নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
কথিত আছে, 'রোম যখন পুড়ছিলো, রোমান সম্রাট পুড়ছিলও তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলও'।বাংলাদেশের একজন নাগরিক যখন কলোরেডোর রাজ্যের বোল্ডার শহরে বসে বৃষ্টিপাতের সঠিক পূর্বাভাষের উপর ট্রেনিং করছিল; তখন বাংলাদেশের রাজধানী বৃষ্টিতে ভাসছিলও
গতকাল কেয়ক জন ম্যাসেজ বক্সে অনুরোধ করছিল আবার কোন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলও কি না বঙ্গোপসাগরে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দেখে নিশ্চিত হলাম যে তখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় নাই; তবে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছিল উপকূলীয় এলাকায়। কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশেষ করে জাপানের আবহাওয়া উপগ্রহ Himawari-8 থেকে প্রাপ্ত চিত্র (প্রতি ৩০ মিনিট পর-পর নতুন চিত্র পাওয়া যায়)। যে চিত্র প্রায় ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ নির্ভুল তথ্য দেয়। ঐ চিত্র দেখে তাদেরকে বললাম যে নিম্নচাপ এখনও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় না; তবে উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হবে; সেই সাথে উচ্চ গতির বাতাস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরও জাপানের আবহাওয়া উপগ্রহ Himawari-8 থেকে প্রাপ্ত চিত্র ব্যবহার করে। করে কি না জানি না তবে নিজেদের ওয়েবসাইটের এক কোনায় জাপানের আবহাওয়া উপগ্রহ Himawari-8 থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখানোর একটা লিংক করে রেখেছে। আল্লাহ মালুম; কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করার মতো যোগ্য কোন ব্যক্তি সেখানে আছে কি না। আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে যে ফরম্যাটে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দিত এই ২০১৭ সালেই সেই একই ফরম্যাটে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়। এরা আবহাওয়া অফিসে বসে কি করে আল্লাহ মালুম। তাদেরই বা দোষ দেয় কি ভাবে? প্রতিবেশী তার উঠানে আম গাছ লাগিয়ে; প্রতিবেশীর কাছ থেকে আপনি যদি কাঁঠাল খাওয়ার আশা করে বসে থাকেন ও সিজন শেষ দেখেন প্রতিবেশী আম দিয়ে গেছে বাসায়, তবে বেক্কল কাকে বলা হবে আপনাকে নাকি প্রতিবেশীকে?
স্বাধীনতার ৪৬ বছরে পরেও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যার উপর অনার্স বা মাস্টার্স প্রোগ্রাম খুলা হয় নাই (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বছর মাত্র অনার্স খুলা হয়েছে একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে; দূর্ভাগ্যজনক ভাবে যে শিক্ষকের নিজেরই আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যার উপর কোন ডিগ্রী নাই)।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আবহাওয়া-বিদ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পদার্থ, রসায়ন, ও পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটদের। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যে পরিচালক তার নিজেরই কোন উচ্চ ডিগ্রী নাই আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যার উপর। কোন গবেষণা নাই; কোন পড়া-শুনা নাই; কোন উচ্চ শিক্ষা নাই; আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার পয়সায় প্রতি বছর বিদেশ ভ্রমণ; ফি বছরে প্রমোশন। তাহলে এরা পড়া শুনা করবে কেন? গবেষণা করবে কেন? প্রমোশনের জন্য তো উপরে বর্ণিত কোন যোগ্যতার দরকার নাই।
ফেসবুকে ঘুরে দেখেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যে কর্মকর্তারা আছেন তাদের ওয়ালে আবহাওয়া বিষয়ে বছরে ১ টা করে পোষ্ট আছে কি না। একই সাথে লক্ষ করলে দেখবেন প্রত্যেকেই ট্রেনিং এর নামে প্রতিবছর কয়েকবার করে বিদেশ ভ্রমণ করে। এরা নিজেদের নামের সামনে বা পিছনে টাইটেল লাগায় আবহাওয়া-বিদ; কিন্তু উনাদের যদি আবহাওয়া পদার্থ বিজ্ঞানের খুবই প্রাথমিক কিছু বিষয় জিজ্ঞাসা করা হয় যেমন: Thermal Wind কি?, Ekman spiral কি?, Navier–Stokes equations এর কাজ কি? Coriolis force কি? এদের অনেকেই হয়ত উল্টা প্রশ্ন করে বসবে ঐ গুলা কি খায় না মাথায় দেয়?
আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যায় মানুষের আর্জিত জ্ঞান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ৩ দিনের পূর্বাভাষ প্রায় শতকার ৮০ ভাগ নিশ্চয়তাসহ করা যায়। ১/২ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাষ করা যায় প্রায় ঘড়ি-ঘণ্টা ধরে। আমেরিকা ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে যার নাম Geostationary Operational Environmental Satellite system (GOES)-16। এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের পূর্বের নাম ছিলো GOES-R। এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার পূর্বেই আমেরিকা টর্নেডোর পূর্বাভাষ করতে পারত প্রায় ১-২৪ ঘণ্টা পূর্বেই। বর্তমানে সেই সক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৫ গুন।
এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পশ্চিম গোলার্ধের জলভাগের সকল ঘূর্ণিঝড় ও স্থল ভাগের severe thunderstorms (বর্জ্য বৃষ্টি) ও টর্নেডোর পূর্বাভাষ করা হচ্ছে। উপরোক্ত কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার ১ দিন পূর্বে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এর সহযোগিতায় The University Corporation for Atmospheric Research (UCAR) নামক আবহাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহারের উপর ১ দিনের একটা ট্রেনিং দেয়। সৌভাগ্যক্রমে সেই ট্রাইনিং এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয় আমার।
UCAR নামক আবহাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান যা আমেরিকার সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করেন ও স্নাতক ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণ শিক্ষকদের জন্য উচ্চ প্রশিক্ষণের ব্যবস্হা করে থাকেন। আমি বর্তমানে "Advance Study Program (ASP) summer colloquium: 2017 - THE INTERACTION OF PRECIPITATION WITH OROGRAPHY (IPRO) নামক যে ট্রেনিং করতেছি সেই ট্রেইনিংএর আয়োজকও এই প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নামকরা আবহাওয়া বৈজ্ঞানিকরা। এই প্রতিষ্ঠানটি আবহাওয়া বিষয়ক অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালনা করেন COMET নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে; যে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন পৃথিবীর যে কোন মানুষ। প্রশিক্ষন শেষে পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেটও অর্জনকরা যায়। সাধারণ বিজ্ঞান শিক্ষা ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই এই প্রতিষ্ঠানের ট্রেইনিং গুলোতে অংশগ্রহন করা যাবে।
ইউটিউবে ঢুকে যেমন সিনেমা-গান দেখতে পারেন বা হাল আমলের কেকা আপার ডেকো নুড়ুসের বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি শিখতে পারেন একই ভাবে COMET নামক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুকে একাউন্ট খুলে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর ট্রেনিং নিতে পারে। যখনই সময় পাই আমি নিজেই এই সাইট থেকে আবহাওয়া বিষয়ক জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করি।
বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষার ব্যবস্হা নাই। কিন্তু প্রবাদে আছে "ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়"। প্রশ্ন হলও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে কর্মরত মানুষের শেখার ইচ্ছে আছে কি না?
পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চলমান ঘূর্ণিঝড়, টাইফুন কিংবা হ্যারিকেন থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে পরিচিত হউন ১ ডজন ওয়েবসাইট এর সাথে
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সমস্যা আছেরে ভাই। পোষ্ট অফিস সরকারি। ডাক পিওন যদি সোমবারের চিঠি মঙ্গলবা দিয়ে যায় তবে আপনার জীবন যাবে না; কিন্তু আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে মানের জান ও মাল সবই চলে যাবে।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আবহাওয়া বিষয়টির গুরুত্ব এখনো অনুধা্বিত হয়নি । অথচ বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম প্রধান ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোনে আক্রান্ত দেশ।
কথায় আছেনা আসল ঘরে মুশল নেই ঢেকি ঘরে চাদোয়া।
ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিৎ ।জীবন বাচানো ফরয হলে এ কাজটিও ফরযের মধ্যে পড়ে ।
১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
সেলিম ভাই, চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সেই কথাটাই আমি লিখেছি একটু ঘুরে ফিরে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; যে ঘূর্ণিঝড়টি ছিলও বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার অন্যতম প্রভাবক। ১৯৯১ সালে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারাল; ২০০৭ সালে প্রায় ১০ হাজার। এর পর বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যার উপর অনার্স বা মাস্টার্স প্রোগ্রাম খুলা হয় নাই গত ৫৬ বছরে। একটা দেশের নিতি-নির্ধারকরা কত বড় বেক্কল হলে এর ধরণের অবহেলা করে।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রবাদে আছে "ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়"। প্রশ্ন হলও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে কর্মরত মানুষের শেখার ইচ্ছে আছে কি না?
??????????
কমেট এর জন্য কৃতজ্ঞতা!
যাই ইস্কুলে যাই +++++++++++
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
স্কুলে গিয়া কি শিখলেন জানাতে ভুলবেন না কিন্তু
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০২
এস বাসার বলেছেন: বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ(!) রা যখন বলে "আগামী কাল আকাশে মেঘ বেশী থাকলে বৃষ্টি হতে পারে" অথবা "উত্তরে বাতাসের কারনে ঠান্ডা বাড়তে পারে"......... এসব যখন ওরা টিভি মিডিয়াতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বচন দেয়, তখন ভাবি, আমাদের দেশের অশিক্ষিত রিকশাওয়ালারাও এদের চেয়ে বেশী জানে।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদের দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাষ দেখলে শিয়ালের কুমিরের ছানা দেখানোর গল্পের কথা মনে পড়ে যায়
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
সুমন কর বলেছেন: আপনি কিছু শিক্ষতে পারছেন, জেনে ভালো লাগল। আর যাদের আগ্রহ আছে, তারা COMET নামক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ঢুকে একাউন্ট খুলে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর ট্রেনিং নিতে পারে। খবরটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সব মিলিয়ে পোস্ট ভালো হয়েছে।
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধব্যবাদ সুমন ভাই। COMET নামক প্রতিষ্ঠানটি খুবই রিসোর্সফুল একটা সাইট। বিজ্ঞানের উপর যাদের সাধারণ ধারণা আছে তারাই ঐ সাইট থেকে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর ট্রেনিং নিতে পারেবে।
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
শরীফুর রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
শায়মা বলেছেন: বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া বিজ্ঞানের উপর প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষার ব্যবস্হা নাই। কিন্তু প্রবাদে আছে "ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়"। প্রশ্ন হলও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে কর্মরত মানুষের শেখার ইচ্ছে আছে কি না?
হায় হায় কি আশ্চর্য্য!
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
প্রবাদে আছে যে যতই ঘি দিয়ে ডলা ডলি করা হউক না কেন কোন প্রানীর লেন্জা নানি সোজা হওয়ার নয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাষেরও একই অবস্হা
আপা, আশাঁ করি ভাল আছেন। যেহেতু মন্তব্যটা পড়েছে ১৪ তারিখে তাই নিশ্চিত হলাম যে পাহাড় চাপা পড়েন নাই । আকাঁ-আকি কেমন চলছে আপুনি
৮| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুনলে না অপ্রিয় লাগবে ;আর উনাদের শেখার আগ্রহের দরকার কি ,না শিখেই বেশ আছেন ।
আপনার লেখায় মাঝে মাঝেই বেশ মজার কিছু শেখার ওয়েব এড্রেস থাকে ;সে জন্য ধন্যবাদ !
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপা আশা করি ভাল আছেন। প্রবাদে আছে যে যতই ঘি দিয়ে ডলা ডলি করা হউক না কেন কোন প্রাণীর লেন্জা নাকি সোজা হওয়ার নয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাষেরও একই অবস্থা। তাই চেষ্টা করি রিসোর্স গুলো সকলের সাথে শেয়ার করার যাতে করে ""চাচা, আপনার প্রাণ বাঁচা" নিতি মেনে চলে। অথবা ইংরেজি প্রবাদ "Self-help is the best help"।
ঈদে কানাডা বেড়েতে চলে আসেন। তার পর আপনারে নিয়া সোহানী আপার বাসায় ঈদের দাওয়াত খাইতে যামু
৯| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
সোহানী বলেছেন: পলাশ ভাই অনেক দিন বিদেশে থাকার কল্যানে দেশে চাকরী বা প্রমোশনের জন্য কি যোগ্যতা লাগে তা আপনি মনে হয় জানেন না বা ভুলে গেছেন। স্ট্রং পলিটিকেল ব্যাকগ্রাউন্ড + পলিটিকেল রেফারেন্স ছাড়া এখানে সুইপারের ও চাকরী জোটে না আর সেখানে আবহাওয়া অধিদপ্তর বা ইউনিভার্সিটি.... স্বপ্ন বহু দূর।
পার্সোনাল ঘটনা শেযার করি। আমার অফিসের জন্য পিওন পদে একজন ডেপুটি সেক্রেটারির ভাই ছিল এপ্লিকান্ট। যেহেতু সেক্রেটারী মহোদয় এর মাস্টার্স পাশ ভাইকে কিভাবে পিওন পদে নিবো বা তাকে দিয়ে কিভাবে বাথরুম পরিস্কার করাবো এবং সে চিন্তায় ইন্টারভিউ নিয়ে বাদ দিলাম (যদিও সে যোগ্য কেন্ডিডেট ছিল না)। এবং সে সূত্র ধরে আমিই চাকরী ছেড়ে দিলাম বা ছাড়তে বাধ্য হলাম.....হাহাহাহাহা
যাকগা কথায় কথা বাড়ে, এসব এক্সিপেরিয়েন্স বলতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে....
ট্রাম্পের দাওয়াত এর খানাপিনা কেমন হলো... ইভানকা বা মেলিনা আন্টি কেমন খাতির যত্ন করলো !!!!!
১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
দেশটা যে দিনে দিনে কোথায় যাচ্ছে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন। আমাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কোন রকম কোটা ছিলও না। মুক্তিযোদ্ধা, খেলোয়াড়, পোষ্য কোন প্রকার কোটাই ছিলও না। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম সেই সময় ভিসির নিজের ছেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় নাই ও কোন কোটা না থাকার কারণে ভর্তি হতে পারে নাই। এই জন্য আমরা সব-সময় গর্ব করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের বলতাম। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মেধা ছাড়া আর কোন কিছু বেইল নাই।
এর পর প্রথমে চালু হলও মুক্তিযোদ্ধা; এর পর শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষকরা আন্দোলনে নামল পোষ্য কোটার। ভিসি নিজের দুর্নীতি ঢাকার জন্য পোষ্ট কোটা চালু করল। একই ভাবে আমারদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ছিলও যে ডক্টরেট ছাড়া কেউ সহযোগী অধ্যাপক (Associate Professor) হতে পারবে না। ২০০৮ সালের পর থেকে সেই নিয়মও উঠে গেলো।
আপনার অবিজ্ঞতার কথা শুনে মাননীয় স্পীকার হয়া গেছি হি হি হি এখন তো মনে হচ্ছে ডেপুটি সেক্রেটারির ভাইকে চাকুরী দিয়ে টয়লেট ক্লিনিং এর কাজ বুঝাইয়া দেওয়াই উত্তম ছিলও।
আপা, রুচি-টুচি নাই আজকাল খাইতে পারি না ঠিক মতো ট্রাম্পের দাওয়াত এর রাতের খাবার
১০| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: ভালো আছি মনে হয় কারণ আমি ভালো থাকতে জানি! আর আমি পাহাড়ে থাকি না বটে তবে পাহাড়ের মানুষগুলোর জন্য সত্যি মন খারাপ ভাইয়া। কদিন আগেই ঘুরে এসেছি রাঙ্গামাটি হতে কাজেই চোখের সামনে ভাসছে পাহাড়ের সব কিছুই।
শুধুই কি আঁকাআঁকি ! লেখালিখি রাঁধারাঁধি সবই চলছে আগের মতই। কোনো অপশক্তি কি ঠেকাতে পারে সেসব বলো অযৌক্তিক ব্যাখ্যা আর মিথ্যাচার দিয়ে! পারেনা। কাজেই ভালোই আছি আর ভালোই চলছে সবই আমার চারপাশে।
১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৮
সোহানী বলেছেন: এতোগুলা সেদ্ধ ডিম.. কোলেস্টোরেল ঠিক আছে তো। ট্রাম্প যে মহা চাপে আছে তা আপনার ডিনার দেইখা বোঝা যায়। বেচারা মনে করছিল প্রেসিডেন্ট পদ মানে তার অফিসের সিও পদ... ধমক দিয়া আর ছাটাই কইরা দেশ চালাইবো..........
১২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
বেচারা বলেছেন: ”বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আবহাওয়া-বিদ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পদার্থ, রসায়ন, ও পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটদের। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের যে পরিচালক তার নিজেরই কোন উচ্চ ডিগ্রী নাই আবহাওয়া পদার্থ বিদ্যার উপর। কোন গবেষণা নাই; কোন পড়া-শুনা নাই; কোন উচ্চ শিক্ষা নাই; আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার পয়সায় প্রতি বছর বিদেশ ভ্রমণ; ফি বছরে প্রমোশন। তাহলে এরা পড়া শুনা করবে কেন? গবেষণা করবে কেন? প্রমোশনের জন্য তো উপরে বর্ণিত কোন যোগ্যতার দরকার নাই”....... সবচেয়ে ক্যাচি অংশ। এটাই হচ্ছে সব অধিদপ্তরের বালখিল্য যোগ্যতার কারন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সরকারি সব জায়গাতেই তো দায়িত্বে অবহেলা করা হয়। এখানে হলে আর দোষ কোথায়।