নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
আপডেট ১:
প্রবাসীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ৩৫ হাজার টাকা গতকালকে ব্লগার আমিনুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে যা দিয়ে আজ শুক্রুবার বগুড়া জেলার অন্তর্গত সারিয়া-কান্দি উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের বন্যা দুর্গত ৫২ টি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করা হবে।
ন্যাড়ার ধর্মই হলো বেলের স্বাদ আস্বাদন করার জন্য মাথায় বেল পড়ার ঝুঁকি নিয়ে বেল তলায় যাওয়া। ঐ ন্যাড়াদের দলের একজন ভাবশিষ্য হিসাবে তাই প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ঝুঁকি গ্রহন করে আবারও প্রবাসী বন্ধুদের কাছে হাত পাতলাম বাংলাদেশের বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে আর একবার এগিয়ে আসার জন্য।
নিজের মনকে বুঝিয়েছি "পলাশ" তুমি চোখ বন্ধ করে থাক; পত্রিকার যে পাতায় বর্না দূর্গত মানুষের ছবি থাকে তা চোখ বন্ধ করে পরের পৃষ্টায় চলে যাবে। কিন্তু আমি পারলাম না একটি NGO তে কর্মরত ও কুড়িগ্রাম জেলার বর্ন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শনরত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বড় ভাই এর ছবি দেখে। তার ছবিতে করা আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে করা তার মন্তব্য সব সময় আমার মনে স্কুলের ঘন্টার মতো বেঁজে যাচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরে।
"পলাশ তুমি দেশে এসে মানুষের অবস্থ দেখ, না হয় এইসব মানুষের জন্য কিছু ফান্ড় তৈরী কর, কানাড়া থেকে এইসব মানুষেন অবস্থা বুঝবা কি করে?"
২ দিন পূর্বে যখন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে এক ব্যক্তি বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে তার সামর্থ্য অনুযায়ী ১ ডলার পাঠাল Bangladesh Disaster Aid and Rehabilitation নামক একটি চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে তা দেখে গত ২ দিন নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করে পরাজিত হলাম ও মনে নিলাম:
"সবার উপর মানুষ সত্য,তাহার উপর নাই"
ছবি: আমরা যে এলাকায় মানুষদের সাহায্য করতে চাই।
*************************************************
এবারে সামু ব্লগের ন্যাড়াদের টার্গেট সারা বাংলাদেশে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম বগুড়া জেলার অন্তর্গত সারিয়া-কান্দি উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারি ও দাসপাড়া গ্রামের বন্যা দুর্গত মানুষদের যারা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন নিকটবর্তী পাকা সড়কে।
এসব পরিবারের বেশির ভাগই অস্বচ্ছল দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর পরিবার। বন্যার কারণে মাঠে কাজ নেই; ফলে তাদের ঘরে খাবারও নেই। অনাহারে- অর্ধাহারে কর্মহীন অবস্থায় হাত গুটিয়ে বসে আছেন এই সকল মানুষ।
*************************************************
ছবি: কুতুবপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারি ও দাসপাড়া গ্রামের বন্যা দুর্গত মানুষদের যারা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন নিকটবর্তী পাকা সড়কে। (ছবি কৃতজ্ঞতা: ব্লগার খাটাস)
ব্লগার খাটাস ঐ এলাকা সারেজমিন পরিদর্শন করে সেখানকার বর্তমান অবস্হার একটি ছবি ব্লগ সরেজমিনঃ এক টুকরো বন্যার কবলে
"পরের কারণে স্বার্থে দিয়া বলি,
এ জীবন মন সকলি দাও;
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
.......................................
সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।"
চলুন সবাই মিলে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে আর একবার এগিয়ে আসি। শৈশবে শেখা কবি কামিনী রায়ের "সুখ" কবিতাটা যেন শুধুই কবিতার লাইন হয়ে না থাকে। কবিতাকে দৈনন্দিন জীবনে আর একবার প্রয়োগ করি।
আপনার সামান্য একটু মহানুভবতা বন্যা দুর্গত অসহায় একটি পরিবারকে সাহায্য করতে পারে এই দুর্যোগ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে। আপনার মাত্র ১০ ডলার (৭০০ টাকা) অনুদান একটি বন্যা দুর্গত পরিবারকে নিম্নোলিখিত প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো কিনতে সাহায্য করবে:
============================================
পে-পালের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য নিম্নলিখিত ই-মেইল
ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন:
============================================
Bangladesh Disaster Aid and Rehabilitation
E-mail : [email protected]
===========================================
সহযোগীতায়:
সামহোয়ারইন ব্লগের ব্লগার ও
Bangladesh Disaster Aid and Rehabilitation (A non profit organization registered with Government of Canada)
এই পোষ্ট টি ব্লগার আমিনুর রহমান জেসন ভাইয়ের বন্যাপীড়িত মানুষের সাহায্যার্থে - রাইচ বাকেট চ্যালেঞ্জ পোষ্টের পরিপুরক পোষ্ট
==========================================
ছবি কৃতজ্ঞতা: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বড় ভাই কাজি আব্দুল কাদির; যিনি দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা নিয়ে দেশের একটি NGO তে কর্মরত। ছবিটি কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা দুর্গত একটি এলাকা থেকে তোলা
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আমিনুর ভাই। দারুন কাজ করেছেন তারিখটা জানিয়ে দেবার জন্য।
আশাকরছি ৫২ টা পরিবারকে অন্তঃত ১ সপ্তাহ চলার মতো আর্থিক সাহায্য করতে পারব।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
বৃতি বলেছেন: উদ্যোগে সাধুবাদ। অনেক শুভেচ্ছা থাকল টিমের প্রতি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু শুভ কামনার জন্য। আপনারা সাথে থাকলে আমরা অবশ্যই সফল হবো।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
খাটাস বলেছেন: মানুষ বলতে এমন মানুষ গুলোকেই বোঝায়।
বরাবরের মত সাধুবাদ পলাশ ভাই।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আমি তো কিছুই করি না শুধু বিদেশে বসে কম্পিউটারে গুতা-গুতি ছাড়া। যা করার সবই করেন আপনারা। আপনাদের সাথে থাকতে পারি এটাই আমার সফলতা।
আল্লাহ আপনাদের দীর্ঘায়ূ দিক যাতে করে বেশি সময় ধারে মানুষের সেবা করতে পারেন।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বরাবরের মত আপনার এই উদ্যোগের সাথে আছি। তবে আমি গভীর আশংকা এবং উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং এই সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলো আগের চাইতে তুলনামূলক ভাবে নিঃশ্চুপ। অনেক স্থানেই বন্যার পানি আগের চেয়ে কমেছে কিন্তু বেড়েছে মানুষের দূর্ভোগ। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, অসুস্থ হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ, অথচ সরকারী ত্রাণ কার্যক্রম ততটা চোখে পড়ছে না। বলা যেতে পারে বেশ অপ্রতুল। আমার জানা মতে, আমাদের দেশের ত্রানের জন্য যে ফান্ড আছে তার সঠিক ব্যবহার হলে, এই নিপীড়িত মানুষগুলোর কষ্ট বহুগুনে হ্রাস পেত।
আমি এই অবহেলার নিন্দা জানাই। পাশাপাশি সবাইকে আহবান জানাচ্ছি এই সাহায্য কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার জন্য।
আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য করতে চাই, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির ব্যাপারে কারোই কোন মাথাব্যাথা থাকে না। বন্যার পানি নেমে যাবার পরই শুরু হয় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের আসল সংগ্রাম। আমি অনুরোধ জানাব, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ত্রান কার্যে সহায়তার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী সময়ের ব্যাপারে কাজ করতে হবে। সেই সময় যেন সবাই এগিয়ে আসেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই, এই পোষ্টটি দেয়ার জন্য। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই, এই পোষ্টটি যেন স্টিকি করা হয়। পলাশ ভাই আপনি এই পোষ্টে সারিয়া কান্দির দাস পাড়ার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খাটাসের প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে দিতে পারেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কাভা ভাই আপনার কথাটাই আমি গতকালকে আমিনুর ভাইকে বলেছি। যে বন্যার সময় পানি দেখে অনেকেই ত্রান নিয়ে যায়। কিন্তু বনভাসী মানুষদের আসল লড়াই শুরু হয় বন্যার পানি সরে যাবার পরে। বসত বাড়ি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়; ঘর মেরামতের দরকার হয়, কলেরা রোগের উপদ্রব বাড়ে; সেই সাথে বসত বাড়ীর নলকূপটির পানি পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
আপনি উল্টা কথা বললেন। আপনি না বরং আমি সব-সময় আপনাদের যাথে যোগ দেই। সব সময়ই আপনারা আমার পূর্বেই কাজ শুরু করে দেন। ইনশাআল্লাহ বরাবরের মতো এবারো আমরা সফল হবো। ভাল থাকবেন।
খাটাস ভাইয়ের পোষ্ট যোগ করে দিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেবার জন্য।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিছু বেল তলায় বারবার যাওয়ার মধ্যে সুখ আছে। শুভ কামনা রইলো। সাধ্যের ভেতরে সাথে থাকার ইচ্ছা রইলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
আপনাকে ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
ডি মুন বলেছেন: " কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বরাবরের মত আপনার এই উদ্যোগের সাথে আছি। তবে আমি গভীর আশংকা এবং উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং এই সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলো আগের চাইতে তুলনামূলক ভাবে নিঃশ্চুপ। "
এ ব্যাপারটি সত্যিই উদ্বেগজনক।
যাহোক, আমাদের দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। এমন সুন্দর উদ্যোগের সাথেই আছি।
শুভকামনা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সুফিয়া বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা এর সাথে একমত। দেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং এই সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলো আগের চাইতে তুলনামূলক ভাবে নিঃশ্চুপ।
এ ব্যাপারটি সত্যিই উদ্বেগজনক।
এই উদ্যোগের সাথে থাকতে চাই। কিভাবে সম্ভব ?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
পরের কারণে স্বার্থে দিয়া বলি,
এ জীবন মন সকলি দাও;
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
এই সুখ কোথাও পাওয়া যায় না
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বগুড়া'র সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারি গ্রামের দাস পাড়া'র ৫২টি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে।