নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, Lee Kuan Yew কে একটাও বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ এর লাইসেন্স দিতে হয় নাই সিঙ্গাপুর এর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪



গত ২৮ শে জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ বেড়িয়েছে "প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ চেয়েছে পুলিশ।" আমার ব্যক্তিগত অভিমত দেশে বর্তমানে ৫৪ টা ব্যাংক থাকার পরেও ব্যাংকের লাইসেন্স চাওয়ার অঘোষিত কারণ ঘুষের টাকা সরকারি ব্যাংকে রাখা নিরাপদ মনে করতেছেন না পুলিশের ঘুষখোর কর্ম-কর্তা ও সৈনিকরা। মেডিকেল কলেজের লাইসেন্স চাওয়ার কারণ নিজেদের অযোগ্য ছেলে মেয়েদের কে বর্তমানে দেশের ২৯ টা সরকারি মেডিকেল কলেজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে ডাক্তার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না বা সেই আত্মবিশ্বাস নাই।

বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী বা প্রগতিশীল শ্রেণীর মানুষরা সারা জীবন মুখ বিক্রি করল বা কলমের কালি যে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সেনাবাহিনীকে ম্যানেজ করে ক্ষমতায় আসে। ইতিহাস ঘাইটা দেখা গেল স্বাধীনতার প্রথম ৪০ বছরে সেনাবাহিনী পেয়েছে ১ টা মেডিকেল কলেজ ও ১ টা বিশ্ববিদ্যালয়; যেগুলোতে প্রধান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হত। গত ৭ বছরে নিশ্চয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২, ৩ বা ৪ গুন বৃদ্ধি করা হয় নাই!!! হঠাৎ করে কেন তাদের ৪ টা মেডিকেল কলেজ ও ৪ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স এর প্রয়োজন পড়ল?

৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ নির্বাচনের ঠিক পূর্বে সেনাবাহিনী ৪ টা মেডিকেল কলেজ ও ৪ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আবেদন করে ও সরকার কোন কাল বিলম্ব না করে লাইসেন্স দিতে রাজি হয়ে যায়।

পত্রিকায় সংবাদ বেড়িয়েছে "প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ চেয়েছে পুলিশ।"

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮০ ভাগ আসে গার্মেন্টস শিল্প থেকে; এখনও দেশের জিডিপি উন্নয়নের শতকার ২০ ভাগ যোগান দেয় কৃষক; বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের অর্ধেক যোগান দেয় মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত গায়ে গতরে খাটা শ্রমিক। গার্মেন্টস শ্রমিক ও তাদের পরিবার, মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত শ্রমিক ও তার পরিবার ও কৃষকদের জন্য গত ৭ বছরে কি কি পদক্ষেপ নিয়ে তা জানতে ইচ্ছে করতেছে।

বাংলাদেশের কোন এলাকায় দরিদ্রতা কতটুকু কমেছে জানিনা; গত ১৭ ই অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোতে সাংবাদিক মশিউল আলম একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন যার শিরোনাম ছিলো ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ ও ভাত খাওয়ার গল্প । পঞ্চগড় জেলা শহরে খবার হোটেলে বসে যে দারিদ্রতার যে চিত্র দেখেছেন সেই চিত্র উত্তর বঙ্গের ৭ টি জেলার বিশাল একটা জন গোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনেরই বাস্তব চিত্র। এই চিত্র কতটুকু সত্য সেটা বিশ্বাস করার জন্য আপনাকে জনাব মশিউল আলমের মতো ঐ সকল জেলায় গিয়ে সরা দিন হোটেলে বসে মানুষের সাথে কথা বলতে হবে, দেখতে হবে।

কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ অপেক্ষা কেয়ক গুন বেশি ছেলে-মেয়ে পড়তে আসে। এই ঐ ছেলে মেয়েদের মধ্যে অর্ধেকই হলো সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তাদের। আজ থেকে ১০০ বছর পূর্বে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সেনাবাহিনীতে কর্মরত এদেশীয় কর্মকর্তাদের পাকিস্তানের সবচেয়ে উর্বর এলাকায় হাজার হাজার একর কৃষি জমি বরাদ্দ দেয়,বসবাসের জন্য সকল সুবিধা যুক্ত আবাসিক এলাকা বানিয়ে দেয়। ব্রিটিশ সরকারের অনুগত্য লাভের জন্য চালু ঐ পলিসি ধীরে ধীরে উপ মহাদেশে জন্ম দেয় পাঞ্জাবি নামক এক এলটি শ্রেণী।

ব্রিটিশরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে গেছে সেই ১৯৪৭ সালে কিন্তু গোখরো সাপের মতো বিষাক্ত শ্রেণীটি ১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্বপাকিস্তানের মানুষের উপর শোষণ, নিপীড়ন চালিয়েই চুপ থাকেন নি ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেন নি। ১৯৭১ সাল মুক্তি যুদ্ধে পাঞ্জাবি সেনা কর্মকর্তারাই গণহত্যায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ভারত ভাগের ৭৮ বছর পার হয়ে গেলেও পাকিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি কোন কিছুতেই সেনাবাহিনীর প্রভাব কমে নি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলতে ঘুরে ফিরে ঐ পাঞ্জাবিদেরকেই বুঝায়। পাঞ্জাবি জেনারেলরাই সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়ন্ত্রণ করে চলছে কাল ক্রমে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার প্রতি কড় জোড়ে মিনতি করি ব্রিটিশরা যেমন পাঞ্জাবী নামক এলিট শ্রেণী তৈরিক করে পাকিস্তানি জাতিটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে তেমন করে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে একটা এলিট শ্রেণী তৈরি করবেন না। তাদের ছেলে-মেয়েরা বিশেষ সুবিধা নিয়ে দিনে দিনে এলিট শ্রেণীতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের কৃষক পরিবারের ছেলে-মেয়রা রাষ্ট্রের কাছ থেকে একই রকম সুবিধা না পেয়ে পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের মানুষদের মতোই উগ্রপন্থা বা পন্থার দিকে ধাবিত হবে।

বাংলাদেশে যেমন করে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণী সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে করে বাংলাদেশে কোন দিনও উগ্রপন্থা বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে না। পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ পৃথিবীর কোন বাহিনীই চরম পন্থার বিস্তার ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই; যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি। পৃথিবীর ইতিহাস সেটাই সাক্ষ্য দেয়। একই সাথে পৃথিবীর ইতিহাস এটাও সাক্ষ্য দেয় যে চরম পন্থার বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হলো সমাজে বৈষম্য কমানো। রাষ্ট্রের চোখে প্রতিটি নাগরিক সমান; সবাই একই রকম সেবা আশা করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে।

পৃথিবীতে সবচেয়ে কম অপরাধ সংগঠিত হয় স্কান্ডেনেভিয়ান দেশ গুলোতে। ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬, জার্মানির বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণাসূচক (সিপিআই) ২০১৫-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে সবচেয়ে কম দুর্নীতির দেশের মর্যাদা পেয়েছে ডেনমার্ক।

গত কয়েক বছর পূর্বে জানতে পেড়েছিলাম যে ডেনমার্কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ঐ স্কুলের টয়লেট ক্লিনারের বেতন প্রায় একই সমান। প্রধান শিক্ষকের বেতন ২০ টাকা হলে কুলির বেতন ১৯ টাকা। যে কারণে ঐ দেশের কাউকে ঘুষ দিতে হয় না বা কেউ ঘুষ খায় না।

২০০৮-২০০৯ শিক্ষা বর্ষে ইতালির Abdus Salam International Centre for Theoretical Physics (ICTP) এ পড়া কালীন দেখেছি সেখানকার পরিচালক বিশ্বের অন্যতম নামকরা বৈজ্ঞানিক খাবার ট্রে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টয়লেট ক্লিনিং মহিলার পিছনে। বিল পরিশোধ করে দুই জনই একই টেবিলে গিয়ে বসেছে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।


দুর্নীতিতে সারা বিশ্বের ১৬৮ টা দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পিছন দিক থেকে ১৩ নম্বর। অর্থাৎ, বিশ্বের ১৩ তম সেরা দূর্নিতীগ্রস্ত দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্থান ছিল ২০১৫ সালে ১৪ তম; এবারে হয়েছে ১৩ তম। তবে ১ ধাপ এগিয়ে যাওয়াতে আমাদের কোন কৃতিত্ব নাই। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে দুর্নীতি কমে নাই। ২০১৪ সালে ১৭৫টি দেশের মধ্যে উচ্চক্রম অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৫তম। ২০১৫ সালে ১৬৮টি দেশের মধ্যে উচ্চক্রম (ভালো থেকে খারাপের দিকে) অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। সূচকের ১০০ মানদণ্ডের মধ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের স্কোর বা নম্বর ২৫। ২০১৪ সালেও বাংলাদেশ ২৫ নম্বর পেয়েছিল ১০০ এর মধ্যে।

আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে ৪ বছর বাংলাদেশ সারা বিশ্বের দূর্ণিতীগ্রস্ত দেশ গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল তার চেয়ে বর্তমান সময়ে দুর্নীতি কমে গেছে। আমি জানিনা বাংলাদেশের সরকারি কোন সার্ভিসটি ঘুষ ছাড়া পাওয়া যায়। কেউ জানলে দয়া করে আমাকে জানালে বাধিত থাকিব।

১) ঢাকার বাহিরের সরকারি হসপিটাল গুলোতে গিয়া রোগীদের প্রশ্ন করেন ঘুষ না দিয়া বেড পেয়েছে কি না?

২) অবসরপ্রাপ্ত শিকক্ষ কেরামত আলীকে প্রশ্ন করেন ঘুষ না দিয়া পেনশনের টাকা পেয়েছে কি না?

৩) কৃষক গনি মিয়াকে প্রশ্ন করেন ঘুষ না দিয়া সার বা সেচের ভুর্তুকীর টাকা পেয়েছে কি না?

৪) সাহস থাকলে গ্রামে গিয়া কৃষক গনি মিয়াকে প্রশ্ন করেন সার, সেচ, বীজের খরচ বাদ দিয়ে ১ বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করে কয় টাকা হাতে পেয়েছে?


দরবেশ বাবার সরকারি ব্যাংক থেকে মেরে দেওয়া ২ হাজার কোটি টাকার সাথে গার্মেন্টস শ্রমিক মালেকা বেগমের ৬ হাজার টাকা বেতন যোগ করে ২ দিয়া ভাগ করে সংসদ নামক মাছের বাজারে বসে হিসাব দিবেন বাংলাদেশের ২ জন মানুষের গড় আয় ১ হাজার কোটি ৩ হাজার টাকা ও নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশ বইলা পিঠ চাপড়াইবেন তাতে কোন লাভ নাই। রাতের আধারে ঢাকার বস্তি গুলাতে আগুন দিয়া ভোরে বস্তির স্থানে পুলিশ বসাইয়া দিয়া পরের বছর গলাবাজি করবেন দ্যাখ দ্যাখ ঢাকায় এখন কোন বস্তি নাই। বস্তির স্থানে ২০ তলা ৩০ তলা বিল্ডিং উঠছে। পূর্বে দেশের কিছু মানুষ দিনে বা ফি হপ্তায় ঘ্যাঁস খাইলেও কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে এখন অন্তত আলু ভর্তা দিয়া ভাত খাইতে পারে। পূর্বে আয়োডিন যুক্ত লবণের অভাবে দেশের অনেক বোকা মানুষের জন্ম হইলেও বর্তমান প্রজন্মের খুব কম মানুষই আয়োডিন স্বল্পতায় ভুগে।

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট Abraham Lincoln এর একটা বিখ্যাত উক্তি মনে করিয়ে দিতে চাই

"You can fool all the people some of the time, and some of the people all the time, but you cannot fool all the people all the time." -

গত ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সুইজারল্যান্ডের ডাভোস নামক শহরে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একটা উক্তি করেছেন "GDP is not a good measure of economic performance, it's not a good measure of well-being"



গত ১ মাসে পুলিশ বাহিনীর বেশ কিছু সদস্যের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সংবাদ পড়ে পিলে চমকে যায়। ২০১৬ সালের শুধু জানুয়ারি মাসে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অপরাধ গুলোর প্রকৃতি দেখলে বোঝা যায় তারা কি পরিমাণ বেপরোয়া। টাকা আদায় করার জন্য নিরপরাধ মানুষকে ভয় দেখিয়ে। তার কয়েকটি নিম্নরূপ

১) যুগ্ম সচিবের ছেলেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানাতে গিয়ে ধারা পড়েছে এক এএসআই
২) এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার বান্ধবীকে আটকে রেখে ইয়াবা সেবনকারী হিসেবে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ঘুষ নিয়েছে পুলিশ।
৩) সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশী দম্পতির কাছ থেকে ডলার ছিনতাই।
৪) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা
৫) ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে মেরে আহত, সেই সাথে পুলিশ সদস্যদের দম্ভোক্তি "মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ"

"পড়েছি মোঘলের হাতে খানা খেতে হবে এক সাথে "

উপায় নাই গোলাম হোসেন। পুলিশের বন্দুক ও লাঠির উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে ঠাকতে চেষ্টা করবে তত বেশি করে পুলিশের বাহিনীর অনৈতিক কাজ কর্ম দেখে চোখ বন্ধ করে থাকবে সরকার।

পৃথিবীর ইতিহাস বলে কোন বিশেষ শ্রেণীকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে কোন সরকারই চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নি। অনৈতিক সুবিধা নেওয়া শ্রেণীটিও নিজেদের আখের গুছিয়ে যথা সময়ে সটকে পড়েছে সরকারকে বিপদের মুখে ফেলে। বাংলাদেশেকে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়া হওয়ার স্বপ্ন দেখান খুবই ভাল কথা। আমরাও সেটা চাই।



ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew কিংবা মালয়েশিয়ার মহাথির মোহাম্মদের কেউই ঐ ২ টা দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ক্ষমতায় থাকে নি।

তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে ছিলো সু-শাসন দিয়ে। তাদের ২ জনের কেউই নিজ নিজ দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেন নি। আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew এর জীবনী পড়ে জানা যায় ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতার পরের বছরই উনি পলিসি নিয়েছিলেন ঐ সমাজে কোন বৈষম্য থাকবে না। মেধাই হবে সরকারি চাকুরী প্রাপ্তির প্রধান শর্ত।

Lee Kuan Yew স্বাধীনতার পরের বছরই পলিসি নিয়েছেন চাইনিজ, মালয় ও ভারতীয়দের নিজস্ব কোন এলাকা থাকবে না। ১০ ফ্লাটের কোন বিল্ডিং তৈরি হলে ঐ বিল্ডিং এ ৬ জন চাইনিজ; ৩ জন মালয় ও ১ জন ভারতী বসবাস করবে (তৎকালীন জন সংখ্যার জাতিসত্বা হিসাবে)। Lee Kuan Yew আইন করেই সেই পলিসি বাস্তবায়ন করেছেন। যার ফলাফল হলো আজকের বিশ্বের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্র। মাথা পিছু আয় ৫৫ হাজার ডলার।

ভারতীয় এক আমলা South Asian Diaspora Convention (SADC) নামক একটি সম্মেলনে আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew কে নিচের প্রশ্নটি করেছিলেন।

"What are the fundamental tenets of good governence which you would like to give as advice to our politician?"

Lee Kuan Yew নিচের উত্তরটি দিয়েছিলেন:

"First, integrity, absence of corruption.

Second, meritocracy – the best people for the best jobs. And

Third, a fair level-playing field for everybody."

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দূর্ণিতীগ্রস্ত দেশ হিসাবে নিজের দেশকে দেখা অনেক লজ্জাকর। পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখটা খুবই লজ্জাকর। সারা বিশ্বের বসবাস অযোগ্য দেশের তালিকার শীর্ষে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখাটা আরও লজ্জাকর।

অথচ বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ বলছে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কায়িক পরিশ্রম করা মানুষ হলো বাংলাদেশীরা।




সরকারি কর্মচারীদের মাঝে অর্থনৈতিক বৈষম্য যত বড়বে দেশে দুর্নীতি তত বাড়তে থাকবে। আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা ততই বাড়তে থাকবে; চরমপন্থা বা উগ্রপন্থার বিস্তার ততই ঘটতে থাকবে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আরও বেশি ঘুষ দিতে হবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। সময়ের সাথে সাথে সকল বন্বিচিত মানুষের সমর্থন হারাতে থাকবেন ঠিক যেমন করে একাধিক ভাই-বোনদের সবচেয়ে কম আদর পাওয়া সন্তানটি বাবা-মায়ের পাশ থেকে সরে যায়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আপনি সেটাকে উল্টাতে পারবেন না। প্রশাসন ক্যাডারের মাত্র ৫ হাজার কর্মকর্তাদের খুশি করতে গিয়ে দেশের প্রায় সকল সরকারি কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন। যদিও পূর্বের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেতন বাড়িয়েছেন তাদের। কিন্তু ক্ষোভটা সৃষ্টি হতো না যদিনা নিজের লাভের জন্য অল্প কিছু মানুষকে অনৈতিক সুবিধা দিতেন।

মানীয় প্রধানমন্ত্রি,

সমাজের কোন শ্রেণীকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ১০ বা ২০ বছর ক্ষমতার টিকে থাকার চেষ্টা না করে সুশাসান (good governance) ও আইনের শাসন নিশ্চিত করুন; দূর্ণিতী দমন কমিশন দিয়া সের দরে ভালো মানুষের সনদ বিক্রির নিতী পরিবর্তণ করে দূর্ণিতীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান; বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে মৃত্যুর পূর্ব সেকেন্ড পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাখবে; রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামীলীগ ব্রিটিশদের ৩০০ বছরের কলোনিয়াল সময় কালের রেকর্ড ভঙ্গ করবে।

মানীয় প্রধানমন্ত্রী,

শেষ বারের মতো আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আধুনিক সিঙ্গাপুর এর জনক Lee Kuan Yew বা আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার Mahathir Mohamad কে তাদের দেশের কোন বাহিনীকে একটাও বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ এর লাইসেন্স দিতে হয় নাই।

জনপ্রশাসনের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে Lee Kuan Yew সিঙ্গাপুর কে মাথা পিছু ৫৫ হাজার ডলারের দেশে পরিণত করেন নি, বরং ঐ দেশের চাইনিজ, মালয় ও ভারতীয়দের এক ছাদের নিচে বসবাস করার ব্যবস্হা করে তাদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করেছেন; আপনার মতো আমলা, সেনাবাহিনী, শিক্ষক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেন নাই। ব্রিটিশদের রেখা যাওয়া divide and rule নিতি প্রয়োগ করে পৃথিবীর কোন সমাজ বা রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় নি; বরং সবসময় বিশৃঙ্খলা বজায় থেকেছে।
আপনি বাংলাদেশের মানুষকে সিঙ্গাপুর বানানো স্বপ্ন দেখান; উত্তম প্রস্তাব। আমরা মাথা পিছু আয় ৫৫ হাজার ডলারের দেশে পরিণত হতে চাই। তবে সিঙ্গাপুর হওয়া তখনই সম্ভব যখন আপনি ব্রিটিশদের রেখা যাওয়া divide and rule নিতি ত্যাগ করে Lee Kuan Yew সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ মডেলে দেশ শাসন করবেন।

জনগণকে সুশাসন দিন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে বাংলা লিংক দামে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ এর লাইসেন্স দিতে হবে না। তারাও ব্যাংক ও মেডিকেল কলেজ এর লাইসেন্স চাওয়ার সাহস পাবে না।





মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: সাহসী উপস্থাপনা । রাষ্ট্র আমজনতার , পুলিশের নয়।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০

নিমগ্ন বলেছেন: বাংলাদেশে যেমন করে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণী সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে করে বাংলাদেশে কোন দিনও উগ্রপন্থা বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে না। পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ পৃথিবীর কোন বাহিনীই চরম পন্থার বিস্তার ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই; যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি। পৃথিবীর ইতিহাস সেটাই সাক্ষ্য দেয়। একই সাথে পৃথিবীর ইতিহাস এটাও সাক্ষ্য দেয় যে চরম পন্থার বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হলো সমাজে বৈষম্য কমানো। রাষ্ট্রের চোখে প্রতিটি নাগরিক সমান; সবাই একই রকম সেবা আশা করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে।

চরমভাবে সহমত!!

সরকারের উচিত জনসাধারণের জন্য বৈষম্য রোধে সর্বোচ্চ আন্তরিক হওয়া।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই, ইংরেজি একটা জনপ্রিয় প্রবাদ আছে "United we stand, divided we fall"। শ্রিলংকা আগামী ১০ তেকে ১৫ বছরের মধ্যে থাইল্যান্ডের চেয়ে সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে। নেপাল ও পিছিয়ে থাকবে না। নেপাল অনেক এগিয়ে যেত যদি তাদের একটা সমুদ্র বন্ধর থাকত।

সুশাসন না দিলে এই দেশের দারিদ্রতা কোনদিন কামানো সম্ভব না।

আপনাকে ধন্যবাদ সহমতের জন্য।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগুন পোষ্ট!!!!


সঠিক কথাটা সঠিক ভাবে বলার লোকের অভাবের বাজারে আপনার সৎ, সত্য সাহষী উচ্চারণে স্যালুট।


+++++++++++++++++++++++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই লজ্জা পেলুম প্রসংশা শুনে :`> আপনি যা লিখেন তার ধারের কাছেও নাই আমি।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: মতান্তরের জায়গা পাচ্ছি না। সুশাসন আসুক।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সুশাসন ছাড়া সামনে এগোনোর কোন উপায় নাই। সামাজিক বৈষম্য না কমালে সমাজে অপরাধ কোন দিনও কমানো সম্ভব না।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০

নতুন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী/রাস্টপতি সবাই কিন্তু তার চাটুকারের দলের ভেতরেই থাকেন...তাই এই সব কথাগুলি কখনোই তার কানে পৌছায় না।

এটা প্রধানপন্ত্রীকে পড়াতে পারলে অনেক কিছুই প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারতেন.... আমার মনে হয়না এরা বাস্তব জানে... ৫-১০% জানে...বাকীটা অন্ধকারে থাকে...


সঠিক কথাটা সঠিক ভাবে বলার লোকের অভাবের বাজারে আপনার সৎ, সত্য সাহষী উচ্চারণে স্যালুট।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাইডি আমি মনে করি না যে প্রধানমন্ত্রী পত্রিকা পড়েন না। উনার চায়ের টেবিলে কিংবা টেলিভিশনের রুমের টেবিলের উপর কোন পত্রিকা থাকে না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬

আম আদমি বলেছেন: দারুন উপস্হাপনা। পড়ে অনেক কিছু জানলুম। কিন্তু এ যে রঙ্গভরা বঙ্গদেশ!!!!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

চাঁনপুইরা বলেছেন: @ লেখক কে - আরও অনেক লেখার মাঝে কদিন পর এ লেখাটিও হারিয়ে যাবে, কিন্তু আমি নিশ্চিত যদি বেঁচে থাকি ১০ বছর পর হলেও এ কটি লাইনের জন্য লেখাটি এবং লেখক কে মনে থাকবে, --

"বাংলাদেশে যেমন করে একটি সুবিধাবাদী শ্রেণী সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে করে বাংলাদেশে কোন দিনও উগ্রপন্থা বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে না। পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ পৃথিবীর কোন বাহিনীই চরম পন্থার বিস্তার ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই; যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি। পৃথিবীর ইতিহাস সেটাই সাক্ষ্য দেয়। একই সাথে পৃথিবীর ইতিহাস এটাও সাক্ষ্য দেয় যে চরম পন্থার বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হলো সমাজে বৈষম্য কমানো। রাষ্ট্রের চোখে প্রতিটি নাগরিক সমান; সবাই একই রকম সেবা আশা করে রাষ্ট্রের কাছ থেকে"।

যে কোন ধরনের সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে তা সমাধান সম্ভব। কিন্তু উপরোক্ত যে সমস্যা অর্থাৎ উগ্র পন্থার বিস্তার তা রোধের জন্য যা একান্তই প্রয়োজন , সে "সম্মিলিত চেষ্টা" নামক বিষয়টি ই এখন বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে। কারন জাতি এমুহূর্তে কতিপয় স্পষ্ট/অস্পষ্ট সীমারেখা ধারা বিভক্ত, এবং খুব দ্রুতই এই ক্ষীণ সীমারেখা দুর্ভেদ্য দেয়ালে পরিনত হতে যাচ্ছে।

আর তাই দেশের এই নির্মম পরিনতির কথা চিন্তায় আসলেই মনটা বিস্বাদে ভরে যায়।

দুঃখিত, লম্বা মন্তব্য এর জন্য। আর লেখক কে ধন্যবাদ অবশ্যই সময়োপযোগী লেখাটির জন্য।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বৈষম্য মূলক সমাজের মানুষরা কেমন হয় সেটা নিজের চোখে দেখছি গত ৭ বছর থকে কানাডায় আসার পরে। ৭ বছর ধরে আছি কিন্তু আজ পর্যন্ত নিজের চোখে কোন দিন দেখি নাই এক মানুষ অন্য মানুষের সাথে মারা মারি করতেছে; কিংবা একে অন্যের ক্ষতি করতেছে ইচ্ছাকৃত ভাবে।

এই দেশে সেবা খাত মানে চিকিৎসা, সড়ক পরিবহন শত ভাগ সরকার নিয়ন্ত্রিত। এম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের শব্দ শুনে যদি নিজের গাড়ি রাস্তার পাশে নিয়ে সম্পূর্ণ দাড়িয়ে না থাকেন তবে সাথে সাথে লাইসেন্স ক্যন্সেল।

রাস্তায় স্কুল বাসকে ওভার টেক করলে সোজা লাইসেন্স ক্যন্সেল, জরিমানা, এমনকি জেল। শহরে নতুন ট্রেন লাইন বসবে তার জন্য পুরো ৩ বছর শহরের প্রতি ওয়ার্ডের মানুষে সাথে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়ে তার পর কাজ শুরু হয়েছে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং হবে কি হবে না তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গণভোটের ব্যবস্হা করেছে। ছাত্ররা যদি হ্যাঁ ভোট দেয় তবে কাজ শরু হবে না হলে না। কারণ নতুন বিল্ডিং এর জন্য প্রতি ছাত্রকে সেমিস্টার প্রতি ১০ ডলার ফি দিতে হবে। এর বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যায় নতুন করে ৮ জন ডাক্তার নিয়োগ দিবে। সাধারণ পরীক্ষা নিরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই হবে।


সুশাসন থাকে কোন সমাজেই বিশৃঙ্খলা থাকে না। কানাডা, সিঙ্গাপুর, ও স্কান্ডেনেভিয়ান দেশ গুলো তার প্রমাণিত উদাহারন।




৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সমাজের কোন শ্রেণীকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ১০ বা ২০ বছর ক্ষমতার টিকে থাকার চেষ্টা না করে সুশাসান (good governance) ও আইনের শাসন নিশ্চিত করুন; দূর্ণিতী দমন কমিশন দিয়া সের দরে ভালো মানুষের সনদ বিক্রির নিতী পরিবর্তণ করে দূর্ণিতীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান; বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে মৃত্যুর পূর্ব সেকেন্ড পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাখবে; রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামীলীগ ব্রিটিশদের ৩০০ বছরের কলোনিয়াল সময় কালের রেকর্ড ভঙ্গ করবে।

চরম ভাবে পোষ্টের সবগুলি কথার সাথে সহমত ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু আপনাকে ধন্যবাদ সহমতের জন্য। নইলে তো ৫৭ ধারা আছেই =p~

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অসাধারণ অনবদ্য একটি পোস্ট। জনস্বার্থে এই পোস্ট স্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হে হে হে, এই পোষ্ট স্টিকি করলে ১ ঘন্টার মধ্যে সামু অফিসে তালা ঝুলবো =p~

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

ধৈঞ্চা বলেছেন:
"দরবেশ বাবার সরকারি ব্যাংক থেকে মেরে দেওয়া ২ হাজার কোটি টাকার সাথে গার্মেন্টস শ্রমিক মালেকা বেগমের ৬ হাজার টাকা বেতন যোগ করে ২ দিয়া ভাগ করে সংসদ নামক মাছের বাজারে বসে হিসাব দিবেন বাংলাদেশের ২ জন মানুষের গড় আয় ১ হাজার কোটি ৩ হাজার টাকা ও নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশ বইলা পিঠ চাপড়াইবেন তাতে কোন লাভ নাই"

এই কথাটিই আমি অনেককে বুঝাতে চেষ্টা করি, আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের উক্তিটা বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। আমাদের সরকার সমর্থিত অর্থনীতিবিদরা কিছুতেই তা মানতে রাজী নয়। পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় ধনী-গরীবের ব্যবধান এবং বেকারত্ব এই সময় সবচেয়ে বেশী। শুধুমাত্র কিছু পরিসংখান দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতির আইওয়াশ করা হচ্ছে।
এই পোষ্টের প্রত্যেকটি লাইনে বর্তমান পরিস্থিতিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সবচেয়ে ভাল বলেছেন লী কুন ই্য়.
"First, integrity, absence of corruption.
Second, meritocracy – the best people for the best jobs. And
Third, a fair level-playing field for everybody."

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সহমতের জন্য।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

ভুলুয়া বলেছেন: শুধু কি এলিট গ্রুপ।সরকারি দলের সংগঠন গুলো স্থানীয় পর্যায়ে যেভাবে টেন্ডারবাজি,চাঁদাবাজি, দখলবাজি,মাদকব্যবসা বিস্তার করেছে তাতে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। এবং পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে পার পেয়ে যাচ্ছে এরা। আর সরকারি দলের এমপি, মন্ত্রীদদের প্রকাশ্য দু্র্নীতির পর ও কিভাবে সিঙ্গাপুর আর মালয়শিয়ার সপ্ন দেখাযায় বুঝে আসে না।তার উপর ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যর সাথে দন্ধ তৈরি করে বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সুশাসনের অভাব থাকলে সকলেই সরকারকে ব্লাকমেইল করে সুবিধা নিতে চাইবে। এটাই স্বাভাবিক। এখন দেখার বিষয় সরকার কোনটা উত্তম মনে করে; সুশাসন দিয়ে জনগন কে কাছে টানবে নাকি বাহিনীরে ঘুষ দিয়া জনগন কে দূরে ঠেলে দিবে।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

নতুন বলেছেন: ভাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কমতি অব্যশ্যই আছে...

দেশে উন্নয়নের প্রকৃত ইচ্ছা থাকলে প্রথমেই দূনিতি বন্ধ করতে হবে... তাতে আমলা/নেতারা তার বিরুদ্ধে চলে যাবে

সেই রিস্কটা কেউই নিতে চায়না।

আর প্রধানমন্ত্রীর পত্রিকা পড়া হয় তবে তার প্রশ্নের জবাব কিন্তু তার পাশের চাটুকারেরাই দেন...যে এটা কোন সমস্যা না এবং বিরোধীদলের চক্রান্ত... ব্লা ব্লা ব্লা...

এই কারনেই কিন্তু আগের দিনের বাদশারা ছদ্দবেশে জনগনের অবস্তা দেখতে যেতেন... খোজ নিতেন..

আরব আমিরাতে এখানের প্রধানমন্ত্রী বিনা নোটিশে বিভিন্ন মন্ত্রানালয়, সরকারী প্রতিস্ঠান এমন কি বেসরকারী প্রতিস্ঠানেও প্রায়ই পরিদশনে যান... তাই অনেক কিছুই তার জানা থাকে...

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়... কিন্তু আমাদের নেতাদের সেই ইচ্ছাটা নেই...

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "দেশে উন্নয়নের প্রকৃত ইচ্ছা থাকলে প্রথমেই দূনিতি বন্ধ করতে হবে... তাতে আমলা/নেতারা তার বিরুদ্ধে চলে যাবে"

সরকার যদি সুশাসন দিতে বদ্ধ পরিকর থাকে তবে আমলারা সুবিধা করে উঠতে পারবে না।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: সরকারি বাহিনীর আধিপত্য আর স্বেচ্ছাচারীতা আরো চরম মাত্রায় পৌঁছাবে। আপনার অসামান্য তথ্যানুসন্ধানের সাথে একমত।

বাংলাদেশ পুলিশঃ প্রেক্ষাপট

আপনার লেখার বক্তব্যের সাথে উপরোক্ত লিংকটি অত্যন্ত সাদৃশ্যপূর্ণ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়েছি। ভাল লেগেছে। তবে পুলিশকে সৎ পথে আনতা চাইলে রাজনিতিবিদের সৎ হতে হবে; তারা সৎ হলে পুলিশ অপরাধ করার পূর্বে ১৪ বার চিন্তা করবে।

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

হাসান নাঈম বলেছেন: সঠিক কথাটা সঠিক ভাবে বলার লোকের অভাবের বাজারে আপনার সৎ, সত্য সাহষী উচ্চারণে স্যালুট।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

অতীত কাল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আরে প্রামানিক ভাই যে। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯

ক্রিবিণ বলেছেন: best one... B:-)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: :-B

১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


স্যালুট!!!!
মুগ্ধতা সহকারে একাত্মতা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মইনুল ভাই আপনাকে ধন্যবাদ প্রসংসার জন্য সেই সাথে মন্তব্য।

১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ ,


সাহসী লেখা । যাদের জন্যে লেখা তাদের বোধদয় হলে হয় !

সেই তাদের জন্যে আপনার উদ্বৃতিই তুলে ধরছি --------------
"You can fool all the people some of the time, and some of the people all the time, but you cannot fool all the people all the time." -

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আশা করি এক দিন না এক দিন তাদের বোধদয় হবেই।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চমৎকার অরণ্যে রোদন পোষ্ট পলাশ ভাই। বাণিজ্য প্রসারে অন্ধ সেনাবাহিনী আর ধরে মেরে অপরাধ করে যত পার তত অর্থ আনো উন্মাদনায় মত্ত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। অরণ্যে রোদন বললাম কারণ সরকার ভাবছে জনগণের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন সম্ভাবনা নেই তাই তারা পুলিশ নির্ভর হয়েছে, আবার আপনিই বললেন সুযোগে সেনাবাহিনী আরো বেশি করে মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাগিয়ে নিয়েছে ঠিক কোন সময়টাতে। অতএব চলমান পরিস্থিতিতে মনে হয় না এই দুই বাহিনীর আব্দারের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান নেয়ার নৈতিক সাহস রয়েছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাহিনীরে খুশি রেখে ক্ষমতায় থাকতে চাইলে দল হিসাবে আওয়ামীলীগের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। ক্ষমতা থেকে যেদিন চলে যাবে তার পর দলের অবস্হা হবে জাতীয় পার্টির মতো। কারণ ততদিনে চরম আওয়ামীলীগ কর্মী সমর্থকরাও বুঝে যাবে "যার জন্য করি চুরি সে কয় চোর" প্রবাদ। কারণ সরকার কয়েক বাহিনী ও প্রশাসন কয়াডারের ৫ হাজার কর্মকর্তা ছাড়া সকলের মাঝেই ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। বিসিএস এর বাকি ২৬ টা ক্যডারে কি আওয়ামীলীগ সরকারের কোন সমর্থক নাই? স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক?

২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুচিন্তিত পোস্ট। অনেক পয়েন্ট ভালো লাগলো তবে গত কয়েক বছর পূর্বে জানতে পেড়েছিলাম যে ডেনমার্কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ঐ স্কুলের টয়লেট ক্লিনারের বেতন প্রায় একই সমান। প্রধান শিক্ষকের বেতন ২০ টাকা হলে কুলির বেতন ১৯ টাকা। যে কারণে ঐ দেশের কাউকে ঘুষ দিতে হয় না বা কেউ ঘুষ খায় না। এই পয়েন্টে বিনীতভাবে দ্বিমত পোষণ করছি। ঘুষ দেয়া নেয়া বন্ধ করার এটা কোন উপায় না বা হওয়া উচিতও না। একজন প্রধান শিক্ষক আর একজন ক্লিনার দুইজন সমাজে একরকম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন না । শিক্ষকের মর্যাদা অনেক উপরে যদিও তার মানে এই না যে ক্লিনারের অবদান মূল্যবান না। ওদের ভালো অবস্থানের কারণ দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা। বেশী বেতন দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করা যায় না। কারণ মানুষের স্বভাব হলো সে যতো পাবে ততই চাবে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "একজন প্রধান শিক্ষক আর একজন ক্লিনার দুইজন সমাজে একরকম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন না।"

আপনার এই চিন্তা ভাবনার পিছনে পোষ্টে উল্লেখিত ভাবনাটাই দায়ি। শৈশব থেকে আমরা আমাদের সমাজে সেটাই দেখে এসেছি। যে মানুষরা ক্লিনিং এর কাজ করে তাদের বাংলাদেশের হোটেল গুলোতে ঢুকে টেবিলে বসে খেতে দেওয়া হয় না। আপনাকে ও আপনার বাসার কাজের বুয়ার ছেলেকে স্কুলের একই টেবিলে বসতে দেওয়া হলে আপনি বসবেন না হলফ করেই বলতে পারি।

যে কারণে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোটে শিক্ষকদের জন্য আলাদা ক্যেফেটরিয়া থাকে; ছাত্রদের আলাদা। আপনি ও আপনার প্রতিবেশি যখন একই রকম বাড়িতে থাকবে; আপনাদের সন্তান যখন একই স্কুলে পড়বে; দুইজন মানুষ একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা পাবেন তখন আপনি ঘুষ খাবেন না কারণ ঘুষের টাকা দিয়ে আপনি অতিরিক্ত কোন সেবা নিতে পারবেন না।

পুলিশ কনসটেবল কেন ঘুষ খায়? কারণ থানার ওসির ছেলে-মেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে; কন্সটেবল ও চায় তার ছেলে-মেয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ুক। ওসি ১ লা বৈশাখে পদ্মার ইলিশ দিয়ে পান্তা খাইছে; কন্সটেবলও খাইতে চায়।

বাবা-মা যখন দুই বোন বা ভাইকে একই রকম কাপড় কিনে দিবে তখন কেউ বলতে পারবে না তার টা খারাপ অন্যজনের টা ভালো। স্কুলে ড্রেসকোড চালুর পিছনে এটাই যুক্তি। কোন ছেলে ময়ে যেন বুঝতে না পারে তার বাবা-মা গরিব অন্যজনের টা বড় লোক।

গত বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনায় পেয়েছে যে দুইটা পরিবারের আয় যথাক্রমে ১ লাখ ডলার ও ৩০ হাজার ডলার। পাশাপাশি বাসা। একিই স্কুলে যায়। কিশোর বয়সে নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানের মাদক, ও অন্যান্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হার স্বচ্ছল পরিবারের শন্তানের চেয়ে দ্বিগুন। বৈষম্য মানুষের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দেয়। সেই ক্ষোভ থেকেই মানুষ অপরেধা জড়িয়ে পড়ে।




২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "First, integrity, absence of corruption.
Second, meritocracy – the best people for the best jobs. And
Third, a fair level-playing field for everybody."

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এগুলোর বাস্তবায়ন কি আমাদের দেশে কোন দিন সম্ভব?

২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দূর্ণিতীগ্রস্ত দেশ হিসাবে নিজের দেশকে দেখা অনেক লজ্জাকর। পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত শহর হিসাবে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখটা খুবই লজ্জাকর। সারা বিশ্বের বসবাস অযোগ্য দেশের তালিকার শীর্ষে নিজ দেশের রাজধানীর নাম দেখাটা আরও লজ্জাকর।

অথচ বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ বলছে সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কায়িক পরিশ্রম করা মানুষ হলো বাংলাদেশীরা।

মিডল ইষ্টে, ইটালিতে কিংবা গ্রীসে বাংলার মেহনতি মানুষ কিভাবে বেঁচে আছেন, কি খাচ্ছেন কিংবা কোথায় ঘুমাচ্ছেন আর মাস শেষে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন, তা যদি আপনার ""মাননীয়"" কিংবা অন্তত তাঁর চেলা চামুন্ডোরা জানতেন!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: তারা এটা জানে না কারণ আমরা এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করি না। আমরা যারা ইউরোপ আমেরিকায় থাকি তারা মধ্যপ্রাচ্য নিবাসী শ্রমিকদের মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করি না। বরং তাদের নিয়ে মশকরা করি; অথচা একবারও ভাবি না তাদের পাঠানো রেমিটেন্সে সরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়। ঐ সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে আমরা তাদের নিয়ে অপমানজনক কথা বার্তা বলি।

আমরা যদি নিয়মিত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করি তবে তাদের অনেক সমস্যাই মানুষর দৃষ্টিগোচর হবে। সমস্যার সমাধান এক সময় না এক সময় আসবেই।

২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ভাই, সব পেশাই আমি সম্মানের মনে করি।আপনি আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করেছেন। আমি মনে করি না, যারা কায়িক শ্রম দেয় তারা কলমপেষার যারা কাজ করে তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট। কিন্তু শিক্ষককের স্থান বাবা মায়ের পরেই। অতএব কোনমতেই শুধু ক্লিনার না, একজন বিদ্যালয়ে তো বটেই সমাজেরও অন্যান্য এমনকি অফিস আদালতে গমনকারী উচ্চবেতন ও পদস্থ লোকদের চেয়ে তার মর্যাদা ও বেতন বেশী পাওয়া উচিত। এছাড়াও একজন শিক্ষককে অনেকগুলো বছর ব্যয় করে পড়াশোনা করে একজন শিক্ষক হতে হয়। একজন ক্লিনারকে তার কাজ শিখতে অতদিন বা অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়ে না। অতএব দুইজন একই সমান বেতন পাবে-এটা অন্যায্য। তবে একই টেবিলে বসে খাওয়া যাবে না, একজন মাটিতে একজন টেবিলে সেটাও অসমর্থনযোগ্য।আমার বাসার কাজের লোকটির সাথে একই টেবিলে খেতেই পারি তবে বেতনের প্রশ্ন আলাদা। আপনি যা বেতন পান সেই একই বেতন কি আপনি আপনার ঘরে কাজ করা লোকটিকে দেবেন? সেটা অসম্ভব। কিংবা আপনার বস যা বেতন পান সেটাও তিী আপনাকে দেবেন না। তার মানে এই না আপনি তার চেয়ে নিচু হয়ে গেছেন, বা তার সমান অর্থ পাবার জন্য আপনার পক্ষে ঘুষ নেয়া জায়েজ হয়ে গেছে। এবং এর মানে এও না তিনি আপনাকে ঘৃণা বা তাচ্ছিল্য করেন।

২৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: সময়ের সাহসী বক্তব্য। যারা নিজেদের সচেতন বলে দাবি করেন তাদের পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়া দরকার।
ধন্যবাদ।

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

ক্লাউড বলেছেন: পোস্টের অধিকাংশ বক্তব্যের সাথে সহমত। তবে কিছু ব্যাপারে নিজের আলাদা মতামত আছে। এই যেমন, কেন সামরিক বাহিনীর জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডীকেল কলেজ থাকা দরকার, সেসব ব্যাপারে ব্যক্তিগত মতামত।

এই পোস্টে আবার আসবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.