নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইম মেশিনে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়টিতে চলে যেতে পারতাম তবে যে বিষয়টিতে ভর্তি হতাম তা হলো Water Resource Management/Engineering

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫২





শিল্পী তপন চৌধুরির জনপ্রিয় গান "পৃথিবীর ৩ ভাগ জল, ১ ভাগ স্থল আর আমার হৃদয়ে আছো শুধু তুমি" এর কথা মনে আছে? না, আমরা আপাতত, হৃদয় ঘটিত ব্যপার নিয়ে আলোচনা করবো না করবো বাংলাদেশের জল বা পানি সম্পদ গবেষনা ও পানি সম্পদ ব্যবস্হাপনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।



কয়েক দিন পূর্বে আব্বার সাথে কথা হলো। আব্বা জানালো বাড়ির ৫০০ লিটারের যে পানির ট্যাঙ্কই পূর্বে ১০ মিনিটে পূর্ণ হতো সেই একই ট্যাঙ্কই পূর্ণ হতে সময় লাগছে ৩০ মিনিট। গ্রামের অধিকাংশ সেচ কুপে পানি উঠছে না। আবার নতুন করে নলকূপ বসাতে হবে। আমার বাড়িটি সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য ক্রমে নীলফামারী জেলায় অবস্থিত। বাড়ীর পূর্ব দিক দিয়ে তিস্তা নদী ও পশ্চিম দিক দিয়ে আত্রাই নদী প্রবাহিত যার দুটোরই উৎপত্তি ভারত থেকে। একটি নীলফামারী জেলা দিয়ে, অন্যটি পঞ্চগড় জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।







উপরের ছবিতে দেখুন, দুর্ভাগ্য ক্রমে দুটি নদীর (গোলাকার বৃত্ত চিহ্নিত) বাংলাদেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভারত সরকার অন্তর্জাতিক নদী আইন ভঙ্গ করে বাধ দিয়ে এক তরফা পানি প্রত্যাহার করে পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজের জন্য।







ছবি : ১



পৃথিবীর ৪ ভাগের ৩ ভাগ জল হলেও মিঠা পানির পরিমাণ কত ভাগ জানেন কি?



পৃথিবীর শতকরা ৯৭ দশমিক ৫ ভাগ (সগর, মহাসাগর ও লবণাক্ত পানির লেক) হলো লবণাক্ত পানি আর ২ দশমিক ৫ ভাগ হলো মিঠা পানি। মিঠা পানির শতকরা ৩০ ভাগ হলো ভূ-গর্ভস্থ পানি (মাটির নিচে), আর ৭০ ভাগ হচ্ছে ভূ-উপরিভাগস্হ্য যেমন: নদী, মিঠা পানির লেক, গ্লেসিয়ার, গ্রিনল্যান্ডের বরফ ও এন্টার্কটিকার বরফের স্তরে সন্বিচিত।



বর্তমানে বাংলাদেশে খাবার পানির ৯৭% ও চাষাবাদের ৮০% আসে ভু-গর্ভস্থ উৎস থেকে। পৃথিবীর মোট ব্যবহৃত ভু-গর্ভস্থ পানির শতকরা ৩৫ ভাগ ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল মানুষেরা। বাংলাদেশ গত ২০ বছরে খদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তার অন্যতম করণ হলো শুকনো মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি-মে) অ-গভীর ও গভীর নলকূপের দ্বারা সেচের মাধ্যমে বোরো ধান উৎপাদন।







ছবি ২: বাংলাদেশের যে জেলা গুলোতে বোরো ধান চাষ করা হয় (সবুজ রঙ)



উপরের ২ নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের কোন এলাকায় কেমন পরিমাণ বোরো ধান চাষ হয়। অপরিকল্পিত ভাবে ব্যাপক ভু-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে বোরো ধান চাষ করার ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি যেটা আমাদের জন্য সু-সংবাদ কিন্তু দুঃসংবাদ হলো আমরা ক্ষতি করেছি আমাদের ভু-গর্ভস্থ পানির পরিমাণের। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যে পরিমাণ পানি মাটির নিচে জমা হয় তার চেয়ে বেশি পরিমাণ পানি আমরা মাটির নিচ থেকে তুলে থাকি কৃষি কাজের জন্য। আমরা এটাকে তুলনা করতে পারি ব্যাংকে টাকা উঠানো সাথে। মনে করুন আপনার বাবা মৃত্যুর পূর্বে আপনাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে গেছে। আপনি নিজের চাকুরী থেকে প্রতিমাসে বেতন পান ২০ হাজার টাকা। বাবার দেওয়া ৫ লাখ টাকা থেকে মাসিক ইন্টারেস্ট পান ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মোট মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। এখন আপনি যদি প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে থাকেন (বাৎসরিক খরচ বৃদ্ধি ২০% কিন্তু বেতন বৃদ্ধি ১০%) তবে আগামী কত বছর সচ্ছল ভাবে জীবন-যাপন করতে পারবেন?







ছবি : ৩ : ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের পরিবর্তন (যত বেশি বাদামি ও লাল তত বেশি ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের নীচে নেমে যাওয়া)



পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের University College London এর কর্মরত বাংলাদেশি পানিসম্পদ গবেষক মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা তার গবেষণায় [সূত্র: ৬] দেখিয়েছেন গত দুই দশকে [১৯৮৫-২০০৭] বাংলাদেশের ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের অবনতি সম্পূর্ণ রূপে কৃষিকাজ ও শহরের ব্যবহারের (ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ইত্যাদি) সাথে সম্পর্ক যুক্ত।



গত ২০ বছর ধরে আমরা ক্রমাগত খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি ভু-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে। উপরের ২ নম্বর ছবিতে দেখতে পাচ্ছি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের অবনতির চিত্র। দুঃসংবাদ হলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই ক্রমাগত উৎপাদন বৃদ্ধি হ্রাস পেতে শুরু করবে ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের নেমে যাওয়ার সাথে। দৈনিক প্রথম আলোতে খবর বেরিয়েছে গত বছর সেচ দেওয়া হয়েছিল ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এবার ২৫ হাজার হেক্টরে থেমে গেছে সেচের আওতাধীন জমির পরিমাণ ।এবারে তিস্তা নদীতে পর্যাপ্ত পানির অভাবে অনেক কৃষক নিজস্ব গভীর নলকূপ (ছবি ৩) দ্বারা ভু-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন করে বোরো ধান চাষ করছেন।







ছবি : ৪



আপনারা ইতি মধ্যে সংবাদ পত্রের মাধ্যমে যে রাজশাহী অঞ্চলে ও বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে পর্যাপ্ত সেচের অভাবে অনেক কৃষক ধানের পরিবর্তে পাট চাষ শুরু করেছেন। অর্থাৎ এ বছর বোরো ধানের উৎাদের পরিমাণ গত বছরে অপেক্ষা কম হতে পারে। অর্থাৎ শুধু ভু-গর্ভস্থ পানির স্তরের নীচে নেমে যাওয়া ও তিস্তা নদীতে পানি না থাকার কারণে আগামী বছর গুলিতে বাংলাদেশের ধান উৎপাদনের পরিমাণ কমতে থাকবে যদি না দ্রুত উচ্চ উৎপাদনশীল ধানের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার হয়। কিন্ত দূঃসংবাদ হলো উচ্চ উৎপাদনশীল প্রজাতির ধানের আবিষ্কার অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

=============================================

আপনি প্রশ্ন করতে পারেন: ২০ বছর পূর্বেও বাংলাদেশের প্রধান-প্রধান নদীগুলোতে শুকনো মৌসুমেও নৌকা চলত, মৎস্য সম্পদে পূর্ণ ছিল কিন্তু বর্তমানে নদীর পাড়ে প্রাকৃতিক কর্ম সেরে হাত ধৌত করার মতো পানি নেই কেন?

=============================================

বাংলাদেশের নদী গুলোতে প্রবাহিত পানির প্রধান উৎস হলো ৩ টি:



১) বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত [South Asian Monsoon Rainfall ]

২) হিমালয় পর্বতের বরফ গলা পানি [Seasonal Snow and Glacier Melting]

৩) নদীর দুই ধার দিয়ে চুয়ে পড়া পানি [Base Flow]



বাংলাদেশে পানি সমস্যা দেখা দেয় মূলত শুষ্ক মৌসুমে। বাংলাদেশের নদীগুলো প্রায় সবগুলো (পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪/৫ টি ছাড়া) উৎপন্ন হয়েছে ভারত, নেপাল ও ভুটানের পার্বত্য অঞ্চলে।







ছবি: ৫



বাংলাদেশ ৩ টি প্রধান নদ-নদীর (পদ্মা, মেঘনা ও ব্রক্ষমপুত্র) অববাহিকায় [River Basin] বিভক্ত। অববাহিকাকে আমরা তুলনা করতে পারি আমাদের গোসল খানার চৌবাচ্চার পানি যেমন একটি ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায় (ছবি ৫) বা রান্নাঘরের সিন্কের সাথে। একটি অববাহিকা অন্তর্গত সকল নাদী-নালা, শাখা নদী, উপনদী, লেক, হাওড়-বাঁওড়ের পানি পরিশেষে একটি জায়গার মিলিত হয়ে চূড়ান্ত ভাবে লেক, সাগর, মহাসাগরে গিয়ে পতিত হয় (ছবি ৬)







ছবি ৬: পদ্মা (সবুজ), মেঘনা (পিন্ক) ও ব্রক্ষমপুত্র (বেগুনি) অববাহিকা।



আপনার প্রশ্ন হতে পারে ধান উৎপাদন কি শুধু বাংলাদেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে নাকি একই সাথে ভারত, নেপাল ও ভুটানেও বৃদ্ধি পেয়েছে?



নীচের ছবিতে দেখুন বাংলাদেশের সাথে সাথে একই ভাবে ভারত, নেপাল ও ভুটানেও বৃদ্ধি পেয়েছে।







ছবি: ৭ (যত বেশি সবুজ তত বেশি পানি সেচ দিতে হয় ঐ সকল এলাকায়)



আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তারা কিভাবে সেচের পানি সংগ্রহ করতেছে?



উত্তর হলো উজানের প্রত্যেকটি নদীতে বাধ দিয়ে জমা-কৃত পানি ও ভূ-গর্ভস্থ হতে নলকূপের মাধ্যমে উত্তোলিত পানি দিয়ে। নিচের ছবিতে দেখুন ভারত গঙ্গা অববাহিকার বিভিন্ন নদীতে কি পরিমাণে বাধ দিয়ে পানি আটকিয়ে তা দ্বারা চাষাবাদ করতেছে।







ছবি : ৮ (যত বড় বৃত্ত তত বড় বাধ, তত বেশি পানি প্রতাহার)



মনে রাখবেন নদীতে বাধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পানি আটকানো হলে তা ছেড়ে দিতে হয় নিয়মিত ভাবে কিন্তু চাষাবাদের জন্য বাধ দিলে সেই পানি ছাড়া হয় না। বাড়ত শুধু যে নদীতে বাধ দিয়ে ঐ এলাকার কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা দিচ্ছে তা না, তারে ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত নদীতে বাধ দিয়ে সেই পানি আটকিয়ে ক্যানালের মধ্যমে আন্তঃ-নদী সংযোগের মধ্যমে এক অঞ্চলের নদীর পানি অন্য অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে নিচের ছবিটির মতো।







ছবি : ৯ (ক) (এই ছবিটি জার্মানির একটি এলাকার যা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কীন্তু একই রকম ভাবে ভারত তিস্তার পানি পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে যা নিচের ৯ (খ) নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে)





ছবি : ৯ (খ)



ভরত ইতিমধ্যেই গঙ্গা নদীতে ফারাক্কা বাধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নিয়ে হুগলী নদীতে নিয়ে গেছে। তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহার করে নিয়ে পশ্চিম বঙ্গের জমিতে সেচ দিচ্ছে। এখন ব্যাপক পরিকল্পনা করতেছে ব্রক্ষমপুত্র নদীর বাংলাদেশে প্রবেশ মুখে ও সিলেট অঞ্চলের বরাক নদীর মুখে টিপাই বাধ দিয়ে ক্যানালের মাধ্যমে সেই পানি ভারতের উত্তরাঞ্চলে নিয়ে যাবার জন্য যাতে করে উপরে ছবিতে উল্লেখিত কৃষি জমি গুলো ভবিষ্যতে হুমকির সম্মুখীন না হয়।







ছবি ১০: ভারতের বিভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার ম্যাপ। বাংলাদেশের বর্ডার ঘেষে তিস্তার পানি (সবুঝ রঙ) পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে কৃষি কাজ করতেছে । যে লাল লাইটা দেখতে পাচ্ছেন তা হলো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। এই পরিকল্পার মাধ্যমে ভবিষ্যতে (হয়ত আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যেই ব্রক্ষমপুত্র নদে বাধ দিয়ে ভারতে নিয়ে যাবে।



"ভারত যেভাবে পানি সরিয়ে নিচ্ছে, তাতে ৩০ বছরের মধ্যে দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান।"



ভারত গঙ্গা নদীতে বাধ দিয়েছিল এই কথা বলে যে তারা শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহিত পানির ৪ ভাগের ১ ভাগ প্রত্যাহার করে নেবে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন তারা প্রায় সম্পূর্ণ পানি আটকিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে।

এবারে নীচের ছবিতে দেখুন ভারত ঠিক কোন জায়গায় বাধ দিয়ে পদ্মা নদীর পানি প্রত্যাহার করে হুগলি নদীতে নিচ্ছে।







ছবি ১১ : ফারাক্কা বাধের অবস্হান



বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমালয় পর্বত অঞ্চলে শীত কালে বরফ পাড়ার পরিমাণ কমে গেছে এবং গ্লেসিয়ার (হিমবাহ) গুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। [সুত্র: ৪, ৫]

এবারে নিচের ১২ নম্বর ছবি থেকে জেনে নেই হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন হিমবাহ বা গ্লেসিয়ারের অবস্থান:







ছবি ১২: যত বড় বৃত্ত ঠিক তত বেশি পরিমানে গলে গেছে সেই হিমবাহ



সূত্র: Himalayan Glaciers: Climate Change, Water Resources, and Water Security (2012)



এবারে নিচের ১৩ নম্বর ছবিতে দেখুন গঙ্গোত্রী হিমবাহ (পদ্মা নদীর উৎপত্তি মুখ) কিভাবে গলে যাচ্ছে ১৭৮০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শিল্প বিপ্লব শুরুর পর থেকে)







ছবি ১৩ : গঙ্গোত্রী হিমবাহ



বৈজ্ঞানিকরা অনেক গুলো কারণ নির্ধারণ করেছেন পৃথিবীর হিমবাহ গুলোর দ্রুত গলে যাবার জন্য। তবে দুইটি প্রধান করান হলো:



১) পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপ মাত্রা বৃদ্ধি ও



২) বাতাসে দূষিত পদার্থের কণা বৃদ্ধি (এরোসল ডাষ্ট, ব্ল্যাক কার্বন ইত্যাদি)।




ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে বাহিরে রেখে দিলে যেমন দ্রুত গলে যায় ঠিক একই ভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমালয় পর্বতের বরফ গুলো গলে যাচ্ছে।



আমরা জানি যে কালো কাপড় বেশি তাপ শোষণ করে। হিমালয় পর্বতের দুই পাশে অবস্থিত দেশ চিন ও ভারতের উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০ ভাগেরও বেশি অংশ হলো কয়লা পুড়িয়ে। কয়লা পুড়লে যে এর বিরাট একটা অংশ বাতাসের মাধ্যমে হিমালয় অঞ্চলে প্রবাহিত হয়ে হিমবাহ গুলোর উপর জমা হচ্ছে; ফলে বরফ কালো হয়ে যাচ্ছে। পরিষ্কার বরফের উপর সূর্যের আলো পড়লে তা হতে শতকরা প্রায় ৭৫-৮০ ভাগই প্রতিফলিত হয় অর্থাৎ মাত্র ১৫-থেকে ২০ ভাগ শোষিত হয়। কিন্তু বরফের উপর কালো পদার্থ জমার কারণে গত ২০-৩০ বছর ধরে বরফ বেশি তাপ শোষণ করে দ্রুত গলে যাচ্ছে।



আপনার প্রশ্ন হতে পারে বরফ যেহেতু বেশি গলছে তাহলে তো আমাদের দেশের নদ-নদী গুলোতে পূর্বের চেয়ে বেশি পানি থাকার কথা?



হ্যাঁ, আপনার কথার সাথে আমিও একমত। আমাদের নদীগুলোতে বেশি পানি থাকার কথা যদি পূর্বের চেয়ে বেশি পরিমাণে হিমালয় পর্বতের বরফ ও হিমবাহ গুলো গলতে থাকে। কিন্তু উপরের (***************) ছবিতে দেখুন ভারত কিভাবে নদীতে বাধ দিয়ে বরফ গলা পানি অতিরিক্ত আটকিয়ে কৃষি জমিতে সেচ দিচ্ছে।

=========================================



এবারে আলোচনা করি কৃষিকাজ ব্যতীত পানির অন্য ব্যবহার নিয়ে। ঢকা শহরের ব্যবহৃত পানির শতকরা ৮২ ভাগ আসে ভু-গর্ভস্থ উৎস (গভীর নলকূপ) ও মাত্র ১৮ ভাগ আসে ভূ-উপরিভাগের উৎস থেকে (মূলত নদীর পানি যেমন নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সংগৃহীত পানি সায়দাবাদ পানি শোধনাগারে পরিশোধন করে)।



নীচের দুটি ছবির মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করুন। নীচের ছবিটিতে একটি নলকূপের দ্বারা পানি উত্তোলন করা হচ্ছে যা উপরের ছবিটিতে নেই। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভূমির উপরের পতিত বৃষ্টির পানি মাটির নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এক পাশে লেকে ও অন্য পাশে নদীতে (স্ট্রিম) মিশে যাচ্ছে। কিন্তু যখন লেকের পাশে নলকূপ স্থাপন করে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে তখন মাটির নিচ দিয়ে প্রবাহিত পানি লেকে না গিয়ে নলকূপের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।একই সাথে লেক হতে পানি নলকূপের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।







ছবি ১৪: নদীর পানি ভূ-গর্ভে প্রবেশ(মনে করুন ঢাকার বুড়ি গঙ্গা নদীর পানি ঢাকা শহরের মাটির নিচে প্রবেশ করতেছে)।



১৪ নম্বর ছবিতে দেখুন যখন নদীর পাশে নলকূপ বসিয়ে পানি উত্তোলন করা হয় তখন নদীর পানি নলকূপের দিকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ নদীর পানির একটা অংশ নলকূপ দ্বারা টেনে নেওয়া হচ্ছে।







বাংলাদেশে গত ২০/৩০ বছর ধরে গভীর নলকূপ দ্বারা উত্তলিত পানির দ্বারা বোরো ধান চাষাবাদের ফলে মাটির নিচের পানি নদীতে গিয়ে পতিত হতে পড়তেছে না বরং কোন কোন জায়গায় নদীর পানি গভীর নলকূপ টেনে নিচ্ছে।



উপরোক্ত ৩ টি প্রধান করণে বাংলাদেশের নদীগুলো পানি শূন্য হয়ে যাচ্ছে শুকনো মৌসুমে সেই সাথে গ্রাম-বাংলার জলা ভূমি ও পুকুর গুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে।

========================================



এবারে নীচের ছবিটি ভাল করে লক্ষ করুন। কোন পার্থক্য চোখে পড়ে কি?







ছবি ১৫: সময় ও ব্যবহারের সাথে ভূ-গর্ভস্হ পানির স্তরের পরিবর্তন



ধরি ছবির উপরোক্ত বাড়িটি তৈরি করেছিলেন আপনার দাদা আশুলিয়ার তুরাগ নদীর পাশে ১৯৭০ সালে। বাড়িতে একটি অ-গীভর নলকূপ স্থাপন করেছিলেন গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত পানির জন্য। ১৯৮০ সালে ঐ স্থানের পানির স্তর পরীক্ষা করে প্রথম ছবিটি পাওয়া গেল।



১৯৮০ সালে যখন বাংলাদেশে প্রথম অগভীর নলকূপ চালু করা হলো কৃষি কাজের জন্য তখন সরকার আপনার দাদা বাড়ির পাশে একটি অ-গভীর নলকূপ স্থাপন করলেন শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধান চাষাবাদের জন্য। আপনার বাবা তো খুবই খুশি কারণ তার কৃষি জমি গুলো হতে বছরে ১ বারের পরিবর্তে ২ বার ধান উৎপাদন করা যাবে। ১৯৯০ সালে ঐ স্থানের পানির স্তর পরীক্ষা করে মধ্যের ছবিটি পাওয়া গেল।



২০০৫ সালে আপনার বাবার কিছু কৃষি জমি কিনে নিয়ে ঢাকার এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী একটি ডায়িং কারখানা স্থাপন করলেন সেই জমিতে। যেহেতু ডাইয়িং কারখানায় প্রচুর পানি দরকার হয় তাই কারখানা প্রাঙ্গণে একটি শক্তিশালী গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলো। ২০০৫ সালে ঐ স্থানের পানির স্তর পরীক্ষা করে সব শেষের ছবিটি পাওয়া গেল।



২০১০ সালের গ্রীষ্মের ছুটিতে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে দাদার বাড়িতে গেলেন দাদা বাড়ির ফরমালিন মুক্ত আম খাবার জন্য। পরের দিন দুপুর বেলা দাদি আপনাকে বলল "১ জগ ঠাণ্ডা পানি নিয়ে আয়তো বাহিরের টিউবওয়েল থেকে"। আপনি বাহিরে গিয়ে অনেক চাপা-চাপি করলেন পেডরোলো পাম্পের সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের মতো কিন্তু জগ আর ভর্তি হয় না অথচ ৫ বছর পূর্বে ৩/৫ টা চাপ দিলেই জগ ভর্তি হতো। ১০ মিনিট ধরে চাপা-চাপি করার পরে কোন রকমে ১ জগ পানি সংগ্রহ করতে পারলেন। গ্রীষ্মের ছুটি শেষে আপনি আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ফিরলেন। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন আগামী গ্রীষ্মের ছুটিতে আর বাড়িতে যাবেন না।



বরিশালের কোন এক ব্লগার শশুর বাড়ি পৌছিয়া শশুর-শাশুড়িকে পা-ছুইয়া সালাম করিয়া ঘরে পৌছিবার কিছু ক্ষণ পড়ে শ্যালিকা হাজির হইল ১ জগ পানি ও তাওয়ালা নিয়া। ব্লগার মনে আনন্দে ঘড়ের বারান্দায় বসিয়া যেই না কিছু পানি মুখে প্রবেশ করাইলেন ওমনি লবণাক্ত পানির বিস্বাদে "শশুর বাড়ি মধুর হাড়ির" কথা ভুলিয়া গিয়া ভাবিতে লাগিলেন বরিশালের শশুর বাড়ি কেমনে হইলো লবণে হাড়ি???







ছবি ১৬: উপকূলীয় এলাকায় কোন কোন নলকূপ থেকে লবনাক্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে।



উপরের ১৬ ও নিচের ১৭ নম্বর ছবিতে দেখুন কিভাবে উপকূলীয় এলাকার মাটির নিচের পানি দিনে দিনে লবণাক্ত হয়ে পানের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে।







ছবি : ১৭ উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের লবনাক্ত পানির স্হল ভাগের ভূ-গর্ভে প্রবেশ।



***************************************************

উপকূলীয় এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানিকে লবনাক্ততার হাত থেকে রক্ষার একটি ব্যয় বহুল পদ্ধতি।

***************************************************



ধরুন আপনার বাড়িটি ইটের তৈরি। এবছর হঠাৎ করে বন্যা শুরু হলো। বন্যার পানি থেকে নিজের বাড়ীটি রক্ষা করতে আপনি কি করবেন? আপনি প্রথমত যা করবেন তা হলো বাড়ির চতুর দিকে বালির বস্তা দিয়ে বা টিন দিয়ে বন্যার পানিকে বাধা দেবেন। লবণাক্ত পানি থেকে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে রক্ষা করার জন্য ঠিক একই ভাবে মাটির নিচে প্রতিরক্ষা বাধ দিতে হবে। আর এই প্রতিরক্ষা বাধের উপরকন হবে টিন বা বালির বস্তার পরিবর্তে মিঠা পানি।



উপকূলীয় এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানিকে লবনাক্ততার হাত থেকে রক্ষা করতে ১৮ নম্বর ছবিতে যে পদ্ধতি দেওয়া আছে তা অবলম্বন করা যেতে পারে কিন্তু তা ব্যয় সাপেক্ষ।







ছবি ১৮: উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানি প্রতিরক্ষা বাধ দিয়ে লবনাক্ত পানির স্হল ভাগের ভূ-গর্ভে প্রবেশ প্রতিরোধ।



========================================

ভারতের পানি ডাকাতির পরে আমাদের নদীগুলোতে যে পানি অবশিষ্ট রয়েছে সেই পানির ব্যবহার আমরা কিভাবে করতেছি তার একটি ছবি পেলাম ফেসবুকে। সিলেটের সুরমা নদীর বর্তমান অবস্থা।







ছবি ১৯: সিলেটের সুরমা নদীর পানি দূষন



বুড়িগঙ্গা নদীর ছবি দেবার সাহস পেলাম না। ঢাকা ওয়াসার সাপ্লাই পানির শতকর ৮০ ভাগ গভীর নলকূপ হতে সংগৃহীত ও অপরিশোধিত। উপরের (৩ নম্বর ছবি) নম্বর ছবিতে ইতিমধ্যেই দেখেছেন কিভাবে প্রতিবছর ঢাকা শহরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে এটা যত বড় দুঃসংবাদ তার চেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হলো বুড়িগঙ্গা নদীর তলায় জমা-কৃত হাজারী বাগের ট্যানারি ফ্যাক্টরির, সাভার ও আশুলিয়ার ডাইয়িং কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য ব্যপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গভীর নলকূপে পানির পাইপের নীচে চলে যেতে পারে। হয়তবা ইতিমধ্যে কিছু কিছু নলকূপে পৌঁছে গেছে।



অর্থাৎ বুড়িগঙ্গা নদীর তলায় জমা-কৃত হেভি মেটাল ঢাকা ওয়াসার পানির মাধ্যমে ঢাকা শহরের বস্তি হতে গুলশান-বনানীর বাসার ডাইনিং টেবিলে পৌঁছে যেতে পারে যে কোন দিন বা পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যেই।







ছবি ২০: কারখানার দূষিত পদার্থ ভূ-গর্ভের ও নদীর পানি দূষিত করছে।



==========================================



নীচে আরও কয়েকটি ছবি দেওয়া হলো যেগুলো হতে দেখতে পাবেন অবস্থাপন ফলে কিভাবে আপনার অগোচরে আপনার নলকূপে পৌঁছে যাচ্ছে আপনার চার পাশের দূষিত পদার্থ।







ছবি ২১: আপনার বাড়ির পাশে পেট্রল পাম্পটি যে ভাবে আপনার নলকূপের পানি দূষিত করতে পারে।







ছবি ২২: আপনার পায়খানার চৌবাচ্চাটি ছিদ্র হলে যে কোন মুহূর্তে আপনার খাবার পানির নলকূপটি দূষিত হতে পারে। বর্ষা কালে বাংলাদেশের গ্রাম অন্বচলে কলেরা নামক পানিবাহীত রোগটি ছাড়াবার জন্য এই কারনটি প্রধানত দায়ী। সুতরাং আপনার বাসার চার পাশে কটু গন্ধ পেলে আপনার উচিত হবে টয়লেটের ট্যাংকি লিক হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা।







ছবি ২৩: আপনার বাসার উঠানে ফেলে রাখা অব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের ড্রামটি আপনার নলকূপের পানি দূষিত করতে পারে। সুতরং যে খানে সেখানে রাসায়নিক পদার্থ ফেলে রাখবেন না।







ছবি ২৪: ঢাকার গাবতলী-সাভার রাস্তার পাশে আমিন বাজারের যে স্হানটিতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ময়লা ফেলে তা কিভাবে সেই এলাকার বাসা-বাড়ির নলকূপের ও নদির পানিকে দূষিত করছে তা উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে।







ছবি ২৫: একটি আদর্শ ময়লা ফেলার স্হান যেমন হওয়া উচিত।



ময়লা পচে যে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় তা সংগ্রহ করে [উপরের ২৫ নম্বর ছবিতে দেখুন] বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। ময়লা গুলো জৈব সারে রুপান্তর করে কৃষি জমিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি যে শরহটিতে থাকি সাখানকার জনসংখ্যা মাত্র ৪ লাখ। এই শহরের বাড়ি গুলোতে যে পচনশীল পদার্থ (শাক-সবজির খোসা থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের কাটা ও হাড় ইত্যাদি) থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হয় (উৎপাদন ক্ষমতা ২০ মেগাওয়াট) প্রথমে এর পরে ময়লা গুলো জৈব সারে রুপান্তর করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এই বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখবার। আপনাদেরকে সেই বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রটির ছবি দেখাবার লোভ সামলাতে পারলাম না।





ছবি ২৬





ছবি ২৭: (আমার পিএচডি সুপারভাইজার)







ছবি ২৮ (বিদ্যুৎ উৎপাদন টারবাই রুম, ৪ টা টার্বাইন রয়েছে এই কেন্দ্রে প্র‌ত্যেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ৫ মেগাওয়াট)







ছবি ২৯ ময়লার ফেলার স্হান থেকে গ্যাস সংগ্রহ করে কেন্দ্রটিতে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় উনি আমাদের তা বুঝাচ্ছেন।







ছবি ৩০: বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাহিরে আমি।



অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ১০ মেগাওয়াটে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একজন মাত্র মানুষ পরিচালনা করেন (২৯ নম্বর ছবির মানুষটি)। একান্ত দরকার না হলে উনি অফিসে আসেন না। প্লান্টে কোন সমস্যা হলে বাসা থেকেই তা সমাধন করেন। সম্পূর্ন প্লান্টটি কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।



এবারে ভেবে দেখুন ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঢাকা শহরের গৃহস্হালী বর্জ্য পদার্থ থেকে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব?



============================================

পানি সম্পদ রক্ষার জন্য আমাদের যা করনীয়

============================================



বাংলাদেশের নদী গুলোতে পানি শূন্যতার কারণ, দেশের উত্তরাঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরের নীচে নেমে যাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানির স্থল ভাগের ভূ-গর্ভে প্রবেশ, ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের পানির দূষিত হবার সম্ভাবনা বিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হলো। এই সমস্যা গুলোর অনেক গুলোই ইতিমধ্যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। কোন কোন সমস্যার মাঠ পর্যায়ের বিজ্ঞানী পরীক্ষা এখনও অবশিষ্ট। এই সমস্যা গুলো পৃথিবীর সব দেশে এক রকম না। অন্য দেশের সমাধান আমাদের দেশে কাজ নাও করতে পারে।



বুড়িগঙ্গা নদীর তলায় কি পরিমাণ হেভি মেটাল জামা হয়েছে তা আমেরিকার মিসিসিপি নদীর তলা পরীক্ষা করে বলা সম্ভব না। বুড়িগঙ্গা নদীর তলা হতে দূষিত পদার্থ কি পরিমাণে ও কত দিনে ঢাকা ওয়াসার নলকূপে পৌছাতে পারে তার জন্য দরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণা। গবেষণার জন্য দকরার অর্থ ও যোগ্য মানব সম্পদ। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অনেক অধ্যাপকই কোন না কোন সময় কিছু অর্থ পেয়ে থাকেন সরকারের কাছ থেকে। সে গুলো দিয়ে কি গবেষণা করছেন তার জন্য জবাব দিহীতা দরকার।



এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত অন্তত ১০ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে Water Resource Management/Engineering বিষয় চালু করে ঐ এলাকার নদী ও পানি সম্পদ নিয়ে গবেষণা করে দরকার ব্যাপক ভাবে।



সর্বোপরি দরকার পানি সম্পদের দূষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে গণমাধ্যম গুলোর ব্যাপক প্রচারণা। ঢাকা শহরের পানি এখনই পানের অযোগ্য আগামী ১০ বা ২০ বছর পরে কোথা হতে সংগ্রহ করবেন খাবার পানি ভেবে দেখেছেন কি?



পরিবেশ বিজ্ঞানে ছাত্র হিসাবে ঢাকা শহরের কথা চিন্তা করলে ভেবে পাইনা আজ থেকে ২০ বছর পরে বর্তমানের ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের সাথে নতুন ১ কোটি মোট ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানো হবে কোথা থেকে?



ভূ-গর্ভস্থ পানি তো প্রায় শেষের দিকে। ঢাকার চার পাশের নদী গুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পরিকল্পনা করতে হবে যমুনা ও মেঘনা নদী থেকে পানি সংগ্রহের। না হলে ২০ বছর পরে হয়ত ঢাকাকে পরিত্যক্ত শহর ঘোষণা করতে হবে।



============================================

পানি সম্পদ রক্ষার জন্য আমরা যা করছি

============================================







ছবি : ২৪



যে দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ "পানি সম্পদ", যে দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটির গবেষণা করা উচিত তার দেশের পানি সম্পদ নিয়ে সেই দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পিছন দিক থেকে প্রথম বিষয় হলো Water Resource Engineering। আমার প্রচণ্ড মেধাবী এক বন্ধু তো পুরো ১ বছর পড়ার পরে সেই বিষয় ছেড়ে চলে গিয়েছিল তার পছন্দের বিষয় পদার্থ বিজ্ঞান পড়ার জন্য।







ছবি ২৫: ২০২৫ সালে ঢাকার গুলশান বনানীর বাসিন্দারা এই রকম ভাবে লাইনে দাঁড়ালে অবাক হবো না।



হায়, আমার সেই বন্ধুটিকে কেউ যদি তখন বুঝাতো দেশের জন্য ১ জন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা পদার্থ বিজ্ঞানীর চেয়ে ১ জন Water Resource Management/Engineering এর প্রয়োজনীয়তা লক্ষ-কোটি গুন বেশি।



বন্ধুটি তার লক্ষ চ্যুত হয়নি। দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে পদার্থ বিজ্ঞনে সেরা ফলাফল করেই পাশ করে বের হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে তার বিভাগের পূর্বসূরি সত্যেন বোসের মতই বড় পদার্থ বৈজ্ঞানিক হবে।



তবে আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য একজন প্রচণ্ড মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে একজন প্রচণ্ড মেধাবী Resource Management/Engineering এর প্রয়োজনীয়তা লক্ষ-কোটি গুন বেশি।



টাইম মেশিনে চড়ে যদি ২০০০ সালে চলে যেতে পারতাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময়টিতে তবে যে বিষটি আমার প্রথম পছন্দ থাকতো তা হলো Water Resource Management/Engineering। পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আজ থেকে ২০ বছর পরের বাংলাদেশের পানি সমস্যর কথা কল্পনা করলে মাথা হ্যাং হয়ে আসে। ব্রাড পিটের World War Z ছবির কথা মনে পড়ে।







ছবি ২৬: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিঠা পানির রিজার্ভের পরিমাণ







ছবি ২৭: ২০২৫ সালে বিশ্বের কোন দেশে কেমন পানি সমস্যা দেখা যেতে পারে



নিজেকে প্রোবধ দেই, পলাশ এখন বাংলা পরীক্ষার সময়, ইংরেজি নিয়ে চিন্তা করতে কে বলেছে তোকে? তুমি বসবাস করছো এমন একটি দেশে যেখানে বাস করে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৫% মানুষ কিন্তু সেই দেশটি পৃথিবীর মোট মিঠা পানির ২০% এর মালিক। দয়া করে তুই নাখে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার জন্য শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া রয়েছে।





তথ্য সূত্র:





১) Mohammad Shamsudduha



২) দৈনিক প্রথম আলোর খবর: ‘দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে’



৩) The State and Fate of Himalayan Glaciers, Science 20 April 2012: Vol. 336 no. 6079 pp. 310-314



৪) Impact of transient groundwater storage on the discharge of Himalayan rivers, Nature Geoscience 5, 127–132 (2012)



৫) Himalayan Glaciers: Climate Change, Water Resources, and Water Security (2012), National Academy of Science



৬) Monitoring groundwater storage changes in the highly

2 seasonal humid tropics: validation of GRACE measurements

3 in the Bengal Basin, M. Shamsudduha, "Water Resources Research 48 (2012)



৭) গত বছর সেচ দেওয়া হয়েছিল ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এবার ২৫ হাজার হেক্টরে থেমে গেছে সেচের আওতাধীন জমির পরিমাণ





মন্তব্য ২১৭ টি রেটিং +৪২/-০

মন্তব্য (২১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কি আর করার ভবিষ্যতে পানি আমদানী করে বাঁচতে হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কান্ডারি ভাই, "দাত থাকতে দাতের মর্ম বুঝেনা বাঙ্গালি' এটাই চিরন্তন সত্য।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জরুরী একটা পোষ্ট।+++।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাবতেছি পানি আমদানী-রপ্তানির একটা লাইসেন্স এখনই করে রাখব। ২০৩৫ সালে যেন কানাডা থেকে ঢাকায় খাবার পানি রপ্তানী করতে পরি।

আপনারা কানাডায় পাঠাবেন কাপড় আর আমি বাংলাদেশে পাঠাবো পানি।

আপনাকে ধন্যবাদ শরৎ দা।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

এসব চলবে না..... বলেছেন: ভয় করছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে....আমরা না হয় এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম কি করবে? পানির জন্য যুদ্ধ করে মরবে?

তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় +

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ফারাক্কা বাধের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় অন্বচল, তিস্তায় বাধ দেবার জন্য রংপুর অন্বচল ইতি মধ্যেই মরুকরনের সম্মূখীন। টিপাই মুখ বাধ দিলে সিলেট অন্বচলও শেষ। এর পরের পরিনতী যেটা হবে তা হলো ভয়ন্কর। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আরেকটু সম্মৃদ্ধ করা যায় কি?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: শরৎ দা, আমি আজ রাতের মধ্যেই পোষ্ট টি পর্যাপ্ত তথ্য সমৃদ্ধ করতেছি। আশাকরি সকালের মধ্যেই ভাল একটি পোষ্ট উপহার দিতে পারব।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন একটা পোষ্ট! আমাদের দেশের জনগন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা আছেন তারা এই ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন। তেল, গ্যাস, সমুদ্র রক্ষা কমিটিরও নদী ও পানির ব্যাপারেও কোন চিন্তা নাই। ভারত তো আমাদের নদী গুলো পানি ইচ্ছা মত দিচ্ছে, শুকিয়ে মারছে আমাদের নদীগুলোকে। এই নিয়ে কোন দৃঢ় পদক্ষেপ বা প্রতিবাদ আমরা এখনও দেখতে পাই নি।

ঢাকার আশে পাশে প্রায় প্রতিটি পানির নদীর বিষাক্ত করা হচ্ছে। কলকারখানাগুলো কোন প্রকার প্ল্যান্ট ট্রিটমেন্ট ছাড়াই সরাসরি নদীতে দূষিত পানি ফেলছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) গবেষণায় জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রাজধানী ঢাকার ভূ-স্তরের উচ্চতা ৫০ ফুট। ঢাকার পানির স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ২১০ ফুট নিচে চলে গেছে। ফলে এই শহরের পানির স্তর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০ ফুট নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে দেশে ১৭ লাখ শ্যালো টিউবঅয়েল মাটির প্রায় ২২ থেকে ২৪ ফুট নিচ থেকে পানি উঠায়। কিন্তু পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এসব শ্যালো টিউবঅয়েলের মধ্যে গত বছরই প্রায় চার লাখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ এখন মাটির ২৪ ফুট নিচে নেমেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে নিরাপদ পানির সন্ধানে এতো নিচে যাওয়ার ফলে অনেক জায়গায়ই উঠে আসছে আয়রন, আর্সেনিক অথবা লবনাক্ত পানি।

সারাদেশেই অপরিকল্পিতভাবে নলকূপ খনন কাজ চলছে। যে যেমন ইচ্ছা নিজ উদ্যোগেই বাড়িতে, চাষের জমিতে, কলকারখানায় শ্যালো ও ডিপ টিউবয়েল খনন করেই চলেছে। ১৯৯০ সালেও নীতিমালা ছিল একটি শ্যালো টিউবঅয়েল থেকে অপর শ্যালো টিউবঅয়েলের দূরত্ব হবে ৮৫০ ফুট। একটি শ্যালো টিউবঅয়েল থেকে ডিপ টিউবঅয়েলের দূরত্ব হবে এক হাজার ৭০০ ফুট। এক ডিপ থেকে অন্য ডিপ টিউবঅয়েলের দূরত্ব হবে দুই হাজার ৫০০ ফুট। কিন্তু এই নীতিমালা মানা হয় না। (তথ্যসূত্র )

ভয়ংকর ব্যাপার হলো, পানি চুষতে চুষতে ঢাকার মাটি এখন ফাপা বড় উই ঢিবির মত হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ না করুক, একটা বড় ভুমিকম্প হলে, কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল রানা প্লাজার মত ট্র্যাজেডির জন্ম দিবে।


আপনি এই পোষ্টে বা পরের পোষ্টে আরো বিস্তারিত লেখুন, এই ক্ষেত্রে মানুষকে কিভাবে সচেতন করা যেতে পারে এই নিয়ে একটি কর্মপন্থা বা কিছু উপায় চিহিন্ত করুন। এই নিয়ে কাজ করা ইচ্ছা পোষন করি। পাশাপাশি তেমন কিছু যদি যুক্ত হয় তাহলে সামু কর্তৃপক্ষের সাথে অনুরোধ থাকবে পোষ্টটি যেন স্টিকি করা যায়।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার তথ্য গুলো আমার পোষ্ট টিকে আরও সমৃদ্ধ করলো।

কাভা ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক গুলো তথ্য যোগ করবার জন্য।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

বৃতি বলেছেন: ভীষণ জরুরী একটা পোস্ট। এই সমস্যাটা অনেক বেশি ফোকাসড হওয়া দরকার।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। সমস্যাটা বিস্তারিত বর্ননা করা হলো।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

রন৬৬৬ বলেছেন: Water is a source of life. If there is no water there will be no life. The day will come we all will pay heavy price for our past sins. Corruption is a way of life in Dhaka as well as in the entire country. Corrupted country will face ultimate doom in future. Our next generation will pay the heavy price. This was written when Bangladeshi started mass corruption since 1972.

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি লাইন সঠিক। আপনাকে ধন্যবাদ। জলদি করে বাংলা লিখা শিখে ফেলুন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

টাইলুং বলেছেন: দয়া করে তুই নাখে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার জন্য শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া রয়েছে। :D :#) :) B-) :-B ;) B-)) :-P :!> :#> :> =p~ =p~ =p~ |-) |-) |-) |-) |-) |-) |-) |-) |-) |-) |-)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কি আর করুম ভাইডি এইডা ছাড়া আর কোন পথা খোলা নাইকা ;) ;)

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:



কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: কি আর করার ভবিষ্যতে পানি আমদানী করে বাঁচতে হবে।




এরাবিয়ানরা তেল বিক্রি করে পানি কিনে আমরা কি বিক্রি করে পানি কিনবো? /:)





খুবি প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।
পোষ্টে++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "এরাবিয়ানরা তেল বিক্রি করে পানি কিনে আমরা কি বিক্রি করে পানি কিনবো?"


রাজনিতীবিদরা ভোটের সময় যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেয় তা সংগ্রহ করে বিদেশীদের কাছে বিক্রি করব =p~ =p~

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

শংখনীল কারাগার বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: কি আর করার ভবিষ্যতে পানি আমদানী করে বাঁচতে হবে।

প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট দিয়েছেন।+++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভবিষ্যতে বঙ্গপোসাগরের লবনাক্ত পানি রান্না-বান্না করব ও পান করব এতে করে একই সাথে তরকারিতে লবন দিতে হবে না আর ডাইরিয়া হলে ওরসেল্যানই খাইতে হবে না ;) ;)

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:





নদী মার্তৃক দেশ বাংলাদেশ! যখন মরুভূমি হয়ে যাবে তখন কি কমু ! তা চিন্তা করতে শুরু করলাম :| :| :|


নদী নিয়ে আমাদের ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের দুটো চমৎকার পোস্ট আছে। আমাদের দেশের নদীগুলো কিভাবে নব্যতা হারাচ্ছে আর নদী শুকিয়ে গেলে কি হয় তা ঐ পোষ্টে দারুণ কিছু তথ্য আছে।


“এখানে এক নদী ছিলো”

কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর


চ্যানেল আই এর একটি রিপোর্ট





একে তো ভারতই আগ্রাসনে নদীগুলোর নব্যতা হারাচ্ছেই তার উপর নদীতে ড্রেসিং ব্যবস্থা গ্রহন করার কারণে একে নদীগুলো তার নব্যতা হারাচ্ছে এবং পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।

ম. ইনামুল হক এর একটি রিপোর্ট পড়েছিলাম কয়েকদিন আগে আমাদের বুধবার অনলাইন পত্রিকায়। আমি সেটা পিডিএফ করে রেখেছিলাম।

পিডিএফ লিঙ্কঃ Click This Link jacche nodi.pdf

আরো কিছু লিঙ্কঃ

ভারতের পানি আগ্রাসনে নওগাঁর ৭টি নদী শুকিয়ে মাঠ

পানিশূন্য পাবনার ২০ নদী!

পদ্মা নদী দখল করছে ভারত, মালিকানা হারাচ্ছে বাংলাদেশ!

বগুড়ার করতোয়া নদী দখল আর দূষণের কবলে

নদী হারাচ্ছে নাব্যতা, হচ্ছে ফসলের আবাদ

নদীর অংশে অসংখ্য স্থাপনা, একই অবস্থা বংশী নদীরও সাভারে বুড়িগঙ্গা নদী সাবাড়

দখল আর দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে বংশী নদী
অস্তিত হারাচ্ছে চলনবিল ও নদ-নদী


দখলের মহোৎসব চলছে ঝিনাইগাতীর নদী নালা খালা বিল


তুরাগ নদী উদ্ধারে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা


বিপন্ন বুড়িগঙ্গা: বিপন্ন পরিবেশ

মাত্রাতিরিক্ত নদী দূষণের শিকার ঢাকার অন্তত চারটি নদী

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমিনুর ভাই আপনাকে ধন্যবাদ নদী ও পানি বিষয়ক সকল লিন্ক যুক্ত করবার জন্য। লিন্ক গুলো খুবই গুরুত্ব পূর্ন ডকুমেন্ট হিসাবে লিপিব্ধ থাকল এই পোষ্টে। পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে লিন্ক গুলো খুবই উপকারে আসবে আমার।


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০০

ফা হিম বলেছেন: সমস্যা হল এইসব সাবজেক্টের ভবিষ্যত ভালো না। যখন দরকার পরে, বিদেশ থেকে এক্সপার্ট নিয়ে আসে। দেশে থেকে কাজ নেই, তাদের বিদেশে গিয়ে সেই দেশের "সেবা" করতে হবে। মেধা পাচার কি এমনি এমনি হয়?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "সমস্যা হল এইসব সাবজেক্টের ভবিষ্যত ভালো না।"

আপনার কথাটি সত্য না। আমি কানাডা কথা বলতে পারি আমার বিভাগ থেকে পাশ করা প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী অন্যান্য যে কোন বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে অনেক পূর্বে চাকুরী পায়।

আমাদের দেশের সমস্য হলো আমরা এখনও পানি সম্পদের মূল্য বুঝতে পারি নাই। তাই নিজেদের সম্পদ এখনও রক্ষা করতে শিখি নাই।

নিজেকে প্রশ্ন করেন কেন ঢাকা শহরের ট্যাপের পানি পান করেন না ফুটানোর পূর্বে? পানি ফুটানোর জন্য কি পরিমান গ্যাস খরচ করা হয় ঢাকা শহরে একবার ভেবে দেখেছেন কি?

কি পরিমান বোতলের পানি বিক্রি হয় ঢাকা শহরে? কানাডায় ট্যাপের পানি বোতলের পানির চেয়ে বেশি বিষুদ্ধ।

১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

জানা বলেছেন:

আমরা যত বেশী লোভী হয়ে উঠবো, দখলবাজ দস্যূ হয়ে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার নদী, বিল সহ নানান জলাশয় দখল করে গড়ে ওঠা বৈচিত্র‌ময় সৌন্দর্যময় বসবাস(!!!)গড়ে তুমুল ব্যবসায় সমর্থন দেবো (সেসব কিনে বা বিনিয়োগ করে) বা নিরব থাকবো, আমার বিপদ তত দ্রুত কাছাকাছি হতে থাকবে।

খুব বেশীদিন আগের কথা নয়। কারণ আমার মেয়ে বয়স মাত্র ১০ বছর। আর যেহেতু ঢাকায় বাচ্চাদের খোলা জায়গায় একটু খেলার কোন সুযোগ নেই, আমরা আমাদের ময়েকে প্রায়ই খেলতে নিয়ে যেতাম বসুন্ধরা'র (এই এলাকাটি তখনও নির্লজ্জ সীমাহীন হয়ে ওঠেনি) পেছনে বিস্তির্ণ খোলা জায়গায়, যেখানে বিশাল নদী/জলাশয় ছিল। মাঝিরা নৌকা বাইতেন, জেলেরা জাল ফেলে প্রচুর মাছ ধরতেন। প্রকৃতি স্বাভাবিক ছিল। আমার মেয়ে এবং তার কাছাকাছি বয়সী একদল শিশু সাথে নিয়ে আমরা প্রায়ই সেখানে খেলতে যেতাম। এখন সেই বিস্তীর্ণ খোলা জায়গাটিতো খুঁজে পাওয়া দূরের কথা, সেই একূল-ওকূল দু'কূল একাকার হয়ে যাওয়া নদী, হাওড়, জলাশয়ও মানুষ(!!)এর পেটে। এত বড়বড় জলাশয় দিয়ে যদি অল্পকিছু মানুষ(?) তাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটায় তাহলে পুরো দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠির ন্যুনতম তৃষ্ঞা মেটাবেন কিভাবে?। খুব বেশী দূরেও যাবার দরকার নেই। এই আশে-আশে যেমন আশুলিয়া, বিরলিয়া, আমিন বাজার, সাভার সহ ঢাকার চারপাশটা একটু নজর দিলেই দেখবেন, নদী-নালা,খাল-বিল, জলাশয় কিভাবে গো-গ্রাশে খেয়ে ফেলেছে এবং খাওয়া অব্যহত রেখেছে অল্প কিছু মানুষরূপী দানব! এইতো খিলক্ষেত এর খানিকটা ভেতরের দিকে তলনা নামক একটি এলাকা থেকে আমরা মাঝে মাঝে নৌকা ভ্রমণের জন্য বিস্তর্ণ নদীতে যেতাম। দেশী-বিদেশী বন্ধুও পরিবার নিয়ে বাংলার নদীর সৌন্দর্য্যে গর্বিত হতাম। এখন সেই নদীটির অনেকটা খাওয়া শেষ এবং বাকীটুকর বুক জুড়ে একের পর এক অগনিত 'অমুক ডিভ্যালপমেন্ট' 'তমুক আবাসিক প্রকল্প' 'বরাদ্দ চলছে' ইত্যাদির সাইনবোর্ড/বিলবোর্ডের উপস্থিতি আপনাকে আতঙ্কিত করবে। এমন হাজারো উদাহরণ আছে। কি করবেন? Water Resource Management/Engineering -এ বিশেষজ্ঞ হয়ে এসে কোথায় প্রয়োগ করবেন আপনার শিক্ষা, মেধা এবং দেশপ্রেম? যারা নানাবিধ দস্যুতায় ক্ষুধার্ত তারা সমগ্র দেশের জনগোষ্ঠির তুলনায় একটি নিতান্ত ক্ষুদ্র গোষ্ঠি বটে তবে তাদের দৈত্যের মত ক্ষুধা এবং প্ল্যাসটিক ম্যান (শৈশবে দেখা প্রিয় একটি কার্টুন সরিয়াল) এর মত হস্তযুগল থাকতে এবং তাদের চর-সহচর-গুপ্তচর থাকতে কার সাধ্যি মেধার বিচ্ছুরণন কাজে লাগায়? আমাদের তো নদী গবেষক আছেন, পানি গবেষক আছেন, ভূমি গবেষক আছেন নেই শুধু নির্লজ্জ নদী-পানি-ভূমি রাক্ষস বিষয়ক গবেষক। ভেবে দেখুন।

দারুন একটি পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রিয় মোস্তফা কামাল পলাশ।
ভাল থাকবেন সবসময়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু আপনার নিজের চোখে দেখা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবর্তনের বিবরণ আমার লেখাটিকে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলল। আপনার বর্ণনা শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হলাম। পরিবেশ বিজ্ঞানে ছাত্র হিসাবে ঢাকা শহরের কথা চিন্তা করলে ভেবে পাইনা আজ থেকে ২০ বছর পরে বর্তমানের দের কোটি মানুষের সাথে আরও ১ কটি মোট আড়াই কোটি মানুষের দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানো হবে কোথা থেকে?

ভূ-গর্ভস্থ পানি তো প্রায় শেষের দিকে। ঢাকার চার পাশের নদী গুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পরিকল্পনা করতে হবে যমুনা ও মেঘনা নদী থেকে পানি সংগ্রহের। নাহলে ২০ বছর পরে ঢাকাকে পরিত্যক্ত শহর ঘোষণা করতে হবে।

পানি সম্পদের দূষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে গণমাধ্যম গুলোর ব্যাপক প্রচারণা দরকার। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আমাদের প্রধান-প্রধান গন মাধ্যম গুলোর মালিক হলো ভূমি দস্যু। ভূমি দখল, নদী ভরাট, নদী দূষণের প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন সেই সকল গণমাধ্যম।

আপু, প্রচলিত মিডিয়ার বাহিরে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য। আমি আশাবাদী মানুষ তাই নিজেই শুরু করে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষদের মাঝে পরিবেশ বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ফেসবুকে একটি পেজ চালু করেছি যার নাম হলো

Bangladesh Environmental Awareness Network

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হাহা! বেশ বলেছেন!
আমি পারলে কম্পিউটার নিতাম ;)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সেই সময় আমিও তাই নিতাম। সমস্যটা হলো আমাদের জানার দৈন্যতা।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কাল্পনিক ভাই আপনাকে ধণ্যবাদ কর্তৃপক্ষকে পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ জানানোর জন্য।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টটি স্টিকি করায় সামু কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ পলাশ ভাই পোস্টটি সমৃদ্ধ করে আমাদেরকে সচেতন করে তোলার জন্য। পোস্ট অবশ্যই প্রিয়তে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কান্ডারী ভাই আপনাকেও অনেক ধণ্যবাদ কর্তৃপক্ষকে পোষ্টটি স্টিকি করার অনুরোধ জানানোর জন্য।

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিবে কোথা। বাংলাদেশের যা নিয়েই আলোচনা করা হোক না কেন তাতে শঙ্কিত বোধ করতে হবে। ভয়ে আড়স্ট হয়ে যেতে হবে। এত আতঙ্ক, ভয় নিয়ে আমরা বাঁচব কিভাবে? কিন্তু এতে কারো কিছু এসে যায় না।

এমন চললে বাংলাদেশের ধ্বংস অনিবার্য।

অসাধারণ পোস্ট। জন গুরুত্বপূর্ণ সম্পন্ন এমন একটি পোস্ট স্টিকি করায় সামু কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "এত আতঙ্ক, ভয় নিয়ে আমরা বাঁচব কিভাবে? "

নিজেদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের পানি নিরাপত্তা আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাদে আছে সময়ের এক ফোড় অসময়ের ১০ ফোড়ের সমান। সুতরাং শুভস্য শিঘ্রম। যত তাড়াতারি নিজেদের বিপদ বুঝতে পারব তই মঙ্গল আমাদের জন্য।


আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির প্রসংশার জন্য

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

সবখানে সবাই আছে বলেছেন: ভারত যে কাজটা করছে সেটা যুদ্ধ ঘোষনার শামিল। এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কাজটা ভারত শুধু আমাদের সাথেই করে, পাকিস্তানের সাথে করে না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: পরমানু বিজ্ঞানি হয়ে পরমানু বোমা বানবো এই চিন্তা করে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু ২০০৭ সালে সাইক্লোন সিডর হবার পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহিত হলাম অতঃপর জল বায়ুর পরিবর্তন নিয়ে পিএইচডি গবেষনা শুরু করলাম


তবে মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যবহারের দরকার নাই একটা পিস্তল সাথে থাকলে যেমন যত বড় মাস্তানই হউক না কেন আপনার কাছে আসতে ভয় পাবে ঠিক একই ভাবে ভারত ও পাকিস্তা একি অপকে ভয় পায়। কেউই অন্যকে ঘাটাতে চায় না।

যদি বিক্রয় ডট কমে পরমানু বোমা কিনতে পাওয়া যেত। তবে বাংলাদেশ সরকারকে কিছু কিনে দিতাম =p~ =p~

২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ক্ষমতা আমাদেরকে এতই মোহময় করে রেখেছে যে, পানি নিয়ে ভাববার সুযোগ কোথায়? দাদারা তো এমনিতেই সব নদীর উজানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তার পরও তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নদীর মাঝ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধকরে রাস্তা তৈরি করে দিয়ে সুবিধা দিতে হবে!! তবুও যদি ক্ষমতাটা থাকে।


সুতরাং দয়া করে তুই নাখে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ কোথায়?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অপ্রিয় হলেও সত্য আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাত সকল দলের নেতা-নাত্রীদের ছেলে-ময়েরা কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেনে বসবাস করে। দেশে "মাম" ব্রান্ডের পানি খায়। সুতরাং সাধারন মানুষ কোন পানি খাচ্ছেন সেটা চিন্তার সময় কোথায় তাদের।

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আমরা কি কখনও ভেবেছি পোষাক শিল্প কেন আমাদের দেশে প্রসারিত হচ্ছে ? শুধুই কি শস্তা শ্রম বাজার ? নগদ পাওনার লোভে আমরা ভবিষ্যতের বিপদ ভুলে থাকছি। পোষাক শিল্পের ব্যবপক সংস্করন দরকার।
অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনে ভারতের কাছে নায্য হিস্য যেমন জরুরী তেমনি আমাদের অভ্যান্তরিন ব্যবস্থাপনার সংস্করনও অত্যান্ত জরুরী।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনে ভারতের কাছে নায্য হিস্য যেমন জরুরী তেমনি আমাদের অভ্যান্তরিন ব্যবস্থাপনার সংস্করনও অত্যান্ত জরুরী।"

আমার পোষ্টের মুল বক্তব্য এটাই। আমাদের যা যাবার তা তো গেছে এখন যা আছে সেটার নিরাপাত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

আজিজুলবিডি বলেছেন: Something dangerous is waiting for us................

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার সাথে একমত যদি না আমাদের যা আছে সেটার নিরাপাত্তা নিশ্চিত করতে পারি।

২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। +++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

ঘানার রাজপুত্র বলেছেন: দারুন একটি পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রিয় মোস্তফা কামাল পলাশ।সমস্যা হল এইসব সাবজেক্টের ভবিষ্যত ভালো না,আমি BUET থেকে ২০০৪ এ Water Resource Engineering পাশকরে এখন Environment engineering এ M.S করে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "সমস্যা হল এইসব সাবজেক্টের ভবিষ্যত ভালো না"।

এটা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতীতে সত্য হতে পারে তবে উন্নত দেশ গুলোতে অবস্হা ভিন্ন। আমি কানাডা কথা বলতে পারি আমার বিভাগ থেকে পাশ করা প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী অন্যান্য যে কোন বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে অনেক পূর্বে চাকুরী পায়।

আমাদের দেশের সমস্য হলো আমরা এখনও পানি সম্পদের মূল্য বুঝতে পারি নাই। তাই নিজেদের সম্পদ এখনও রক্ষা করতে শিখি নাই।

সরকারের অজ্ঞতা ও উদাসীনতা দায়ি আপনাদের যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে না পারার জন্য। ঢাকার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারে ১ লিটার পানি পরিশোধন করতে যে খরচ হয় তার ১০ ভাগের এক ভাগ খরচও করতে হয় না কানাডা বা আমেরিকায় পানি শোধনাগার গুলোকে। কারণ তারা উৎসের পানিকে দুষিত হতে দেন না। ফলে পানি পরিষ্কারের খরচ অনেক কম।

কিন্তু আমাদের দেশে ঘটতেচে উল্টা ঘটনা। আমরা প্রথমে নদীর পানিকে দুষিত করতেছি। এর পরে সেই পানি সরকার পরিশোধন করে পাইপে দিচ্ছে। আমরা পাইপ কেটে পানি চুরি করতে গিয়ে পানির সরবরাহ লাইনকে দূষিত করতেছি। এর পরে বাসার ট্যাপের পানি ফুটাচ্ছি গ্যাস ব্যবহার করে।

এবার চিন্তা করুন আমরা কি পরিমান খরচ করছি ১ গ্লাস পানি জন্য।

২৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

বাউন্ডুলে বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১

আজীব ০০৭ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল লিখা............

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ.......।

ভীষণ জরুরী একটা পোস্ট। এই সমস্যাটা অনেক বেশি ফোকাসড হওয়া দরকার।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাঁচতে হলে জানতে হবে সেই সাথে আমাদের যা আছে সেটার নিরাপাত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

২৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

মানব সন্তান বলেছেন: তথ্যবহুল জরুরী একটা পোস্ট

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: ব্যাপারটা হালকা করে দেখার কোন অবকাশ নেই। একটা জরুরী বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। নদী মাতৃক বাংলাদেশকে আজ ভাবতে হচ্ছে ২০৩৫ বাংলাদেশ পানির ঘাটতি কি করে পূরণ করবে? সত্যি অদ্ভুত।

দুর্ভাগ্য ক্রমে দুটি নদীর বাংলাদেশে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে ভারত সরকার অন্তর্জাতিক নদী আইন ভঙ্গ করে বাধ দিয়ে এক তরফা পানি প্রত্যাহার করে পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজের জন্য।

আর আমাদের অবৈধ সরকার প্রতিবাদ না করে , মামলা না করে নির্লজ্জের মতো প্রতিনিয়ত ভারতের দালালি করছে। শুধু ২ টি নদী না আমার জানা মতে তাদের স্বার্থে বাংলাদেশের ৫৪ টি অভিন্ন নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

"ভারত যেভাবে পানি সরিয়ে নিচ্ছে, তাতে ৩০ বছরের মধ্যে দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান।"

ভারত গঙ্গা নদীতে বাধ দিয়েছিল এই কথা বলে যে তারা শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহিত পানির ৪ ভাগের ১ ভাগ প্রত্যাহার করে নেবে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন তারা প্রায় সম্পূর্ণ পানি আটকিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছে।
এবারে নীচের ছবিতে দেখুন ভারত ঠিক কোন জায়গায় বাধ দিয়ে পদ্মা নদীতে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।

ভারতীয় দালালরা এখন কোথায় ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দল-মত নির্বিষে সকল কে এগিয়ে আসতে হবে পানি সম্পদ রক্ষা করতে। ভারতের সাথে ঝগড়া করে আমরা হয়ত এখন পেড়ে উঠতেছি না। কিন্তু বুড়ি গঙ্গা রক্ষা তো আমাদেরই করতে হবে তাই নয় কি?


বাংলাদেশের কোন সরকারই এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয় নি ঢাকর চার পাশের নদী গুলোর পানি দূষন রোধ করার জন্য।


ব্লগার বাবু>বাবুয়া>বাবুই এর সাথে একমত হয়ে আমিও বলতে চাই

"অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনে ভারতের কাছে নায্য হিস্য যেমন জরুরী তেমনি আমাদের অভ্যান্তরিন ব্যবস্থাপনার সংস্করনও অত্যান্ত জরুরী।"

২৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: জানলাম...জরুরী বিষয়। যাদের জানা দরকার তারা কতটুকু জানলো সেটাই বিষয়!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: জানলাম...জরুরী বিষয়। যাদের জানা দরকার তারা কতটুকু জানলো সেটাই বিষয়!"

এখন আপনার দায়িত্ব অন্যদেরকে জানানো।


৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

একজন আরমান বলেছেন:
দারুণ পোস্ট পলাশ ভাই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আরমান ভাই।

৩১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: কাজের পোস্ট।

কোথায় যেন পড়েছিলাম, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়, তবে তা হবে পানি নিয়ে।

লেখককে অনেক ধন্যবাদ, ভয়ানহতার স্বরুপটা চোখে আজ্ঞুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধণ্যবাদ পোষ্ট টি পড়ার জন্য। আপনি পড়েছেন তাই বলে দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় নাই, এখন আপনার দায়িত্ব অন্যদেরকে সচেতন করা এই বিষয়ে।

৩২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

সাদরিল বলেছেন: ফেভারিতে

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আপনার দায়িত্ব অন্যদেরকে সচেতন করা এই বিষয়ে।

৩৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

বেসিক দাদা বলেছেন: ভাই রে এটা তো রীতিমত পিএইচডি এর গবেষণা। তবে যা ই হোক, একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন পানির কষ্ট বড় কষ্ট। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হ্যা ভাই অনেক পড়া-লেখা করে লিখতে হয়েছে পোষ্ট টি। আর এটা আমার পিএইচডি গবেষনার বিষ-বস্তুও বটে ;) ;)

৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

টিকিটাম বলেছেন: Super good , please write more & more.
Great Salam & Respect to you!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য। কথা দিচ্ছি আমি আরো লিখবো এই বিষয় নিয়ে।

৩৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: অতি জনগুরুত্ব একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন,
বিষয়টি আসলে আরো আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।

এখন আর মূহুর্ত বিলম্ব না করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

তা না হলে অদুর ভবিষ্যতে আর সবুজ শ্যামল বাংলা খুজিয়া পাওয়া যাইবে না।

পোষ্ট স্টিকি করায় মডুদের ধন্যযোগ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "এখন আর মূহুর্ত বিলম্ব না করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে অদুর ভবিষ্যতে আর সবুজ শ্যামল বাংলা খুজিয়া পাওয়া যাইবে না।"

আপনার সাথে পুরো পুরি একমত ফয়সাল আলম ভাই।

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

গরল বলেছেন: এর পরে পৃথিবীতে যদি কোন বিশ্বযুদ্ধ হয় তা হবে পানি নিয়ে। অতএব আমাদের এখনি প্রস্তুতি নিতে হবে কিভাবে আমরা ভয়ংকর পানি সমস্যা মোকাবিলা করব। আমরা শুধু বলি আমাদের কোন রিসোর্স নাই, আসলে আমরা খুজে দেখি না আমাদের কি আছে। আমাদের খাওয়ার পানির চাহিদা আমরা বৃষ্টির পানি এবং বাতাসে যে জলীয় বাস্প আছে তা থেকে মেটাতে পারি। কারন শীতকালে শুষ্ক মৌসুমেও আমাদের বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকে ৬০% এর বেশী। এটা একধরনের আশীর্বাদ বলতে পারি আমরা।

এখন আসি কিভাবে আমরা বাতাস ঠান্ডা করব, এর জন্য বিদ্যুৎ দরকার। আমাদের আর একটা বড় আশীর্বাদ হচ্ছে সূর্যালোক যা ব্যাবহার করা আমরা এখন শিখলাম না। ক্রন্তীয় অঞ্চলে হওয়ায় আমাদের দেশে মূলত সূর্যের আলো মোটামুটি খাড়াখাড়ি ভাবে পড়ে যার রেটিং হিসাবে ভালো ধরা হয়। সূর্যের এই প্রখড় তাপ, যা আমাদের জীবন অতিষ্ট করে দেয় তা কিন্তু আমাদের সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে যদি আমরা ব্যাবহার করতে পারি। আজকাল শুধু সোলার প্যানেল ব্যাবহার না করে অবতল মিররের মাধ্যমে ঘনীভূত করেও তাপ ব্যাবহার করছে মানুষ বিভিন্ন শিল্পে। তাপ দিয়ে আমরা সমুদ্রের লোনা পানি থেকে বাষ্পিভুত করে স্বাদু পানি সংগ্রহ করতে পারি। এর জন্য আমাদের প্রযুক্তিবিদ দরকার।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।


আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। আর সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার গবেষনা। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে প্রথমে এই ব্যাপারে।

৩৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আফসোস হয় নিজের দেশের জন্য। যাই হোক আর সবার মতো আমিও চাই আগামী দিন গুলো আরো সুন্দর হোক। আপনার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

৩৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ গুরুত্বপুর্ণ একটা পোষ্ট। পানির অভাবটা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তরা প্রায়ই টের পেলেও সরকম সচেনতা আছে বলে মনে হয়না। সরকারের তো সচেতনতা শুন্য। তারা ব্যাস্ত চেতনা নিয়া। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা যে পানি নিয়েই হবে সেটা আমরা থোরাই কেয়ার করি। সকালে ব্রাশ করতে বা শেভ করতে একজন বড়লোক যে পরিমান পানি অপচয় করে তা দিয়ে গোটা একটা পরিবারের সারাদিনের পানির প্রয়োজনীয়তা মিটে! কেউ নজর দেয়না সেদিকে! সরকার তো খবরই রাখেরনা। কোন প্রচার নেই। পানি আমরা আর বাড়াতে পারবনা তবে খরচ তো কমাতে পারি। ভারত আমাদের পানিশুন্য করছে, আমরা নিজেরাও কি কম করছি? হাজার হাজার ডীপটিউবওয়েল বসাচ্ছি বুঝে বা না বুঝে! ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "পানির অভাবটা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তরা প্রায়ই টের পেলেও সরকম সচেনতা আছে বলে মনে হয়না। "

আপনার সাথে পুরো পুরি একমত।

অপ্রিয় হলেও সত্য আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাত সকল দলের নেতা-নাত্রীদের ছেলে-ময়েরা কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেনে বসবাস করে। দেশে "মাম" ব্রান্ডের পানি খায়। সুতরাং সাধারন মানুষ কোন পানি খাচ্ছেন সেটা চিন্তার সময় কোথায় তাদের।


৩৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

মাহমু২৩ বলেছেন: ব্যাংক জব, বি সি এস বা যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষার মডেল টেস্ট দিতে চাইলে ভিজিট করতে পারেন http://www.etestbd.com/ এখানে ৬০+ মডেল টেস্ট আছে ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এইটা কি বিজ্ঞাপনের জায়গা?

৪০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: ব্যাপক তথ্যপূর্ণ অসাধারণ পোস্ট ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।

৪১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

লুব্ধক০১ বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট । পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

৪২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

চিরতার রস বলেছেন: চিন্তা কি? প্রয়োজনে বন্ধু প্রতীম দেশ ভারত পানি আমদানী করা হবে। তারা তো জমা রাখতেছে। এই পানিতো নদী হয়ে সমুদ্রেই চলে যেতো। তারা আমাদের জন্য কত কষ্ট করে শত শত বাঁধ দিয়ে পানি সংগ্রহ করে চলছেন।

অসাধারণ একটা পোস্ট। আমার দেখা সেরা একটা লেখা। কিন্তু আমরা মনে হয় নিজেরাই নিজেদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এর থেকে পরিত্রানের উপায় তো দেখিনা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাবতেছি পানি আমদানী-রপ্তানির একটা লাইসেন্স এখনই করে রাখব। ২০৩৫ সালে যেন কানাডা থেকে ঢাকায় খাবার পানি রপ্তানী করতে পরি।

আপনারা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাঠাবেন কাপড় আর আমি বাংলাদেশে পাঠাবো খাবার পানি =p~ =p~ ;)

৪৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

লুব্ধক০১ বলেছেন: @পলাশ ভাই ... আপনার ইমেইল অথবা ফেবু আইডিটা কি শেয়ার করা যাবে ?? আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা বিশেষ প্রয়োজন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: [email protected]

৪৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: কি বলবো, বলার অনেক কিছুই আছে। যাহোক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে লিখেছেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

৪৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আমি একজন সিভিল বিভাগের ছাত্র। আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানলাম। প্রাইভেট ভার্সিটির হওয়ায় আসলেই আমার জানার পরিধি যেমন কম তেমনি ইচ্ছেটাও কমে গেছে।
যাই হোক এই সমস্যার সমাধান কী জানালে খুশি হব, বিশেষ করে কীভাবে চাষাবাদে পানি ভিন্ন মাধ্যম থেকে আনা যায় জানাবেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: নিজেই চেষ্টা করুন জানার। এখন ইন্টার নেটের যুগ। গুগলে লিখলেই সব কিছু পাওয়া যায়।

"এই সমস্যার সমাধান কী জানালে খুশি হব, বিশেষ করে কীভাবে চাষাবাদে পানি ভিন্ন মাধ্যম থেকে আনা যায় জানাবেন।"

এই সমস্যার সমাধনের জন্য দরকার গবেষনা। কারন একেক সমাধান সকল এলাকায় প্রিযোজ্য নাও হতে পারে। উপরে অনেক গুলো সমস্যার সমাধান উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বাগ্রে প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা ও নিজ নিজ অবস্হানে থেকে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখা।

ভাল থাকবেন। সেই সাথে প্রার্থনা করি ভবিষ্যতে একজন পরিবেশ বিজ্ঞানি হয়ে উঠুন। আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।

৪৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

ফা হিম বলেছেন: আমি আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটা বলেছিলাম আর কি। সমস্যা হল যেসব সাবজেক্ট আমাদের জন্য দরকারী, সেগুলোকে আমরা মূল্য দিচ্ছি না বলতে গেলে। অথচ ফার্মাসী, জেনেটিক্স, সিএসসি, আইটি, এমবিএ ডিগ্রি এগুলো নিয়ে বড় মাতামাতি হচ্ছে।

আমাদের কোনটা নীতিনির্ধারকদের উচিৎ হবে গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে না দিয়ে যেটা দেশের জন্য একান্তই জরূরী সেটার উপর জোর দেয়া।


স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাইরে আপনি যে বিষয় গুলোর কথা লিখলেন সেগুলো তো তাও দেশের দরকার আছে কিন্তু যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয় খুলে তখন মাননীয় স্পিকার হয়ে যেতে হয়।


আপনাকে ধন্যবাদ অভিন্দনের জন্য।

৪৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৯

অফ দ্যা পিপল, বাই দা পিপল, ফর দা পিপল বলেছেন: দারুণ পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

৪৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: খুবই ভাল পোষ্ট পলাশ ভাই। টাইম মেশিন টা মেরামত হয়ে গেলে জানায়েন আমিও আছি আপনের লগে।

++++++++্

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: টেনশন করিয়েন না। আপনাকে টাইম মেশিনের ড্রাইভার বানানো হইবেক ;) ;)

৪৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে অসাধারন ধন্যবাদ হামা ভাই

৫০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: পলাশ ভাই, খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম, ঢাকা শহরেই যেহেতু থাকতে হবে, তাই আগামী ২০ বৎসর পর কি হবে? বা আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম গুলো পানির জন্য কি করবে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সকলকে আসন্ন বিপদের কথা বলে বর্তমানে আমাদের যা আছে সেটার নিরাপাত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটার পরিকল্পিত ব্যবহার করতে হবে।

৫১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৯

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: +++++++++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৫২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫২

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: ভাল কাজ করেছেন এরকম একটা পোস্ট দিয়ে :)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৫৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০০

বসন্ত০০৭ বলেছেন: একটা অনেক কোয়ালিটি সম্পন্ন থিসিসের মত হয়েছে লেখাটা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য। বাংলা বিজ্ঞান গবেষনা জার্নাল থাকলে পাঠাইয়া দিতাম ;) ;)

৫৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন , সাথে অনেক কষ্ট পাইলাম ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। শুধু কষ্ট পাইলে হইবে না সেই সাথে পানি সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে তবেই আমার পোষ্টি লিখা সার্থক হবে।

৫৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩২

হরিসূধন বলেছেন: যারা বলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের আত্মীয়ক সম্পর্ক রয়েছে তারা কিসের ভিত্তিতে বলে? নিশ্চিয় তারা আধুনিক ভারতীয় ভার্সনের রাজাকার মানে "ভাদাকার"। ট্রানজিট ট্রানশিপম্যান্টের মাশুল চাইতে যাদের লজ্জা করে তাদের জন্ম নির্নয় করে দেখতে হবে। কোন দেশের গোলাম।

ভারত পানি এবং সীমান্তে মানুষ হত্যা নিয়ে যে নির্মমতা তাদের কথিত চির শত্রু পাকিস্তান চীনের সাথে না করে চির বন্ধু(ভাদাকারদের কথন) বাংলাদেশের সাথে করে যাচ্ছে।
আর আমাদের হাসিনা সরকার কি ভারতের হাতে তুলে দেয়নি? কিন্তু বাংলাদেশ কি পেলো? হাঁ পেয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের ষড়যন্ত্র! এই ব্যবসা করেই তারা মানুষের মগজ ধোলাই করছে মিড়িয়ার মাধ্যমে। তবে ইতিহাস সাক্ষি আওয়ামীলীগের ভাগ্যে করুন পরিনতি অপেক্ষা
করছে সেদিন ভারত পাশে থাকবে না অথবা চোখ বন্ধ করে চরম সুখে মল ত্যাগ করবে।

ভারতের সাথে সব চুক্তি স্থগিত অথবা ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করা উচিত।
ভারত শক্ত শিব লিংগের পূজা করে আর নরম পাইলে লেন্দুপ দর্জির মতো ব্যবহার করে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টনে ভারতের কাছে নায্য হিস্য যেমন জরুরী তেমনি আমাদের অভ্যান্তরিন ব্যবস্থাপনার সংস্করনও অত্যান্ত জরুরী।"

তাই শুধু ভারতের কাছ থেকে নিজেদের প্রাপ্য জলের নিশ্চয়তা করলে হবে না বর্তমানে যা আছে তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বুড়িগঙ্গা এই অবস্হা কে করলো? আগামী ২০ বছর পরে ঢাকায় পানি নিশ্চয়তা চাইলে এখনই বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে হবে।

৫৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৩৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: পানি , নদী সেচ প্রকল্প নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ ভিগ পোস্ট , অনেক কিছু জানা গেল ।।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু শুধু নিজে জানলে হবে না অপরকেও জানাতে হবে। সেই সাথে সকলকে পরিবেশ বান্ধবও বানাতে হবে।

৫৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

উপপাদ্য বলেছেন: পলাশ ভাই, আপনার পোস্টটিকে, সামুর ইতিহাসের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন পোস্ট হিসেবেই দেখছি।

পড়লাম, মাথাটা কিছু আউলাইয়া আছে। ভাবছি, ভাবছি আমরা বাংলাদেশীদের জন্য আসলে ঠিক কয়টা যুদ্ধ ডিউ হয়ে আছে। এই যে ন্যায় বিচার,হিউম্যান রাইটস, ফুড আ্যান্ড শেল্টার, জিবনের নিরাপত্তা, ভোটাধিকার, বিদেশী আগ্রাসন, দারিদ্র, নারী উন্নয়ন, কর্ম সংস্থান, গনতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি এতো এতো যুদ্ধের পরে ন্যায্য হিস্যা পানির জন্যও আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আফসোস। আসলেই জিবনের অপর নাম যুদ্ধ, আর যুদ্ধই হয়তো জিবন। কবে যে আসবে আমাদের কাঙ্খিত মুক্তি। জাতীয় মুক্তি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার অসাধারন থটসগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:২৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: উপপাদ্য ভাই, আপনার অত্যন্ত গঠন মূলক মন্তব্য আমাকে অনুপ্রানিত করবে ভবিষ্যতে এই রকম জন গুরুত্ব পূর্ন পোষ্ট লেখার জন্য।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৫৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

জাহিদ ফারুকী বলেছেন: তথ্য বহুল লেখা।

কিন্তু একটা জায়গায় আমার কনফিউসন আছে। এই যে আমরা গভীর নলকূপ দিয়ে পানি দেই কৃষি জমিতে, এই পানির বেশির ভাগই তো আবার মাটির নিচেই যায়। আবার যেটুকু বাষ্প হয়ে উড়ে যায়, সেটুকুও বৃষ্টি হয়ে পড়ে। সেদিক থেকে একটা সাম্যাবস্থা তো থাকাই উচিত।জাস্ট আমার মনে হইল যে পানি চক্রের একটা সাম্যাবস্থা আছে। কতটুকু সঠিক আমি জানিনা।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি পোষ্টের ভিতরেই এই ব্যপারটা ব্যাখ্যা করেছি। আবারও আপনার জন্য তুলে দিলাম।


প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যে পরিমাণ পানি মাটির নিচে জমা হয় তার চেয়ে বেশি পরিমাণ পানি আমরা মাটির নিচ থেকে তুলে থাকি কৃষি কাজের জন্য।

আমরা এটাকে তুলনা করতে পারি ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো সাথে।

মনে করুন আপনার বাবা মৃত্যুর পূর্বে আপনাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে গেছে (শত-শত বছরে ধরে ভূ-গর্ভে পানি জমা হয়েছে)। আপনি নিজের চাকুরী থেকে প্রতিমাসে বেতন পান ২০ হাজার টাকা। বাবার দেওয়া ৫ লাখ টাকা থেকে মাসিক ইন্টারেস্ট পান ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মোট মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। এখন আপনি যদি প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে থাকেন (বাৎসরিক খরচ বৃদ্ধি ২০% কিন্তু বেতন বৃদ্ধি ১০%) তবে আগামী কত বছর সচ্ছল ভাবে জীবন-যাপন করতে পারবেন?

সৌদি আরবের এক পাশে আরব সাগর অন্য পাশে লোহিত সাগর। সগর থেকে তো বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। সৌদি আরবে বৃষ্টি হয় না কেন? এই প্রশ্নটার উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন?

৫৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

এহসান সাবির বলেছেন: তথ্যপূর্ণ খুব সুন্দর পোস্ট ।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৬০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

বাবু ভাইয়া বলেছেন: এতো তথ্যবহুল একটি পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাল লাগাটি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৬১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

আশিক হাসান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট এবং প্রচুর তথ্যনির্ভর। লেখকের এই পোস্ট পড়ে বোঝা যায় বিষয়টির পেছনে প্রতি তার ঐকান্তিক আগ্রহ এবং পরিশ্রমের বিষয়টি। আমাদের কে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। যদিও লেখাটার সাথে যোগ করার কিছু তেমন নেই শুধু পাঠক হিসেবে কিছু বলতে চাই।

প্রথমত নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য আমার মনে হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আর কোন সুযোগ বাংলাদেশের জন্য নেই । কারন স্বাধীনতার পর থেকেই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোর পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বরং ভারত কালক্ষেপন করে শুধু নিজের পরিকল্পনামাফিক বাঁধ তৈরী করে গেছে যত্রতত্র।এবং বাংলাদেশের কোন আপত্তির (দূর্বল প্রতিবাদ) মুখে তারা তাদের কাজ বন্ধ করেনি। ভারতের কোন দল সরকার গঠন করলো তাতে আমরা হাজার অন্ক কষলেও কোন লাভ নেই কারন ভারতের পররাষ্ট্র নীতি দল নির্ভর নয় বরং রাষ্ট্রের স্বার্থ নির্ভর। অতীতের লাভক্ষতির হিসাবে করলে এই বিষয়গুলো জলের মত পরিষ্কার।

স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৬০ সালে সম্ভবত তৎকালীন পাকিস্তান এই বিষয়টি প্রথমবারের মত জাতিসংঘে উথ্থাপন করে। এবং সে সময়ে ভারত এই বিষয়ে বেশ চাপের মুখে পড়লেও পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের টালমাটাল পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার তেমন একটা সোচ্চার হয়নি। এই সুযোগে ভারত অনেকটা সময় পায় তার ফারাক্কার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

এই বিষয়ে এখনই সময় সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। রাজনীতি যদি সাধারন মানুষের জন্য হয় , সাধারন মানুষের অস্তিত্বের রক্ষার জন্য হয় তাহলে বলতে হয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এখনই আরেকটি সুযোগ অপেক্ষা করছে সমগ্র জাতিকে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে দলীয় আদর্শের ত্বত্তকথা ভুলে, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে, দেশ আর দেশের মানুষকে বাঁচাতে একতাবদ্ধ হওয়ার।

যখনই এই জাতি কোন চরমক্রান্তি লগ্নে এসে পৌঁছেছে তখনই এই জাতি এক হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা যুদ্ধ চাইনা , আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি, আমরা চাই আমাদের ন্যায্য পানির অংশীদারিত্ব এবং সেটা আমাদের এখনই বিশ্বদরবারে সচেতনতার সাথে তুলে ধরতে হবে । তবে তার আগে আমাদের গবেষক, বুদ্ধিজীবিদের দায়িত্ব হচ্ছে এই বিষয়ে অসংখ্য গবেষনা ইতিমধ্যে করা হয়ে গেছে সেগুলো প্রয়োজনে আন্তজার্তিক আদালতে উথ্থাপনের জন্য সন্নিবেশিত করা । রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি একটাই অনুরোধ দেশকে বাঁচান আগে তারপর দলীয় রাজনীতি করুন। এই দেশের মানুষের জন্য সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে একই মন্চে উঠে আসুন ।

যদি আজ সমগ্র জাতি এই পানির ন্যায্য দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং বিশ্ব দরবারে ঠিক যেভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল ঠিক একইভাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে বিষয়টি আন্তজার্তিক আদালতে তুলে ধরা হয় এবং একই সাথে বন্ধুরাষ্ট্র বিশেষ করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে এই বিষয়ে হয়তবা কোন ভাল ফলাফল আসতে পারে।

ভারতের ভেতর দিয়ে এই নদী যখন প্রবাহিত হয় তখন ঠিক যেভাবে এই নদীর অববাহিকায় সমগ্র জনপদ এই নদীকে ব্যবহার করে টিকে থাকে একইভাবে বাংলাদেশের ভেতরে এই নদী যখন প্রবাহিত হয় তখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের অবাহিকায় জনপদকে সেই একই সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আজ ভারত যখন নির্বিকার বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত করতে ঠিক ততটাই সোচ্চার ভারত , চীনের বিরুদ্ধে গ্রেট ড্যাম তৈরীতে। তাই আমাদের অধিকার আমাকে কেউ যেচে পড়ে দিবেনা সেটা ন্যায্য ও আইনসংগত ভাবে আন্তজার্তিক আদালতের মাধ্যমে আমাকেই আদায় করে নিতে হবে। এবং কোনভাবেই ভারতের সাথে কোন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় গিয়ে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবেনা।
সবশেষে লেখককে আবারও ধন্যবাদ এই সময়োপযোগী বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "প্রথমত নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য আমার মনে হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আর কোন সুযোগ বাংলাদেশের জন্য নেই । কারন স্বাধীনতার পর থেকেই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোর পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বরং ভারত কালক্ষেপন করে শুধু নিজের পরিকল্পনামাফিক বাঁধ তৈরী করে গেছে যত্রতত্র।এবং বাংলাদেশের কোন আপত্তির (দূর্বল প্রতিবাদ) মুখে তারা তাদের কাজ বন্ধ করেনি। ভারতের কোন দল সরকার গঠন করলো তাতে আমরা হাজার অন্ক কষলেও কোন লাভ নেই কারন ভারতের পররাষ্ট্র নীতি দল নির্ভর নয় বরং রাষ্ট্রের স্বার্থ নির্ভর। অতীতের লাভক্ষতির হিসাবে করলে এই বিষয়গুলো জলের মত পরিষ্কার।"


আশিক ভাই, আপনার সাথে শতভাগ একমত। সরকার যত দেরি করবে ঠিক তত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবো আমরা। বিজ্ঞানে একটা প্রক্রিয়া আছে যার নাম হলো Irreversible process অর্থাৎ যে কোন জিনিস পরিবর্তন হলে তাকে পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। পানি সম্পদের ক্ষতির কারনে আমাদের পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে গত ৩০ বছরে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না।

আমাদের এখন উদ্যোগ নেওয়া উচিত নতুন করে যেন কোন ক্ষতি না হয়।

আপনার অসাধারন সুন্দর মন্তব্য আমার পোষ্ট টিকে অলংকৃত করলো।

৬২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

জানা বলেছেন:

ব্লগার বন্ধুরা একত্রিত হোন, সোচ্চার হোন। বিষয়টি অতখনিই গুরুত্বপূর্ণ যে, সত্যিই আর কালবিলম্বের সুযোগ নেই। ব্লগসহ প্রচলিত ও জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে জনসমর্থণ ও শক্তিশালী জনমত তৈরী করুন।

সংশ্লিষ্টদের চোখ-কান কিন্তু বন্ধ নেই। কেবল তাদের টনক নড়ছে না। কারণ বহুবিধ। সেসব কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদের কোন কাজে তেমন আসবে না। আমাদের প্রয়োজনে আমাদেরকেই চিৎকার করতে হবে। অতীতেও ব্লগাররাই নানান জনস্বার্থে তথা জাতীয় স্বার্থে পথে নেমেছেন। প্রমাণ করেছেন তথাকথিত ভারচুয়্যাল জগৎ হলেও যাবতীয় মঙ্গলের জন্য তাঁদের কলম যেমন শক্তিশালী তেমনই তাঁদের অবস্থান এবং উপস্থিতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শক্তিশালী এবং কার্যকর।

অনেক দেরী হয়েই গেছে। একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যাবার আর বিন্দুমাত্র সময় নেই। যে কোন জনদাবীতে সোচ্চার হতে যৌক্তিক, গঠনমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ (সত্যিকারের তারুণ্য কখনও বিক্রি হয়ে যায় না) অবস্থান নিলে সংশ্লিষ্টদের টনক নড়তে বাধ্য। আমি আশা করি আমার বাক্যে কেউ কোন অপব্যখ্যা করার সুযোগ খঁুজবেন না।

আবারও কৃতজ্ঞতা সমস্ত বাংলা ব্লগারদের প্রতি।

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু আপনাকে আবারও ধণ্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য উপহার দেবার জন্য সেই সাথে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানোর জন্য।

এই সমস্যটা হলো মানব দেহে ক্যান্সারের মতো। রোগ ধরা পারের শুতেই ব্যবস্হা না নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা শতভাগ আমাদের পানি সম্পদের সমস্যটাও ঠিক তেমনী।


ঢাকা শহরের ভূ-গর্ভের পানি অতিরিক্ত উত্তলোনের সবচেয়ে বড় হুমকি হলো ভূ-মি ধস। আমাদের দেশের ৩/৪ শ কিলোমিটার রেডিয়াসে বড় কোন ভূ-মিকম্প হলে ঢকা শহরের অবস্হা কি হতে পারে সেটা ১৯৮৫ সালে মেক্সিকো শহরের পরিনতী দখে বুঝে নিতে পারবেন।

1985 Mexico City earthquake


৬৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

জানা বলেছেন:
আশিক হাসান বলেছেন:

এই বিষয়ে এখনই সময় সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার। রাজনীতি যদি সাধারন মানুষের জন্য হয় , সাধারন মানুষের অস্তিত্বের রক্ষার জন্য হয় তাহলে বলতে হয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এখনই আরেকটি সুযোগ অপেক্ষা করছে সমগ্র জাতিকে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে দলীয় আদর্শের ত্বত্তকথা ভুলে, ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে, দেশ আর দেশের মানুষকে বাঁচাতে একতাবদ্ধ হওয়ার।

এই কথাগুলিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিয়েই কেবল আমাদের উত্তরণ সম্ভব। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নানান দল-মত থাকবে, মতানৈক্য থাকবে, মতবিরোধ থাকবে। নয়তো গণতন্ত্র উজ্জীবিত থাকবে কিভাবে? কিন্ত জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ? সেখানে দ্বিমত/মতদ্বৈততা পুষে রেখে কেবল ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করে দলবাজি, চালবাজি, দখলবাজি, সুবিধাবাজি চালিয়ে গেলে কার লাভ? কার ক্ষতি? এই আমাদেরইতো! এই সমষ্টিরইতো! আসুন সমস্ত মতানৈক্য দূরে ঠেলে দিয়ে দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে, 'আমাদের' জন্য আমরা যূথবদ্ধ হই। সুসংগঠিত জাতি হিসেবে নিজের পরিচয়টি হত্যা না করে আরও উজ্জীবিত করি।

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আশিক ভাই আসলেই দারুন একটা মন্তব্য করেছেন।

৬৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২০

নীল ভোমরা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট! আন্তর্জাতিক নদীসমূহের ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্তজার্তিক আদালতে যাওয়া যেতে পারে। এ'ছাড়া সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা এবং পানি ব্যবহারে সচেতনা বৃদ্ধির উপর জোড় দেয়া উচিত..... হয়তো উচিত আরও অনেক কিছুই!

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:১০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার দুটি প্রস্তাবের সাথেই পুরোপুরি সহমত।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৬৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেকে প্রোবধ দেই, পলাশ এখন বাংলা পরীক্ষার সময়, ইংরেজি নিয়ে চিন্তা করতে কে বলেছে তোকে? তুমি বসবাস করছো এমন একটি দেশে যেখানে বাস করে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৫% মানুষ কিন্তু সেই দেশটি পৃথিবীর মোট মিঠা পানির ২০% এর মালিক। দয়া করে তুই নাখে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার জন্য শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া রয়েছে। ======

আরে আরে কলেন কি ভাই...

সাগর কন্যা সাগর জয়ের কল্পনাতে বিভোর.. সাগরে শুধূ জল আর জল আর জল....

তা যে পানের অযোগ্য উনি বুঝতে বুঝতে আমাদের জীবন শেষ!!!!!

জাগতে হবে আম জনতাকেই।

শক্তের ভক্ত নরমের যম এই দুনিয়া। আপনাকে নদী বাঁচাতেই হবে। বান্ধা নিজে উদ্যোগ না নিলে আল্লাও সাহায্য করে না।

তাই জাগো বাহে কুনঠে সবাই...
পদ্মা মেঘনা যমুনায় ন্যায্য পানি চাই....


নতজানু অনির্বাচিত সরকারের ভরসায় না থেকে নাগরিক উদ্যোগে মামলাল সুযোগ আছে কিনা দেখতে হবে।

নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও ....

০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "সাগর কন্যা সাগর জয়ের কল্পনাতে বিভোর.. সাগরে শুধূ জল আর জল আর জল....

তা যে পানের অযোগ্য উনি বুঝতে বুঝতে আমাদের জীবন শেষ!!!!!

জাগতে হবে আম জনতাকেই।

শক্তের ভক্ত নরমের যম এই দুনিয়া। আপনাকে নদী বাঁচাতেই হবে। বান্ধা নিজে উদ্যোগ না নিলে আল্লাও সাহায্য করে না।

তাই জাগো বাহে কুনঠে সবাই...
পদ্মা মেঘনা যমুনায় ন্যায্য পানি চাই...."


অসাধারন স্লোগান। পোষ্টে যোগ করে দিলাম


আপনাকে ধন্যবাদ।

৬৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

আলোর পরী বলেছেন: কত বার ধন্যবাদ দিব আপনার এই চমৎকার লেখাটির জন্য আমি জানি না ।

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সময় উপযোগী পোস্ট । এত সুন্দর করে তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করেছেন যে যে কোন সাধারন মানুষও বুঝতে পারবে ।

আমাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে আমাদেরই অগোচরে। পানিই জীবন । পানিকে ঘিরে গড়ে উঠে নগর বন্দর সভ্যতা ।

পানি অত্যন্ত জরুরী তা মানব দেহের দিকে তাকালেও বুঝব , পৃথিবীর পানির পরিমাণের দিকে তাকালেও বোঝা যায়।

পাকিস্তানীরা আমদের শোষণ করতে কোন ছাড় দেয় নি। আর ভারত আরও ভয়াবহ। ধীরে ধীরে আমাদের নিংড়ে ছিবড়ে করে দিচ্ছে ।

আমরা হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি আর বিনিময়ে প্রিয় বন্ধু ( ! ) তাদের ছুরিটি একটু একটু করে আমাদের হৃদয়ে বিদ্ধ করছে ।

এমন বন্ধুতার চেয়ে শত্রুতাই ভাল । অন্তত আমরা আমাদের দাবিগুলো ত জোর গলায় উপস্থাপন করতে পারতাম । আন্তর্জাতিক আদালতে এ বিষয়ে আমাদের আবেদন করা দরকার । কিন্তু কোন সরকারকে আমরা ভরসা করব ? সেইরকম মেরুদণ্ড কি কোন রাজনৈতিক দলের আছে ?

এক্ষেত্রে আমাদের সাধারণের কি করনীয় ? কিভাবে ফেরত পেতে পারি আমাদের অধিকার আমাদের পানি ?












০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "পাকিস্তানীরা আমদের শোষণ করতে কোন ছাড় দেয় নি। আর ভারত আরও ভয়াবহ। ধীরে ধীরে আমাদের নিংড়ে ছিবড়ে করে দিচ্ছে ।"


রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হউক না কেন এই একটি ইস্যুতে আমাদের সকলের উচিত একই সাড়িতে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করা। বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়ের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে সকলে মিলে গাই

"জাগো বাহে কুনঠে সবাই...
পদ্মা মেঘনা যমুনায় ন্যায্য পানি চাই....""

৬৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

এনামুল রেজা বলেছেন: খুব দরকারি একটা পোস্ট। এবং অবশ্যই তথ্যে সুসমৃদ্ধ। পানির রিসোর্স রক্ষায় এখনি পদক্ষেপ না নিতে পারলে হয়তো ভবিষ্যতে এদেশ মুরুভূমি হয়ে যাবে। অবশ্য এই বৈশাখেই যে মরু মরু আমেজ পেলাম! হররিবল..

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "পানির রিসোর্স রক্ষায় এখনি পদক্ষেপ না নিতে পারলে হয়তো ভবিষ্যতে এদেশ মুরুভূমি হয়ে যাবে।"

আপনার সাথে একমত। আপনাকে ধন্যবাদ।

৬৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: অনেক ধৈর্য, অনেক কষ্টের ফসল এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি। অনেক ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমার কষ্ট তখনই সফল হবে যখন আপনারা সবাই দেশের পানি সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।

৬৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২০

ফা হিম বলেছেন: আবার ফিরে এলাম। পোস্টের খুটিনাটি সব পড়লাম এবং নতুন সংযোজন গুলোও দেখলাম। ভয়ে দাঁত কিড়মিড় করছে! ইচ্ছে করছে এখনি দেশ ছেড়ে পালাই!!

কিন্তু যাব কোথায়? এত মানুষকে এরকম বিপদে ফেলে রেখে নিজে হাওয়া খেয়ে বেড়ানোয় নিজেকে স্বার্থপর মনে হবে না??

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "ভয়ে দাঁত কিড়মিড় করছে! ইচ্ছে করছে এখনি দেশ ছেড়ে পালাই!!"


না রে ভাই। এই কাজটা অনুগ্রহ পূর্বক করিয়েন না। দেশের অশিক্ষিত গরিব কৃষকদের ট্যাক্সের টাকায় বিনে পয়সায় লেখা-পড়া করি আমরা। আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে। তারা এই মনে করে ট্যাক্স দেয় যাতে করে আমরা পড়া-লেখা করে তাদের বিপদে এগিয়ে আসি।

৭০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এই বড় পোষ্ট টি পড়বার জন্য।

৭১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার সময়োপযোগী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধ হলে সেটা হবে পানি নিয়ে। আর আমাদের নদী বিধৌত দেশ।আমাদের মাটির নীচে রয়ে গেছে গভীর /পুরু বালুর স্তর।যেখানে পানি আছে প্রচুর পরিমানে।পানিকে আমরা সম্পদ ভাবার অবকাশ পাইনা। অথচ পানিকে নীল সোনা বলা হয়। পানি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায় আমাদের দেশ নিসন্দেহে ঈর্ষনীয় একটা অবস্থানে আছে।পানি সম্পদ সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।বেশি আছে বলে তার যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা করি বিধায় এত থাকা সত্ত্বেয় এই সংকট। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের লোভী কর্মকান্ড ।তারা নাকী বন্ধু রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্গন করে চরম অনৈতিক বন্ধু রাষ্ট্র আমাদের দৈন্য অবস্থার সৃষ্টি নিশ্চিৎ করছে।

এমতাবস্থায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ,ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট তথা গ্রাউন্ড ওয়াটার মডেলিং সহ ওয়েস্টমেনেজমেন্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

পানি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।

আর আমাদের লেখাপড়া গুলো দেশের উন্নয়নের স্বার্থে হলে মানুষের জন্য হলে
ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ,হাইড্রো জিওলজি, এনভাইরনমেন্টাল সাইন্স ........এগুলোতে মেধাবী পরিশ্রমী দেশপ্রেমিক ছাত্রদের বিস্তর জ্ঞান সাধনার দরকার আছে। কিন্তু সরকার হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে কিংবা নিজের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে সো কল্ড বন্ধু রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করে উপাসনা করে ক্ষমতার আসনে বসে থাকলে আমাদের হাহাকারে কোন লাভ হবে না।



পলাশ ভাই দারুন একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।সামু কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ এটিকে স্টিকি করার জন্য।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সেলিম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দারুন একটা মন্তব্য করবার জন্য।

হ্যা আমারও দাবি সেটাই যে "ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট তথা গ্রাউন্ড ওয়াটার মডেলিং সহ ওয়েস্ট মেনেজমেন্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।"

এজন্য প্রয়োজন গবেষনা। এ ব্যাপারে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে প্রথমে।

৭২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

মুহা মামুনুর রশীদ সনেট বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়া ছোট করতে চাই নাহহহ...। দেশ প্রেমিক নাগরিক এর বড়য় অভাব...। আপনি তেমনই এক জন। |-)

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: না রে ভাই এখনও দায়িত্ববান নাগরিক হতে পারি নি। নিজের অর্জিত জ্ঞান আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৭৩| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১২:১১

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: অনেক তথ্য বহুল এবং সময় উপযোগী। ভারতের ব্যাপারে আর কি বলব! আমার খালি মনে হয়, সিংগাপুর আজকে উন্নত কেবল মালোয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার মতো নিরিহ, নিলোর্ভ, আর র্নিমোহ প্রতিবেশী পাওয়ার কারণেই। যদি কোন কারণে ভারত থাকত, তাইলে সিংগাপুররে কবে নেপাল, ভুটান বানাইয়া ফালাইত।

মালোয়েশিয়াতে বৃষ্টির পানি ব্যবহৃত হয়। অনান্য উন্নত দেশেও তাই। মালোয়েশিয়াতে গত প্রায় দুইমাস ধরে পানির সমস্যা চলছিল, কারণ বৃষ্টি ছিল না আর প্রচন্ড গরমের কারণে সরকার পানি দিতে পারছিল না, তখন রেশনিং করে চলেছে। ২ দিন পানি থাকে ২ দিন থাকে না। তখন বুঝতে পারছিলাম কি ভয়াবহ সময় সামনে আসতেছে।

বাংলাদেশে একটা রেইন ফোরাম আছে শুনেছিলাম। তারা মানুষকে সচেতন করতে পারে। কিভাবে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা যায়।

আমরা যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত বলে দাবি করি তাদের ও সচেতনতা দরকার। আমি অনেককে দেখেছি, টয়লেটে যাওয়ার পর থেকে শুরূ করে ১০ মিনিট/১৫ মিনিট [মানে যতক্ষণ থাকেন সেখানে]; একই রকম সকালে দাত মাজার সময় বেসিনের সামনে দাড়িয়ে, সেভ করার সময়, কাপড় ধোয়ার সময় এক নাগাড়ে পানি ফেলে নষ্ট করেন।

পোশাক শিল্পে যে পরিমান পানির ব্যবহার হয়, তা অকল্পনীয়। আমি জানি না এর সমাধান কি? আমাদের সুবিশাল সমুদ্র আছে, সেই সমুদ্রর পানি কি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়?

আমাদের ফরেন রিজার্ভ রাখার জায়গা নাকি আর নাই, জরূরী ভিত্তিতে জলাভুমিগুলো সংস্কার করা দরকার।

পলাশ, দয়া করে আরও গবেষণা করূন। আর আমাদেরকে জানান, কিভাবে সরকারের মুখাপেক্ষি না হয়ে, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যে পানি ব্যবস্থাপনা আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু কাজ করতে পারি। আমাদের জীবন হয়ত চলেই যাবে, ভবিষ্যতের নাগরিকদের জন্য কিছু করা খুব দরকার।

পোষ্টে ++++++++++++ । অনেক ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হ্যা, উন্নত দেশ গুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করে ব্যবহার করা অনেক পূর্বেশ শুরু হয়েছে।

আমি যে শহরটিতে থাকি সেখানে বরফ গলার সময় পানি পরিষ্কার করে মাটির নিচে জমা করে রাখা হয়। মানে ভূ-গর্ভে পাঠানো হয়। গরম কালে সেই পানি উত্তলন করা হয়। এতে করে ভূ-গর্ভের পানির স্তরের কোন পরিবর্তন হয় না।

আমি চেষ্টা করব আমার জানা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭৪| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই লেখাটার দরকার ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর সাব।

৭৫| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ২:০৭

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: নাইস পোস্ট পলাশ ভাইয়া ।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বিথি।

ব্লগিং কি ছেড়ে দিলেন নাকি?

৭৬| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ২:৪৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: অনেকদিন পর খুব্বি প্রাসঙ্গিক একটি পোস্ট স্টিকি হলো... দারুণ হয়েছে পলাশ ভাই।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কি আর করা যায়। কাউকে না কাউকে তো লিখতে হবে তাই আমিই শুরু করলাম। এখন দরকার আপনাদের সহযোগিতা। আমাদের সকলের প্রচেষ্টাই পারে দেশকে ভবিষ্যত পানি সন্কট থেকে রক্ষা করতে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৭৭| ০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৯

স্প্লিকনট অয়ন বলেছেন: যতই পড়ছিলাম, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল। ১০-১৫ বছর পর কোথায় গিয়ে দাড়াবো আমরা? অনেক তথ্যবহুল এবং গোছানো একটি পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত অন্তত ১০ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে Water Resource Management/Engineering বিষয় চালু করে ঐ এলাকার নদী ও পানি সম্পদ নিয়ে গবেষণা করে দরকার ব্যাপক ভাবে।

আগামী ৫ বছরের মধ্যে পরিকল্পনা করতে হবে যমুনা ও মেঘনা নদী থেকে পানি সংগ্রহের। না হলে ২০ বছর পরে হয়ত ঢাকাকে পরিত্যক্ত শহর ঘোষণা করতে হবে।

৭৮| ০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৬:২৬

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: পলাশ ভাই দারুন একটা লেখা দিয়েছেন। আপনার মত একজন ব্লগার আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে থাকাতে দারুন গর্ববোধ করছি

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন সাধারন ছাত্র মাত্র। চেষ্টা করতেছি নিজের শেখা বিষয় গুলো বাস্তব জীবনের সমস্যা কি ভাবে সমাধন করতে পারে তা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৭৯| ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ৭:০৩

রোজেল০০৭ বলেছেন: সময় গেলে সাধন হবে না।

এখন থেকেই এ বিষয়টির ব্যপারে উদ্বেগি হতে হবে।

তথ্য বহুল ও গবেষনা যুক্ত এই পোস্ট উপযুক্ত কতৃপক্ষের দৃষ্টি কাড়বে বলে আশা
রাখি।

আর সামুকে ধন্যবাদ পোস্টটিকে স্টিকি করার জন্য।

লেখক কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর সাধুবাদ জানাই।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "সময় গেলে সাধন হবে না।"

হ্যাঁ, সব কথার শেষ কথা এটাই। ছোট বেলায় শেখা ট্রানস্লেশন Time and Tide wait for none বাস্তব জীবনেও একই গুরুত্ব বহন করে।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৮০| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: গুড পোস্ট , যাই একটু পানি খেয়ে আসি , পরে যদি এইটাও না পাই /:)

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি নায় খাইলেন আপনার ভবিষ্যত বংশধর কি খবে?

৮১| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

গানচিল বলেছেন: তথ্যবহুল সময়োপগী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সামুকেও, পোস্টটাকে স্টিকি করার জন্য।

অ,ট।----পোস্টের শুরুতে একটা ভূল আছে।

"পৃথিবীর মত হৃদয়টাকে
কখনো তো ভাগ করিনি আমি
পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্হল
আর আমার হৃদয় জুড়ে শুধু তুমি"


গানটা তপন চৌধুরী গেয়েছিলেন। এটা খালিদ হাসান মিলুর গান নয়।

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ভুলটি শংশোধন করে দেবার জন্য।


৮২| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভারতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা ছাড়া এই পানির সমস্যা সমাধানের আর কোন উপায়তো আপাতত ছোখে পড়ছে না।

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভারতের সাথে ব্যাপারটা রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক ভাবে সমাধনা করতে হবে।

তবে দেশের ব্যাপারটা কিন্তু আমাদের নিজেদেরকেই সমাধান করতে হবে।

৮৩| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

মামুন নজরুল ইসলাম বলেছেন: আমি হতাশ!

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হতাশ হলে হবে না ভাইডি। নিজে পানি সম্পদের যত্ন নিন অপরকেও যত্ন নিতে উৎসাহিত করুন।

৮৪| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

না পারভীন বলেছেন: বেশ তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । আমাদের সরকার ন্যায্য পানি আদায় করতে পারে কিনা দেখা যাক ।

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পারভীন আপু। আমাদেরকে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

৮৫| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৮:৩০

সুখী মানুষ বলেছেন: Apnar moto brilliant manushgula ke nischoi desh tar proyojon e pashe pabe kandari roope...

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আর লজ্জা দিয়েন না। আমি শুধু নিজের দায়িত্ব পালান করতে চেষ্টা করতেছি।

আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।

৮৬| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২

বিষের বাঁশী বলেছেন: আমার মনে হয় আমাদের দেশে আমিসহ সবারই টার্গেট থাকে একটা ভাল চাকুরীর। আমাদের ব্যবসা করার সামর্থ্য কম। যারা ব্যবসা করে বা সামর্থ্য আছে চাকুরী দেবার তারা বোধ হয় পানির ব্যাপারে সচেতন নয়। তা না হলে এক বুড়িগঙ্গার পানি শোধনের প্রজেক্ট হাতে নিলেই অনেক টাকা রোজগার হবার কথা, নদী ড্রেজিং-এর ঠিকাদারীতেও বেশ ব্যবসা হবার কথা। কিন্তু আমরা কেন জানি সেটা পারি না। হতে পারে সচেতন নই, না হয় সামর্থ্য নেই। নইলে আমাদের পাশের দেশ নদী নিয়ে এতো সচেতন, আমরা কেন নদীকে এতো অবহেলা করি?

তিস্তার পানি আটকালে চিৎকার দেই, খুব কাছেই বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে কতজন চিৎকার দেই?

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "তিস্তার পানি আটকালে চিৎকার দেই, খুব কাছেই বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে কতজন চিৎকার দেই?"


আপনার সাথে একমত।তবে মনে রাখতে হবে ভারত যদি পানি ছাড়ে তবেই আমরা নদীতে পানি পাব। আর পানি পেলে তবেই সেটা রক্ষা করার প্রয়োজনীয়নতা আসবে।

৮৭| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ২:৪৬

হাম্বা বলেছেন: পোষ্ট পড়ে বুঝলাম আপনার চেতনা কম,

আপনি একটা চুপা ছাগু...

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হাম্বা হাম্মা

৮৮| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৩:৪০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আন অফিশিয়ালি আমরাতো মোটামুটি ভারতের অংগরাজ্য হয়েই গিয়েছি, এখন সেটা অফিশিয়ালি হয়ে গেলে হয়ত অন্ততঃ দেশের ৬০ ভাগ এলাকাকে মরুকরণ থেকে বাচানো যাবে হয়ত !

ভারত অন্ততঃ তার নিজের দেশের মানুষকে এভাবে মারবে না আশা করি !! X( X(

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আইডিয়া মন্দনা। আমরা দিদিকে ইলিশ দেব আর দিদি আমাদের পানি। =p~ =p~

৮৯| ০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তথ্য , উপাত্ত ,গবেষণা সব মিলেয়ে বহুদিন পরে সামু তে একটা স্টিকি করার মত স্টিকি পোস্ট পেলাম । আপনার পরিশ্রম কে সাধুবাদ ।।

ভারতের অন্তত ছয়টি স্থানে তিস্তার পানির প্রবাহ আটকে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নদী আইনের লংঘন করে নির্মিত ড্যাম ও ব্যারেজের কারণে স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়ে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা ক্ষীণ স্রোতে পরিণত হয়েছে। গত চল্লিশ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও এখনও তা সফল হয়নি। আর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে আইনি লড়াইয়ের প্রক্রিয়া। এটা তো একটা দিক একজন সচেতন নাগরিক বা রাট্রের সুবিধা ভোগী একজন নাগরিক হিসেবে ও আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠীক ভাবে পালন করছি কি ?

০২ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপু আপনি যদি কখনও ভারত যান তবে ভারতের নদীতে কেমন পানি তার ছবি তুলে আনতে ভুলবেন না।


"রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে আইনি লড়াইয়ের প্রক্রিয়া।"

আপনার সাথে একমত আমি।

৯০| ০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: সচেতন হওয়া সকলের জন্য জরুরি। আশা করি এটা আরও বছরখানেক স্টিকি থাকুক তাহলে যদি একজনও সচেতন হয় তাতেই লেখকের স্বার্থকতা। লেখককে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাইডি শুধু স্টিকি থাকলেই কাজ হবে না। এই পোষ্ট পড়ার পরে আপনার দায়িত্ব হলো পানি সম্পদের রক্ষনাবেক্ষনে সবাইকে সচেতন করতে হবে তবেই আমরা পারব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ।


আপনাকেও ধণ্যবাদ।

৯১| ০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নিরীহ বালক বলেছেন: সত্যি , অসাধারন ছিলো । দুই দিনে পড়ে শেষ করলাম । কিন্তু পড়াটা সার্থক হল ........... শুধুই জানার জন্য । দুঃখিত । এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারলাম না ।


২৭ নাম্বার ছবি দেখে এখন মনে হচ্ছে চীন দেশে বা রাশিয়াতে পাড়ি জমাতে পারলে ভবিষ্যতে ভালো হবে । তাতে একটা পরিবারের জন্য যে পানি লাগতো তা অন্তত বাচবে । দেশের জন্য এরচেয়ে বেশি কিছু করতে পারবো না ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনি একটা ভুল করেছেন। ঐডা চিন হবে না হবে কানাডা। চীনের অবস্হাও বাংলাদেশের মতো।

৯২| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৮:০১

htusar বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । প্লাস :)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ।

৯৩| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাইয়া ছবি তুলে আনলে আপনার ভয়াবহ সত্য বচনগুলি র চাক্ষুষ প্রমান হয়ে যাবে । পোস্ট টা আমাদের জনসচেতনতা ,জাগরণ তৈরি করুক কামনা করি ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু ছবির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

৯৪| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:৪০

খন্দকার আরাফাত বলেছেন: ছবি ১০: ভারতের বিভিন্ন নদীর পানি প্রত্যাহার ম্যাপ। বাংলাদেশের বর্ডার ঘেষে তিস্তার পানি (সবুঝ রঙ) পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে কৃষি কাজ করতেছে । যে লাল লাইটা দেখতে পাচ্ছেন তা হলো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। এই পরিকল্পার মাধ্যমে ভবিষ্যতে (হয়ত আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যেই ব্রক্ষমপুত্র নদে বাধ দিয়ে ভারতে নিয়ে যাবে।

"ভারত যেভাবে পানি সরিয়ে নিচ্ছে, তাতে ৩০ বছরের মধ্যে দেশের ৬০ ভাগ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান।"

কি বলব বুঝে উঠতে পারছিনা।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপাতত আসুন সবাই মিলে দেশর ভূ-গর্ভস্হ পানির স্তরের ভারসাম্য রক্ষা করি। প্রতিবছর যে পরিমান পানি ভূগর্ভে যায় ঠিক সেই পরিমান পানি উত্তলন করি কৃষি কাজের জন্য। এর চেয়ে বেশি তুললে ব্যবসার লাভ ও আসল দুটোই হারাতে হবে।


৯৫| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

নিকষ বলেছেন: আর কিছু দিন পরে প্রোপোজালই আসবে, পানি চাইলে ইন্ডিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে যাও।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: অসম্ভব না।

৯৬| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

জেবাল বলেছেন: বাপ রে বাপ! লেখা যে কাকে বলে আজকে বুঝলাম। প্লাস!!!!

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

৯৭| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১১:৪০

আরজু পনি বলেছেন:

পিএইচডি তবে বেশ ভালো ভাবেই করা হচ্ছে...দারুণ ।


চোখে আঙ্গুল দিয়ে সমস্যাগুলো দেখিয়ে দেয়া পোস্ট ।


পরিবেশের যত সংকট তার ভুক্তভোগী পুরুষের চেয়ে নারীই হয় বেশি... ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "পরিবেশের যত সংকট তার ভুক্তভোগী পুরুষের চেয়ে নারীই হয় বেশি... "


আপনার সাথে ১০০% একমত। এই বিষয়টা নিয়ে পৃথক একটা লেখা দেবার ইচ্ছে আছে।

আপনাকে ধন্যবাদ

৯৮| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:০৪

বদনাচোর বলেছেন: নাহ এই বালের দেশে থাকমুনা...... দরকার হইলে কানাডা, ইউরোপে গিয়া টয়লেট সাফ করমু , তারপরও এই পানির কষ্ট সহ্য করতে পারমুনা। আর আপনার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নাই......দেশের জন্য এত চিন্তা করতে কে বলসে?

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি যে গুলো চলে কৃষকের ট্যাক্সের টাকায়। আমার বাবা জাত কৃষক। প্রতি সপ্তাহে বাবাকে ফোন করে কেমন আছেন এটা জিজ্ঞেস কারা পরেই জিজ্ঞেস করি ধান কেমন হলো। জমীতে পানি আছে কি না? এ বছর ১ বিঘা জমিতে কত টাকা খরচ করতে হলো সেচ দেবার জন্য।

দেশের প্রতিটি কৃষকেরই অবস্হা আমার বাবার মতো। তাই কোন ভাবেই ভুলতে পারি না তাদের। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি লিখি। জিবন থাক পর্যন্ত লিখে যাব।

৯৯| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

আশিক হাসান বলেছেন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্লাশে আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ এস আই খান স্যারের লেকচারে উঠে আসতো কত বঞ্চনার আর শোষনের কথা । স্যার নির্ভীক চিত্তেই টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরতেন। আজ অনেক বিশেষজ্ঞদের দেখি রেখে ঢেকে কথা বলতে। আজ এস আই খান স্যারের মত মানুষদের বেশি করে কথা বলতে হবে যদিও কর্পোরেট সমাজ ব্যবস্থায় যেখানে মিডিয়া আজ সমাজপতিদের হাতে সেখানে এই ধরনের মানুষদের দেখা পাওয়া ভার।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: গত দিন স্যারের একটা ইন্টার ভিউ পড়লাম পেপাড়ে। অসাধারন বলেছে। পিএইচডি শেষ করি। স্যারের সাথে কাজ করার চেষ্টা করব যদি সম্ভব হয়।


টিপাই মুখ বাধ নিয়ে এই লেখাটার মতো আর একটি লিখা লিখেছি গত ১ বছর পূর্বেই। কিন্তু সেটা লিখেছি কাগজে। সময় পাচ্ছি না টাইপ করার। দেখি চেষ্টা করব আগামী ২/১ মাসের মধ্যে টাইপ শেষ করতে পারি কি না।


ভাল থাকবেন।

১০০| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

দ্যা বান্দর বলেছেন: লেম্যানদের জন্য অনেক সহজ ভাষায় বর্ণনা করেছেন, সুখপাঠ্য। অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আরও সহজ করে লিখা সম্ভব ছিল। কিন্তু সময় সল্পতার জন্য অনেক বিষয় শর্ট কাটে লিখেছি। বেশ কয়েক বার সেভ করার পূর্বেই হ্যাং করেছিল। তার বার বার টাইপ করতে হয়েছে। একসময় বিরক্ত হয়ে কিছু বিষয় ইংরেজি টার্ম রেখে দিয়েছি।


আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১০১| ০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

জেসমিন মলি বলেছেন: মেইল আইডি টা পাওয়া যাবে? আমারটা mail2moli{@}gmail.com

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: [email protected]

১০২| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১০:৪১

হিমালয় হিমু বলেছেন: ভাই একটা কিছু করার ব্যাবস্থা করেন ভাই।নাইলে মইররা যামু।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: তাই তো করলাম। পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে বাংলাদেশের পানি সম্পদের বর্তমান অবস্হা, সমস্যা ও ভবিষ্যত হুমকি তুলে ধরলাম। এখন আপনাদের দায়িত্ব হলো এই আলোচনা গুলো সকলের মাঝে পৌছাতে হবে।

১০৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮

সময়ের গ্যাঁড়াকল বলেছেন: আসলে এই কথা গুলোর উত্তর আমার কাছে নাই :D

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: :(( :((

১০৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১:০০

কল্পনার রাজা বলেছেন: আমাদের বাপ চাচারা পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন,

আমরা আর একটা যুদ্ধ করবো ভারতের সাথে (পানির জন্য যুদ্ধ)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: 'বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী'

১০৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১:১১

কল্পনার রাজা বলেছেন:

সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।


০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

১০৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

ইখতামিন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এ ব্যাপারে

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করবার জন্য।

১০৭| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

গরল বলেছেন: দেখুন কিভাবে পেরুর রাজধানী লিমাতে বিলবোর্ডের মাধ্যমে বাতাস থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছে। বিঞ্জাপনের পাশাপাশি বস্তিবাসীদের পানি পানের সুযোগ করে দিচ্ছে

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ঐ সংবাদটা অনেক পূর্বেই দেখেছি। পেরুর ঐ ঘটনা আমাদের দেশে বাস্তবায়ন সম্ভব না।

শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম থাকে( বেশি ভাগ জেলায় গড়ে ৪০-৫০%, কোন কোন জেলায় মাত্র ১০ থেকে ১৫%)।

বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণকে আমরা তুলনা করতে পারি ঢাকার বিখ্যাত ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়ার সাথে। মনে করেন, ফখর উদ্দিন বিরানির ১ প্লেটের দাম ১০০ টাকা, কিন্তু আপনার পকেটে বর্তমানে আছে ১৫ টাকা। আপনি যদি ১৫ টাকা পকেটে নিয়ে দোকানে যান তবে ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়া সম্ভব না। আপনাকে কম করে হলেও ৯০ টাকা নিয়ে দোকানে যেতে হবে। আপনি যদি অনুরোধ করে বলেন যে আজকে পকেটে ৯০ টাকা আছে তবে ক্যাশিয়ার দয়া পরবশ হয়ে হয়ত আজকের জন্য ১ প্লেট বরাদ্দ করতে পারে যদিও আসল মূল্য ১০০ টাকা।

ঠিক একই ভাবে বৃষ্টি পাতের জন্য সাধারণত বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ থাকতে হয় ১০০% তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ ৮০-৯০% হলেও বৃষ্টি হয়ে থাকে।

১০৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

সোহানী বলেছেন: আমার ছোট্ একটা বিষয় জানার ছিল...

১) আমরা যদি কাপ্তাই ডেম এর মতো প্রতিটি নদীর উপকূলে গভীর ডেম তৈরী করি তাহলে কি বর্ষায় পানি ধরে রেখে সারা বছর চলতে পারবো?

২) এছাড়া আমরা যদি প্রতিটি নদীর সাথে খাল বা শাখা বিস্তৃত করি তাহলে কি নদীগুলোর মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো?

৩) প্রতি বছর নদীগুলো ড্রেজিং করে নাব্যতা ধরে রেখে কি বন্যা, খরা বা নদীগুলোর মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো?

জানি প্রয়োজনীয় নির্লিপ্ততাই আমাদের নদী ধ্বংসের কারন। নদী রক্ষার কি আর কোন উপায় নেই ধ্বংস ছাড়া ???


অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপু, আমার একটা খুবই খারাপ অভ্যাস আছে নিয়মিত উত্তর না দেওয়া; যার ফলে পূর্বে পোষ্টে করা অনেক গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নের কথা ভুলে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর হলো আমাদের দেশের একমাত্র পার্বত্য চট্রগ্রাম অন্বচলের নদী গুলোতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই এর মতো লেক সৃষ্টি করা সম্ভব। তবে বর্তমান অর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তা সম্ভব কি না সেটা প্রশ্ন যোগ্য। কারণ ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করার পরে ঐ ধরনের স্হাপনা করা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কারণ ঐ রকম বাঁধ দিলে অনেক উপজাতি বাস্তুচুত্য হবে। যা শান্তি চুক্তি বিরোধি পরক্ষেপ। বাংলাদেশের অন্য জেলার নদীতে বাঁধ দেওয়া প্রায় অসম্ভব কারন স্হানগুলো ২/৩ মিটার এর বেশি পানি ধরে রাখতে পারবে না নদীর দুই কূলের সমতল ভূমিরুপের জন্য। একই সাথে নদীর দুই পারের ভূমিক্ষয়ের সম্ভাবনা বেরে যাবে। বাঁধের উপকার নির্ভর করে বাঁধ কতটুকু পানি ধরে রাখতে পারবে; অর্থাৎ বাঁধ দিয়ে কত গভীরতার ও কত আয়তনের পার্মানেন্ট জলাভূমি সৃষ্টি করতে পারার উপর।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরও নির্ভর করে ১ নম্বর উত্তরের উপর। তবে শাখা নদী গুলোর মুখে বাঁধ দিলে কিছুটা উপকার হবে। তাতে করে কৃষকরা কিছুটা বেশি সময় সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করতে পারবে। একই সাথে ভূগর্ভস্হ পানির স্তর এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের অনেক ছোট নদিতে রাবার ড্যাম আছে। যা আপনার ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর বলা যেতে পারে।

ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বজায় রাখা যায় কিন্তু আমাদের দেশের ঐ রকম অর্থনৈতিক সক্ষমতা নেই; সক্ষমতা যাও বা আছে তার বেশিভাগই দূর্নিতী খেয়ে ফেলে। বাংলাদেশের সরকারি অফিস গুলোর মধ্যে পানি উন্নয়ন অধিদপ্তর দুর্নিতীর জন্য প্রথম ৫ টির মধ্যেই পরে। প্রশ্ন হলো বাংলাদেশে কি দূর্নিতী কমানো সম্ভব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.