নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁচতে হলে জানতে হবে: যৌন রোগে আছে ভয় (ক্ষমতার রাজনিতীতে), বাপের বেটা কনডম লয় (জামায়াতে ইসলামী)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫০





২০০৮ সালে দেশ ছাড়ার পূর্বে দেশের আনাচে-কানাচে বড়-বড় বিলবোর্ড গুলোতে মরন ঘাতি রোগ এইডস নিয়ে করা সবচেয়ে জনপ্রীয় বিজ্ঞাপন জিংগেল "যৌন রোগে আছে ভয়:((:((:((, বাপের বেটা কনডম লয়;););) "

এর কথা মনে পড়ে গেল আজকে দৈনিক প্রথম-আলোতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান এর "জামায়াত নিষিদ্ধে ঐতিহাসিক স্ববিরোধিতা" নামক আর্টিকেলটা পড়ে





সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান কে ধন্যবাদ সেই ১৯৪৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী নামক ধর্ম ব্যবসায়ী দলটিকে বাংলাদেশের রাজনিতীবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কে, কখন, কিভাবে কনডমের মত ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য তা পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরবার জন্য।





সেই সাথে কিছু বহুরুপী রাজনিতীবিদ দের হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেবার জন্য:

***************************************************

জামায়াত আইয়ুবের আমলে ২১ মাস নিষিদ্ধ থাকাকালে আমাদের পূর্বসূরিরা কী করেছিলেন? তখন বাংলাদেশে জামায়াতের ১৭টি অফিসে তালা মারা হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে জামায়াতের সঙ্গে জোট গড়তে তাদের বাধেনি। স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের সঙ্গে জামায়াতের বিরোধ সামরিক শাসনে অরুচির কারণে ঘটেনি। আইয়ুবের যুগান্তকারী ধর্মনিরপেক্ষ আইনগুলো তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই আইনেই প্রথম স্ত্রীর সম্মতিতে দ্বিতীয় বিয়ের শর্ত আরোপ করা হয়। জামায়াতি ফতোয়া ছিল, এটা ইসলামের প্রতি হামলা। বিরোধী রাজনীতিকেরা আইয়ুবের অপসারণে ওই সময়ে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি (কপ) করেছিলেন। ওই আইন বাতিল ছিল তাঁদের নয় দফার অন্যতম। জামায়াতকে ব্যবহার করাটা কপ নেতাদের দরকার ছিল। মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, মোজাফ্ফর আহমদ, ওয়ালি খান, মাওলানা মওদুদি প্রমুখ তাতে সই করেছিলেন।

============================================

১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান জামায়াতে ইসলামীর রাজনিতী নিসিদ্ধ করলে বিবৃতি দেন এই বল যে আইয়ুবের জামায়াত নিষিদ্ধকরণ ‘গণতন্ত্রের ওপর বর্বর হামলা’



১৯৬৪ সালের ১০ জানুয়ারি ১৮ জন ছাত্রনেতা বলেন, ‘জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণা দেশের বুক হইতে গণতন্ত্রের নাম-নিশানা মুছিয়া ফেলিবার ষড়যন্ত্রের একটি জ্বলন্ত প্রমাণ।’ জামায়াতের নেতাদের মুক্তি দাবি করে তাঁরা ‘প্রতিক্রিয়াশীলতার’ বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।



বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও জিএসের সই আগে। তাঁরা হলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা রাশেদ খান মেনন ও মতিয়া চৌধুরী। আরও আছেন সেই সময়ের ছাত্রলীগের নেতা সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাক।



গতকাল ফোন করি রাশেদ খান মেননকে। ‘আমি এই বিবৃতির কথা বিন্দুমাত্র স্মরণ করতে পারি না।’ মেননের উত্তর। হায়দার আকবর খান রনো বিবৃতিদাতাদের অন্যতম। স্মরণে আনতে তাঁরও কষ্ট হলো। তারপর বললেন, ‘আমরা তখন ছাত্র। আর জামায়াতের চেয়ে সামরিক জান্তা বেশি ঘৃণিত ছিল।’





এই নীতিহীন কৌশলগত যুক্তি আজও চলছে। স্বৈরশাসক এরশাদ যখন ‘বেশি ঘৃণিত’, তখনকার পক্ষ-বিপক্ষ আর আজকের পক্ষ-বিপক্ষ এক নয়। রনো ধন্যবাদার্হ্য। কারণ তিনি স্বীকার করেন যে সুবিধা অনুযায়ী রাজনীতি করার রোগ আমাদের আছে। জনাব মেনন অবশ্য এটুকু স্মরণ করেন যে ‘আইয়ুবের ওই আইনের বিরোধিতা আমরা চাইনি। কিন্তু নেতাদের কাছে আমাদের আপত্তি টেকেনি।’

=============================================

জামায়াত নিষিদ্ধে ঐতিহাসিক স্ববিরোধিতা

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

আই লাভ ইউ, ম্যান বলেছেন: ধুতি খুলে গেলে সবাই আন্ডারওয়্যারটা আকড়ে লজ্জাস্থান ঢাকতে চায়

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

গোবর গণেশ বলেছেন: বাঁচতে হলে জানতে হবে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনিতীবিদরা ক্ষমতায় যাবার জন্য কি করতে পারে সেটা এই নিবন্ধ না পড়লে বিশ্বাস করা সম্ভব হত না।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: সেই স্বাধীনের আগের থেকেই এই বিল্লু-জিল্লু-মতিয়া-চুতিয়া-হাসিনা-খালেদা-এরশাদ এই নস্ট প্রজন্ম দেশটার এই বেহাল দশা করছে। সব নিজের স্বার্থতেই রাজনীতি করে গেছে। সামান্য ইস্যুতে দেশের বারোটা বাজায় দিতে কারও বুক-হাটু-পা কাপতো না।
এই ভ্রষ্ট রাজনীতি থেকে দেশের একদম জেনুইন তরুন প্রজন্ম ও জনগন আজ মুক্তি চায়। আসেন সবাই ৩য় পক্ষ খুজি- যদি বেজন্মা মীর জাফরের বংশধর না হই আমরা তাইলে এই নির্বাচনে আর আম্বালীগ-বিম্পি-জামাত-জাপাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবো না- এই শপথ নেই।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জামাতরে কনডম হিসাবে ব্যবহার করতে ভাসানী-মুজিব সহ কেউই বাদ দেয় নি !!!!!

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

তানজিদ_রূপক বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম এতো রং বেরঙের বেলুনের ছবি কেন!! এখন বুঝলাম এই কাজটা না করলে এই সমস্ত লেখা জ্ঞানী গুণীরা পড়ে না।প্রথম আলোতে লেখাটা থাকলেও আপনার উপস্থাপন যুতসই হইছে।ভালো থাকবেন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ক্ষমতার সঙ্গমে এই দলটি সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই কনডমের মত ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেউই বাদ দেয় নাই এই দলটির সাথে বিছানায় যেতে। তাই ঐ ছবিগুলোই যথাপযুক্ত বলে মনে হল আমার।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১১

ভাল ছাত্র বলেছেন: :(

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: =p~ =p~

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: ভাবলাম, পলাশ ভাই আবার এই গুলার ডিলার শিপ নিল নাকি?

চলুক নীতিহীন কৌশলগত যুক্তি।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি ভাবতাছি দেশে রাজার বদলে জামাত নামক একটা ব্রান্ড চালু করুম =p~ =p~ =p~

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ! অবশ্য এটাকে পরকীয়ার সাথে তুলনা করলে আরো পারফেক্ট হতো;
যখন যার সুযোগ আসে সে একটা যুক্তি বের করে জামাতের সাথে রিলেশন কে স্বর্গীয় প্রেম বানিয়ে ফেলে, অন্যের সাথে রিলেশন করতে দেখলে নাক সিটকায়!!

শুভ কামনায় ... বন্ধু ;)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনিতীতে জামাত ও জাতিয়পার্টি সাথে পরকীয়া মনে হয়না আগামী ২০ বছরে শেষ হবে।

আজকে জাতিয়পার্টি আওয়ামিলীগ জোট থেকে বের হয়ে বিএনপি জোটে যোগ দিক আর বিএনপি জামাতকে বের করে দিক দেখবেন ২৪ ঘন্টা পার হবার পূর্বেই আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে বাসর ঘরে ঢুকবে।

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনিতীতে জামাত ও জাতিয়পার্টি সাথে পরকীয়া মনে হয়না আগামী ২০ বছরে শেষ হবে।

আজকে জাতিয়পার্টি আওয়ামিলীগ জোট থেকে বের হয়ে বিএনপি জোটে যোগ দিক আর বিএনপি জামাতকে বের করে দিক দেখবেন ২৪ ঘন্টা পার হবার পূর্বেই আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে বাসর ঘরে ঢুকবে।
=p~ :-P B-)) #:-S B-) :D :) :-*

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ২০ বছর তো চোখ বন্ধ করেই বলা যায় সেটা ৫০ বছরও হতে পারে। গত ৬৭ বছরে যেহেতু জামাত সঙ্গম বন্ধ হয় নাই সেটা আগামী ২০ বছরে বন্ধ হবে সেটা কেমনে বিশ্বাস করি???

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪২

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: প্রথম আলো হঠাৎ কইরা আমবালীগরে নেংটা করতে নামলো ক্যাঁ :|| :|| :||

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

নেয়ামূল হক বলেছেন: পোস্ট পড়তে অনেক দেরী হয়ে গেল। +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.