নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে বাংলাদেশেকে; আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশকেই। সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৬



একই চোর যদি গৃহস্থ বাড়িতে বার বার চুরি করে ও পার পেয়ে যায় তবে চুরির জন্য গৃহস্থ নিজেও কিছুটা দায়ী নয় কি? চোরকে চুরি থেকে বিরত রাখতে চাইলে চোরকে ধরে নিজেই উত্তম-মাধ্যম দিতে হবে অথবা চোরকে ধরে পুলিশের কাছে নিতে হবে। তাই নয় কি?

মায়ানমার নামক রাষ্ট্রের গৃহীত পলিসির কারণে আমাদের দেশের বর্ডার নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত; আমাদের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই সমস্যাটা গত ৩০ বছর ধরে চলে আসছে। এই সমস্যাটা দ্বিপক্ষীয় ভাবে সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। যে সমস্যাটা দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা যাচ্ছে না তা সমাধানের জন্য অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। যার কোনটি অন্বচলিক (যেমন: আশিয়ান) ও কোনটি বিশ্বব্যাপী যেমন জাতিসংঘ।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে বাংলাদেশেকে; আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশকেই। সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই। নইলে প্রতিবছর মায়ানমার একই কাজ করবে; আর অল্প-অল্প করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাঠাবে। দেখা যাবে আগামী ১০-১৫ বছরে মায়ানমারে রোহিঙ্গা নামে কোন জাতি গোষ্ঠী নাই; পক্ষান্তরে বাংলাদেশের পাঠ্য বইয়ে চাকমা, মারমা, হাজং নামক জনগোষ্ঠীর সাথে উচ্চারিত হচ্ছে রোহিঙ্গা নামক আর একটি গোষ্ঠীর নাম।

মায়ানমার নামক রাষ্ট্রটি যেহেতু নিজেই রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টির জন্য দায়ী সুতরাং তারা নিশ্চয় বিচার নিয়ে জাতিসংঘে যাবে না। অপরাধী অপরাধ করে কি পুলিশের কাছে যায় যে আমি অপরাধ করেছি; আমাকে গ্রেফতার করে বিচার করুন! জাতিসংঘের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো হলও বিচারক। বিচারকের সামনে বাদী পক্ষের উকিল যদি অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পরো তাহলে বিচারক বাদীর পক্ষে রায় দিবে কিভাবে?

গুলির মুখে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ- মিয়ানমর সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা তিন দিন ধরে অবস্থান করছে৷ তাঁরা না পারছেন মিয়ানমারে ফিরতে, না পারছেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে৷ দু’দিকেই তাঁরা গুলির মুখে

বাংলাদেশ সরকারের উচিত ঢাকা থেকে সকল পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিক ও সংবাদ মধ্যমের প্রতিনিধিদের টেকনাফে নিয়ে গিয়ে নাফ নদীর ওপারে কি হচ্ছে তার দৃশ্য দেখানোর ব্যবস্হা করা।



সরকারের পলিসি মেকাররা হয়ত মনে করছেন যে কূটনৈতিকদের নিয়ে গেলে তারা চাপ দিবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য। যে কোন উপায়েই হউক না কেন রোহিঙ্গারা এমনিতেই বাংলাদেশের প্রবেশ করতেছে। বরং কূটনৈতিকদের চোখের সামনে যদি ১ হাজার রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় তবে তারা বুঝবে যে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিশ্চয় কোন গুরুতর সমস্যা আছে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরং কূটনৈতিকদের চোখের সামনে যদি ১ হাজার রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় তবে তারা বুঝবে যে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিশ্চয় কোন গুরুতর সমস্যা আছে।
আমার মনে হয় এতেও তারা বুঝবে না মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কোন সমস্যা আছে। তারা এখন অন্ধ হয়ে গেছে।
এই আধুনিক যুগে কোন খবর পাওয়া কি এতই কঠিন। তারা আসলে দেখেও না দেখার ভান করে আছে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: ওদের হাজার বছরের বাসস্থান ছেরে কেন
ওরা বাংলাদেশ অভিমুখে বর্ডারে মৃত্যুর
দারপ্রান্তে এসে একটু বাঁচার জন্য অপেক্ষা।
কতটা বছর রাখাইন রহিঙ্গারা অত্যাচারিত।
জাতীসঙ্ঘর চোখের ছানী পরেছে। বিশ্বমানবতা
কথায়। মানবঅধিকার লঙ্ঘিত কিভাবে নিপীরন
হচ্ছে। মায়ানমার সরকার চিরকাল মানবঅধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই দোহায়
দিয়ে অংসান সুচী নোবেল নিয়ে দেশটাতে
ভোটে জিতে এখন নিজেই ওম ওম শান্তি
পতিষ্ঠার নামে রহিঙ্গারা এদেশের মানুষ না
বুলি আওরাচ্ছে। আসলে কি মিয়ানমার
সামরীক প্রশাসন অংসান সুচিকে ভোট দিয়েছিল সুচীকে কব্জা করে স্বার্থ উদ্ধার
করার। সুচী কি বাধ্য নাকি তার নীতি
বিসর্জন দিয়েছে।
ভারতে বাংলাভাষাভাসী অনেক মানুষ বাস করে
তাইবলে কি ভারত সরকার বলবে তারা
বাংলাদেশের মানুষ। আন্তরজাতীক মানব
আইন ইউরোপ আমেরিকায় যে ভূমিতে
একটি শিশু জম্মনিবে সেখানেই তার জম্মভূমি
অথচ রহিঙ্গাদের হাজার হাজার বছরের
জম্মভূমি কেন ওরা ছেড়েজেতে বাধ্য হচ্ছে
মৃত্যুর দিকে এগিয়ে বাঁচার আকুতি।
জাতীসঙ্ঘের চোখের ছানী মানবতা আজ
লঙ্ঘিত কিভাবে। আমরা বলার ভাষা হাড়িয়ে
ফেলেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: পৃথিবী আজ উত্তপ্ত
সকলেই যেন বেহুস ও উন্মাদ হয়ে মৃত্যুর পথে বা ধংশের পথে চলে যাওয়ার জন্য উত্তেজিত শুকরের মত ছব্দ হচ্ছে!
'ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়' কথাটি যেন অনুভূতির বাইরে চলে গেছে! আদীম যুগের সাথে এযুগের তফাৎটা কোথায়! জ্ঞানী আর অজ্ঞানীর ব্যবধান কি?
বন্ধ করে দাও অহেতুক সকল শিক্ষা ব্যবস্থা ও সায়েন্স। বাজেয়াপ্ত করে দাও সকল সংঘ,সংস্থা,প্রযুক্তি। ছুড়ে ফেলে দাও সিদ্ধ-রান্না খাবার ও মেডিসিন। উলঙ্গ হয়ে যাও সকলে,হাতে ধর হাতিয়ার আর জ্যান্ত খ্যাপা কুত্তা ও গোখরা সাপ মেরে তার কাচা মাংশ খেয়ে জিবন যাপন কর। তাতে অনেক ভাল থাকবে। অন্তত্ব নিজের বিবেকের কাছে ভাল থাকবে। জ্ঞানী হয়ে অপরাধীর মত বাচার চেয়ে অজ্ঞানী হয়ে বেচে থাকার মাঝে অনেক সুখ পাবে।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি মনে করি রোহিঙ্গাদের মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া দরকার। জাহাজে করে প্রথমে কেনিয়া, তারপর স্থলপথে উগান্ডা, রুয়ান্ডার মত দেশে এদের সেটেল করতে হবে। সরকারের উচিত আফ্রিকার দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের সাথে সাক্ষাৎ করে সেই দেশগুলোতে ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ঠিক। বাংলাদেশকেই তার নিজের সমস্যা সমাধান করতে হবে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপাতত আশ্রয় দিন, খাদ্য দিন, চিকিৎসার সুযোগ দিন- তাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবেন না।
তাঁরা ছন্নছাড়া, পরিবারহীন। তাঁদের সংখ্যা এখন শতক থেকে কয়েক হাজারে পৌঁছেছে।
রোহিঙ্গা পরিচয়ে নয় তাঁরা মানুষ হিসেবে একটু আশ্রয় চায়, মানবতা চায়।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,




রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে বাংলাদেশেকে; আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশকেই। সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই।

আমরা দেশের প্রয়োজনটা বুঝিনা , নিজের প্রয়োজনটা দু্ইশো ভাগ বুঝি । তাই আজকের এই অবস্থা । নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লবিং করতে পারি আদাজল খেয়ে কিন্তু.......................................

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

সোহানী বলেছেন: খুব আশ্চর্য্য হই রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন আন্তর্জাাতিক খবর-চাপ-লবিং না দেখে। যেন সবাই অপেক্ষা করছে হয় ওদের মৃত্যু নয়তো অন্য দেশে পাচার। কোথাও কোন নিউজ নেই.... এ ফেইসবুক, ইর্ন্টানেট মিডিয়ার যুগেতো মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ার কথা কিন্তু কোন নিউজই নেই।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে বাংলাদেশেকে; আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশকেই। সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই।
++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.