নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
১৩ ই এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মায়ানমারে সংগঠিত ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেট ও ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি স্থল। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল চট্টগ্রাম থাকে সোজা পূর্ব দিকে মায়ানমারের পাহাড়ি এলাকায় বার্মিজ প্লেটের নিচে অবস্থিত। ইন্ডিয়ান প্লেটের পূর্ব দিকের যে অংশটা ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে ঠিক সেই স্থানে আজকের ৬ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পটা সংগঠিত হয়েছে।
ঘটনাক্রমে আজকে যে ফল্টে ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে তা ও ঢাকার মধ্যবর্তী স্থানে ঠিক প্যারালালে আর একটি বড় সক্রিয় ফল্ট রয়েছে যা বাংলাদেশ বর্ডার থেকে খুবই অল্প দূরত্বে অবস্হিত (সবুজ বর্গাকার ঘরের ভিতরের লাল কালারের লাইন)।
ফলে আজকের ভূমিকম্পের ফলে যে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়েছে তা এসে বাংলাদেশের ঐ ফল্ট বা বিচ্যুতিকে আঘাত করেছে। সোজা বাংলায় বলতে হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা ফ্রি-কিক মাস্টার ফুটবলার কার্লোস ফ্রি-কিক নিলে বল যেমন গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যায় ঠিক তেমনি আজকের ভূমিকম্পটি থেকে সৃষ্ট তরঙ্গ বাংলাদেশের দিকে একই ভাবে এগিয়ে এসে কুমিল্লার গারো পাহাড়ের নিচে অবস্থিত ফাটলকে একই ভাবে লাথি মেরেছে।
ছবি: ইন্ডিয়ান প্লেট ইউরেশিয়ান প্লাটের নিচে প্রতিবছর প্রায় ৭০ মিলিমিটার প্রবেশ করতেছে। দুইটি প্লেটের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত মুভমেন্ট হয় এই স্হানে।
সব ফ্রি-কিকে গোল হয় না, গোলকিপার অনেক সময় আহত হয়েও বল আটকিয়ে দেয় প্রথম বলটা কিন্তু পরের ফ্রি কিক আটকাতে পারে না।
ঠিক একই ভাবে ভূ-অভ্যন্তরের ফাটল বা বিচ্যুতি গুলো কাজ করে। একটা ফাটলের উপর বারংবার আঘাতের ফলে ঐ স্থানের প্লেট বাউন্ডারি দূর্বল হয়ে দুই প্লেটের লক খুলে যায় ও নতুন ভূমিকম্প সংগঠিত হয়ে থাকে। তাই আজকের ভূমিকম্পের ফলে কিছুটা হলেও কুমিল্লা ফল্টে কিছুটা আনস্টাবেল কন্ডিশন সৃষ্টি করতে পারে। অর্থাৎ ঐ ফল্টকে সক্রিয় করতে পারে যা থেকে অদূর ভবিষ্যতে যে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হত তার সময় কিছুটা এগিয়ে আসতে পারে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের মাথার উপর ভূমিকম্প ঝুঁকি ঝুলিতেছে ঠিক নিচের ছবির মানুষটির মাথার উপর যেমন গিলোটিনের ব্লেড ঝুলিতেছে।
ভূমিকম্প বিষয়ক আমার লেখা পূর্বে প্রকাশিত ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট যেখানে আমাদের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প কেন হয়, কোথায় হয়, কেন হয়, ও বাংলাদেশের কোন কোন এলাকা বেশি ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে তার বিস্তারিত ও সচিত্র বর্ণনা আছে ঐ সকল পোষ্ট। সকলকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল:
একটি বড় মাপের ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকার কতটুকু প্রস্তুত?
নেপালে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিকদের পূর্বাভাস ও বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের করনীয়
ভূমিকম্প গবেষকরা কেন বলেন ঢাকা ও সিলেট শহরের অনেক বাড়ি-ঘর প্রচণ্ড ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:০২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
মুন ভাই, আমাদের সরকারে কারা থাকে তা তাদের বক্তব্য দেখলেই বুঝা যায়।
সরকারের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার কোন আশা নাই। সেটা যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন। যদি সর্বশক্তিমানে বিশ্বাস করি তবে তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নাই। আর যদি বিশ্বাস করি তবে কোন কথাই নাই।
আপনাকে ধন্যবাদ গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
সোহানী বলেছেন: হে আল্লাহ্ রক্ষা করো। ৭ এর উপর উঠলেই তো মনে হয় সব দালান কাত হবে, আর তার উপর হলেতো কোন কথাই নেই।
ভালোতো, মিডেল ক্লাস সব শেষ শুধু থাকবে আপার ক্লাস আর লোয়ার ক্লাস। একদল খাবে আর আরেকদল তাদের ফরমাস খাটবে।
তথ্যভিত্তিক লিখায় +++++++++++
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
ডি মুন বলেছেন: ভাবতেই গা শিউরে ওঠে, কতটা ভয়াবহ অবস্থ আসছে সামনে। ঢাকার কথা ভাবলে তো হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে। একটা শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে ঢাকা তো মৃতের নগরীতে পরিণত হবে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে আমরা এখনো কতটা অসহায়।
অথচ এমন গুরুত্ববহ বিষয়ে সরকারী-বেসরকারি প্রচার-প্রচারনা বা প্রস্তুতিও তো চোখে পড়ে না খুব একটা। এক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেতন হওয়া উচিত। নতুবা খুব খারাপ কিছু ঘটে যাবে অচিরেই।