নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
দিনাজপুরের ইয়াসমিন থেকে কুমিল্লার তনু; বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির চরিত্র গত ২১ বছরে কত টুকু পরিবর্তন হয়েছে? ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলও ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের সময় দিনাজপুর জেলায় পুলিশ সদস্যদের হাতে তরুণী ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরিণতি থেকে যদি শিক্ষা নিতো তবে এই ২০১৬ সালে কুমিল্লার তনু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতো না আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের পলিসি হলো আমেরিকান সরকারের মধ্যপ্রাচ্য পলিসির মতো; সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু ধর্ষকদের রক্ষায় রাষ্ট্রের চরিত্রের পরিবর্তন হয় না।
খবরে প্রকাশ বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করা হয়েছে "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা এবং কুমিল্লা সেনানিবাসে তার লাশ পাওয়া যাওয়া সম্পর্কে ‘আলোচনা না করতে"
রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ কতটুকু ব্যর্থ সেটা তনু নিজের জীবন দিয়ে আর একবার প্রমাণ দিলেন। আজ থেকে ২১ বছর পূর্বে ১৯৯৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে একদল বিপথগামী পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। এ বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে-বিােভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার স্হাটি ছিলও আমার স্কুল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে দশমাইল নামক স্থানে। হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্র হিসাবে আমিও ছিলাম ঐ বিক্ষোভে অংশ গ্রহনকরি একজন। আজকে কুমিল্লা শহরের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে কিছু ছেলে-মেয়ে ঠিক তেমনি দাঁড়িয়েছিলাম আমরা।
দারিদ্র পরিবারের মেয়ে গৃহকর্মী ইয়াসমিন নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত কোন ব্যবস্হা নিতে পারে নাই দিনাজপুর জেলার পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা; কারণ সেই চিরাচরিত প্রবাদ "কাক কাকের মাংস খায় না"। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দিনাজপুর জেলা থেকে সারা বাংলাদেশে। জনগণকে দমিয়ে রাখতে সরকারের শেষ অস্ত্র কারফিউ জারি করে; কিন্তু দিনাজপুর জেলার বিক্ষুব্ধ মানুষ কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়লে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫ থেকে ১০ এর মতো মানুষ হত্যা করে। ৫ টা লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বাকি গুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় নাই। ঐ সময় আওয়ামীলীগ ও জামাতে ইসলামীর নেতৃত্বে সারা দেশে চলছিও তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। তৎকালীন সরকার পুলিশের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল বিরোধীদলের তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন দমন করতে। সরকার যেহেতু পুলিশের উপর নির্ভরশীল তাই ইয়াসমিন হত্যার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারে ধরি মাছ নাছুই পানি আচরণ করে। প্রবাদে আছে গাধা জল ঠিকই খায় তবে সেটা ময়লা করে। তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ঠিকই দারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল কিন্তু সরকার ও দল হিসাবে বিএনপি এর একটা চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। যা আজও বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার পরে মনে হচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ২১ বছর পূর্বে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেই একই পথে হাঁটছে ২০১৬ সালের আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। ইয়াসমিন হত্যার ঘটনা ধামা-চাপা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার চিরস্থায়ী ক্ষতির স্বীকার হয়েছিল সেই একই ক্ষতির স্বীকার হতে যাচ্ছে ২০১৬ সালের আওয়ামীলীগ।
গত ২১ বছরে হিমালয় পর্বতের বরফ গলা পানি পদ্মা-যমুনা-মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগর দিয়ে ভারত মহাসাগরে মিশেছে কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির আচরণের কোন পরিবর্তন হয় নি। ১৯৯৫ সালে দেশের প্রধান দুইটি দলের নেতা ছিলও মহিলা; ২০১৬ সালে এসে প্রধান ৩ টি দলের নেতাই মহিলা। এমনকি দেশের স্পিকারও মহিলা। সরকারী দলের সংসদীয় দলের উপনেতাও মহিলা। কিন্তু দেশের নারীদের নিরাপত্তা কত টুকু পরিবর্তিত হয়েছে সরকার নারীদের রক্ষার্থে কত টুকু দায়িত্বশীল তার প্রমাণ পেতে হলো তনুর প্রাণের বিনিময়ে।
মাকাল ফল চিনেন? আমি নিশ্চিত মাকাল ফলের নাম শুনেছেন জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে। ফলটা দেখতে বাহিরে থেকে খুই সুন্দর। দেখলেই মনে হয় খেতে এটি নিশ্চয় খুবই মজাদার হবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় পদ গুলো ঠিক মাকাল ফলের মতো। অন্যান্য দেশের মানুষরা মনে করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি মনে হয় নারীদের জন্য স্বর্গ; বাস্তবের বাংলাদেশ যে নারীদের জন্য একটি নরক রাষ্ট্র তা অন্য দেশের মানুষ খুব কমই জানতে পারে।
২১ বছর পূর্বে সরকারের আচরণ যা ছিলও ২১ বছর পরেও তাই আছে। শতকরা ১ ভাগও পরিবর্তিত হয় নাই। তখন বিএনপি সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনের কারণে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারে আগ্রহী ছিলও না; এই ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অপরাধের বিচার করতে আগ্রহী না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করছে। যেমন নারায়গন্জে র্যাবের সদস্যদের ৭ খুনে জড়িত থাকার কথা জানতে পারার পরেও সকল প্রকার আর্থিক সুযোগ সুবিধা সহ সেনা ও বিমান বাহিনীর ৩ সদস্যকে অবসরে পাঠানো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের প্রকাশ্য মন্তব্য "সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে পুলিশ"। ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্বে সেনাবাহিনীকে ৪ টা মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স উপঢৌকন দিয়ে জন গনের মেন্ডেট ছাড়াই আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স অর্জন করেছে। সেনাবাহিনীর প্রধানের ভাইকে সাজানো ভোটে মেয়র নির্বাচিত করে সেনাবাহিনীর প্রধানকে পুলিশ বাহিনীর প্রধানের মতো রাজনৈতিক ভাবে পরিচালিত করার ব্যবস্হা করেছেন।
বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের বিচারের ক্ষমতা নাই; সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের যেটা চাওয়া সেটা হলো আপনরা পুলিশকে এই ঘটনার সত্য উৎঘাটনের সাহায্য করে নিরপেক্ষ ভাবে, কোন রকম আবেগ, অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে। এতে করে আপনাদের সম্মান হানী হবে না বরং সম্মানিত হবেন জনগণের বন্ধু হিসাবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের জন্য বিশ্বের পরাক্রমশালী আমেরিকান সেনাবাহিনীর একটা উদাহরণ দেই। মাত্র ২ সপ্তাহ পূর্বে আমেরিকার সেনাবাহিনীর একজন চার তরকা জেনারেলকে চাকুরিচুত্য হতে হয়েছে। কারণটা হলো নিজের অফিসে বসে সেই কর্মকর্তা পর্ণ ছবি দেখেছেন। ঐ কর্মকর্তার বিচার করে চাকুরিচুত্য করায় আমেরিকান সেনাবাহিনীর সম্মানহানী হয় নাই বরং এই ম্যাসেজ জনগনের কাছে গিয়েছে যে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে না।
ব্যাচারা হুমায়ুন আজাদের দেখে যেতে পড়লো না বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সবকিছু পুরোপুরি নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে শতকরা ১ ভাগও অবশিষ্ট নাই।
শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে বলতে চাই "better late than never but never late is better" অথবা, শুভস্য শিঘ্রম! যত দ্রত তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু করবেন দল ও সরকারের ক্ষতি তত কমাতে পারবেন।
"আমরা সবাই তনুর ভাই ...তনু হত্যার বিচার চাই " #JusticeForTonu
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: "সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু ধর্ষকদের রক্ষায় রাষ্ট্রের চরিত্রের পরিবর্তন হয় না।"
আশা করছি শেখ হাসিনা পরিবর্তন আনবেন।
সরকারের কাছে আবেদন, আর চুপ থাকবেন না প্লিজ! এরকম মর্মান্তিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিয়ে দেশে আর ধর্ষক বাড়াবেন না।
দোষী যেই হোক,তাকে বিচারের আওতায় আনুন। একটু উদারতার পরিচয় দিন!!!
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত "আর চুপ থাকবেন না প্লিজ! এরকম মর্মান্তিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ধর্ষকদের প্রশ্রয় দিয়ে দেশে আর ধর্ষক বাড়াবেন না।"
একটা বিচারহীনতা ১০ টা অপরাধীকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশে অপরাধ প্রবণতা না কমার অন্যতম কারণ হলও বিচারহীনতা সংস্কৃতি।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০০
সোহানী বলেছেন: "আমরা সবাই তনুর ভাই ...তনু হত্যার বিচার চাই " #JusticeForTonu ..........
অরণ্যে রোদন- আমরা গলা ফাটাবো আর তারা কানে তুলা দিয়ে দিন পার করবে..... কি যে বলেন, বিচার আবার কি জিনিস?
অথচ কতটা বেকুব তোরা যে, পিচাশরদের সহায়তা দেবার চেস্টা করছে বার বার.... প্রতিবার...........
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপা, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের পলিসি হলো আমেরিকান সরকারের মধ্যপ্রাচ্য পলিসির মতো; সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু ধর্ষকদের রক্ষায় রাষ্ট্রের চরিত্রের পরিবর্তন হয় না।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
এসব চলবে না..... বলেছেন: বিচার পাওয়া আমার অধিকার কিন্তু তা এমনি এমনি হবে না। আদায় করে নিতে হবে।
কিন্তু আমরা এমন এক জাতিতে পরিনত হয়েছি যে আমাদের দ্বারা আর বিপ্লব সম্ভব নয়।
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
নিজেদের মা-বোনদের রক্ষা করতে আবারও আমাদের সুপ্ত ক্রোধ জাগ্রত করতে হবে। নইলে আজকে তনু ধর্ষিত হয়েছে আগামীকাল আমার আপনার নিজের বোনকে একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১১
শায়মা বলেছেন: শুধু তাইনা। মরে যাবার পরেও রক্ষা নাই মেয়েটার। যে নিজেকে হিজাব নিকাবে ঢেকে রাখতো, তার ছবি মৃত্যুর পর বিভৎস্যতার সাথে নগ্নভাবে কিভাবে প্রকাশ করছে অনেকেই। দেখলেই মনে হয় একবার না বার বার অপমানিত অসন্মানিত হতে হয় এ দেশের মেয়েদেরকে।
এই মেয়েটার ছবিটা না দিয়ে ঐ ধর্ষকেরই ঐ ভাবে ছবি দেওয়াটাই উচিৎ ছিলো। দোষী ঢেকে থাকে পর্দার আড়ালে আর নির্দোষীকে ওপেন করে দেওয়া হয়।
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে আমি পুরো একমত। এমন কোন ছবি ব্যব হার করা উচিত না যে ছবিটি ভুক্ত ভুগি ময়েটিকে আর একবার অসম্মানিত হতে হয়। ঠিক এই করণেই আমি আমার কোন লেখায় ঐ রকম ছবি ব্যবহার করি নি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আরেকটা কথা, আমি তার মৃত্যুর পরে খুব বাজে ভাবে তার প্রকাশিত ছবির কথা বলছি যেখানে তার সন্মান রক্ষা হয়নি কোনোভাবেই বলে মনে হয়েছে আমার।
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপু আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কি বলতে চেয়েছেন। আপনার সাথে পূর্ন একমত আমি।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
কালীদাস বলেছেন: ভাল লেখছেন, যদিও ব্যর্থ রাস্ট্রে কথাটা ভাল ঠেকল না। আমেরিকা/রাশিয়ায় প্রতিদিন অন্তত শখানেক রেপ হয়, ওরা ব্যর্থ হল কেমনে? ইউরোপের প্রতিটা দেশেই হয়, ওরা ব্যর্থ? ওদের দেশে তো ফাসির বিধানও নাই এখন। এনিওয়ে, রেপ করলে ফাসির আইন বাংলাদেশে থাকলে আমি খুশি হব।
আরেকটা জিনিষ, লোকজন দেখি ভিকটিমের ক্রাইম সিনের ছবি দিয়ে ব্লগ ভাসায়া ফেলতাছে। এই মেয়েটারে এতটুকু সম্মান দিলে কি ক্ষতি হইত বুঝতাছি না। রাষ্টের পরিবর্তন হয় যখন ব্যক্তিপর্যায়ে মেন্টালিটির পরিবর্তন হয় তার পরে, আগে না।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "আমেরিকা/রাশিয়ায় প্রতিদিন অন্তত শখানেক রেপ হয়"
কথা সত্য তবে ঐ সকল দেশের সরকার বা সরকারি বাহিনী অভিযোগ পেলেই সেটা তদন্ত করে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করে যে কারণে ঐ সকল দেশে শত শত রেপ হলেও আমি ঐ সকল দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে তুলনা করতে পারি না।
আমেরিকার কিংবা রাশিয়ার পুলিশরা নিশ্চয় ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে, পকেটে ইয়াবা, বা গাঁজা ঢুকিয়ে টাকা দাবি করে না?
নাগরিকের শেষ আশ্রয় স্থল হলও রাষ্ট্র; সে রাষ্ট্রই যদি নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করে প্রতিনিয়ত তবে সেই রাষ্ট্রকে কেন ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে তুলনা করা হবে সেটা সম্ভব হলে ব্যাখ্যা করবেন।
আপানর ২ য় পয়েন্টের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এটা আমাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। এটা গড়ে উঠার জন্য আমাদের মিডিয়া দায়ী। তারা প্রতিনিয়ত এই সকল ছবি ছাপিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের ধারনা তৈরি করেছে যে এই রকম ছবি না দিলে ঘটনার বীভৎসতা পাঠকের কাছে তুলে ধরা যাবে না। অনেকেই সেই ধার অনুসরণ করতেছে।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
কালীদাস বলেছেন: আরেকটা জিনিষ দেখছেন? এখনও কয়েকটা শুয়র মিনমিন করতাছে হিজাব আর রেপ নিয়া।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি যত ভাবে বুঝান, ব্যাখ্যা করেন তাদের আচরণের কোন পরিবর্তন হবে না। আমি যেটা করি সেটা হলো জর্জ বার্নার্ড শ এর উক্তি অনুসরণ করি " 'Never wrestle with pigs. You both get dirty and the pig likes it.'"
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, কিন্তু শেষে এসে বললেন: শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে বলতে চাই "better late than never but never late is better" অথবা, শুভস্য শিঘ্রম! যত দ্রত তনু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার শুরু করবেন দল ও সরকারের ক্ষতি তত কমাতে পারবেন।
যে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই সে আপনার-আমার কথা কেন শুনতে যাবে বলে আশা করছেন। আর এই কথাটা শুনলেই কি আপনার দাবি পুরন হয়ে গেল?
এটা আমাদের সকলের কাছে প্রথম পরিষ্কার হওয়া দরকার যতক্ষণ জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, ততক্ষণ এমন ভয়ঙ্কর অপরাধ একটার পর একটা চলতেই থাকবে।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদের দেশের সরকার সবসময় গুটি কয়েক মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে পুরো দেশের মানুষের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলাফল হয় নির্বাচনে চরম ভরাডুবি। এখন যেটা চালু হয়েছে জনগণকে ভোট না দিতে দেওয়া। কারণ তারা জানে ভোটের সুযোগ দিলে জনগণকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান দিবে ব্যালট বক্সে। যেহেতু এখন ভোট নাই তার সরকারের জবাবদিহীতাও নাই।
আপনাকে ধন্যবাদ<
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
ছাসা ডোনার বলেছেন: সেটাই তো আমাদের দেশ নারী স্বাশীত হলেও সমাজে সাধারন নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই। উনারা তো গার্ড নিয়ে ঘুরেন , তাই সাধারন মানুষের অবস্থা বুঝার মত বুদ্ধি তাদের আসবে কোথা থেকে?
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদের অধীকার আমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে যেমন করে ৫২, ৬৯, ৭১, ৯১ এ আদায় করে নিয়েছিল আমাদের বাপ-দাদারা। অধীকার আদায়ের জন্য ত্যাগ লাগে আমাদের সেই ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, নিজেদের অধীকার নিয়ে কথা বলতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইয়েলো বলেছেন: শেষ পর্যন্ত দোষীদের খুঁজে পাওয়া যাবে তো?নাকি জ্বীনের উপর দায় চাপায়ে দেয়া হবে?
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
হে হে হে দেখা গেলো নতুন জজ মিয়া হাজির মিডিয়ার সামনে
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জাস্ট ঝুলায় দিতে হবে
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যে শাস্তি হয় আমি সেটাই কামনা করি। বিজ্ঞ আদালাদ সেটা নির্ধারন করবে। আসামীকে ধরে ক্রস ফায়ারে দিলে কোন লাভ নাই ভবিষ্যতে। বিচারের রায় দেশের আনাচে-কানাচে পৌছাতে হবে যাতে সকলে ভবিষ্যতে অন্যরা একই অপরাধ করা থেকে বিরত থাকে।
১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ব্যাপারটা হলো আমরা এখনো শাসিত হচ্ছি।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
তাই আমাদের রুক্ষে দাড়াতে হবে নিজেদের অধিকার আদায় করার জন্য।
১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৯
সুফিয়া বলেছেন: আমি বলব রাষ্ট্র দ্বারা সে একাধিকবার ধর্ষিতা হয়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার সাথে আমি একমত। আদালতে একজন ধর্ষিতাকে যে প্রশ্ন করা হয়; বেশি ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ ডাক্তার দ্বারা ধর্ষনের প্রমানের পরীক্ষা করা হয়। এই গুলো প্রতিটি স্টেপই আর একবার ধর্ষনের সমান।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বলছি: কেহই সেনাবাহিনীকে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে না ! অপরাধী রাজনৈতিক নেতা, সেনা সদস্য, প্রভাবশালী, বা যেই হোক না কেন তার বিচার চাইছে ! জনগণ এর বিচার চাওয়ায় মাননীয় মন্ত্রীর গাত্র দাহন হচ্ছে কেন এটা বুজতে পারছি না !
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমাদের দেশে বেশিভাগ সময় অপরাধীরা অপরাধ করে রাজনৈতিক নেতার দ্বারস্হ্য হয় অপরাধকে রাজনৈতিক রুপ দেওয়ার জন্য। বেশিভাগ ক্ষেত্রে তারা সফল হয়ে থাকে। রাজনৈতিক নেতারা যেহেতু নির্বাচন করে থাকেন নিজেদের সেবা করার জন্য তাই তারাও ১০০ জন সাধারণ মানুষের চেয়ে ঐ একজন অপরাধীকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য। রাজনৈতিক নেতারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়ে।
১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আর প্রতিবাদী চিত্রে সমবেধনা তনুর পরিবারের প্রতি আর তনুর হত্যার বিচারের দাবী রইল। এইভাবে সবাই সোসাল মিডিয়াকে কাপিয়ে দেওয়া দরকার। তনুরা বিবিকের বোন ।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: তনুর পরিবারকে কেমন সমবেদনা জানাচ্ছে সরকারি বাহিনী তার ছোট একটা প্রমান আজকে প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকায়:
"রাত সাড়ে ১২টার দিকে তনুর মা আনোয়ারা বেগম, ভাই আনোয়ার হোসেন ও চাচাতো বোন লাইজু আক্তারকে র্যাব-১১-এর একটি দল কুমিল্লার শাকতলা কার্যালয়ে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।"
পৃথিবীর আর কোন দেশের বা কোন সভ্য দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহনী এই ধরনের অমানবিক কাজ কোনদিন করেছে কি না বা করা সম্ভব কি না আমার জানা নাই।
কন্যা হত্যার শোকে যে পরিবারটি এমনিতে চরম মানসিক চাপে আছে সেই পরিবারের সদস্যদের কেন দিনের বেলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য না ডেকে রাত ১২ টায় উঠিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন হলো?
১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৭
ফারহান মুক্তাদির বলেছেন: বিচার চাই,,,,পরিবর্তন চাই।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
"আমরা সবাই তনুর ভাই ...তনু হত্যার বিচার চাই " #JusticeForTonu
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কুমিল্লা কি পারবে দিনাজপুর হতে?? প্রতিবাদের ভিত্তিতো দিনাজপুরের মতই কুমিল্লায় হওয়া উচিৎ।।আরেকটা কথা বেচারী এতো অপমানের পরও আবার নূতন করে অপমানিত হচ্ছে,আমাদেরই হাতে!!
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ঘাতকের হাতে তনু নিহত হলেও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও পিছিয়ে নেই তার পরিবারকে মানসিক নির্যাতন করা থেকে। আজকের দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদ:
"রাত সাড়ে ১২টার দিকে তনুর মা আনোয়ারা বেগম, ভাই আনোয়ার হোসেন ও চাচাতো বোন লাইজু আক্তারকে র্যাব-১১-এর একটি দল কুমিল্লার শাকতলা কার্যালয়ে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।"
২০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:২২
মিখু বলেছেন: তনু হত্যার বিচার চাই।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"আমরা সবাই তনুর ভাই ...তনু হত্যার বিচার চাই " #JusticeForTonu
২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
২১ বছর পূর্বে সরকারের আচরণ যা ছিলও ২১ বছর পরেও তাই আছে। শতকরা ১ ভাগও পরিবর্তিত হয় নাই। তখন বিএনপি সরকার বিরোধী দলের আন্দোলনের কারণে অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারে আগ্রহী ছিলও না; এই ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অপরাধের বিচার করতে আগ্রহী না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করছে। যেমন নারায়গন্জে র্যাবের সদস্যদের ৭ খুনে জড়িত থাকার কথা জানতে পারার পরেও সকল প্রকার আর্থিক সুযোগ সুবিধা সহ সেনা ও বিমান বাহিনীর ৩ সদস্যকে অবসরে পাঠানো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের প্রকাশ্য মন্তব্য "সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে পুলিশ"। ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্বে সেনাবাহিনীকে ৪ টা মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স উপঢৌকন দিয়ে জন গনের মেন্ডেট ছাড়াই আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার লাইসেন্স অর্জন করেছে। সেনাবাহিনীর প্রধানের ভাইকে সাজানো ভোটে মেয়র নির্বাচিত করে সেনাবাহিনীর প্রধানকে পুলিশ বাহিনীর প্রধানের মতো রাজনৈতিক ভাবে পরিচালিত করার ব্যবস্হা করেছেন।
বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের বিচারের ক্ষমতা নাই; সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের যেটা চাওয়া সেটা হলো আপনরা পুলিশকে এই ঘটনার সত্য উৎঘাটনের সাহায্য করে নিরপেক্ষ ভাবে, কোন রকম আবেগ, অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে। এতে করে আপনাদের সম্মান হানী হবে না বরং সম্মানিত হবেন জনগণের বন্ধু হিসাবে।
বুঝতে চাইলেনা বুঝবে!!!! ভূতের মতো পেছন পায়ে হাটছে দেশ!!!
অনির্বাচিত স্বৈরাচারি সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতায় একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ!
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমরা এখন রাতে ঢাকা শহরে বের হলে ভয়ে থাকি কখন পুলিশ এসে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিবে; কখনন গাঁজা ঢুকিয়ে দিবে; কখন ক্রসফায়ারে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করবে; কবে চাপাতির ধার পরীক্ষা করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রের পায়ের গোড়ালিতে। আমরা দিনে দিনে মেক্সিকোর মতো মাফিয়া রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগোচ্ছি।
২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার প্রতিবাদী পোস্ট।
লেখককে ধন্যবাদ।
হোক প্রতিবাদঃ
//"আমরা সবাই তনুর ভাই ...তনু হত্যার বিচার চাই " #JusticeForTonu//
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।
#JusticeForTonu
২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
কালীদাস বলেছেন: পুলিশ করাপ্টেড বলে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ বলতে আমার আটকাচ্ছে। মৌলিক অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে পলিটিকাল গভর্নমেন্ট নিয়ে কথা বলতে হবে, আপনার পোস্টের কনটেন্টের বাইরে আমি যেতে চাচ্ছিনা; দিনশেষে কোন পলিটিকাল পার্টিকেই আমি দেখতে পারিনা। আর আমেরিকার খবর জানিনা, রাশিয়ায় পুলিশের কাহিনী আছে বেশ কিছু। ইভেন, ইউরোপের কিছু দেশেই বাংলাদেশের চেয়ে বাজে পুলিশ আছে, ওদের ব্যর্থ রাষ্ট্র বলতে শুনিনি কখনও।
২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আজকের সংবাদ
"রাত সাড়ে ১২টার দিকে তনুর মা আনোয়ারা বেগম, ভাই আনোয়ার হোসেন ও চাচাতো বোন লাইজু আক্তারকে র্যাব-১১-এর একটি দল কুমিল্লার শাকতলা কার্যালয়ে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।"
পৃথিবীর আর কোন দেশের বা কোন সভ্য দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহনী এই ধরনের অমানবিক কাজ কোনদিন করেছে কি না বা করা সম্ভব কি না আমার জানা নাই।
কন্যা হত্যার শোকে যে পরিবারটি এমনিতে চরম মানসিক চাপে আছে সেই পরিবারের সদস্যদের কেন দিনের বেলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য না ডেকে রাত ১২ টায় উঠিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন হলো?
আশা করি এই উদাহরণটাই যথেষ্ট কেন বলেছি বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
আমার পূর্বের পোষ্টে মন্তব্য করেছিলাম:
"মাথাপিছু আয় ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যদি সফল রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনার মূল নির্দেশক হয়, তবে বলতে হবে বিশ্বের অন্যতম সফল রাষ্ট্র আমেরিকার প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশের প্রায় ১০ গুণ; মাথাপিছু আয়ও বাংলাদেশের প্রায় আট গুণ। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সারা বিশ্বে মেক্সিকো পরিচিত মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র হিসেবে। বাংলাদেশ এমন রাষ্ট্র হোক, সেটা কেউ চায় না।"
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২
অদ্ভুত সাহাল বলেছেন: কামাল ভাই আসসালামুয়ালাইকুম, আপনার সাথে আমার কানাডা যাওয়া নিয়ে কিছু কথা ছিল, যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার এফবি আইডি দিবেন অথবা আপনার ইমেইলটা দিবেন প্লিজ
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আমার ই-মেইল : [email protected]
২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পলাশ ভাই, আপনি কি একটু যোগাযোগ করতে পারেন?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনার ফেসবুক ম্যসেজ বক্স চেক করেন।
২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন
জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২
আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।
মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।
নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।
২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২২
দিনাজপুরিয়া বলেছেন: আমি জানতাম না এই ইতিহাস !!! তবে দশ মাইল মোড়ে একটা ইয়াসমিন নামে প্রতিকৃতি আছে।।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩
রাশেদ রাহাত বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোস্ট। ধন্যবাদ। """তনু হত্যার বিচার চাই"""