নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইফ ইন্ডিয়া ওয়াজ নট ডিভাইডেড, জিন্নাহ উড বি অনলি ফাদার অব হিজ ওন চিল্ড্রেন

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

ইফ ইন্ডিয়া ওয়াজ নট ডিভাইডেড, জিন্নাহ উড বি অনলি ফাদার অব হিজ ওন চিল্ড্রেন

আমি কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাষ্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে পড়ছি। একই বিষয়ের আগের ব্যাচের আফগান ছাত্র আবদুল হামিদ নজরি। তিনিও আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা। আমাদের দেখা হয় ডরমিটরির হালাল কিচেনে। কথায় কথায় পাকিস্তান সম্পর্কে আফগানদের মনোভাব তার থেকেই জানতে পারি। আমার চেয়েও পাকিস্তান বিরোধীতায় তিনি এক ডিগ্রী ওপরে। একদিন আমরা আলোচনা করছিলাম, ভারত পাকিস্তান ভাগ না হলে কী হতো। প্রশ্নটা করেছিলাম আমি। ইফ ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট ওয়াজ নট ডিভাইডেড ইনটু ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান হোয়াট উড বি হ্যাপেনড? আমাকে অবাক করে দিয়ে হামিদ বলেছিলেন, দেন জিন্না উড বি অনলি ফাদার অব হিজ চিলড্রেন। আমিতো হাসতে হাসতে খতম। পরে ভাবলাম, কথাটা আসলেই সঠিক। অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। হিসেবটা আমি আমার হায়দরাবাদে সরকারি সফরের সময় করেছিলাম। একজন ভারতীয় মুসলিম আমাকে এ হিসেবটা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তান ভাগ না হলে দিল্লীর মসনদে এখন মুসলমানরাই থাকতো। কীভাবে! এটাই যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বলতে হবে জিন্নাহর চেয়ে মুসলমানদের এতবড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারেননি।

মুসলমানদের মধ্যে একটা চরম কুসংস্কার আছে। সেটা হলো এরা গাছ মাছ থেকে শুরু করে হেন কোন বস্তু নাই যেখানে ধর্ম খুঁজে ফেরেনা। পারলে জড় পদার্থকেও মুসলমান বানায়। এ কারণে তাদেরকে সহজেই রাষ্ট্রধর্ম গেলানো গেছে। জিন্নাহ নিজে ধর্ম পালন না করলেও এটা জানতেন। যখনি জিন্নাহ রাষ্ট্রকে মুসলমান বানোনোর শ্লোগান দিয়েছিলেন, সেটা লুফে নিতে এ অঞ্চলের মুসলমানরা দেরি করেনি। এখন ভারতীয় হিন্দুরা সেখানকার মুসলমানদের মারধরের সময় একটি কথাই বলে থাকে, তোদের সাধের পাকিস্তানে চলে যা! এদেশ তোদের না। কথাটা হয়ত মানবতা আর সভ্যতার দৃষ্টিতে ঠিক নয়। কিন্তু বাস্তবতায় কথাটা কতটা ঠিক তা একটু ভাবলেই পরিস্কার হয়ে যায়। মুসলমানদের এহেন পরিণতির জন্য দায়ী আর কেউ না। মুসলমনারাই। কীভাবে! সেটাই বলছি।

তবে পাকিস্তান বানানোর পেছনে একমাত্র মুসলমানদেরকে দায়ী করা ঠিক হবেনা। হিন্দু নেতারা জানতেন- ভারত পাকিস্তান এক থাকলে মুসলমানরা ক্ষমতায় থাকবে। এজন্য তারা সব ধরণের প্রস্তাব মানতে রাজি ছিলেন। পাকিস্তানও তারা এ কারণে মেনে গেছেন। ওই সময় পরিস্থিতি তাদেরই অনুকূলে ছিল। যা চেয়েছেন ইংরেজদের কাছে, সেটাই পেয়েছেন। পাকিস্তান এমনিতেই ছেড়ে দিয়েছেন, এটা সহজে বুঝলে বড় ভুল হবে। জিন্নাহর যতটা কৃতিত্ব ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল হিন্দু নেতাদের মুসলমান বিদায় দেয়ার বাসনা। জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা হুসাইন আহমেদ মাদানী দেশভাগের পরে আফসোস করেছেন। বলেছেন, আমি প্রস্তাব করেছিলাম এসেম্বলির ৪৫% হিন্দু, ৪৫% মুসলমান আর ১০% অন্যান্য সম্প্রদায়ের হবে ! গান্ধী মেনে নিয়েছিলেন। জিন্নাহ মানেন নি! এ কারণেই ভারত বিভক্তির আগেকার দিনগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল। দাঙ্গা লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক জিওগ্রাফি পাল্টে দেয়া হয়। কারণ একটাই। সেই ডেমোগ্রাফিতে ভারতের বেশিরভাগ সংসদীয় আসনে মুসলমানরা জিতে যেতো। মুসলমানরা চাল বুঝতে পারেনি। এ নিয়ে আমি অনেক খোঁজ খবর নিয়েছি। ১৯৪৭ সালের আগে ভারতের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানদের পরিসংখ্যান দেখেছি। তাতে এটাই আমার মনে হয়েছে।

এবার আসি বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসংখ্যার হিসেব নিয়ে। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৩২ কোটি। এর মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা ২০ কোটি। বাংলাদেশে ১৭ কোটি। পাকিস্তানে ২১ কোটি। আফগানিস্তানে ৪ কোটি। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা হতো- ৬২ কোটি। অন্যদিকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হতো ১১২ কোটি। প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। তাহলে আমার কথার অসারতা প্রমাণ হয় বৈকি। হায়দরাবাদ ভ্রমণের আগে এটা নিয়ে মনের একটা সান্ত্বণা ছিলো। যাক বাঁচা গেছে। এখন একটা দেশে মুসলমানরা বিপদে আছে। তখন সবাই বিপদে থাকতো। কিন্তু ভারতের হায়দরাবাদে গিয়ে দেখি পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা এম আই এম বা মীম নামের একটি ইসলামি দল আছে। ওয়াইসি এখন যে দলের প্রধান। একদিন তাদের একটা সমাবেশ দেখেতো আমার চক্ষু চড়াক। মিছিলে অনেক হিন্দু। এটা কীভাবে সম্ভব। একজনকে প্রশ্ন করলাম, হিন্দুরা কেন মীমের সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। ভারতীয় একজন আমাকে জানালেন, শুধু মীম না, মধ্য প্রদেশ থেকে শুরু করে যেখানেই মুসলমানরা লোকসভার প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে, তারা শুধু মুসলমানের ভোটে পাস করতে পারতো না। তারা হিন্দুদের ভোট পায় বলেই নির্বাচিত হয়। এ হিন্দুদের দেখলে বুঝা যায়না। তবে এরা দলিত বা নিম্ন শ্রেণির হিন্দু। ভারতে এদের সংখ্যা ১৬ কোটি। এরা সবাই মুসলমানদের ভোট দেয়। এটা ভারতও জানে। সে কারণে তাদের একজন কে. আর নারায়নানকে বহু বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বানিয়েও ভারত রাষ্ট্র দলিত শ্রেণির মন পায়নি। কারণ যেসব হিন্দু মুসলমানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, এদের সাথে ব্যবহার তার চেয়েও ভয়াবহ। তাদের মানুষই মনে করা হয়না। দলিত ছাড়াও নিম্নবর্ণের হিন্দু আছে। তারাও থাকতো মুসলমানদের পক্ষে। অনেকটা এদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মতো। সংখ্যলঘুরা সবসময়ই একসাথে থাকেন। নয়তো খ্রীস্টানদের থাকার কথা ছিল মুসলমানদের সাথে। কারণ কোরআন বাইেবল মিলে অনেকাংশে। দুটো ধর্মই ঐশীগ্রন্থের ভিত্তিতে। অথচ তারা থাকেন ঐক্য পরিষদে। এবার মুসলিম সংখ্যার সাথে দলিত যোগ করি। সব মিলিয়ে মুসলমানের পক্ষে সংখ্যা হতো ৭৮ কোটি। আর হিন্দু হতো ৯৬ কোটি। নিম্নবর্ণের হিন্দুরা আসলে পুরা ব্যালেন্স হয়ে যেতো। অর্থ্যাৎ হিন্দু মুসলমানরা কেউ কাউকে আঘাত করার আগে দশবার চিন্তা করতো।

বাংলাদেশের একজন নারী প্রতি সংন্তানের সংখ্যা বর্তমানে আড়াই জনের মতো। ১৯৬২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬.৭ জন। ২০০৩ সালে সেটা ২.৯ এ নেমে আসে। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ হ্যানস রোসলিং এটাকে বলছেন, মিরাকল অব বাংলাদেশ। ভারত পাকিস্তান এক সাথে থাকলে এই মিরাকল ঘটার সুযোগ ছিলনা। এঅঞ্চলেই জনসংখ্যা হতো ত্রিশ কোটির ঘরে। কোন একদিন সময় নিয়ে আসন ভিত্তিক হিসেব দিয়ে আরেকটা লেখা পোস্ট করবো। সেখানে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে। কীভাবে পাকিস্তান তৈরি করে জিন্নাহ মুসলমানদের ক্ষতি করেছেন।

জেনারেল নিয়াজি একটা বই লিখেছেন। নাম বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান। তিনি এতে সহজ হিসেব দিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, যুদ্ধে হারার জন্য তাকে দোষারোপ করে লাভ নেই। যুদ্ধ লাগানো আর হারাটা ছিল পাকিস্তানের নেতাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কারণ একবার ক্ষমতা বাঙালিদের কাছে চলে গেলে তাদের জাতীয়তাবাদ তুঙ্গে থাকায় ক্ষমতা আর পাকিস্তানিদের কাছে ফেরত আসতো না। কারণ তারাই ছিল সংখ্যা গুরু। যাই হোক তার কথাটা ঠিক। কারণ ততদিনে ধর্মের ভাই তত্ত্বটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন বাংলার মানুষ। ভুট্টো কখনোই পুরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পশ্চিম পাকিস্তানের যে ব্যক্তিটি সবচেয়ে খুশী হয়েছিলেন তিনি ভুট্টো৷ মাইকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে চিৎকার দিয়ে বলতেন, তালাক তালাক৷ আখেরে তিনি লাভবান। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেও তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী৷ এ ভাবেই তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাধ মিটিয়েছিলেন। এত মানুষ হত্যার মাধ্যমে তার সাধ পূরণ হয়েছিল। আল্লাহ সে বিচারটা প্রকৃতিগতভাবে করেছেন। নিজে মরেছেন ফাঁসিতে। ছেলেকে মেরেছে মেয়ে। আর মেয়ে মরেছে ঘাতকের গুলিতে। বংশ নির্বংশ। আমার মনে হয়, পাকিস্তান জিন্নাহ’র দর্শনই একাত্তরে প্রয়োগ করেছিল। পাকিস্তান না হলে জিন্নাহ হয়ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু গান্ধীর ব্যক্তিত্বের সামনে তার অবস্থান কী! গান্ধিই হতেন ভারতের জনক। আর জিন্নাহ হতেন তার সন্তানদের জনক। আমার সিনিয়র ক্লাসমেট আফগানি আবদুল হামিদ কত সুন্দর করেই না বিষয়টা বলে ফেললেন।

পরিশেষে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অধিবাসি।আমরা ইতিহাসে কখনোই স্বাধীন ছিলাম না। অন্যরা এসে শাসন করে গেছে। এটাই হাজার বছরে আমাদের বড় প্রাপ্তি। এখানে হয়ত আইনের শাসনের দূর্বলতার কারণে দুর্বল ব্যক্তিরা সবলদের কাছ থেকে আঘাতটা পেয়ে থাকে। কিন্তু কেউ বলতে পারবেনা, ধর্মের কারণে পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হয়েছে। ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। তাকে পরিবহনে উঠতে দেয়া হয়নি। অফিসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এখানে যেটা আছে, সেটা দুর্বল মাত্রই শিকার হয়ে যাচ্ছে। সেখানে হিন্দু মুসলমান বলতে কিছু নেই। কিছু যে ঘটনা ঘটছেনা তা না। এটা হুজুগের কারণে। ভারত পাকিস্তানে আকিদাগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করায় তার ফল ভোগ করছে। আমরা এসবে নেই। আামদের জন্মটা অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। সেই দ্বিজাতিতত্ত্বকে আমরা অসার প্রমাণ করেই জন্ম নিয়েছি। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে। প্রমাণ করতে হবে। আমাদের দেশে কোন সংখ্যালঘু নেই।

কাজী সায়েমুজ্জামান
সাউথ কোরিয়া
১২ ডিসেম্বর ২০১৯

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: জি ভাই ঠিক বলেছেন | মুসলিম বাদে আমাদের দেশে সবাই সংখ্যালঘু |

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই, বাংলাদেশে সমস্যাটা আইন শৃঙ্খলার। ধর্ম সমস্যা না। একজনকে বলেছিলাম, আমরা তো সংখ্যা লঘু না। কিন্তু এক এলাকায় গিয়ে বাড়ি করার কারণে আমার পরিবার যে পরিমাণ অত্যাচারিত হয়েছে, তা এদেশের কোন হিন্দু হয়েছে কী না সন্দেহ। এদেশে সামাজিক অবস্থাটা এমন। দুর্বলের পক্ষে কেউ নেই।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো কথা বলিয়াছেন। দেশভাগের দাঙ্গায় মুসলমানদের ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি হইয়াছে। জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের সভাপতি হজরত মাওলানা হুসাইন আহমেদ মাদানী র. দেশভাগের পরে আফসোস করিয়াছেন , আমি প্রস্তাব করিয়াছিলাম এসেম্বলির ৪৫% হিন্দু, ৪৫% মুসলমান আর ১০% অন্যান্য সম্প্রদায়ের হইবে ! গান্ধী মানিয়া লইয়াছিলেন। জিন্নাহ মানেন নাই ! তবে জিন্নাহকে একতরফা দোষ দেওয়া যাইবে না ! ইংরেজ আমলে হিন্দু প্রধান সরকারের মুসলমানদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ, উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোখলে, প্যাটেল, নেহেরুর দাঙ্গায় উস্কানি, হিন্দু জমিদারিতে , হিন্দু প্রধান এলাকায় মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অভাব, কংগ্রেসের গাদ্দারী, নির্মম, অসভ্য ছোঁয়াছুঁয়ি কালচার, সেই সময়কার মুসলমান নেতাদের মন বিষাইয়া তুলিয়াছিল। নিজেদের ধর্মীয় আইনে নিজেদের দেশ ও শাসনব্যবস্থা গড়িয়া তোলার জন্য, যেখানে অবারিত ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকিবে, অনেক মুসলমানই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সমর্থন করিয়াছিল। আর ইহার সমর্থনে বাঙালিরাই অগ্রগণ্য ছিল। তাই জিন্নাহ একাই দোষী নহেন।

দেশভাগের সূভল কুফল দুইই থাকিলেও মুসলমান সম্প্রদায়ের ক্ষতিই হইয়াছে বেশি। যদিও ঢাক-ঢোল অন্যরাই পিটাইয়া থাকে বেশি ! দেশভাগ না হইলে নরাধম মোদী কোনকালে সুপ্রিম হইতে পারিত না ! চায়ের দোকানেই কাজ করিতে হইতো ! সাম্প্রদায়িক নেহরুও হইতো না ! তবে গান্ধীজির কথা আলাদা। তিনি ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের ভদ্রলোক।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: হিন্দুরা তখন সব প্রস্তাবই মানতেন। তারা পাকিস্তানও তো মেনে নিয়েছিলেন। কারণ তারা জানতেন, আসন হিেসব করলে মুসলমানরা বেশি আসন পাবে। আর নিম্নবর্ণের হিন্দুদের অবস্থানও তারা জানতেন। একারণেই দাঙ্গা লাগানোর ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছেন।
মুসলমানরা চােল ভুল করে ফেলেছেন। কোন একটা ধর্মের মানুষ একটা দেশে বাস করবে- এটা কোন বাস্তবতায় সম্ভব। এর ফল আজকে ভারতের মুসলমানরা ভোগ করছে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের মাদানীর অংশটি লেখায় যোগ করলাম।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা ধর্মকে আফিম বানিয়ে ফেলেছে।
আফিম তো ভালো জিনিস না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: মুসলমানরা আসলে বাধ্য হয়েছে। জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর নুরুল ইসলামের লেখা তার জীবনীগ্রন্থ অ্যান ওডেসি দি জার্নি অব লাইফ পড়েছিলাম। সেখানে তিনি লিখেছেন, তার ছোটবেলায় খুলনা শহরে কেউ গরু জবাই করতে পারতোনা। গরুর গোস্ত আনতে হতো শহরের বাইরে থেকে। মুসলমানরা আসলে এসব কারণে এ অবস্থায় পৌঁছিয়েছে। যখন একজনকে দুর্বল হেসেবে আঘাতের শিকার হবে, সে তখন যুক্তি নয়, আবেগের স্তরে চলে যাবে। গিয়ে সান্ত্বণা খুঁজবে।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়, সরকারী চাকুরী করেন, কিংবা বিনা পয়সায় কোরিয়ায় পড়ছেন, সেজন্য মাথায় পাকিস্তানী মগজ!

প্রশ্ন: ভারত বিভক্ত না হলে, কারা ভারত সরকার চালাতো: শিক্ষিত ভারতীয় ব্যুরোক্রেটরা, নাকি পুর্ব বাংলার কৃষকেরা, অশিক্ষিত ড্রাইবার ও সৈনিক পাঠানেরা ও বালুচেরা, কিংবা ধুর্ত পান্জাবীরা, আপনাদের মতো কমবুদ্ধিমান সরকারী লোকরা (বাংগালী, সিদ্ধি, পান্জাবী)? শিক্ষায় বরাবর পেছনে থাকা মুসলমানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে, আমাদের শেরে বাংলা পাকিস্তান সৃষ্টির পক্ষে মত দেন, উনি কোরিয়ায় পড়েননি, ভারতে পড়েছিলেন বাবার পয়সায়।

কোরিয়ায় পড়ছেন, ভালো করছেন; আড্ডা কম দিয়েন, কোরিয়ানমেয়েদের পেছেন কম দৌড়ায়েন।

আফগানিস্তানের লোক সংখ্যাকে আপনি ভারতের মুসলমানদের সাথে যোগ করেছেন, উহা ভারত ছিলো না; বৃটিশ যাবার সময় উহাকে ভারতের সাথে যুক্ত করে দিয়ে যেতে পারতো না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কোরিয়া সরকারের সবচেয়ে বড় স্কলারশিপটা নিয়েই আসছি। আফগানিস্তানের মুসলমানদের যোগ করেছি, কারণ একই অঞ্চল বলে। অন্য কারণ নয়। আপনার ইচ্ছা হয় বাদ দিয়ে দেন। ভারতে হিন্দু মুসলমান কাছাকাছি থাকতো। আপনার প্রতিটি কথার জবাব মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বই ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম বইতে আছে। দেখে নেবেন। ভারতে যেসব মুসলমান থেকে গিয়েছিলেন, পাকিস্তানের রূপ দেখে মরার আগে শান্তি নিয়ে মরতে পারছেন। আমি এসব বিতর্কে নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত সমাধান হয়ে গেছে।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফগানটা দেশে গিয়ে তালেবানদের সাহায্য করবে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সে একজন আধুনিক মানুষ। তালেবানদের সাহায করলে পাকিস্তানের বিরোধীতা করতো না। আপনি পাকিস্তান আর আফগান সম্পর্কের উপর লেখাপড়া করেন। তারপর না হয় কমেন্ট করবেন।
পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের সম্পর্কনষ্টের কারণ হচ্ছে- শিক্ষিত আফগানরা মনে করে পাকিস্তান তালেবানদের উত্থানে সহায়তা করেছে।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত ভাগ না হলে অনেক শক্তিশালী একটা দেশ থাকত বিশ্ব পর্যায়ে। তবে দোষটা কার সেটা নিয়ে সবসময়ই বিতর্ক ছিল। কিছুদিন আগেও 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল' এ দেখলাম দোষটা কংগ্রেস নেতাদের কিছুটা আর অনাকাঙ্খিত রায়টের কারণে হয়েছিল। এছাড়া জিন্নাহ'র উচ্চভিলাসি চিন্তাধারাকেও দায়ী করা হয়। কারণ, জিন্নাহ কংগ্রেস নেতাদের পাশ কাটিয়ে বেশ কিছু দিন অতিরিক্ত ছিলেন ব্রিটেনে।

সে যাই হোক, আমিও আপনার শেষ প্যারার সাথে একমত। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই বললেই চলে। যা চলে, তা সবলের দাপট। কিন্তু ভারতের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীদের তারা নাগরিকত্ব দিবে। অথচ আমাদের সরকার বা হিন্দু সম্প্রদায় এসব বক্তব্যের কোন প্রতিবাদ করছে না...

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কথা হচ্ছে, দুটি দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, তারর মধ্যে তারা পারমানবিক বোমা আর অস্ত্রের প্রতিযোগিতা করে। এ অর্থ চন্দ্র অভিযানে ব্যয় করা যেতো। এ উপমহাদেশ অনেক আগেই চাঁদে পৌঁছাতে পারতো। শিক্ষার পেছনে ব্যয় করতে পারতো।

আমি অবিভক্ত ভারতের পক্ষে বলছি না। যা হয়েছে, আখেরে আমরা লাভবান হয়েছি।

৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার আফগান বন্ধু পড়ালেখা পারে, নাকি কোরিয়ান মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত আছে?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনি সত্তুর দশকে পড়ে আছেন। এখনো কে ছেলে, কে মেয়ে এসব নিয়ে কেউ পড়ে নেই। কোরিয়ার লেখাপড়া সম্পর্কে একটু খবর নেবেন আশা করি। ইউরোপ থেকে ছেলেমেয়েরা আসে এখানে পড়তে। কাউরে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় এখানে নেই। আমাকে দেখছেন, পরীক্ষা শেষ হলো বলে একটা পোস্ট দিলাম। পচিশ হাজারের বেশি ফলোয়ার ফেসবুকে আমার। তাও বন্ধ করে দিয়েছি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন বইটা একটু দেখে নেবেন। ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। এরপর নেই বুঝবেন, এটা পড়তে গেলে অন্য কিছু আর মাথায় ঢুকবে কী না।

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

রাশিয়া বলেছেন: পাকিস্তান ভাগ হওয়ায় যদি ভূট্টোরই লাভ বেশি হয়, তো সেই শুয়োরের বাচ্চা যুদ্ধ বাধাইলো কেন? শেখ মুজিবের সাথে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করতে পারত। তাইলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আইসা এইসব চেতনা ফেতনার ফালাফালি দেখা লাগত না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: পাকিস্তানের মানুষ কী কখনো ভুট্টোকে জিজ্ঞাসা করেছে,ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও কোন লজ্জায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলো। সে কী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো। ভোটে হেরে গিয়েও এমনভঅবে কথা বলতো যেন পাকিস্তানটা ওদের তালুক। একাত্তরের সময়কার তার বক্তব্য দেইখেন। মাথা ঠিক রাখা যায়না। মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং হবে কেন? নিরন্কুশ ভোটে জিতেছিলেন যিনি তারাই ক্ষমতা পাবেন। এটাইতো নিয়ম। তারা ভেবেছে বাঙালি আজীবনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকবে। এটা আমার কথা নয়। নিয়াজী তার বইতে লিখে গেছেন।
সেই শুয়ারের বাচ্চা পচিশে মার্চ ঢাকা ছিল। কালরাতের পরদিন সকালে জেনারেলদের পিঠ চাপড়ে বলেছে, ওয়েল ডান। আল্লাহ তার বিচার করছে।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন বইটা একটু দেখে নেবেন। ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। এরপর নেই বুঝবেন, এটা পড়তে গেলে অন্য কিছু আর মাথায় ঢুকবে কী না। "

-আপনি এই সবাজেক্ট পড়ছেন, অন্য বাংগালীর তো এই সাবজেক্ট বুঝার কথা নয়।

শেরে বাংলা সাহবে বাংলার বুকে সেই সময়ের বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন, তিনি মুসলমানদের ইতিহাস ও বাংগালীদের পড়ালেখার গতি দেখে পাকিস্তান গঠনে মতামত দিয়েছিলেন; উনি কোরিয়ান বড় স্কলারশীপ পাননি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: হমমমম বাঘের খাচা থেকে কুমিরের খাচায় পড়ায় মতামত দিয়েছিলেন আর কী!



"আমি পাকিস্তানিদের কখনই বিশ্বাস করি না, যখন তারা গোলাপ ফুল হাতে নিয়েও আসে।"

১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



@লেখক,

আপনি বলেছেন, " হমমমম বাঘের খাচা থেকে কুমিরের খাচায় পড়ায় মতামত দিয়েছিলেন আর কী! "

-১৯৪০ সালে আপনার মতো বুদ্ধিমান বাংগালীরা জন্ম নেননি; তাই, শেরে বাংলাকে একা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে; বাংলাদেশকে ভারত থেকে বের করে এনেছেন উনি, জিন্নাহ আনেননি

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অনেক দিন ব্লগিং করেন তো. আমি আপনার আগে এই ব্লগে। যাই হোক সবাইকে জ্ঞান বিতরণের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে শুনে যান শেরে বাংলার সাথে আমার মিল অমিল.
শেরে বাংলার বাপ দাদার বাড়ি বাউফল। আমার বাড়িও বাউফল। তারা বংশে কাজী। আমিও বংশে কাজী। তিনি ছোট বেলায় মাদরাসায় পড়েছিলেন। আমিও মাদরাসায় পড়েছি। তিনি আরবী ফার্সি জানতেন। আমিও জানি। তিনি লম্বায় যতটুকু ছিলেন, আমিও লম্বায় ততটুকু। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিলেন। আমিও ম্যাজিস্ট্রেট ছিলাম। তিনি সাংবাদিক ছিলেন। আমিও সাংবাদিক ছিলেন। তিনি আমার আদর্শ। আমি কারো আদর্শ না। ছোটবেলায় আমার প্রতিটি খাতার প্রথম পাতায় তার ছবি আঁকা থাকতো।

অমিল বহু আছে। তার মাথায় ঘিলু ছিল বলে লাহোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমিতো তখন ছিলাম না। আমি থাকলে বাংলা ভাগ করতে দিতাম না।
ওনারা বহু সম্মানের ব্যক্তিত্ত্ব হতে পারেন। কিন্তু তাদের ব্যর্থতা অনেক। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এদের মূল্যায়নের সময় এসেছে। এখন আামদের সামনে সিঙ্গাপুর, কোরিয়ার মতো দেশ। কেউ লি কুয়ান হতে পারেন নাই। তিনবার দাঙ্গা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। মালয়িরা বলছে, হয় আমরা থাকবো নয় তোরা। চীনারা বলেছে, একই কথা। একই কথা ছিল তামিলদের। ত্রিমুখী দাঙ্গা বন্ধ করতে নেপাল থেকে গুর্খাদের হায়ার করেছিলেন। এখন সবাই সোজা হয়ে চলেন। আর যেসব নেতৃত্বের কথা বলেছেন তারা সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ করতে পারেন নি। উল্টা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। আইনের শাসন থাকলে ফেরেশতা শয়তান একসাথে খুব সদ্ভাবে বসবাস করতে পারে। হিন্দু মুসলমান তো পরের কথা। ওনারা আইনের শাসন চালু করতে পারেন নাই।

১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@লেখক,
বলেছেন, "শেরে বাংলার বাপ দাদার বাড়ি বাউফল। আমার বাড়িও বাউফল। তারা বংশে কাজী। আমিও বংশে কাজী। তিনি ছোট বেলায় মাদরাসায় পড়েছিলেন। আমিও মাদরাসায় পড়েছি। তিনি আরবী ফার্সি জানতেন। আমিও জানি। তিনি লম্বায় যতটুকু ছিলেন, আমিও লম্বায় ততটুকু। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছিলেন। আমিও ম্যাজিস্ট্রেট "

-আমার মনে হয় না, কোন শিক্ষিত মানুষ নিজকে 'শেরে বাংলার' সাথে এভাবে নিজকে তুলনা করবেন; আপনার ভাবনাশক্তিতে ভয়ংকর সমস্যা আছে। সরকারী চাকুরী করলে বুদ্ধিমত্তা কমে যায়।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার মানসিক সমস্যা আছে। বুঝতে পারেন না। ভালো চিকিৎসক দেখান। ভালো হয়ে যাবেন। আসলে আপনার মতো রুগীরা এটা বুঝতে পারেনা। মানুষের কথাও বুঝতে পারেনা। আমার কথা বুঝতে হলে আপনাকে আবার জন্ম নিতে হবে। এই জীবনে যতটুকু লেখাপড়া করেছেন, তা দিয়ে আমার কথা বুঝার ক্ষমতা আপনার নেই। এজন্য সরকারি চাকরি নিয়ে আছেন। আমার প্রফাইল উপরে দেয়া আছে। দেখে নেন। কয়টা চাকরি ছেড়েছি বুঝতে পারবেন। সরকারি চাকরি যে করবো তারও কোন গ্যারান্টি নেই। সরকারি চাকরি যারা পায়না তাদের এমন দুঃখবোধ থাকে। যাই হোক, আমি সরকারি চাকরদের দেখানোর জন্যই বিসিএস দিসিলাম। তখন সাংবাদিক ছিলাম। আমার কাছে এর কোন গুরুত্ব নেই। তা আমার লেখায়ই দেখতে পাচ্ছেন। দেশের কোন চাকরিজীবী আমার মতো লিখতে সাহস করবেনা।
আমার সাথে লাগতে গেলে আপনাকে জানতে হবে। তিনদিকে সর্বোচ্চ লেখাপড়া করেছি আমি। মাদরাসা, আর্ট কলেজ, তারপর এই যে সাধারণ লাইন। কার সাথে কী বলতে হবে- সে জ্ঞান বা বোধটুকু আপনার নেই।

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, " আমার কথা বুঝতে হলে আপনাকে আবার জন্ম নিতে হবে। এই জীবনে যতটুকু লেখাপড়া করেছেন, তা দিয়ে আমার কথা বুঝার ক্ষমতা আপনার নেই। এজন্য সরকারি চাকরি নিয়ে আছেন। আমার প্রফাইল উপরে দেয়া আছে। "

-আপনি নিজকে 'শেরে বাংলার' সাথে তুলনা করেছেন, এটাই অনেক বড় ব্যাপার! আমার জানা মতে কোন বাংগালী একাজ করার কথা নয়। আপনার প্রোফাইলও পড়লাম, ব্লগে কেহ এভাবে প্রোফাইল লেখার কথা নয়।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বুঝতেই পারছেন। যা করি, যা বলি স্পষ্ট। পরিচয় লুকিয়ে কোন কথা বলিনা বা লিখিনা। যেখানে চাকরি করেছি খবর নিয়ে দেখেন। ভালো থাকেন। আপনার সাথে আর তক্ক করতে ইচ্ছা করেনা। কোনটা তুলনা আর কোনটা কী এটাই বুতে পারেন না।

১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@লেখক,
বলেছেন, " বুঝতেই পারছেন। যা করি, যা বলি স্পষ্ট। পরিচয় লুকিয়ে কোন কথা বলিনা বা লিখিনা। যেখানে চাকরি করেছি খবর নিয়ে দেখেন। ভালো থাকেন। আপনার সাথে আর তক্ক করতে ইচ্ছা করেনা। কোনটা তুলনা আর কোনটা কী এটাই বুতে পারেন না। "

-আপনি আসলে শেরে বাংলা থেকে অনেক বড়, উনার উপাধি আছে, আপনার নেই; একটা উপাধি কি দিয়ে দেবো?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমার উপাধির দরকার নেই৷ কারণ উপাধি হয় আনকমন৷ আমার নামটাই আনকমন৷ এ নামে আমি ছাড়া আর কেউ নেই৷ গুগল করে দেখতে পারেন৷ ফেসবুকে একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম-এ নামে কেউ থাকলে তাকে পুরস্কার দেয়া হবে৷ অবশ্যই তা দশ হাজার টাকার কম হবেনা৷ পুরস্কারটা আপনার জন্যও বহাল থাকলো৷ যদি আমার নামে কাউকে নিয়ে আসতে পারেন- এতক্ষণ যা বলছেন নিয়ে আসতে পারেন-এতক্ষণ যা বলেছেন তা মেনে নিয়ে এই ব্লগ ছেড়ে চলে যাবো৷ আর না পারলে আসার নামটাই আমাকে লকব হিসেবে দিয়ে যাবেন৷
আমার নাম কাজী সায়েমুজ্জামান

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজকে শেরে বাংলার সাথে তুলনা করেছেন; সবদিক থেকে আপনাকে বড় মনে হয়েছে; তবে, আপনি কয়টা আম এক সংগে খেতে পারেন? উহাকে হারাতে হলে ৪১ খাও্য়া লাগবে; পারবেন তো?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার লজ্জা থাকলে আর কাউকে খোঁচা দিয়ে কমেন্ট করেবেন না। সম্মান দিন, সম্মান পাবেন। না দিলে কী হয়, বুঝিতেই পেরেছেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর যার অপমানে কিছু হয়না- তার নাকি দুই কান কাটা। আর দুই কান কাটা মানুষ নাকি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটে। আশা করি রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটবেন না।
আপনার সে অবস্থা না হোক সেই প্রত্যাশা করি।

১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৩

কোলড বলেছেন: Good God! You are indeed a fine specimen of BCS cadre. I bet you managed (misappropriate!) one of those scholarship as a government employee. Nothing brilliant about it. Guys like you are dime a dozen.
Indeed you are the first Bangladeshi to compare himself with Sher-E-Bangla. Way to go sir!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনিও কী চাঁদগাজীর শিষ্য! মোসাহেব! না কি তার পা চাটা৷ নাকি তার আরেকটা নিক! ভালো করে পড়েন কী লিখেছি৷ কোথায় কম্পেয়ার করেছি না কি তাকে আমার আদর্শ বলেছি৷চাঁদগাজীর সাথে যা প্রযোজ্য তা অন্য কারো সাথে প্রযোজ্য নয়৷ আর এটা বাংলা ভাষার প্লাটফরম৷এখানে ইংরেজি ফুটানোর কিছু নেই৷ প্রফাইলে দেখেন ভাষা কয়টা জানি! তারপর না হয় অন্য ভাষায় কমেন্ট করতে আসবেন৷

১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যাব্দ ভাই আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। আপনি আমার পোস্ট পড়ের এটাই অনেক ভালো লাগার বিষয় আমার কাছে। আমি আসলে সময় পাইনা নিয়মিত ব্লগিং করার।
শুভ কামনা রইলো।

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটা পড়ে খুব ভাল লেগেছে।
আপনি একজন গুণী ছাত্র। সহজ সরল আলোচনার নিগূঢ় অর্থ বিষয়টি সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। জিন্না সাহেব জীবনে কোনদিন নামাজ পড়েন নি, রোজা রাখেন নি; অথচ তিনি ছিলেন স্বাধীনতা প্রাক্কালে মুসলিমদের মসিহ বা সবচেয়ে বড় কারবারি।

আজকের বিষয়টি পটভূমি একটু পরিবর্তন হলেও আপনার ধর্মীয় হিসাব মেনে যদি অন্য একটি দিক দিয়ে বিষয়টি ভাবি, ধরুন ৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে ভারতের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধী জুড়ে দিতেন তাহলে দিল্লির মসনদ বাঙালি বাদে অন্য জাতির পক্ষে সারাজীবনে অধরাই থেকে যেতো।ভারতের মধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে সর্বাধিক সাংসদ 85 জন। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে 42 জন ও বাংলাদেশের 3 ইন্টু 42=122(যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের তিনগুণ) সর্বমোট 42+112=154 হতো। যে সংখ্যাটা যেকোনো অবাঙালি রাজনীতিবিদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের।
কাজেই বাঙালি জাতির উপর অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ 1905 খ্রিস্টাব্দের লড কার্জন চালিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতের রাজনীতিকরাও সেই ধারাটি অত্যন্ত যত্নসহকারে বজায় রেখেছেন। ভারত-বাংলাদেশ দুটি পৃথক দেশ হলেও যে কারণে এনআরসিকে হাতিয়ার করে ধর্মীয় স্পর্শকাতর' বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে গোটা উপমহাদেশে বাঙালি খেদাও অভিযান অক্ষুন্ন রেখেছেন।

এবার আসি ধর্মীয় প্রসঙ্গে,
মুসলিমরা এটা গাছ মাছ থেকে শুরু করে যেকোনো বিষয়ের মধ্যে ধর্ম খুঁজে বেড়ান। কথাটা বোধহয় উপমহাদেশের সব ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মোদির ভারত সে দাবির দিক দিয়ে উন্নতির বহরকে চাঁদে নিয়ে গেছে। বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা বন্ধুমহলে উপহাস করে বলতেন, বিজ্ঞানের সবকিছুই নাকি ব্যদে আছে। কাজেই ধর্মীয় কারবারিরা সবকিছুর মধ্যে ধর্মের দোহাই দেবেন আর নতুন নয়।
মন্তব্য বা প্রতিমন্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করাটা অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে। অথচ ওটা উল্লেখ না করলেও পোস্টের মান কমে যেত বলে মনে হলো না।


পোস্ট প্রথম লাইক।

শুভকামনা জানবেন।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: পোস্টটা আপনার ভালো লেগেছে বলে আমি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ সবসময়ই একটা কৌশলগত অবস্থানে ছিল। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই এই কৌশলটাকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু নয়, শেরে বাংলা একে ফজলুল হককে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তার এলাকা শিক্ষা এসব ব্যাকগ্রাউন্ড আমার সাথে মিলে যায়। এমনকি বংশেও। তবে আমি আর্টিস্ট হয়েছিলাম, ছোটবেলায় তার ছবি আকঁতে আঁকতে। আমার ছোটবেলায় দেখেছি, বরিশালের সব ছেলেদেরই শেরেবাংলাকে নিয়ে একটা তৎপরতা ছিলো। তার গল্প বা হতো। রোল মডেল। ধরুন, কেউ ভালো সাতার কাটে। তাকে বলা হতো আরে এ ছেলেও শেরে বাংলা হবে। যাই হোক তাকে আমার আদর্শ বলেছি। কমেন্টটা আবার একটু পড়ে দেখতে পারেন।
শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.