নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্র জয় ও S.S.C পরীক্ষায় রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে ৩ টি সৃজনশীল প্রশ্ন।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫





কৃষক গনি মিয়ার ৫ বিঘা জমির পাশে এলাকার মাস্তান পেট কাটা ওসমানের ১ বিঘা জমি রহিয়াছে। পেট কাটা ওসমান জাল দলিল করিয়া কৃষক গনি মিয়ার ঐ ৫ বিঘা জমি দখল করিয়া লইলেন। গনি মিয়া অনেক অনুনয়-বিনয় করিয়াও জমি উদ্ধার করিতে না পারিয়া বিচারের আশায় আদালতে উপস্থিত হইলেন। কৃষক গনি মিয়া উকিল হিসাবে নিয়োগ করিয়াছেন বটতলার উকিল টাকলা কামরুলরে আর মাস্তান পেট কাটা ওসমান উকিল হিসাবে নিয়োগ করিয়াছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ধুরন্ধর ব্যক্তি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে



ব্যারিস্টার মওদুদ রাজনীতিতে নিজের ভেলকিবাজি দেখাইয়া অতীতে যেমন জিয়া, এরশাদ, ও খালেদা জিয়াকে মুগ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী, ও আইন মন্ত্রী পদ বাগাইয়া নিয়েছিল একই ভাবে কোর্টের বিচারকরে তার তেলেসমাতি করবার দেখাইয়া প্রমাণ করিলেন যে জমিটা আসলেই পেট কাটা ওসমানের।



এই দিকে টাকলা কামরুল ব্যক্তি জীবনে যেমন পা ধইরা সালাম কইরাও প্রতিমন্ত্রীর চেয়ে বড় পদ বাগাইতে পারে নাই তেমনি কোর্টেও জোরালো যুক্তি দিয়া এটা প্রমাণ করিতে পারিলেন না যে পেট কাটা ওসমানের দখল করা জমির আসল মালিক কৃষক গনি মিয়া।



এদিকে দুষ্ট লোকেরা চায়ের কাপে ঝড় তুলে, যে টাকলা কামরুল দিনের বেলা যেমন প্রেস ক্লাবে চেতনা ব্যবসা কথা কইয়া রাইতের বেলা বাসায় ফিরিয়া ইসলামি ব্যাংকের ঋণের টাকায় বানানো বাড়িতে নাখে খাঁটি সরিষার তেল দিয়া ঘুমাইতে যায়, তেমনি দিনের বেলায় কৃষক গনি মিয়ার পক্ষে আদালতে কথা বলিলেও রাতের বেলা পেট কাটা ওসমানের ডেরায় উপস্থিত হইয়া দুই পা জড়াইয়া ধরিয়া বলেন "আপনি আমার বাপ লাগেন" ;)



বিজ্ঞ বিচারক তার দীর্ঘদিনের অবিজ্ঞতার আলোকে স্পষ্টত বুঝিতে পারিলেন যে জমির প্রকৃত মালিক কৃষক গনি মিয়া। টাকলা কামরুল পেট কাটা ওসমানের কাছ থেকে ঘুষ খাইয়া আদালতে জোরালো যুক্তি দেয় নাই। সেই সাথে বিচারক এটাও বুঝিতে পারিলেন যে উনি যদি রায় ঘোষণা করেন যে ৫ বিঘা জমির প্রকৃত মালিক কৃষক গনি মিয়া তবে উক্ত জমি কৃষক গনি মিয়ার পক্ষে কোন দিনই বুঝিয়া পাওয়া সম্ভব হইবে না।



অতঃপর বিজ্ঞ বিচারক এই মর্মে রায় প্রদান করিলেন যে ৩ বিঘা জমির মালিক কৃষক গনি মিয়া ও ২ বিঘার মালিক মাস্তান পেট কাটা ওসমান।



সৃজনশীল প্রশ্ন:



উপরোক্ত গল্পের আলোকে আলোচনা করো যে আদালতের রায় শুনিয়া কৃষক গনি মিয়ার হুমায়ূন আহমেদের



"হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মেরা লাল দোপাট্টা...মল মল কা হো জি...হো জি।”"



গান গাইতে-গাইতে বাড়ি ফেরা উচিত নাকি নিজের ২ বিঘা জমির অধিকার হারানোর শোকে মনে-মনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "দুই বিঘা জমি" কবিতা আওড়াইতে-আওড়াইতে সাথে চোখের পানি মুছিতে-মুছিতে বাড়ি ফেরা উচিত?



"শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।

বাবু বলিলেন, "বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।

'কহিলাম আমি, "তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই।

চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।



'শুনি রাজা কহে, "বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখান

পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা--ওটা দিতে হবে।'

কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি

সজল চক্ষে, "করুণ বক্ষে গরিবের ভিটেখানি।



সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,

দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!'

আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,

কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে, "আচ্ছা, সে দেখা যাবে।'



পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে--

করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।

এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি--

রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।"








==========================

২য় প্রশ্ন

==========================

Permanent Court of Arbitration এর নিয়ম অনুযায়ী আদালতের বিচারপতির সংখ্যা হতে পারে ৩ জন অথবা ৫ জন। এছাড়া প্রত্যেক বাদী দেশ (বাংলাদেশ ও ভারত) বিচার শুরুর পূর্বে একজন করে arbitrator (বিচারক বা দুই পক্ষের বিরোধের নিষ্পত্তির ব্যাপারে মনোনীত ব্যক্তি) নিয়োগ করতে পারবে। পরবর্তীতে দুই দেশের নিয়োগ-কৃত দুই জন arbitrator নিজেরা আলোচনা করে নিরপেক্ষ ১ জন অথবা ৩ জন arbitrator নিয়োগ করে যথাক্রমে ৩ জন ও ৫ জন বিচারপতির আদালত গঠন করতে পারবেন।



৩ জন বিচারপতি নিয়ে আদালত গঠিত হলে নিরপেক্ষ arbitrator হবে ঐ আদালতের প্রধান বিচারপতি। আদালতে যদি ৫ জন বিচারপতি থাকেন তবে নিরপেক্ষ ৩ জন arbitrator এর মধ্যে থেকে ১ জন হবেন ঐ আদালতের প্রধান বিচারপতি।



নিয়ম মেনে ভারত সরকার নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে একজন ভারতীয় নাগরিককে (Dr. Pemmaraju Sreenivasa Rao) নিয়োগ দিয়েছে প্রথম বিচারপতি হিসাবে।



আশ্চর্য জনক হলেও সত্য যে সুযোগ থাকা সত্যেও বাংলাদেশ নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রথম বিচারপতি হিসাবে নিজ দেশের কোন আইনজীবীকে নিয়োগ না দিয়ে নায়ক অনন্ত জলিলের "ঘানা" ;) ;) থেকে Thomas A. Mensah নামক একজন আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।




বিচার শেষে দেখা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে আদালত যে রায় দিয়েছে সেই রায়ের কিছু অংশের উপর ভারতের নিয়োগ-কৃত বিচারপতি Dr. Pemmaraju Sreenivasa Rao আপত্তি জানিয়ে নিজের দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন । বাংলাদেশের নিয়োগ-কৃত ঘানার বিচারপতি আদালতের রায় চুপচাপ মেনে নিয়েছেন।



সৃজনশীল প্রশ্ন:



"সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রথম বিচারপতি হিসাবে বাংলাদেশের ৪০-৫০ হাজার আইনজীবীর মধ্য থেকে ১ জন আইনজীবীকে নিয়োগ না দিয়ে "ঘানা" থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার আলোকে নায়ক অনন্ত জলিলের What is Love (নিঃস্বার্থ ভালবাসা) ছবির চিত্রনাট্য বর্ণনা করো। ;)



=====================================

৩য় প্রশ্ন

=====================================



ভারতের পক্ষে আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করার জন্য নিয়োগ-কৃত আইনজীবী প্যানেলের সমন্বয় করেছেন ভারতের এটর্নি জেনারেল (দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা)। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করার জন্য নিয়োগ-কৃত আইনজীবী প্যানেলের সমন্বয় করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব।



ভারত তার দেশের দাবির পক্ষে আদালতে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করার জন্য নিয়োগ-কৃত আইনজীবী প্যানেলকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিশেষ বৈজ্ঞানিক প্যানেল নিয়োগ করেছেন যাদের মধ্যে রয়েছে নিজ দেশের শীর্ষস্থানীয় Hydrographer (পৃথিবীর জলভাগ সম্বন্ধে গবেষণা, উহার মানচিত্রাঙ্কন গভীরতা নির্ণয় প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ), Cartographer (মানচিত্র অঙ্কনে বিশেষজ্ঞ)।



অপর পক্ষে বাংলাদেশ সরকার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজ দেশের আইনজীবী প্যানেলকে বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার জন্য ভারতের মতো বিশেষ বৈজ্ঞানিক প্যানেল নিয়োগ করেছে এই রকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না (Permanent Court of Arbitration প্রদত্ত প্রতিনিধি লিস্টে)। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সরকার নিজ দেশের আইনজীবী প্যানেলকে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন বা বিরোধী পক্ষের দাবি ভুল প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হয়েছে (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে)।



সৃজনশীল প্রশ্ন:



সময় ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিয়ে (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) Permanent Court of Arbitration গিয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সামুদ্রিক ভূমি হারানোকে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের সেনাপতি লর্ড ক্লাইভের সাথে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধে ২০ হাজার সৈন্য নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে নবাবের পরাজয় নিশ্চিত করতে মির জাফর আলী খান যে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিলেন সেই ঘটনার সাথে তুলনা করা যায় কি না উপরোক্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তা আলোচনা করো। B:-) B:-)



বিঃ দ্রঃ গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তব জীবনের কাহারো সাথে মিলিয়া গেলে সেটা দৈব্যক্রম বলিয়া বিবেচিত হইবেক। যেহেতু পরীক্ষাটি সৃজনশীল প্রশ্নের উপর ভিত্তি করিয়া তাই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হইবে সৃজনশীল ভাবে ও নম্বরও দেওয়া হইবে সৃজনশীল আলোচনার উপর ভিত্তি করিয়া।





Permanent Court of Arbitration এর পূর্ন রায়

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

রাহুল বলেছেন: কঠিন বিষয়ের সহজ উপস্হাপন। :P B-) ;)

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: অসাধারণ লিখছেন বস, এমন লেখা আরও চাই

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

াহো বলেছেন:

৯/০৭/২০১৪),
ভারতের প্রথম সারির দৈনিক টেলিগ্রাফ পত্রিকার সংবাদের হেডিং ছিল ---
বাংলাদেশের কাছে বিপুল পরিমাণ সমুদ্রসীমা হারিয়েছে ভারত



ভারতীয় পএিকা দ্য টেলিগ্রাফের কান্না
পশ্চিমবঙ্গের আয়তনের চেয়েও বড় সমুদ্র অঞ্চল পেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে যে এলাকা দেয়া হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচনায় অযৌক্তিক--পদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তা
জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের দাবির যৌক্তিকতাকেই মেনে নেয়নি বরং আরো নতুন এলাকা এর সঙ্গে যুক্ত করে।
ভারত ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।-
ভারত নিউমুর বা দক্ষিণ তালপট্টি নামে অতি ক্ষুদ্র একটি দ্বীপের ওপর কর্তৃত্ব লাভ করেছে। তবে উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা যায় যে, এ এলাকাটি ইতিমধ্যেই সমুদ্রে তলিয়ে গেছে।
নয়াদিলি্ল আরো একটি বড় লড়াইয়ে হেরেছে। বাংলাদেশ দাবি করে যে, বিচারকরা কম্পাস ও পেন্সিল দিয়ে '১৮০ ডিগ্রি নীতিমালা' অনুসরণ করেন। অন্যদিকে ভারত এর বিরোধিতা করে। কারণ এর ফলে বাংলাদেশ যা ন্যায্য তার চেয়ে বেশি সমুদ্র এলাকা পেয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্য এটা হচ্ছে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় বড় জয়। তারা ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলায় জয়ী হয়েছে। -

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

াহো বলেছেন:



সমুদ্রসীমা---বিবিসি বাংলা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স
বাংলাদেশরে জয় বলেছে


প্রায় অস্তিত্ববিহীন ওই দ্বীপটির অধিকার পেলেও সমুদ্রসীমা বা সাগরে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন নির্ধারণে তা তাদের খুব একটা সুবিধা করেছে বলে ভারত প্রাথমিকভাবে মনে করছে না
বিবিসি বাংলা

(Reuters) - A U.N. tribunal has awarded Bangladesh nearly four-fifths of an area sprawling over 25,000 sq km (9,700 sq miles) in the Bay of Bengal, ending a dispute over a sea border with India that has ruffled ties between the neighbours for more than three decades.

The verdict, binding on both countries, opens the way for Bangladesh to explore for oil and gas in the Bay of Bengal, the site of important energy reserves.

Link 1. Click This Link
Link2
Click This Link

==============================

Fazlul Bari
6 hours ago · Edited
সমুদ্র সীমা নিয়ে বিচার হয়েছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে। সেই আদালতের কোড অব কন্ট্রাক্ট হচ্ছে উভয় পক্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। এসব জেনেশুনেই বাংলাদেশ সেখানে গিয়েছিল। অনেক টাকা খরচ করে নিয়োগ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বেশ কিছু কোসুলি। এ নিয়ে অন্য কোথাও আপীল করার সুযোগ নেই। ওই বিচারক প্যানেলে আবার ভারতীয় এক বিচারক ছিলেন! কোর্ট বাংলাদেশকে যতটা দিয়েছে ওই বিচারক তাতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে রায়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন! যেন আরও বেশি এলাকা দেয়া উচিত ছিল ভারতকে! এখন ওই বিচারক নোট অব ডিসেন্ট দিলেও কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্ত বদলাবেনা! বাংলাদেশ বা ভারত কোন যদি এখন এই রায় না মানে তাহলে রায়টি শুধু অকার্যকর না, যে পক্ষ মানবেনা সে পক্ষকে বড় জরিমানা সহ নানা ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারে।
এখন বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে যেন সরকারই ইচ্ছে করে ভারতকে সব দিয়ে এসেছে! সমুদ্র সীমা বিরোধ মীমাংসার পথ আছে দুটি। এক। কোর্টে যাওয়া, দুই। যুদ্ধ করে আদায় করা! যুদ্ধ করবেন না বা পারবেন না বলেইতো কোর্টে যাওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০০৭ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বিএনপি এ নিয়ে যুদ্ধ করলোনা, কিন্তু কোর্টেও গেলোনা কেনো? ভারত বিরোধী রাজনীতির তাসটি বাঁচিয়ে রাখার জন্যে? বাংলাদেশ যখন কোর্টে গেলো তখনও তারা কোর্টটির কোড অব কন্ডাক্ট ভালো করে পড়েনি? না সেটি ইংরেজিতে লিখা থাকায় পড়তে পারেনি? বা এতদিন একবারও কেন বললেন না, এ কোর্টে যাওয়া একদম উচিত হয়নি বাংলাদেশের! দক্ষিন তালপট্টি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাতের দিনগুলোতেতো বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায়। সারাদিন শুধু শাঁখা-সিঁদুর, উলুধবনি, মসজিদ সব মন্দির হয়ে যাওয়া রাজনীতি করতে পারেন, তালপট্টি নিয়ে তারা কী কোন দিন যুদ্ধ করেছেন? না যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন? না এখন বলবেন আগামিতে ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধ করে উদ্ধার করবেন তালপট্টি! যুদ্ধেও ডর লাগে, কোর্টের রায়েও অনাসক্তি, আবার ভারতীয় মোদীর বিজয়ে কাপড় তুলে লাফান, সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমার সঙ্গে দেখা পেতে ছুটে যান তার হোটেলে, এমন সবদিক গুলাইয়া ফেলার রাজনীতি আর কতো? কবে আমরা একমত একসঙ্গে হতে পারবো জাতীয় ইস্যুতে?


===========================

ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও ভিন্নমত

হেগ-এর পাঁচ বিচারক সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী সালিশ আদালতের অন্যতম সদস্য ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপর চার বিচারকের সঙ্গে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) পোষণ করেন। তবে ড. রাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হন। একমত হওয়া বিষয়গুলো হচ্ছে সালিশ আদালতের এখতিয়ার, মামলার যুক্তি ও কোন উপায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। আর তিনি একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, মহীসোপানের বিস্তৃতি সুনির্দিষ্টকরণ ও সীমানা নির্ধারণ রেখা টানার পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। বঙ্গোপসাগর ও ভূমির মূলবিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রি বরাবর রেখা টানতে বাংলাদেশের দাবির বিপরীতে চার বিচারক ১৭৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী বরাবর রেখা টানার সিদ্ধান্ত দেন। অন্যদিকে ড. রাও এর বিরোধিতা করেন। আদালতের অন্য বিচারকরা ছিলেন জার্মানির রুডিজার উলফ্রাম (প্রেসিডেন্ট), ফ্রান্সের জঁ পিরেরে কট, ঘানার টমাস এ মেনশা ও অষ্ট্রেলিয়ার আইভান শিয়াবার।
Ittefaq

====================================

সমুদ্রে বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের

১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর সৃষ্ট বংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ১৯৮৫ সালের উড়িরচর ঘূর্ণিঝড়ের পরই সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। অস্তিত্ব না থাকলেও বহুল আলোচিত তালপট্টি দ্বীপ এলাকাটি এই রায়ের ফলে ভারতের মধ্যে পড়েছে। ১৯৮০ সালের পর প্রণীত প্রতিটি মানচিত্রে তালপট্টিকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে রাখা হয়নি। ১৯৪৭ সালে রেডক্লিড প্রণীত সীমানা মানচিত্রেও এই দ্বীপটি বাংলাদেশের মধ্যে ছিল না। Ittefaq

অধিকাংশ গ্যাস ব্লক

বাংলাদেশের

বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল। Ittefaq



Source

Ittefaq
Click This Link



===========================


তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।
prothom -alo
Click This Link

============================
Some Observation(Updated)
1)তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।.

2)বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল.

3)সমুদ্রে বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের.

4)হেগ-এর পাঁচ বিচারক সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী সালিশ আদালতের অন্যতম সদস্য ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপর চার বিচারকের সঙ্গে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) পোষণ করেন। তবে ড. রাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হন।.

5)সমুদ্রসীমা---বিবিসি বাংলা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স.
বাংলাদেশরে জয় বলেছে.

6)আদালত বলেছেন, রেডক্লিফ ১৯৪৭ সালে যে লাইন ড্র করে দিয়ে গেছেন, সেটাই সীমান্ত।.

7) দেখুন কলকাতার Telegraph পত্রিকার আহাজারি online.

8)As far as I know , there is a time frame to apply . You can not apply after this time. I forget which year is this time limit


=======================
Some Observation
1)তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।.

2)বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল.

3)সমুদ্রে বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের.

4)হেগ-এর পাঁচ বিচারক সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী সালিশ আদালতের অন্যতম সদস্য ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপর চার বিচারকের সঙ্গে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) পোষণ করেন। তবে ড. রাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হন।.

5)সমুদ্রসীমা---বিবিসি বাংলা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স.
বাংলাদেশরে জয় বলেছে.

6)আদালত বলেছেন, রেডক্লিফ ১৯৪৭ সালে যে লাইন ড্র করে দিয়ে গেছেন, সেটাই সীমান্ত।.

7) দেখুন কলকাতার Telegraph পত্রিকার আহাজারি online.

8)As far as I know , there is a time frame to apply . You can not apply after this time. I forget which year is this time limit


=======================

ভারতীয় পএিকা দ্য টেলিগ্রাফের কান্না
পশ্চিমবঙ্গের আয়তনের চেয়েও বড় সমুদ্র অঞ্চল পেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে যে এলাকা দেয়া হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচনায় অযৌক্তিক--পদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তা
জাতিসংঘ কেবল বাংলাদেশের দাবির যৌক্তিকতাকেই মেনে নেয়নি বরং আরো নতুন এলাকা এর সঙ্গে যুক্ত করে।
ভারত ট্রাইব্যুনালের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।-
ভারত নিউমুর বা দক্ষিণ তালপট্টি নামে অতি ক্ষুদ্র একটি দ্বীপের ওপর কর্তৃত্ব লাভ করেছে। তবে উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা যায় যে, এ এলাকাটি ইতিমধ্যেই সমুদ্রে তলিয়ে গেছে।
নয়াদিলি্ল আরো একটি বড় লড়াইয়ে হেরেছে। বাংলাদেশ দাবি করে যে, বিচারকরা কম্পাস ও পেন্সিল দিয়ে '১৮০ ডিগ্রি নীতিমালা' অনুসরণ করেন। অন্যদিকে ভারত এর বিরোধিতা করে। কারণ এর ফলে বাংলাদেশ যা ন্যায্য তার চেয়ে বেশি সমুদ্র এলাকা পেয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্য এটা হচ্ছে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় বড় জয়। তারা ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলায় জয়ী হয়েছে। -




৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুর্দান্ত বিশ্লেষণ পলাশ ভাই।


অঃটঃ আমার রেডুটা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলছি। খালি ডিস্টার্ব করে।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

সোহানী বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন.. সেই সাথে সত্য প্রকাশ। অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.