নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
জাতিসংঘ পরিবেশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম বা UNEP এর মতে সমুদ্রতল এর উচ্চতা যদি এক দশমিক ৫ মিটার (১৫০ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায় যা এই শতাব্দীর শেষের দিকেই হবে বলে নিশ্চিত ভাবেই অনুমান করা হচ্ছে তবে বাংলাদেশের শতকরা ১৬ ভাগ ভূমি (উপকূলীয় এলাকা) সমুদ্দ্রেরের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। সেই সাথে ৩ কোটি মানুষ হারাবে তাদের বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপাদান কৃষি জমি।
ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রতল এর উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে গত ৩ শত বছর ধরে। কিন্তু এই উচ্চতা বৃদ্ধি ব্যাপকতর হয়েছে গত ৩ দশক ধরে। আমরা প্রতিদিন সংবাদ পত্র খুলে দেখতে পাচ্ছি যে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা গুলোর কোন কোন এলাকা পূর্বে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত না হলেও এখন নিয়মিত ভাবে প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘর্নীঝড়ের সময় সমুদ্রের পানি স্বাভাবিকের চয়ে স্হলভাগের অনেক বেশি ভিতরে প্রবেশ করতেছে অনেক বেশি গতী নিয়ে।
ফলে কৃষি জমি লবণাক্ত হয়ে কৃষি কাজের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে; মিঠা পানির পুকুর লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হচ্ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের তা হলো জোয়ারের পানির ঢেউ এর কারণে ভূমি ক্ষয়।
প্রশ্ন হলো জোয়ারের পানির ঢেউ এর কারণে ভূমি ক্ষয় থেকে রক্ষা পেতে আমরা কি করতে পারি ?
নিচের চিত্রে খুব সুন্দর করে চিত্রায়ন করা হয়েছে কোন কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমরা জোয়ারের পানির ঢেউ থেকে ভূমি ক্ষয় রোধ করতে পারি:
১) কোন কিছু না করে চুপ করে বসে থেকে নিজেদের ধ্বংস দেখা
২) বাড়ি-ঘর নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া, যেমন, উচু স্হানে বা সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে (বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের মানুষদের পক্ষে অসম্ভব)
৩) সরকারী উদ্যোগে নদী/সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে নেদারল্যান্ডের মত উঁচু সমুদ্র প্রাচীর গড়ে তোলা (বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা আগামী ৫০ বছরেও সম্ভব না)
৪) সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে বালুর বাধ তৈরি করা (একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া; কিছুটা অস্থায়ী ও কম অর্থশ্রায়ী)
৫) সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে সুন্দরবনের মত ম্যানগ্রোভ বন সৃষ্টি যা সবচেয়ে বেশি স্থায়ী ও সবচেয়ে কম খরচে কম সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব।
উপসংহার: নিচের চিত্র হতে এখনই বেছিনিন আপনার পছন্দের প্রতিরক্ষার উপায়টি।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
ইমরান হক সজীব বলেছেন: অবশ্যই ৫ নম্বর সেরা ।
আচ্ছা দুইটা কি একসাথে করা সম্ভব ? প্রথমে বালুর বাঁধ এবং তার পিছন থেকে ম্যানগ্রোভ বন । তাহলে আমি এই দুইটা একসাথে করার কথা বলবো ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হ্যাঁ দুটোই একই সাথে করা সম্ভব। তবে উপকূলের যে স্হানটি আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি না সেখানে ৫ নম্বরটি বেশি উপকারী। কারণ ম্যানগ্রোভ বন একই সাথে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা বাধ ও প্রানীজ সম্পদের অভয়ারন্য হিসাবে কাজ করে। সেই সাথে ম্যানগ্রোভ বন প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসাবেও কাজ করে। দেশের স্হল ভাগ হতে বাহিত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চুষে নিয়ে সমুদ্রে অপেক্ষকৃত পরিশোধিত মিঠা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে ৪ নম্বরটি খুব অল্প সময়ে তৈরী করা যায়।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
এেলক্সান বলেছেন: ++++
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাবনার বিষয়।তবে এটা নিয়ে তেমন কোন কাজ হচ্ছে না মনে হয়। প্রাকৃতিক নিয়মে বরফ যুগ- উষ্ণ যুগ চলে আসছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে।তারই ধারাবাহিকতায় এখন চলছে উষ্ণ যুগ। বিশ্ব তাপমাত্রা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে তখন সমুদ্রসীমা হবে সবার ওপরে।কারণ বরফ পানিতে পরিণত হবে।সঙ্গে গ্রীন হাউজ গ্যাস আর উন্নত বিশ্বের কার্যকলাপ তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উপকূলবর্তী দেশ হওয়াতে আমাদের দেশটা বেশ ঝুকির মধ্যে আছে। বনায়ণ,ভাঙনরোধ ব্যবস্থাপনা সহ আরো কার্য করি ব্যবস্থা বা উদ্যোগ না নিলে সমস্যা প্রকটতর হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সেলিম ভাই, আপনার সাথে একমত। পৃথিবীর যে দেশটি দুরভাগ্যবশত ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রতল এর উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে যে দেশটি সবচেয়ে বেশি হুমকির সম্মুখিন সেই দেশটি তা নিয়ে গবেষনার জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
ড. জেকিল বলেছেন: বনায়ন হয়তো পানির জোরালো স্রোতকে ঠেকায়ে রাখবে, কিন্তু পানির লেভেল পরিবর্তন হলে কি কিছু করতে পারবে ?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: এই জন্য আমাদেরকে নিসেস্ব অভিজোজন ব্যবস্হা খুজে নিতে হবে। ইতালীর ভেনিস নগররীটা কিন্তু সাগর দিয়ে চার পাশে ঘেরা। ভেনিস নগরিটা গড়ে উঠেছে আজ থেকে ৪০০/৫০০ বছর পূর্বে। তারা যদি ৪০০ বছর পূর্বে নিজেদের জন্য একটা ব্যবস্হা খুজে নিতে পারে তবে কেন আমরা পারব না?
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ পোস্ট।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
শেষের সাজেশনটাই বেছে নিতে হবে।
দারুন পোস্ট। ++++++
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপাতত ৫ নম্বরটার বাস্তবায়ন হলো আমাদের জন্য সবচেয়ে সহজ। আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ পোষ্ট।
++++++
সময় থাকতেই কাজ শুরু করে দেওয়া ভাল।
কিন্তু করবে কে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
কবিগুরুর সেই বিখ্যাত গানটি মনে করিয়ে দিতে চাই:
"যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে"
সময় ও ও নদীর শ্রোত কাহারো জন্য অপেক্ষা করে না। সুতরাং অন্যজের অপেক্ষা না করে নিজেকেই শুরু করে দিতে হবে। নিজেকই উদাহারন হিসাবে মানুষের সামনে দাড় করাতে হবে।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
েবনিটগ বলেছেন:
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট । +
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
চিরতার রস বলেছেন: সুন্দর সময়োপযোগী পোস্ট। তবে আমাদের কর্তৃপক্ষ কোন উদ্দ্যোগ নিচ্ছে কিনা তাতে যথেষ্ট সংশয় আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । +