নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় ২য় দিন: দেখ-দেখ দেখরে ফকিরের বাহার (একটি ছবি ব্লগ)

২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫২





এত দিন জেনে এসেছি বাংলাদেশের টোকাইরা ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খায় কিন্তু পৃথিবীর শতকরা ৬০ ভাগ সম্পদের অধিকারী যে দেশ, পৃথিবীর ১ নম্বর ধনি মানুষ বিল গেটস এর দেশ আমেরিকার মানুষও যে ডাস্টবিন থেকে খবার কুড়িয়ে খায় তা আমেরিকা এসে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর হতো।







আজকে ছিল সম্মেলন এর ১ম দিন তাই বিকেল ৫টার মধ্যে সম্মেলন শেষ হলো। হোটেলে ফিরলাম বিকাল ৫ টায় ৩০ মিনিটের মধ্যে। হোটেলে ফিরে চটজলদি ফ্রেস হয়ে রিসিপশনে ডেস্কে গিয়ে ললনারে জিগাইলাম আমার হাতে চার ঘণ্টা আছে; এই সময়ের মধ্যে কোথায় ঘুরতে যেতে পারি। সে বলল এই শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হলো ডাউন টাউন বোল্ডার এর পার্ল স্ট্রিট মল। যেখানে যেতে পায়ে হেটে ২০ মিনিট লাগবে আর বাসে ৫ মিনিট। আমি হলাম কুড়ের বাদশা তাই দ্বিতীয় পথটিই বেছে নিলাম। ৫ মিনিটের জন্য বাসে চরলাম ১৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে।







বাস থেকে নামলাম পার্ল স্ট্রিট মলে। না এটি বাংলাদেশের বসুন্ধরা সিটি বা ইস্টার্ন প্লাজা সিটি মার্কেটের মত না। এটি দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এর মত। ঢাকার মানুষ বিকেল হলে যেমন টিএসচিতে আড্ডা মারতে যায় এখানকার মানুষও যায় পার্ল স্ট্রিট মলে।





তবে একটা পার্থক্য আছে: টিএসসি এর রাস্তার দুই পাশে কোন দোকান নাই কিন্তু পার্ল স্ট্রিট মল হলো ২ কিলোমিটার এর অধিক লম্বা একটি পার্ক যার দুই পার্শ্বে বিভিন্ন প্রকার দোকান ও বার এর পরিপূর্ণ। এই পার্কের ভিতরে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য খেলা-ধুলার বিভিন্ন সরন্জাম। অনেকই এসেছে ছোট-ছোট বাচ্চা নিয়ে সেখানে খেলা-ধুলা করার জন্য।











তবে পার্ল স্ট্রিট মলের সাথে মিল আছে আমাদের ফার্মগেট বা গুলিস্তান একটা ক্ষেত্রে। আমাদের দেশের ফার্মগেট বা গুলিস্তান যেমন ফকিরদের প্রধান কর্ম ক্ষেত্র ঠিক এটিও হলো এই শহরের ফকিরদের প্রধান উপার্জনক্ষম:P:P এলাকা।







পার্ল স্ট্রিট মলে এসে আমার চক্ষু কপালে ওঠায় উপক্রম। প্রতি ১০ মিটার পর-পর একজন করে ভিক্ষুক। তবে আমাদের দেশের ভিক্ষুকদের সাথে একটা পার্থক্য আছে যেটা হলো চক্ষু লজ্জা। আমাদের দেশের ভিক্ষুকরা আল্লা-নবিজীর নাম:D:D এর দোহাই দিয়ে ভিক্ষা চাইলেও এদেশের ভিক্ষুকরা সেটা করে না। এরা যেটা করে তাহলো রাস্তায় দাড়িয়ে কোন বাদ্য যন্ত্র নিয়ে গান গায় আর তার সামনে থাকে সেই বাদ্য যন্ত্রের খোলা বক্স। ভিক্ষুকরা এক মনে গান গাইতে থাকে।







অন্য একটা পার্থক্য হলো বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের মত এরা ময়লা কাপড় না পড়ে বরং পরিষ্কার কাপড় পড়ে।





আর একটা পার্থক্য চোখে পড়ল সেটা হলো বাংলাদেশের ফকিরদের মত এরা বিকলাঙ্গ না। আর বয়সেও খুবই তরুণ। এই রকম এক তরুণ ভিক্ষুক গ্রুপের ছবি তুলতে গেলে তারা আমারে বলে ছবি কিন্তু ফেসবুকে দিতে হবে ;);); তাদের কথা শুনে তো আমি মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম।



একটা ঘটনা দেখে নিজের ছোটবেলায় ফিরে গেলম কিছু ক্ষনের জন্য:





পার্ল স্ট্রিট মল ঘুরে যখন হোটেলে ফেরার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছি এমন সময় এক ফকিরে ভিক্ষা শেষে হার্লে-ডেভিডসন মটর সাইকেলে চড়ে সেই স্থান ত্যাগ করল। এই ঘটনা দেখে আমিতো পুরাই *** হইয়া গেলাম:((:((:((





পার্ল স্ট্রিট মল থেকে ফিরে রাতের খাবার খেতে গেলাম দাদাবাবুদের রেস্টুরেন্ট জয় হো বোল্ডার এ। এই হোটেলের খোজ পেয়েছিলাম প্রথম দিনেই আমার ভুটানি ট্রক্সি ড্রাইভারের কাছ থেকে। মেনু লিস্টে দেখলাম লিখা আছে খসির মাংস, ডিম, সবজি ও পরোটা। তাই ভাবলাম খাওয়াটা মন্দ হবে না। কিন্তু খাবার সখন সার্ভ করা হলো সেটা দেখে আমার অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। খেয়ে যেটা মনে হলো আটা খাসির মাংসের কিমা, ডিম ও সবজি এক সাথে মিশিয়ে চুলায় দিয়ে পরিবেশন করেছে। কোন মতে অর্ধেক খয়ে ক্ষান্ত দিতে হলো।





ডিনার শেষে যখন হোটেলে থেকে বের হলাম সামনে একজন এক টাকার চার ভাগের এক ভাগ চেয়ে বসল/:)/:)/:) তার কথা শুনে আমিতো লজ্জায় মরি-মরি:P:P। এই ব্যাটারে সামনে পাইলে তো ঢাকার ফকির লাথি মারতো পাছায়। আমেরিকান ভিক্ষুকের রেট চার আনা যেখানে ঢাকার ভিক্ষুক ২ টাকার নিচে দিলে X(X(



আমেরিকানদের ভিক্ষা দেবার এই চান্স আমিও লুফে নিলাম। পকেট হাতিয়ে ২টা ১০ পয়সা পেলাম। ব্যাটারে তাই দিয়া মনের আনন্দে হোটেলে ফিরলাম।































মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

আনমনা 007 বলেছেন: +++ বডলোক ফকির

২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আবার জিগায় =p~ =p~ =p~

২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

মামুন,চৌ:হাট বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হল আমি ঘুরে এলাম অমেরিকা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: মজা পাইলাম।

২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনাকে মজা দিতে পেরে খুশি হইলাম =p~ =p~

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মিজান আফতাব বলেছেন: B-)

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: =p~ =p~

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনি ভাই অভিজাত ফকির দেখেছেন, পথের ফকিরও আছে। অনেকটা দেশের মতো।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হ্যাঁ আপনার সাথে একমত। আমিও দেখেছি।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওদের এভাবে দড়ি দিয়ে কেন বেধে রাখা হয়েছে ?

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: মানুষকে বিনোদন দিচ্ছে কান্ডারি ভাই।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নিউইয়র্ক আসলে দেখতে পারতেন ভিক্ষার বাহার! কত মানুষ কত নমুনায় ভিক্ষা করছে তার শেষ নাই !

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: নিউইয়র্ক অনেক বড় শহর সেখানে ভিক্ষুকের প্রকারভেদ আরও বৈচিত্রময় হয়ে সেটাই আশাকরি। আশাকছি এই বছর নিউইয়র্কের ভিক্ষুক দেখার সৌভাগ্য হবে।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

মুশাসি বলেছেন: ৬ নাম্বার ছবির পোলাডা কি আপনি? :P

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জি ভাইডি B:-/ B:-/

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২০

লিখেছেন বলেছেন: achahca bhai, ami UNiversity of Regina te admission nite chai. Apanar kono dharona ache kemon hobe oi province ba oi university?

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: কানাডার সকল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি। রেজাইনা ছোট প্রভিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়টা ২য় সারির (ছাত্র সংখ্যা হিসাবে)।

চান্স পেলে ভর্তি হয়ে যান আল্হাহর নাম নিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.