোষ বইয়ের দেখা আপনিও পান নি ।
আরও চোখ মেলে রাখতে হবে কোথায় কি লেখা হলো, গোটা কয়েক বই-ই আপনার সব চাওয়াকে , জানাকে মেটানোর জন্যে যথেষ্ট নয় । স্বাধীনতার পর পরই প্রকাশিত সকল পত্রিকাতেই দিনের পর দিন আপনার কথামতো অনেক না জানা যুদ্ধ গৌরবের গাঁথা গেঁথে আছে । আজও বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে মাঝে মাঝে যার খন্ড খন্ড চিত্রের দেখা মেলে যা কারো নিজ অভিজ্ঞতা বা আপনজন কারো কাহিনী । সহ-ব্লগার "চাঁদগাজী" র কাছেও কাহিনী আছে যা উনি কোথাও লেখেন নি বলে বলেছেন, কিছু অভিমানের কারনে । এমনি হাযারো চাঁদগাজী আছেন যাদের কাহিনী আমরা জানিই না । এদের সবার কাহিনীকে একত্র করে কে মহাকাব্য লিখবেন ? তেমন নিরপেক্ষ - ধীমান- প্রাজ্ঞ কেউ আছেন কি ? অথচ আপনার কথামতো একদল ভাড়াটেদের বই পড়েই আপনি উপসংহার টানলেন ? আপনার মতো একজন উচ্চশিক্ষিত , জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে এমন "শ্যালো" ধারনা আশা করিনি ।
আর লিখেছেন -- " মুক্তিযুদ্ধের সময় একটা অংশের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পূর্বেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তারা কোন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই; কিন্তু নিজেদের ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে।"
আপনার এই ধারনার সাথে একমত নই, বিবেচক কেউই একমত হবেন না । কারন আপনার ধারনায় হাতে বন্দুক নিলেই হবেনা গোলাগুলি করলেই শুধু যোদ্ধা হওয়া যাবে। এমন ধারনা কি করে হলো আপনার ? তাহলে বাংলার ৯৮% মানুষই তো বন্দুক নিয়ে ট্রেইনিং দেয়নি , লাঠি-বাঁশ-কাস্তে-সড়কি-বল্লম ইত্যাদিই ছিলো তাদের অস্ত্র ; তার কি মুক্তিকামী- মুক্তিযোদ্ধা নয় ?
বুঝতে পারছিনে " মোস্তফা কামাল পলাশ " কেন এমন ভাবে লিখলেন ! দলঅন্ধ কিছু লোকের লেখা পড়েই কেন যে আপনি এমন উপসংহার টানলেন মাথায় আসছেনা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পুরো মন্তব্যের সাথে একমত।
"মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধ ( ভারতের সাথে মৈত্রী হবার আগ পর্যন্ত ) কোনও কনভেনশনাল যুদ্ধ নয় ।"
"ভারতের সাথে মৈত্রী হবার আগ পর্যন্ত" কোন সময়টা পর্যন্ত বলবেন কি?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পুরোটা গেরিলা যুদ্ধ আপনার এই মন্তব্যের সাথে চূড়ান্ত দ্বিমত আমার। যেখানে একটা নির্দিষ্ট তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে হয়েছে; নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দিয়ে একটা সরকার ঘোষণা করে মন্ত্রীসভা ঘোষণা করে শপথ নেওয়া হয়েছে; যে সরকারের একটা অস্থায়ী সদর দপ্তর ছিলও হোক না কেন সেটা অন্য দেশের কোন শহরে; যে যুদ্ধের একজন সর্বাধিনায়ক ছিলেন; প্রচলিত বাহিনীর মতো যার নেতৃত্বে প্রায় ডজন খানেক সামরিক অফিসার বিভিন্ন সক্টরে ও সাব-সেক্টরে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে বাহিনী পরিচালনা করেন ও একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন সেই যুদ্ধকে কেমন করে আপনি গেরিলা যুদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করেন? ঐ সকল বাহিনীর সাথে একই সাথে কাঁধ মিলিয়ে দেশের আপামর জনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তার মানে এই না যে পুরো যুদ্ধকে গেরিলা যুদ্ধ বলতে হবে।
আমি তো আমার পোষ্টের কোথাও বলি নি যে মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন কোন ফ্রন্টে কে যুদ্ধ করেছে; পোষ্টে নির্দিষ্ট করে হাইলাইট করে দিয়েছি যে ডিফাইনিং মোমেন্ট। ডিফাইনিং মোমেন্ট বলতে কি বুঝিয়েছি তার উদাহরণও যুক্ত করে দিয়েছি। তার পরেও যদি আপনি মন্তব্য করেন যে ""আর প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তাবৎ কাহিনী একত্র করে মনে হয় আজ পর্যন্ত কোনও যুদ্ধকোষ বইয়ের দেখা আপনিও পান নি। তবে আমি দুঃখিত যে আপনি আমার পোষ্টের মর্মার্থ ভুল বুঝেছেন।
"সহ-ব্লগার "চাঁদগাজী" র কাছেও কাহিনী আছে যা উনি কোথাও লেখেন নি বলে বলেছেন, কিছু অভিমানের কারণে ।"
আমি ব্লগার চাঁদগাজীর সাথে এই বিষয়েও এক মত হতে পারলাম না। আমার ব্যক্তিগত অভিমান থাকতে পারে; কিন্তু তার কারণে তো আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস থেকে বন্বিচিত করতে পারি না। উনার এই স্ট্যান্ড নৈতিক ভাবে কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য না।
কর্নেল অলি আহমেদ বই লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে; আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা তো সেই বইয়ে বর্ণিত কাহিনী বিশ্বাস করে না। একই কথা প্রযোজ্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের ক্ষেত্রেও। সাবেক আওয়ামীলীগ এমপি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেনানায়ক এ কে খন্দকারের লেখা বই নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাই তার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে গালা-গালি করেছে। আপনি নিজেও জানেন ব্যক্তিগত বইয়ে বর্ণিত ঘটনা পুরোটা গ্রহণযোগ্যতা পায় না। ঠিক এই কারণেই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন।
"স্বাধীনতার পর পরই প্রকাশিত সকল পত্রিকাতেই দিনের পর দিন আপনার কথামতো অনেক না জানা যুদ্ধ গৌরবের গাঁথা গেঁথে আছে ।"
সেই পত্রিকা গুলো কোথায় ছড়িয়ে আছে সেই তথ্য আমি কোথায় পাবো? ধরে নিলাম পাবলিক লাইব্রেরীর সেলফে আছে। আমি এখন কানাডায় থাকি; আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নাই; কিন্তু আমি এখনই ঐ পত্রিকা গুলোতে প্রকাশিত যুদ্ধের কাহিনী পড়তে চাই; কিভাবে পড়বো? আমার মতো অনেক প্রবাসী আছে যারাও একই ভাবে আগ্রহী।
" বাংলার ৯৮% মানুষই তো বন্দুক নিয়ে ট্রেনিং দেয়নি , লাঠি-বাঁশ-কাস্তে-সড়কি-বল্লম ইত্যাদিই ছিলও তাদের অস্ত্র ; তার কি মুক্তিকামী- মুক্তিযোদ্ধা নয় ?"
তাহলে কি আমরা আপনার বর্ণিত সকলকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধা দেব? বাংলার সকল মানুষই মুক্তিকামী ছিলও; যে করাণে ৭০ সালের নির্বাচনে ১৭০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করেছিল। সারা দেশে কয়েক লক্ষ রাজাকার-আলবদর ছাড়া সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছিল। যেমন হুমায়ুন আহমেদের বাবা নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে নি; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়েছিলেন। কথা দেশের ৯৮% ভাগ মানুষই যদি মুক্তিকামী- মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে তবে আলাদা করে মুক্তিযোদ্ধার লিস্ট করার দরকার হচ্ছে কেন?
আলোচনা চালতে থাক.......
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
আহলান বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন ফ্রন্টে কোন কোন যুদ্ধ গুলোকে আমরা ডিফাইনিং মোমেন্ট হিসাবে গণ্য করবো?
আমার মনে হয় পুরো নয় মাসই ...
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদেরও অনেক ডিফাইনিং মোমেন্ট আছে; যেমন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে পাক-হানাদার বাহিনীর অস্ত্র-বাহী জাহাজের দখল নেওয়া; যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকায় নিজ বাসভবনে মুক্তিবাহিনীর হাতে ঢাকার গভর্নর আব্দুল মোনেম খা এর মৃত্যু। আমার প্রস্তাবনা হলও এই রকম ঘটনা গুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক ইতিহাস হিসাবে লিপিবদ্ধ করা যাতে করে আজ থেকে শত বছর পরের প্রজন্মও এই ঘটনা গুলো জানতে পারে।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: খুব ভালো লাগল লেখাটি পড়ে ।আচ্ছা একটু আগে দেখলাম এই লেখাটা নির্বাচিত পেইজে ছিল এখন নাই কেন ?
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মডু মামার মন কচু পাতার রাখা পানির মতো; তাই পোষ্ট নির্বাচিত পাতায় দিলেও সেখান থেকে গড়াইয়া মাটিতে পড়ে গেছে আবার এমনও হতে পারে যে দুধের মধ্যে এমন প্রাণী মুখ দিয়েছে যার শরীরে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া নাই; ফলে জলাতঙ্ক রোগের ভয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাত্রের দুধ ফলাইয়া দিতে হয়েছে মডু মামাকে
এত অল্প সময়েও বিষয়টা লক্ষ করেছে বলে ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমরা প্রজন্মরা কি শিখবো আর কি জানবো? কিছুই তো জানিনা। আমাদের কাছে সবই তো ধোয়াসা।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
কয়েক মিলিয়ন বছর পূর্বে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেলেও বৈজ্ঞানিকরা কিন্তু গবেষণা করে ঠিকই তথ্য উদ্ধার করে আনছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও হয়ত ডাইনোসর গবেষক হতে হবে নিজ দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য। এই তো মাত্র ২ বছর পূর্বে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আফ্রিকান-আমেরিকান ইতিহাস ও সংস্কৃতি যাদুঘর চালু হলও। এই শহরটা প্রায় পুরোটাই আফ্রিকান দাসদের শ্রমে তৈরি। যাদের অবদানের কথা আমেরিকানরা স্বীকার করতো না। চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাস একসময় আপনা-আপনি মুছে যায় ও মানুষ ঠিকই সঠিক ইতিহাসের সন্ধান পায়। সুতরাং চুড়ান্ত ভাবে হতাস হওয়ার কোন কারণ নাই।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০১
অহনাব বলেছেন: অতীতের ভূমিকা নিয়ে না হয় নাই জানলাম। কিন্তু বর্তমানে ওনাদের ভূমিকা দেখেই অবাক। দেশে এত এত বেকার, অথচ সব কোটা ওনারা নিয়ে বসে আছেন। এতগুলো ছেলে আন্দোলন করছে ওনারা তো একটু দাড়াতে পারতেন, বলতে পারতেন বাংলাদেশ পাকিস্থানের যে যুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের অবসানের জন্য সে বৈষম্য আর চাই না, কোটা প্রথার স্বংস্কার করা হোক।
ওনারা তো কিছু বলেন ই নাই। উল্টা নাতিপুতিকে লাগিয়ে দিয়েছেন ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে সভা সেমিনার আর হামলা করতে। গতকাল চিটাগাং এ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা হয়েছিল।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনি যাদের কথা বলতেছেন খোজ নিয়ে দেখুন তাদের বাপ-দাদারা ৪ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা কি না?
১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনি আমার কথায় বিরক্ত হতে পারেন। কিন্তু আমি চূড়ান্ত ডিফাইনিং পয়েন্ট বলব ডিসেম্বরের ৬ তারিখ থেকে যখন ভারতীয় সৈন্যরা এদেশে ঢুকে পড়ে। কেন বললাম? কারন আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন যুদ্ধে যারা পাকিস্তান পন্থী ছিল তারা বলত, "ভারতীয় সেনাবাহিনী না এলে কোনদিনও পাকিস্তান হারত না।" এইটা খুব বিশ্বাসযোগ্যও বটে কারন আমি দেখেছি জামাতের সব রাগ এই ভারতের বিরূদ্ধে। বাংলাদেশের মিডিয়াতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আমাদের সময়ে সেভাবে মূল্যায়ন করা হত না।
২৭ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
চূড়ান্ত ডিফাইনিং মোমেন্ট ডিসেম্বরের ৬ তারিখ হতে পারে তবে সেটি অনেক গুলো ডিফাইনিং মোমেন্টের একটি। আর যদি আপনিও ঐ ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীদের মতো মনে করেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৩ দিন তবে আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রকাশিত বাংলাদেশ ও আর্তজাতিক পত্রিকার আর্কাইভ খুলে দেখার জন্য। আমি আজকের এই পোষ্ট আপনাদের মতো মানুষের জন্যই লিখা। কারণ ভাড়াটে লেখকদের কল্যাণে দেশে একটা প্রজন্ম গড়ে উঠতেছে যারা জানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৩ দিনের। যারা মনে করে "ভারতীয় সেনাবাহিনী না এলে কোনদিনও পাকিস্তান হারত না তাদের মধ্যে ও ১৩ দিনের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাসকারীদের মাঝে কোন পার্থক্য নাই। তার একই প্রজাতির অন্তর্গত।
আর একটা তথ্য আপনাকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি; পাকিস্তান যদি ভারতে আক্রমণ না করতে তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি বাংলাদেশের যুদ্ধে জড়াত কি না তা ভাবার অনেক কারণ রয়ে যায়। কারণ সেই এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে মুজিব ন গর সরকার গঠনের পর থেকেই একাধিকার প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজদ্দিন ইন্দ্রাগান্ধির কাছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসাবে স্বকৃতী চেয়েছিল ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছিল যার কোনটাই পান নি। আপনি জানেন তো যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারি প্রথম দেশটিও ভারত না। সেই সাথে আপনাকে আরও জানানো দরকার যে অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগের বেশি এলাকা পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানির অবস্থান ছিলও ক্যান্টনমেন্ট গুলোর মাঝেই সীমাবদ্ধ কারণ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আসা অনেক পূর্বেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গুলিহীন বন্দুক নিয়ে মাঠে নামার সাহস অনেক পূর্বেই হারিয়ে ফেলেছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সৌভাগ্য যে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের নিরাপদে ভারতে সরিয়ে নিয়ে যায়। নইলে ৯০ হাজারের একজনও জীবন নিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারতো কি না সন্দেহ আছে।
যাই হউক, শেষ কথা হলও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়া-লেখা করেন।
১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,
প্রতি মন্তব্যে ধন্যবাদ । তবে আপনি পোস্টটি দিয়েছেন ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪২ তে যেখানে আপনার উল্লিখিত “ডিফাইনিং মোমেন্ট” বিষয়টি ছিলোনা । এটা এনেছেন ২৭শে মার্চ ২০১৮ সকাল ১০:৫১ তে সর্বশেষ এডিট হিসেবে ।
যাই হোক – ভারতের সাথে মৈত্রী হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ভেতর দিয়ে । ৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ । এর আগেই ৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ বেঁধে যায় পশ্চিম ফ্রন্টে । ইন্দিরা গান্ধী ৩রা ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধাবস্থার ঘোষনা দেন । এবং ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে পূর্ব দিকে মানে বাংলাদেশেও অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেন । বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে মিত্রবাহিনী গড়ে তোলেন । আমি এই সময়টির আগের সময়টিকে বুঝিয়েছি ।
আর গেরিলা যৃদ্ধ ? বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তৈরী হয় জুলাইয়ের মাঝামাঝি । তাহলে আপনার কথামতো মার্চ থেকে জুলাই এই চারমাস কি ধরনের যুদ্ধ হয়েছে বলে আপনার ধারনা ? তারপরেও ভাবুন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তৈরী হবার দিন থেকেই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরুর কোন কারন নেই । কেন নেই , তার ধারনা নিশ্চয়ই আছে আপনার । আমি কখনও পুরো যুদ্ধটাকেই গেরিলা যুদ্ধ বলিনি । সম্ভবত আপনার বুঝতে কোথাও ভুল হয়েছে । মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধগুলো ছিল আসলেই পরিকল্পনাহীন ও অপ্রস্তুত , গেরিলা কায়দায় ।
আমি যে বলেছি, স্বাধীনতার পর পরই প্রকাশিত সকল পত্রিকাতেই দিনের পর দিন অনেক না জানা যুদ্ধ গৌরবের কাহিনী ছাপা হয়েছিলো তার ৯০% ই হলো গেরিলা যুদ্ধের কাহিনী । এগুলো পেতে হলে আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে কোথায় পাবেন ।
লিখেছেন – “ তাহলে কি আমরা আপনার বর্ণিত সকলকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধা দেব ?”
মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা কেন দিতে হবে ? কোন মুক্তিযোদ্ধা সুযোগ-সুবিধা দাবী করেছে গলা খুলে ? এবং কবে ? যারা এই তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতার প্রবক্তা তারা সুবিধাবাদীর দল , এটা বোঝেন নি ?
আপনার শেষের প্রশ্নটির উদ্ভব কেন হয়েছে তা যদি না বোঝেন তবে বলার কিছুই নেই ।
যদিও আপনার করা এই শেষের প্রশ্নগুলো আপনার পোস্টের বক্তব্যের সাথে যায়না তবুও আপনার জিজ্ঞাসার জবাবে জবাব দিলুম যদি তাতে আপনার কিছু আলাদা ধারনা গড়ে ওঠে !
আর নয় । শুভেচ্ছান্তে ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ আহমেদ জি এস ভাই আলোচনা চলুক রাখার জন্য,
আমার পোষ্টের প্রথম প্যারাগ্রাফ:
"বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতে আমরা বুঝি স্বাধীনতা ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২৫ শে মার্চের গণহত্যা, ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা; ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা, ও ১৬ ডিসেম্বরে পাক হানাদার বাহিনীর আত্নসর্মপনের মাধ্যমে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। মধ্যবর্তী ৯ মাসে দেশের কোন সেক্টরে কেমন করে মুক্তিযুদ্ধ চলল? পুরো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কি-মোমেন্ট গুলো কি? পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে কোন সেক্টরে কেমন যুদ্ধ হয়েছে? ঐ যুদ্ধের পরিকল্পনা কে করেছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মাঠ পর্যায়ে কে নেতৃত্ব দিয়েছিল? ফলাফল কি হয়েছিল? কত গুলো শহীদের বিনিময়ে?"
আমি মুক্তিযুদ্ধের কোন ইতিহাসের কথা বলছি তা উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছি; বিশ্বের অন্য যুদ্ধ থেকে উদাহরণ দিয়ে বলেছি এই ধরনের মোমেন্ট কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নাই? অবশ্যই আছে; সেগুলো আমরা জানিনা কারণ প্রচলিত মিডিয়ার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে বিষয় গুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হয় সেগুলো ঘুরে-ফিরে একই। এত স্পষ্টত করে লিখার পরেও কিছু ব্লগার পোষ্টের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। যে কারণে ঐ সকল ব্লগারদের জন্য আপনার কোট করা বাক্যটি পরবর্তীতে যোগ করা হয়েছে। পোষ্টে জার্মানির পারমানবিক বোমা বানানোর রাসায়নিক কারখানায় সাবোটাজের সংবাদের রেফারেন্সের লিংক যোগ করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে আগ্রহী পাঠক সেই সংবাদটি পড়তে পারে। পোষ্টে নতুন করে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় নি।
আমার পোষ্টের শেষ প্যারাগ্রাফ:
"শুনেছি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ট্রেনিং এর সময় যুদ্ধের স্ট্রাটেজি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের ইতিহাস আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা সদস্যদের ট্রেনিং এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস কতটুকু আলোচনা করা হয় তা জানার আগ্রহ আছে। যদি কেউ শেয়ার করেন আমার সাথে তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।"
এই প্যারাগ্রাফে আরও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কোন ধরনের ইতিহাসের কথা জানতে চেয়েছি।
এই মন্তব্যের ঠিক উপরের মন্তব্যে আমি মন্তব্য করেছি:
পাকিস্তান যদি ভারতে আক্রমণ না করত তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি বাংলাদেশের যুদ্ধে জড়াত কি না তা ভাবার অনেক কারণ রয়ে যায়। কারণ সেই এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখে মুজিব নগর সরকারের শপথ নেওয়ার পর থেকেই একাধিকার প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন ইন্দ্রাগান্ধির কাছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসাবে স্বকৃতী চেয়েছিলেন ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সরাসরি সাহায্য চেয়েছিল যার কোনটাই পান নি যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী অস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়েছেন প্রায় শুরুর দিক থেকেই। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একাধিকার ইন্দ্রাগান্ধিকে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য (জুন মাসের পর থেকেই) কিন্তু ইন্দ্রাগান্ধি সেই পরামর্শ অগ্রাহ্য করেছেন। যে কারণে ইন্দ্রাগান্ধির সাথে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাস বইয়ের পাতায় প্রতিটি ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে। এই ইতিহাস বই গুলোর অনেক গুলোই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই এবং অনেক বঈ লিখেছেন ভারতীয় সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
আমি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে যতটুকু জেনেছি যে অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগের বেশি এলাকা পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় টাঙ্গাইল অঞ্চল পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত ছিলও। এমনকি ঐ এলাকার মানুষ পাকিস্তান সরকারকে কর না দিয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যদের কর দিয়েছেন ও সেই করের টাকা দিয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের খরচ নির্বাহ করা হয়েছে। আমি যদি ভুল জেনে থাকি তবে আমাকে জানালে নিজেকে সংশোধন করে নিবো।
অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে পাক হানাদার বাহিনী গ্রাম-বাংলা থেকে ফিরে অবস্থান নিয়েছিলও ক্যান্টনমেন্ট গুলোর মধ্যে। তাদের চলাচলও সীমাবদ্ধ ছিলও নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে কারণ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আসা অনেক পূর্বেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ও পূর্বে মজুদ অস্ত্র ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসছিলো। গুলি-হীন বন্দুক নিয়ে মাঠে নামার সাহস অনেক পূর্বেই হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সৌভাগ্য যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ডিসেম্বরের ৬ তারিখ থেকে সরাসরি মুক্তিবাহিনীর সাথে যুদ্ধে যোগ দেয়; অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর আত্নঃসর্মরপন ও পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিরাপদে ভারতে সরিয়ে নিয়ে যায়। নইলে ৯০ হাজারের একজনও জীবন নিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারতো কি না সন্দেহ আছে। বন্দি পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের কি অবস্থা হতে পারতো তার কিছুটা অনুমান করা যায় পল্টন ময়দানে কাদের সিদ্দিকীর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর পরিণতি দেখে।
হ্যাঁ, আপনার সাথে এই বিষয়ে দ্বিমত নাই যে শুরু দিকের যুদ্ধ গুলো ছিলও গেরিলা যুদ্ধ। তার কারণটা হলও জুলাই মাসের পূর্বে অফিসিয়াল কোন সশস্ত্র বাহিনী ছিলও না। ঐ হামলা গুলোতে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ সেই অপারেশন গুলো কোন ট্রাইনিং প্রাপ্ত সামরিক অফিসার দ্বারা পরিকল্পনা করা হয় নি; পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামরিক রুল অনুসরণ করা হয় নি। ঐ সকল হামলার অনেক গুলো করা হয়েছিলো আবেগ তাড়িত হয়ে। নিজেদের সামর্থ্যের কথা না ভেবেই পাক-হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করা হয়েছে। শত্রুপক্ষের সামর্থ্যের প্রমাণ পাওয়ার পরেও পিছু হাটার চিন্তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছিল। জেনারেল ওসমানী সাক্ষাৎকার অনুসারে সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জুন মাসের শুরু দিকেই যা বাস্তবায়ন করা হয়েছে জুলাই মাসের ৭ তারিখে কোলকাতায় মিটিং করার পরে।
আমি মনে করেছিলাম আপনি হয়ত ডিসেম্বরের পূর্বের পুরো যুদ্ধটাকে গেরিলা যুদ্ধ হিসাবে গণ্য করেছেন। আপনাকে ভুল বোঝার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
শতকরা ৯৮% মানুষ মুক্তিকামী ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেটা আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি। যে কারণে মনে করি মুক্তিযোদ্ধার লিস্ট না করে রাজাকারের লিস্ট করা অনেক বেশি যুক্তি-যুক্ত। রাজনৈতিক দল গুলো যদি সংবিধান অনুসরণ করে দেশ পরিচালিত করতো তবে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করতে হতো না। দুস্হ্ঃ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করার প্রয়োজন হতো না; ৪ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধাও দেখতে হতো না দেশের মানুষকে।
পরিশেষে আবারও আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ লইয়া চাঁদগাজী কাহুর মতন একাডেমিশিয়ান মুক্তিযোদ্ধার না লেখাটা অপরাধের পর্যায়ে পরে। আমিও বহুবার তাহাকে লিখার অনুরোধ করিয়াছি ! সম্ভবত এ. কে. খন্দকারের অভিজ্ঞতা দেখিয়া কোন প্রথিতযশা মক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ লইয়া আর লিখিবেন না ! অন্তত বাআলের আমলে !
পাকিরা ইন্ডিয়ান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করিয়া গোয়া বাচাইছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পড়িলে কি হইত তাহা কাদের সিদ্দিকী দেখাইয়া দিয়াছে ! তবে ইন্ডিয়া স্বার্থপরের মতন নিজের স্বার্থ উদ্ধার করিয়া পাকিদের সসম্মানে পাকিস্তানে পৌঁছাইয়া দিয়াছে ! বাঙালির ন্যায্য হিস্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের বিচার পাওয়া হইতে বঞ্চিত করিয়াছে ! যুদ্ধের খরচ লুটপাট করিয়া আদায় করিয়াছে ! দুইটারেই গদাম !
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমিও মনে করি নিজের ব্যাক্তিগত অভিমান ভুলে চাঁদগাজি ভাই এর নিজের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা এখনই লেখা শুরু করে দেওয়া উচিত।
১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
স্পার্টাকাস৭১ বলেছেন:
১ নং কমেন্টের উত্তরে আপনি লিখেছেন- মুক্তিযুদ্ধের সময় একটা অংশের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পূর্বেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তারা কোন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই; কিন্তু নিজেদের ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে।
আপনার মতে কাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়?
আপনি কী অপারেশন জ্যাকপটের নাম শুনেছেন বা এই বই গুলো পড়ে দেখেছেন?
Islam, Major Rafiqul, A Tale of Millions
Shafiullah, Maj. Gen. K. M. Bangladesh At War
Jacob, Lt. Gen. J. F. R., Surrender at Dacca: Birth of a Nation
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুহম্মদ জাফর ইকবাল
সাখাওয়াত হোসেন মজনু। রণাঙ্গণে সূর্য সৈনিক
শামসুল হুদা চৌধুরী। একাত্তরের রণাঙ্গণ।
Siddiq Salik। Witness to surrender।
রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে।
লে কর্নেল(অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
ডাঃ মাহফুজুর রহমান। বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম।
খলিলুর রহমান (২০০৭)। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-অভিযান।
চেতনায় একাত্তর,
War in Indian Ocean, By Vice-Admiral Mihir K.Roy
মঈদুল হাসান। মূলধারা '৭১
Ray, Vice Admiral Mihir K., War in the Indian Ocean
Operation Jackpot, Mahmud, Sezan, Mukhobondho
Mukul, MR Akthar, Ami Bejoy Dekhechi
Rahman, Md. Khalilur, Muktijuddhay Nou-Abhijan
Islam, Maj. Rafiqul, A Tale of Millions
নাও লেট মি গেস, আপনার বাবা কী কাদের মোল্লা বা কামরুজ্জামান কিংবা মুজাহিদ?
ব্লগে কাঁঠাল পাতা কাদের জন্য আবিষ্কার হয়েছে ঠিক জানেন তো?
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক বই গুলোর লিস্টের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি যখন লিখিতেছিলাম তখন হঠাৎ করে মনে পড়ল প্রখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নার্ড শ এর নিম্নোক্ত উক্তিটি মনে পড়ে গেল।
১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫২
তারেক ফাহিম বলেছেন: মুন্সিয়ানায় বাজনা একটু বেশি মনে হচ্ছে লিখায়
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার মন্তব্য মাথার উপর দিয়া গেলো। মাথার উপর দিয়া বল করলে সেটাকে নো-বল ঘোষনা করে আম্পায়ার। আইনের মধ্যে থেকে বল করুন।
১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৭
সোহানী বলেছেন: দেশে এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি বলতে হবে কি জানতে হবে সেটা ছক করা, এর বাইরে গেলেই আপনি কাঁঠাল পাতা চিবানোর তালিকায় নাম উঠােবেন।.....
হাঁ আমিও বলি চাঁদগাজি ভাইরা যারা লিখালিখির সাথে যুক্ত ও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলে দাবী করেন, তারা কেন লিখছে না? কিসে তাদের ভয়?????? ছকের বাইরে যাবার ভয় নাকি অন্যকিছু?
আপনাদেরকেই বলছি, পারলে কিছু লিখুন, আমরা সঠিকটা জানি।
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মুক্তিযুদ্ধের সময় একটা অংশের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পূর্বেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তারা কোন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই; কিন্তু নিজেদের ঠিকই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে।"
-এঁরা যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন, দরকার হয়নি বলে করেননি, এঁরা মুক্তিযোদ্ধা
২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের অনে সাহসী গল্প আছে। আমি আমার মায়ের থেকে এরকম কয়েক্টি শুনেছি। নানুদের গ্রাম পাকিরা জালিয়ে দিয়েছিলো। নানু, মা খালারা ধান খেতে লুকিয়ে ছিলেন। মুক্তি যুদ্ধারা রাইফেলের গুলি ছুড়লে পাকিরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে লঞ্চে ফিরে গিয়ে অন্য স্হানে পালিয়ে গেছে। আরো কত কি।।
২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
গৃহস্থের বাড়িতে যেদিন দাওয়াত থাকে সেইদিন অমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও কিছু প্রাণীর আগমন ঘটে। সব সময় বাড়ির চার পাশে ঘুরা-ঘুড়ি করে কখন অতিথির প্লেটে মুখ দিবে; কখন ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হাড্ডি চাবাবে। ব্লগের ক্ষেত্রে ঐসকল অনিমন্ত্রিত অতিথিদের ছাইয়া ব্লগার বলে। কেউ-কেউ তাদের হিজড়া ব্লগারও বলে থেকে।
যাই হউক, সুস্থ আলোচনার স্বার্থে এই পোষ্টের সকল মন্তব্য পর্যবেক্ষণ করে অবমুক্ত করা হবে। ছাইয়া ব্লগার ছাড়া প্রতিটি ব্লগারের মন্তব্য প্রকাশ করা হবে এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি সেই মন্তব্য যদি প্রচণ্ড সমালোচনামূলকও হয়। গত ৮ বছরে আমার ব্লগ গালা-গালি মুক্ত থেকেছে ভবিষ্যতেও তা নিশ্চিত করতে চাই। মন্তব্য মডারেশনের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আলোচনা-সমালোচনা চালু থাক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, গ্রামের যুবক ও ছাত্রেরা; এরা কেহ লেখক ছিলেন না; যুদ্ধ নিয়ে প্রায় সেক্টর কামন্ডারেরা বই লিখেছেন; আপনি না পড়ে, এসব কি লিখছেন?
যদিও আমি পড়িনি, তবুও জানি যে, মেজর জিয়া, ক্যা: অলি, মেজর রফিক, মেজর শওকত আলী যুদ্ধের উপর বই লিখেছেন। ম্যাঁওপ্যাঁও করার আগে বড় কোন কাইব্রেরীতে গিয়ে জানার চেষ্টা করেন।