নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
**********ঈদ মোবারক সবাইকে ******************
যদি ধরে নেওয়া হয় যে মানুষের জ্ঞান হয়ে ৫ম শ্রেনিতে তাহলে বলতে হবে মায়ের কষ্ট বুঝতে আমার সময় লাগল ২২ বছর।
আমার রান্না ঘরে ৪ টা ইলেকট্রিক চুলা। ঈদ উপলক্ষে কয়েকজন ব্যাচেলর পোলা-পানরে দাওয়াত দিয়েছিলাম। মিয়া-বিবি সেই ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে রান্নাঘরে। ডলারের বদৌলতে এই দেশে মাছ পরিষ্কার করা, মাংস কাটা, আদা ও রশুন বাটা পিয়াজ ও মরিচ কাটা নিয়ে কোনদিনই চিন্তা করতে হয় না; সকল কিছু তৈরি পাওয়া যায়। তথাপি, ডিনার শেষে শরীর আর কোন ভাবেই চলছে না। কোন রকমে বাবা-মা-ভাই-বোন এর সাথে প্যাকেজ নাটকের মত ঈদের শুভেচ্ছা শেষ করলাম ঠিক বাবার কাছে টাকা চাহিয়া পুত্রের সংক্ষিপ্ততম চিঠি
"টাকা নাই, টাকা চাই"
ইতি
কানাই
৫ম বছরের মত আজ প্রবাসে ঈদ করলাম। আজ মায়ের কথা বড্ড বেশি মনে পড়ছে। আজ ভাবতেছি, কি ভাবে ঐ মানুষটি গত ৩৫ বছর ধরে ৭০ টা ঈদে আমাদের ৩০ জনের যৌথ পরিবারে জন্য কাঠের চুলায় রান্না করে আসছেন বিরক্তিহীন ভাবে। ঈদের নামাজ পড়ে এসে যদি দেখতাম যে এখনও পোলাও মাংস রান্না শেষ হয় নাই, চিল্লা-চিল্লি করে বাড়ি মাথা নিতাম বাবা ও ছেলেরা মিলে। ঈদের নামাজ পড়ে আব্বা তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে, ও আমরা 2 ভাই নিজেদের বন্ধু বান্ধব নিয়ে হাজির হতাম একের পর এক। কখন ও চিন্তা করিনি যে আম্মা যা রান্না করেছে তা দিয়ে কুলোবে কি না???
সারা দিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধ্যা বেলা যখন আমরা নিজ নিজ বন্ধু-বান্ধব দের সাথে আড্ডা মারতে যেতাম সেই সময় আম্মা কয়েক মিনিটের জন্য হয়ত বিছানায় তার ক্লান্ত শরীরটি এলিয়ে দিত যাতে করে নতুন করে কিছু শক্তি নিয়ে রাত্রি দ্বিপ্রহর পর্যন্ত আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে পারে। কিন্তু আমারা বাসায় ফিরে চিল্লা-চিল্লি শুর করে দিতাম রাতের খাবারের জন্য। কখনই ভাবি নাই যে ঐ মানুষটির শরীরও রক্তে মাংসে গড়া। তারও একটি বিশ্রামের দরকার আছে।
এখন রাত ২ টা বাছে; এশার নামাজ এখও পড়া হয় নাই। শরীরে আর কোন শক্তি অবশিষ্ট নাই সবচেয়ে সংক্ষেপে ৯ রাকাত এশার নামজ পড়ার জন্য। আজ নিজের অবস্থা দেখে বুঝতে পারলেম কেন আম্মা ঈশার নামাজ শেষে তসবি পড়ার সময় মাঝে মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ত।
ঈদের এই দিনে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি হে আল্লাহ আমার মা শৈশবে যেভাবে আমাদের সেবা করেছে ঠিক একই ভাবে তার সেবা করবার সুযোগ দিও আমাদের।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মোবারক।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
ডাসট ইন দা উইনড বলেছেন: দ্বিতীয় প্লাস...........গুছিয়ে খুব সুন্দর করে তুলে এনেছেন আমাদের সময়কার শৈশব.........
ঈদ মোবারাক
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনকে ধন্যবাদ সেই সাথে দেরিতে হলেও ঈদ মোবারক।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
জীনের বাদশা বলেছেন: মায়েরা এমনই।লেখাটা পড়ে মনটা আসলেই খারাপ হয়ে গেল।পোস্টে প্লাস।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হ্যাঁ আপনার সাথে একমত মায়েরা এরকমই। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বোঝা উচিত মায়ের কষ্ট গুলো।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: অন্তর দিয়ে লেখা, ভাল লাগল।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা।
ঈদ মোবারক!!!!!!!
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সেই সাথে লেট ঈদ মোবারক।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের মায়েদের কষ্ট কথা খুব সুন্দর করে লিখেছেন ।
ঈদ শুভেচ্ছা ।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সেই সাথে বলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা।
৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ভাই আপনাকেও বলম্বিত ঈদ মোবারক।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
ছেরা বলেছেন: প্রথম প্লাস।