নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
কানাডায় পার্লামেন্ট নির্বাচন আগামী ১৯ শে অক্টোবর। তবে নির্দিষ্ট দিনের পূর্বেই ভোট দেওয়ার একটা ব্যবস্হা চালু আছে এখানে। এবারে নির্বাচনে ৯ থেকে ১২ ই অক্টোবর এই ৪ দিন ভোট দেওয়া যাবে। এই ব্যবস্হাটা করা হয়েছে মানুষের সুবিধার্থে। কারণ এখানে বাংলাদেশের মতো ভোটের দিনে জাতীয় ছুটি থাকে না।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের রক্ষণশীল দল নিজেদের গত ৮ বছরের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ও নির্বাচনে আবার জেতার জন্য "মুসলিম মহিলারা নেকাব পড়ে কানাডার নাগরিকত্বের শপথ নিতে পারবে না" এই রকম একটি অর্থহীন বিষয়কে প্রধান ইস্যু হিসাবে সামনে টেনে এনেছে। তবে অন্য ২ টি প্রধান দল লিবারেল পার্টি ও এনডিপির দুই নেতা যথাক্রমে জাস্টিন ট্রুডিউ ও থমাস মলকেয়ার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের বর্ণবাদ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করেন সেই সাথে ভোটে জেতার এই অপ-কৌশলের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন। রক্ষণশীল দলের বেশিভাগ সমর্থক হলো কট্টরপন্থী, বিশেষ করে ইমিগ্রান্টদের বিষয়ে। পক্ষান্তরে লিবারেল দুইটি দলের প্রতিই ইমিগ্রান্টরা সহানুভূতিশীল।
কানাডার মানুষ ও দেশটি সারা পৃথিবীতে শান্তিকামী হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৮ বছরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের রক্ষণশীল দল দেশটিকে সারা বিশ্বে পরিচিত করেছে যুদ্ধবাজ হিসাবে। চোখ বন্ধ করে আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি সমর্থন করে। নিজেদের জাতিসত্তা পুরোই বর্গা দিয়েছে আমেরিকার কাছে। কানাডার এবারের নির্বাচনে পররাষ্ট্র নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে।
অন্য একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখিতেছে তা হলো ভবিষ্যৎ সরকারের ব্যায় নির্বাহ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের রক্ষণশীল দল ও থমাস মলকেয়ার এর এনডিপি নির্বাচিত হলে ব্যালেন্স বাজেট মেইনটেইন করতে চায়; পক্ষান্তরে লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডিউ প্রথম ৩ বছর ক্রমান্বয়ে ঘাটতি বাজেট মেইনটেইন করে চতুর্থ বছরে গিয়ে ব্যালেন্স বাজেট মেইনটেইন করতে চায়। বর্তমানে কানাডায় সরকারি সুদ হার মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। লিবারেল পার্টি এই সুযোগটি নিয়ে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করতে চায় যাতে করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে বেকারত্ব কমে আসে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের রক্ষণশীল দল মানুষকে ভয় দেখায় এই বলে যে লিবারেল পার্টি ক্ষমতায় এসে লোণ করে ঘি খেয়ে মানুষের গাড়ে ট্যাক্স এর বোঝা চাপিয়ে দিবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে। কানাডার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনকে।
গত ৩ দিনের ভোটে কানাডার মানুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রকমের মুখোস পড়ে। এক মহিলা কাগজের তৈরি আলুর ব্যাগকে নিকাব বানিয়ে তা নিজের মাথায় পড়ে ভোট দিতে গেছে; কেউ যাত্রা দলের ভাঁড় সেজে ভোট দিতে গিয়েছে।
কানাডার বর্তমান নির্বাচনী আইনে কোন ভোটার যে কোন রকমের মুখোস পড়ে ভোট দিতে পারবে; এমনকি ভোট দিতে গিয়ে নিজের চেহারা দেখাতে হবে না; যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর রক্ষণশীল দলের প্রস্তাবিত "নেকাব পড়ে কানাডার নাগরিকত্বের শপথ নিতে পারবে না" নীতিমালার সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ এক দেশে দুই নিয়ম।
তাই তো কানাডার নাগরিকরা সরকারের বর্ণবাদ নীতির প্রতি প্রতিবাদ জানাতে কিম্ভুত পোশাক পড়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছেন গত ৩ দিন থেকে।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//কানাডার মানুষ ও দেশটি সারা পৃথিবীতে শান্তিকামী হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ৮ বছরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের রক্ষণশীল দল দেশটিকে সারা বিশ্বে পরিচিত করেছে যুদ্ধবাজ হিসাবে। চোখ বন্ধ করে আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি সমর্থন করে। নিজেদের জাতিসত্তা পুরোই বর্গা দিয়েছে আমেরিকার কাছে। কানাডার এবারের নির্বাচনে পররাষ্ট্র নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে। //
-উদ্বেগের বিষয়!
কানাডায় বর্ণবাদ বিরোধী সরকার আসুক... এই কামনা করি
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
কেএসরথি বলেছেন: যার কাছেই শুনি, স্টিফেন হারপার নাকি সাক্ষাত শয়তান! অথচ আমার নিজের মনে হচ্ছে বেশীর ভাগ কানাডিয়ান তাকেই ভোট দেবে।
যদি ছাত্ররা ভোটে নামে, তাহলে অবশ্য হারপারের জেতার সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করি না।
কিন্তু তরুনদের খুব একটা বিচলিত হতে দেখলাম না। ভোটের কথা বলায়, তারা অনেকটা "ও আচ্ছা, দেখি" এমন জবাব দেয়। অনেকে তো এটাও জানেনা ভোট কবে!