নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
ইংরেজি একটা প্রবাদ আছে what goes around comes around। বাংলাদেশের মানুষের অভিশাপেই কি না জানিনা স্বাভাবিক অবসরের মাত্র ৮ মাস পূর্বে বরখাস্ত হয়ে চরম অসম্মানজনক ভাবে নিজের চাকুরী জীবনের সমাপ্তি ঘটাতে হলো ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংকে।
কংগ্রেস সরকারের পররাষ্ট্র নীতি ছিল ভারতের পাশের কোন দেশে যাতে গণতন্ত্র সু-সংহত হতে না পরে; যে কূটনীতির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং।
ভারতের এই পররাষ্ট্র নীতির কারণে পাশের কোন দেশেই গণতন্ত্র সু-সংহত হতে পারে নি ঠিকই তবে তাতে করে স্বল্প মেয়াদে ভারতের সামান্য লাভ হলেও দীর্ঘমেয়াদে ভারতের চরম ক্ষতি হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের Divide and Rule পররাষ্ট্রনীতির কারণে আসে পাশের সকল দেশের মানুষের মাঝে উগ্র জাতীয়তা বোধের বিস্তার ঘটেছে, ভারত সম্বন্ধে অ-বিশ্বাস জন্মেছে; যার ফলে ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখীন।
কোন দেশে গণতন্ত্র সু-সংহত হলে সেই দেশের সরকার জনগণের মতের বাহিরে গিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না; একতরফা ভাবে অন্য কোন দেশের স্বার্থ দেখেন না। শিল্প কারখানার ম্যানেজাররা যেমন মালিকের পক্ষ থেকে কারখানার ন সুস্থ পরিচালনা নিশ্চিত করে একই ভাবে সু-সংগঠিত গনতন্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদের ভূমিকা হয়ে উঠে শিল্প কারখানার ম্যানেজারের মতো। সংগঠিত গনতন্ত্রিক রাষ্ট্রের আসল মালিক হয়ে উঠেন তার জনগণ। ঠিক এই কারণেই কংগ্রেস সরকারের পররাষ্ট্র নীতি ছিল ভারতের পাশের কোন দেশে যাতে গণতন্ত্র সু-সংহত না হয় তা নিশ্চিত করা। কোন সময় পাশের দেশের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কোন সময় নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সেই দেশের গনতন্ত্রায়ন ঠেকিয়ে আসছেন সেই ১৯৪৭ থেকেই।
ইন্দ্রা গান্ধির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারই স্বাধীনতার ঠিক পরেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে তাদের অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে অস্থিতি শীল করেছে; মনমোহন সিং এর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার নেপালের জনগণের ভোটে নির্বাচিত মাওবাদী সরকারকে দেশ পরিচালনা করতে দেয় নাই; সিকিম তার স্বাধীনতা হারিয়েছে। শ্রীলংকায় ২ দশক ধরে গৃহ যুদ্ধ চলেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির জন্য প্রত্যক্ষ ভাবে ভূমিকা রেখেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।
এই সেই সুজাতা সিং যার মাধ্যমে কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নোংরা হস্তক্ষেপ করে ও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণের মতের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে অাওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটিকে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে ও ১৫৪ জন আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে (যে সংসদীয় এলাকা গুলো দেশের শতকরা ৫৩% মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে) নির্বাচনের পূর্বেই পাশ করিয়ে (পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের নির্বাচনে যা ঘটেনি কোন দিন) ১৯৯১ সাল থেকে হাটি-হাটি পা-পা করে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ভূ-লুণ্ঠিত করে নাই সাথে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুজাতা সিং এর নোংরা হস্তক্ষেপের কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে যেতে পারে না কারণ সে জানেনা আগামীকাল সকালবেলা সে ঘুম থেকে জীবিত উঠতে পারবে কি না?
আমার বিশ্বাস পাশের দেশ গুলোকে বন্ধু বানানোর গুরুত্ব নরেন্দ্র মোদি অনুধাবন করতে পেরেছেন ক্ষমতায় আসার পূর্বেই। তাই তো নির্বাচনে জিতেই নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কের দেশ গুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি ভারত সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে যে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং কে স্বাভাবিক অবসরের মাত্র ৮ মাস পূর্বে বরখাস্ত ও সাথে সাথে তা কার্যকর করা পরিবর্তনেরই আভাস দেয়।
পাকিস্তান সরকার যেমন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ISI এর উপর নির্ভরতা কমিয়েছে আশা করছি নরেন্দ্র মোদী সরকারও ভারত সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে RAW এর উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনবেন। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলংকার জনগণের ভালবাসা অর্জনের চেষ্টা করবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: পাপ করলে খেশারত তো দিতেই হবে। বাংলাদেশেও মনে হচ্ছে রাজনৈতিক পরিবর্তন আসন্ন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে কোন রেভোলিউশন হয় না কারানী সাব
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
চলতি নিয়ম বলেছেন: এই সেই সুজাতা সিং যার মাধ্যমে কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নোংরা হস্তক্ষেপ করে ও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণের মতের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে অাওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটিকে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি ভোটার বিহীন নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে ও ১৫৪ জন আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে (যে সংসদীয় এলাকা গুলো দেশের শতকরা ৫৩% মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে) নির্বাচনের পূর্বেই পাশ করিয়ে (পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের নির্বাচনে যা ঘটেনি কোন দিন) ১৯৯১ সাল থেকে হাটি-হাটি পা-পা করে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ভূ-লুণ্ঠিত করে নাই সাথে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
বোল্ড করা অংশের জন্য অনেকাংশে দায়ী জামাতের নেতৃত্বাধীন বিষ-দলীয় জোট। বাংলাদেশে আর কখনই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না, কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এটা আমার ধারণা। কারন কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না।
আর দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র বানাতে ভারত কে লাগবে না একদল উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিগাধারাই যথেস্ট।
হুমম তাইলে তোফায়েল কাক্কুর কথাও ঠিক। কি বলেন ?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি চাই শেখ হাসিনা আসাদ কিংবা গাদ্দাফির মতো দেশ শাষন করুক। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দরকার হলে গাদ্দাফির মতো হেলিকাপ্টার গানশিপ থেকে গুলি করে বিরোধী দলের আন্দোলন চিরতরে ষ্টব্ধ করে দেওয়া হউক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
সোহানী বলেছেন: শাসন নয়...বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলংকার জনগণের ভালবাসা অর্জনের চেষ্টা করবেন.............. এ প্রত্যাশায়।